![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একা এক পাখি চলে যায় দিকবিদিক, খুঁজে ফিরে শান্তির আবাসন, নিরাপদ নগরি, বাঁচতে চায় আপন করে ........।আর পুরনো জঞ্জাল এ ভরা শহর টাকেও গড়তে চায় সবার মতো করে ......
গান, আড্ডা, মাস্তি আর একটু আধটু পড়া এই নিয়ে পোরে থাকে রায়হান ও তার বন্ধুরা । যদিও সাইফুল আর রিতু পড়াশুনা বিষয়ে অন্যদের থেকে একটু বেশীই সিরিয়াস। যেখানে কবির আর পায়েল ... যাচ্ছে চলে যাক না চলে এই টাইপের অবস্থা আর অন্যদিকে শুভ , সবকিছুই পারে আবার কিছুই পারে না এমন ভাব । সব সময় দাঁত কেলিয়ে হাসবে আর অন্যদের হাসাবে। পড়াশুনার ব্যাপারে পারতপক্ষে তেমন কোন মাথা ব্যাথা না থাকলেও সবার কাছে ওই সবচেয়ে পড়ুয়া । ছেলেটার ভাষ্যমতে সে নাকি তেমন পড়েই না । আরে বাবা যদি নাইই পড়লি তাইলে নাম্বার এত পাস কেন ? এই প্রশ্নের জবাব এখনো কেউ পেল না ............।।
বৃহস্পতিবার । তাড়াতাড়ি ক্লাস শেষ । মিতুর ইচ্ছা হল সবাইকে নিয়ে টঙে চা খাবে, বিলতা ওই দিবে ।তাই রহিম চাচার দোকানের উদ্দ্যেশে সবাই রওনা দিলো । তারা সবাই মাঝে মাঝে রহিম চাচার দোকানে দলবলে চা খেতে চলে আসতো আর জমিয়ে আড্ডা দিত ।
রায়হান- চাচা ভালো কইরা চা দেও তো
চাচা- দিতাসি
সবাই আড্ডায় মশগুল । কখনো প্রানখোলা হাসি আবার কখনো কারো অভিমান, কখনো একে অন্নকে পচাচ্ছে আবার অন্ন কেউ দেবদূত হয়ে তার হয়ে গীত গাইছে । এভাবে কিছুক্ষন চলার পর রহিম চাচার ডাক,
- চা গুলান লইয়া জান, ঠাণ্ডা হইয়া যাইব...
সাইফুল সবাইকে চা দিলো । সবাই পাওয়ার পরও এক কাপ চা বেশি।
সাইফুল- চাচা, চা এক কাপ বেশি কেন?
চাচা- কেন চা তো আট কাপই বানাইছি !
আপনারা আট জন না ?
হঠাৎ সুমি বলে উঠলো,
- ছিলাম ।
এই বলেই চুপ করে রইল সুমি। সুমি, সাদাসিধা একটা মেয়ে। কতজন যে ক্রাশ খেয়েছে ওর উপর ইয়াত্তা নেই । ও শুভ'র অনেক কাছের বন্ধু কিংবা শুভ ওর অনেক কাছের বন্ধু ।
সুমির কথায় শুভ'র কথা মনে পড়ে গেলো সবার । শুভ আজ আর নেই । নয় দিন আগে সেই যে ঘুমিয়েছে আর উঠে নি । আর উঠবেও না । ওর কানের পাশে থাকা এলার্ম আর কখনই জানান দিবে না যে ৭ টা বাজে ঘুম থেকে উঠতে হবে। ভার্সিটি যেতে হবে । অবেলায় ঘুমানোর অভ্যাসটা রয়েই গেলো ওর ।
যদিও অবেলায় চলে গেলো শুভ, কিন্তু সবাইকে জানান দিয়ে গেলো সব কিছুই মেকি, মৃত্যুই ধ্রুব সত্য ... বাকি সব অলীক । আজকের এই আড্ডা , হাসি তামাসা সব খনিকের জন্য । এত বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও সবার কাছে ক্ষণিকের প্রাধান্যই কেন জানি বেশি, যেখানে প্রিয় বন্ধুকেও ভুলতে সময় লাগে না।
স্মৃতি সে তো সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে যায় অতলগহ্বরে ।
©somewhere in net ltd.