তোমায় আরো জানতে

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

অভিমান করে দেখলাম তুমি কেমন।

আদৌ আমায় ভালোবাসো কি না জানার ইচ্ছায়।

তুমি অনেক দিন পর আমায় দেখে কথা বলতে চাইলে,

আমি এতোই নিষ্ঠুর যে শুনেও না শুনার ভান করলাম।

হয়ত তুমি রাগ করবে বা করেছো,

তুবুও আমি ঘাপটি মেরে বসে রইলাম।

তোমার কথায় যখন উত্তর পেলে না,

তখন আমি তোমার অসহায় মুখপানে

তাকানোরও প্রয়োজন মনে করিনি।

এভাবে তোমার পুনঃ পুনঃ আহ্বানের পর

না পেরে সাড়া দিলাম।

তুমি ঠিকই আঁচ করতে পারলে আমি আজ কোন বিষয়ে মনোক্ষুন্ন।

তুমি কিছু ভেবে না পেয়ে যখন বললে, রাগ করো না সবাইকে একদিন ট্রিট দিবো।

আমি মনে মনে খুব হাসলাম, তোমার আবেগ নিয়ে মজাক করলাম।

আমি এতো নিষ্ঠুর কেন হলাম জানি না।

আমার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তুমি কফি বানালে,

ভেবেছিলে হয়ত বলব মধুর স্বাদ হয়েছে, তোমার হাতে জাদু আছে,

যখন বললাম পানি গরম করে এনেছো? বাহ ভালই লাগছে।

তখন তোমার রক্ত বন্যার জলরাশি বইতে দেখেছি আখি ধারায়।

সত্যিই তোমাকে অবহেলা করার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে নেই,

বরং সৌগত রায় বর্মনের মত 'নিজের ভেতর পাথর হয়ে নিজেই টলমল' হচ্ছি।

মনে মনে তোমায় নিয়ে পুতুল খেলি, রঙ লাগাবো গায়,

তবে তোমায় কষ্ট দিয়ে যাচাই করছি ছাই।

কারণ তোমার ঈসৎ সুন্দর রাগবর্ণা ঐ বদন দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।

টকটকে রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ে যেনো ঐ চাঁদের ওপর,

আর ওষ্ঠ কোন ফুলে ওঠে যেনো নািরকেলের ফোঁপার মতো।

চোখে ভেসে ওঠে একরাশ স্বপ্নভাঙ্গা নির্ঘুম রাজ কন্নার রাজপুত্রের পানে অপেক্ষা।

আজ তোমায় কষ্ট দিলাম বুঝে শুনেই।

একটু পরিক্ষা করলাম আমার প্রতি তোমার শ্রদ্বার। না, না ভালোবাসার।

তোমার মুখাবয়ব আজ আমার ভুল ভেঙ্গে দিল।

সত্যিই তুমি আমাকে চাও, নইলে কেনইবা আসো আমার কাছে, অতি কাছে।

হতে পারে এটা আমার অলিক আশা, কবি মনের ভ্রান্ত ধারণা।

যদি না ভালোবাসবে স্বপ্ন কেন দেখাবে?

স্বপ্ন দেখলে এর বাস্তবায়ন আমার একান্ত কাম্য, তাই স্বপ্ন দেখতে চাই না।

গুরুর কথায় আজ তোমাকে কষ্ট দিলাম, অবহেলা করলাম।

জানি খুবই খারাপ করেছি, তুমিই বলো নইলে কিভাবে তোমায় চিনবো।



_শক্তি শুধা (সাবেত চৌধুরী)

০ টি +০/-০