![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগেই বলে নেই এটা কোন গুছানো গল্প না, বিক্ষিপ্ত চিন্তা।
সামুর এই ব্লগের কথা ভুলেই গেছিলাম, জীবন অনেক দূর চলে এসেছে ২০১২ তে লেখা শুরু করার পর। যার কারনে লেখা শুরু করেছিলাম তার কারনেই আজ আবার ফিরে আসা।
মাঝখানে পার হয়েছে ৮ টি বছর, আজ আমি দেশ, আপন জনদের ছেড়ে বিদেশের মাটিতে। যার কথা দিয়ে শুরু করলাম সে এক মাস আগেও আমার ছিল, আমি একলা ছিলাম না ভিনদেশে। তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন, অনেক গল্প বেধেছিলাম। সে আমাকে শিখিয়েছিল স্ব তে ব কিভাবে নিচে লিখে, আজো জানি না চন্দ্রবিন্দু কিভাবে দেয়, কয়েক বার দেখিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু আমার মনে থাকে না। দুঃখের বিষয় আর কখনো শিখতেও পারবো না, কারণ সে আজ আমার থেকে অনেক দূরে, অস্পর্শ, যোগাযোগের আয়ত্তের বাইরে। কিভাবে ৮ টি বছর ধরে চলে আসা গল্প এভাবে এক নিমিষে ধ্বংস হলো আজ এক মাস হয়ে গেছে এরপরো বুঝে উঠতে পারি নাই এখনো।
ওহ, আজ আমি বাস্তুহারা ও। আমাদের ছোট্ট নীড়ের থেকে আজ সে আমি ২ জনই নির্বাসিত। অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাড়ে ৩ বছর ধরে তিল তিল করে যে সংসার গড়েছিলাম সেটা থেকেই ২ জন এক সাথে সফল হয়ে বের হবো নতুন ঠিকানায়, কিন্তু তা আর হলো না। আজকে আমার সব ধোয়াচ্ছন্ন, ভূত ভবিষ্যত বর্তমান কোনোটারই ঠিক নাই, শরীর চলতে চায় না। বাবা মার সামনে চেষ্টা করি দেখানোর অনেক শক্ত আছি - কিন্তু তাদের কোনভাবেই শান্ত করতে পারি না, হয় না সেটা।
প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস দেখতেছি, মানুষ চিনতেছি, মানবতা একটা দুস্প্রাপ্য জিনিস। আজকের দিনের কিছু টুকরো জিনিস ভাবনা টুকে রাখবো নিচে।
বন্ধুত্তঃ
বন্ধুত্ত করা কোন কঠিন বিষয় না, আমি ভাবতাম সবার সাথে মিশতে পারা আমার একটা গুন, ভালো জিনিস। কিন্তু সময়ে বুঝলাম ওগুলা বন্ধুত্ত না, চলার পথের পথিক কেবল কিছু। বন্ধুত্ত করা অনেক সহজ, বন্ধুত্ত ধর্ম পালন করা এত সহজ না। আজ অনেক বন্ধুদের কারণেই আমি টিকে আছি, বেচে আছি। আবার অনেক নাম মাত্র বন্ধুদের জন্য নিজের মৃত্য কামনা করতেও ছাড়ি নাই।।
ক্যাকটাস গাছঃ
আমাদের বাসায় গত কয়েক মাস ধরে কিছু গাছ আছে, একটা ক্যাকটাস গাছ, আর ২ টা পাতা বাহারি/মাকড় বৃক্ষ। এই গাছ গুলোর মাঝে আজ আমি নিজের জীবন দেখতেছি।
প্রথম আর আমার শেষ ভালোবাসা আজ অবধি এক জনই ছিল। আমার এই ভালোবাসাটা ওই ক্যাকটাস গাছটার মত। অনেক ঝড় ঝাপটা গেছে এর উপর দিয়ে, কিন্তু আমার ভালো লাগা কমে নাই একটুও ওর জন্য, এক মাস আগের যেই কাহিনি হলো তাতে গাছটার মরে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সে দিব্বি আমার মনের মাঝে রয়ে গেছে, মাঝে মাঝেই উঁকি দেয় আর কাঁদায়। ক্যাকটাস গাছটাও ওরকম, ওকে পানি দেয় নাই প্রায় ১৫ দিন, সে এর পরও ধুঁকে ধুঁকে বেচে আছে, বাসা ছাড়ার সময় অনেক ধাক্কা বাড়ি খেলো, কিন্তু এর পরও পুরো ভাঙ্গেনি। ওটা এখনো বেচেঁ আছে, আমি আবার পানি দিচ্ছি, দেখা যাক।
অন্য দিকে, পাতা বাহার গাছ ২ টা তার ছিল, ওরাও মাঝে অনেক দিন পানি পায় নাই, একটু একটু মারা যাচ্ছিলো, আমি পানি দেয়া শুরু করি আবার, বাঁচবে ভেবেছিলাম, কিন্তু একদিন বের হয়ে দেখি বাসার নিচ থেকে ওরা ঊধাও। ক্লিনাররা নিয়ে গেছে আমাকে না বলে। এই গাছগুলা হচ্ছে আমাদের সংসারের মত। সুন্দর বেঁচে ছিলো, একটু পানির অভাবে হালকা ম্রিয়মান ছিল, কিন্তু মানুষের কথা কর্ম, ভিনদেশের অযাচিত নিয়ম নামক ক্লিনারদের যন্ত্রণায় বিলুপ্ত হয়ে গেলো।।
২| ১০ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:০৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জীবন থেমে থাকে না।আরো স্পষ্ট করে লিখলে ভালো হতো।
৩| ১০ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:০৭
কল্পদ্রুম বলেছেন: যতটুকু লিখেছেন বোঝা যাচ্ছে ব্যক্তিগত জীবনে একটা প্রতিকূল সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন।এই রোগাক্রান্ত পৃথিবীতে এখন সবখানেই বিষাদের ছাপ।এর ভিতরে এত বছর পর পাবলিকলি কিছু একটা লিখেছেন সেটাই প্রমাণ করে আপনার মানসিক জোর অনেক বেশি।ভালো থাকবেন ভাই।গত আট বছরে যেরকম আপনার জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে।আগামী নিশ্চয়ই আট বছরে নিশ্চয়ই আরো অনেক পরিবর্তন আসবে।
৪| ১০ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: এখন থেকে ব্লগে নিয়মিত হোণ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:৪৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। লিখে যান