নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্বেলে দাও সন্ধ্যাবাতি

জীবন গঠনে নিজেস্ব প্রতিক্রিয়ার দায় বেশি, ঘটে যাওয়া ঘটনার ভূমিকা সামান্য।

সন্ধ্যাবাতি

...

সন্ধ্যাবাতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা চলে যাওয়ার কথা বলছেন: কেন আক্রান্ত বোধ করছেন, বলবেন?

০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৭:৪২

আমি দেখেছি অনেক মুসলিমের প্রবনতা আছে বাইবেল নিয়ে রাত দিন গবেষণা করার। বাইবেল কোথায় কোথায় চরম ভুল সেগুলো খুঁজতে সারাদিন পড়ে থাকে, যদিও নিজেরা বাইবেল পড়ে দেখে নি। কুরআনও না! এই নিয়ে শুধু রিসার্চ করে তা না, সামনে কোন খ্রীষ্টান পেলে, তাকে আক্রমন করে বসে বাইবেল সম্পর্কে নানা কথা বলে, বাইবেল প্রসঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে বসে। ডু য়ু নো ইটস এন আটার লাই?



আমার খুব বিরক্ত লাগে সেই অ্যাটিচুড। কেন রে বাবা? বাইবেল যে পড়ে নি, সেই খ্রীষ্টানকেও যখন বলা হয়, বাইবেল ভর্তি গাঁজাখুড়ি, তার খারাপ লাগবে না? কারণ বুঝাটা কি খুব কঠিন? ব্যাপারটা এখানে 'তোমার আর আমার'। আক্রমন করাটাই মূল উদ্দেশ্য।



আমি কখনও কোন খ্রীষ্টানকে বাইবেল নিয়ে আক্রমন করি নি। আমার অনেক হিন্দু বন্ধু, তামিল এবং ভারতীয়। কারও ধর্মের যৌক্তিকতা নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র প্রশ্ন তুলি নি কখনও। সেটা স্রেফ ইতরামি মনে হয় তাই। আমার যুক্তিসঙ্গত মনে হয় না, আমি মানব না। ব্যাস।



'ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা,

আমাদেরই বসুন্ধরা,

তাহার মাঝে আছে দেশ এক

সকল দেশের সেরা...

সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি...'



এই গান যখন গান, তখন কি কেউ আহত হয়?



না কেউ হয় না। সবাই নিজের দেশকে সেরা ভাবে। সবাই নিজের ধর্মকে সেরা ভাবে (না হলে ওই ধর্মে থাকবে কেন? নাস্তিকেরা বুঝি অন্য কোন ধর্মকে সেরা ভাবতেই নাস্তিকতার পূজারী?)



'ঠিক আছে, তোমার কাছে তোমার দেশ সেরা, আমার কাছে আমার দেশ', এতটুকু বলে কাটিয়ে নেয়া যায়। এগ্রি টু ডিজেগ্রী করা যায়। কিন্তু 'তোমার দেশটা ফালতু বা তোমার মা খুব বিচ্ছিরি' বললে কিন্তু আমরা আহত হবোই। দুইটার মধ্যে পার্থক্য কি বুঝাতে পারছি?



যারা চলে যেতে চাইছেন...



শুধু এই এনালজিটা দিয়ে চিন্তা করে দেখুন, কেন কিছু মানুষের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগবে না?



আমার মনে হচ্ছে, আপনাদের অনেকেই যুঞ্চিক্ত'র পোস্টগুলো পড়েন নি। এখন তালে পড়ে আন্দোলন করছেন। যারা পড়েন নি, তাদের বলি, পোস্টগুলো তে বিভিন্ন ভুল ভাল রেফারেন্স টেনে প্রমান করা হয়েছে ইসলামের নবী মুহাম্মদ মিথ্যুক, মুহাম্মদ কামুক, মুহাম্মদ সুবিধাবাদী।



আচ্ছা, আমার 'ভুল ভাল' কথাটার সাথে একমত না হয়েও, আরেকটু ভাবুন নিজের অবস্থান নিয়ে।



যেই মানুষটা আমাদের, মুসলিমদের খুব প্রিয়, যেই মানুষটা মানবিক দুর্বলতার উর্ধ্বে ছিল না হ্যা, সেটা বিশ্বাস করি, কিন্তু লেবেল সাঁটাতে হলে 'কামুক, মিথ্যুক, আর সুবিধাবাদী' খুব অন্যায় মনে হয়, সেই মানুষটা সম্পর্কে এমন কথা বললে কেন আহত হবো না?



জেবতিক আরিফ, কৌশিক, তাসনিম নুসরাত, অমিত আহমেদ, মোহাম্মদ জোবায়ের, জামাল ভাস্কর আপনাদের সিদ্ধান্তের কথা জানলাম, চলে যেতে চাইছেন।



দেখলাম অনেক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়া হয়েছে, 'এ অস্ত্র কেন আহত করবে' এই মর্মে প্রশ্ন করে। পাছে 'ডিক্টেটরশিপের' অপরাধে অপরাধী হয়ে যায়, তাই অনেক ব্লগার এই ব্যাপারে চুপ আছি। কিন্তু আমার মনে হলো বলা উচিত, বড় অন্যায় হচ্ছে। ব্লগে সব কিছুই দেয় লোকে, তাই ডিলিট করা কতটুকু যৌক্তিক হয়েছে আমি জানি না। কিন্তু এও সত্য, আহত হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল, সেটাই শুধু তুলে ধরতে চাইলাম।



যাওয়া না যাওয়ার পুরো সিদ্ধান্তটা আপনাদের, কিন্তু যা বললাম সেটা একটু ভেবে দেখবেন--



আপনি কি আপনার হিন্দু বন্ধুটাকে গিয়ে বলেন, তার পাথরের প্রানহীন মূর্তির কথা? নাকি পূজার সময় তার আনন্দে শরীক হওয়ার চেষ্টা করেন সেই তর্ক না তুলে? কেন করেন?



ক্রীসমাসের সময় একজনকেও কি 'মেরি ক্রিসমাস' বলেন না? নাকি ওদের জিজ্ঞাসা করে বসেন, তিন প্রভুর কথা বলে আবার একেশ্বরী কেমনে দাবী করো নিজেদের?



যদি করে থাকেন, তাহলে ঠিকাছে। আপনাদের সাথে আমার মিলবে না। করেন না মনে হলো, তাই এত কথা। থাকার অনুরোধ সেই জন্যই...

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৮/-৩

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৮:০৯

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: আরেকটা কথা পোস্টে লেখা হয় নি--

মুসলিমরা কেন চার বিয়ে করে, কেন চারিদিকে মুসলিম সন্ত্রাসী দেখি, কেন হালাল খাবার খায় মানুষ... এই প্রশ্নগুলোর সাথে যুঞ্চিক্ত'র ব্লগের প্রশ্নের কিন্তু তফাৎ অনেক। তিনি মুসলিমদের সেন্ট্রাল ফিগার, মুহাম্মদ (সা) এর গায়ে 'কামুক, মিথ্যুক, সুবিধাবাদী' লেবেল সেঁটেছেন, সেন্ট্রাল ফিগার। যেই ব্যাপারে মুসলিমরা খুবই সেনসিটিভ। তাঁর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এটা হবে যীশুর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলার সমান বা হিন্দুদের দেব দেবীদের নিয়ে কুৎসা ছড়ানো। আসলে আমি যেসব উদারহন দিয়েছি, সেগুলো বেশ মাইল্ড এই তুলনায়।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৮:১৫

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: মুসলিমরা কেন চার বিয়ে করে, হালাল খাবার কতটুকু যুক্তিসংগত, এমনকি ওজু করার ব্যাপারটা কত হাস্যকর--এই সব নিয়ে কিন্তু ব্লগে বিস্তারিত আলাপ হয়ে গিয়েছে। এই সবেও অনেকের 'ধর্মানুভূতিতে' আঘাত লাগবে, সামহোয়ার কিন্তু ওগুলো ডিলিট করে নি। আপনারা নিজেরাও বলেছেন, বলার স্বাধীনতা ভোগ করেছেন। কিন্তু এই কেইসটা কিন্তু আলাদা আর সব কিছুর চেয়ে।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৮:২০

মিয়া মোহাম্মদ হুসাইনুজ্জামান বলেছেন: এই ব্লগের সর্বোচ্চ ব্লগারও রেফারেন্স ছাড়া কপি করে। সুতরাং রেফারেন্স ছাড়া কপি-পেস্টের ঐ যুক্তি এখানে ধোপে টেকে না। তবে আপনি টিকাইলে টিকান অসুবিধা নাই।
.
মুহাম্মদ (স:) আমার দোস্ত লাগে না, যে কেউ কিছু কইলেই সে মাটিতে নেমে আসবে। (একটা পাহাড়ে ছোট্ট ঢিল দিলে পাহাড়ের কিছু হয় না, ঢিল গুড়া হয়।) যুক্তিঞ্চর পোস্ট বা ঢিল গুড়া হচ্ছিলো এখানে মুহাম্মদের (স:) সম্মান গেল কইয়া যারা মনে করছে তাদের মনে তাঁর সম্মান ঐ ঢিলের সমানই মনে হয়। পাহাড়সম হইলে পোস্ট মুইছা তাঁর সম্মান রক্ষার চেষ্টা করত না। সর্বোপরি আপনি এবং আরও অনেকেই এই অপপ্রচারের যুক্তিসঙ্গত জবাব দিয়ে ওটাকে অসাড় প্রমাণ করতেছিলেন। এতে লাভ হচ্ছিলো যে ভবিষ্যতে এ ধরণের প্রচারের ফাঁকগুলো ধরিয়ে দেয়ার রসদ জমা থাকত, যারা ব্যাপারটা জানেন না তাদের মনে।
.
এই নিয়ে কথা বলে আমার লাভ নাই। শুধু এইটুকুই বুঝলাম সকলের মনে নবীজির সম্মানটা কতটা পলকা। প্রতিবাদটা সেজন্যই। ... ... ইমেজ কনস্ট্রাকশন হয়ে গেছে মনে।
.
আপনাদের ভালো লাগে নাই। পোস্ট মুছা হৈছে। আমাদের ভালো লাগে নাই - গো.আ. ও অন্যান্য রাজাকারে ছবি/প্রচার পোস্ট মুছা হয় নাই। আমি অপাংক্তেয়।
.
ব্যাপারটা খেয়াল করেন -- যুঞ্চিক্তর পোস্টের ব্যাপারে কিন্তু আপনারা যুক্তি দিয়ে ফাইট করেছেন ...কিন্তু বলি নি যে এই পোস্ট মুছা হোক। রাজাকারের ছবি সরানোর জন্য বহুত পোস্ট পড়ছে .... কিন্তু সরেনি।
.
সুতরাং অদেখা কর্তৃপক্ষর ব্যাপারে যে খুতখুতিটা মনের মধ্যে ছিল সেটা পাকাপোক্ত হৈছে।
.
তাদের ভাল লাগেনি ... পোস্ট মুছছে। রাজাকারদের পোস্টের সাথে আমার পোস্টের সহাবস্থানের ইচ্ছা করেনি। রাজাকারের ছবি দিয়ে আমার অনুভুতিকে কষ্ট দেয়ার কোন মূল্যায়ন কর্তৃপক্ষ করে নাই সেজন্য। তাই আমার পোস্ট এখান থেকে সরিয়ে নিছি। একচোখা মূল্যায়নকে ভয় পাই।
.
আবার বলছি... চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের সাথে যুঞ্চিক্তের পোস্টের বক্তব্যর কোন সম্পর্ক খোঁজার অর্থ হবে, মূল ব্যাপারটাকে ঘুরানোর চেষ্টা।
.
আপনারা ভালো থাকুন।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৮:২০

হারাধন-২ বলেছেন: হ এই কেইসটা আর ভূয়া কেন তুমি কইটস তাই। ওর লেকা মুইছা একন তোমার ধারা বর্ননা পইড়া আমরা সত্য আবিস্কার করুম। হা হা। আমার মনে হ্য় এই পোস্ট মোচার সাতে তোমার হাত আচে। মাছ মাছ গন্ধ

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৮:৩২

ফজলে এলাহি বলেছেন: মিয়া মোহাম্মদ....
আপনার যুক্তিকে ল্যাংড়া বললে খুব বেশি বলা হবে না।
কোথায় গোলাম আযম-নিজামী আর কোথায় সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে সেরা ব্যক্তিত্ব আল্লহর রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম?

তাছাড়া সর্বোচ্চ ব্লগাররা কারো লেখাকে নিজের নামে চালিয়ে দিলেই যে ব্লগে সেটা জায়েজ হয়ে যাবে, এটা কি মানার মত কথা বললেন? বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এখন চুরি (সাগর), চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে জেলহাজতে যাচ্ছে, তাই বলে কি বাংলাদেশ সরকার এসবকে বৈধ বানিয়ে নেবেন? কি বলেন?

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৮:৩৪

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: হুসাইনুজ্জামান,
রাজাকারদের কথা এখানে অপ্রাসঙ্গিক। আমি নিজে কিন্তু রাজাকারদের নিয়ে একটাও পোস্ট দেই নি আজ অব্দি। একটাও না। আমি এখন যেই কথাটা বলব, সেটা একটা সত্য কথা, কিন্তু আমার বলতে ভয় লাগছে, কারণ মনে হচ্ছে আক্রান্ত হবো।


তবু বলছি। এখানে যেই 'রাজাকারদের' ছবি দেয়া হয়েছে, তাদের দেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে পুরা দেশ চালালো। দেশের ৭-৮% মানুষের ভোট পেয়েছে। একটা কথা মনে রাখবেন, মুহাম্মদ (সা) কে কামুক, মিথ্যাবাদী আর সুবিধাবাদী বললে কিন্তু ১%ও পাশে দাঁড়াবে না, শুনতেও চাইবে না। কিন্তু ওরা যে ভোটে জিতেছে, সেটা একটা সত্য কথা। আর এভাবে নিজেদের 'রাজনৈতিক নেতা' হিসেবে এস্টাবলিশ করেছে। ব্লগে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের ছবি দেওয়া হলে ওদের ছবি কেন দেয়া যাবে না, এই তর্ক কিন্তু করতেই পারে বিপরীত পক্ষ থেকে তাই না? ওরা নিজেদের 'চারদলীয়' জোটের অংশ করে নিয়েছে, ওদের ছবি বন্ধ করে, ব্লগ কর্তৃপক্ষ শুধু শুধু 'আওয়ামী লীগার' গালি শুনতে চাইবে?


একবার ভেবে দেখেন তো, কেউ কি কখনও বলেছে সব গণহত্যা করা ঠিক হয়েছে? কেউ কি কখন্ও বাংলাদেশের উপরে পাকিস্তানকে হেইল করে লিখেছ? কেউ কখনও বলেছে, দেশ স্বাধীন না হলেই ভাল হতো? যদি বলে থাকতো, তাহলে সেগুলোকে আমার মুহাম্মদ (সা) কে অবমাননা করার ক্যাটাগরির কথা মনে হতো।


যারা ছবি দিচ্ছে, তাদের প্রতি আমি নিজেও বিরক্ত। কোন কারণ নেই, শুধু শুধুই সুড়সুড়ি দিচ্ছে।


কিন্তু সেটার সাথে আসলেই যুঞ্চিক্তর লেখার তুলনা হয় না।


ড্যানিশ কার্টুনে কি ছিল? মুহাম্মদ (সা) এর কার্টুন ক্যারেক্টার একে তার মাথায় বোমা বসিয়ে দেয়া হয়েছিল। সো? প্রশ্ন উঠতেই পারে এত খারাপের কি আছে? কিন্তু এই ধরণের ব্যাপার কিন্তু অমুসলিম, মুসলিম সবাইকেই অফেন্ড করে। অস্ট্রেলিয়ায় একটা মেজর পত্রিকাতেও ওই কার্টুনগুলো ছাপে নি, স্রেফ মানুষ কষ্ট পায়, তাই। ডিফারেন্সটা বুঝার চেষ্টা করুন--এখানে ইসলামের সেন্ট্রাল ফিগারকে কিছু অপবাদ দেয়া হয়েছে।


দুইটা ব্যাপার মিশিয়ে কিন্তু শুধু শুধুই জল ঘোলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৮:৩৭

ফজলে এলাহি বলেছেন: উপরের মন্তব্যে যা বলা হয়নি, যুঞ্চিক্তের পোষ্ট মোছা থেকেই কিন্তু চলে যাওয়া-যাওয়ীর প্রক্রিয়া শুরু এটাকে আপনিও আবার ঘুরাতে চেষ্টা করবেন না যেন

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৮:৪০

অমিত বলেছেন: যে ব্যাপারটাকে যুক্তি দিয়ে ডিফেন্ড করা হচ্ছিল, এমনকি আমার মত বেঈমানদার লোকজন যে পোস্টের কনটেন্টের কিছু ভুল লজিকাল অ্যানলাইসিসের বিরুদ্ধে বলছিলাম, সেটাকে এরম ফ্যাসিস্টদের মত গায়েব করা হয় যেখানে, সেখানে আর যাই হোক, মুক্তবুদ্ধির চর্চা হয় না। আপনারা কথায় কথায় যুক্তি, সহনশীলতা, ধৈর্য ইত্যাদি বড় বড় কথা কন। আর কজের বেলায় হইল প্রশ্ন করলেই কতল ???
আপনে দেখতাসি এখন ইনায় বিনায় যুন্চ্ঞিক্তর পোস্ট কেন ভাল না,...ইত্যাদি বড় বড় কথা কইতাসেন। এই কথা গুলা যুন্চ্ঞিক্ত যখন ছিল তখন কইবার কি সাহস পান নাই ?? এখন যখন মাঠে সে নাই, মনের সুখে গোল দিয়া যাইতাসেন ??
যাই হোক, আপনারে যুক্তি বোঝায় লাভ নাই। এই যুগে আইসা যে মানুষ কয় যে একই সঙ্গে দুই স্ত্রী থাকাতে সে কোন সমস্যা দেখতে পায় না, তারে দিয়া খুব বেশি হইলে পর্ণ মুভির স্ক্রিপ্ট লেখানো যাইব, লজিকাল কিছু না...

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৮:৪৩

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: অমিত,
[এই যুগে আইসা যে মানুষ কয় যে একই সঙ্গে দুই স্ত্রী থাকাতে সে কোন সমস্যা দেখতে পায় না, তারে দিয়া খুব বেশি হইলে পর্ণ মুভির স্ক্রিপ্ট লেখানো যাইব, লজিকাল কিছু না]
কুরআনে তো চার স্ত্রী এক সাথে থাকার অনুমতি দেয়া হইছে, তাহলে কুরআনের লেখককে দিয়ে কি হবে?


[এই কথা গুলা যুন্চ্ঞিক্ত যখন ছিল তখন কইবার কি সাহস পান নাই ?? এখন যখন মাঠে সে নাই, মনের সুখে গোল দিয়া যাইতাসেন ??]
যুঞ্চিক্ত থাকতেই তার পোস্টে বলেছি।

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৮:৪৮

মিয়া মোহাম্মদ হুসাইনুজ্জামান বলেছেন: ফজলে এলাহি:
আমার যুক্তি খোঁড়া .... এই খোঁড়া যুক্তিই আমার সম্বল। কি করব বলেন .... আমার মাথার ভেতরে তো আর আপনার যুক্তি এনে বসায় দেয়া যাবে না। পারলে সবই ডিলিট করে ওগুলো বসায় নিতাম। এই যুক্তিজ্ঞান দিয়ে যখন দুনিয়ার জীবনের অর্ধেক অংশটা পার করতে পারছি... বাকীটুকুও পার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে খোঁড়া জিনিস আর আপনাদের সামনে নিয়ে আসবো না - কথা দিলাম।
.
সন্ধাবাতি:
আপনার যুক্তি দিয়ে মনের গভীরে যে ক্ষতটা সৃষ্টি হয়েছে সেটা সারানো গেলে ভালই লাগতো।
আমার কথা অপ্রাসঙ্গিক, আমার যুক্তি/এ্যানালজি দূর্বল। তাইতো অপাংক্তেয় এখানে। আপনাদের কাছ থেকে জ্ঞান নেয়ার যোগ্যতাও আমার নাই। তাছাড়া এই মুহুর্তে সেই দূর্বল যুক্তিগুলোও লিখতে ইচ্ছা করছে না। এটা আমার ফাইনাল টার্ম ৬-জুন (পরশু) আমার থিসিসের ২য় ড্রাফট জমা দিতে হবে। কাজ অনেক বাকী। তার মধ্যেও গতকাল সমস্ত লেখা ব্যাকআপ নিয়ে তারপর মুছে দিয়েছি। ব্যাকআপ নেয়ার কারণ, নিজের লেখা প্রিয় - এখানে পূন:প্রকাশ নয়। (লেখার মানও খারাপ যুক্তি নির্ভর নয়)
.
শুধু এটুকুই বলব, সিদ্ধান্তটা একদিনে আসেনি। অনেকদিন থেকেই একটু একটু করে জমা রাখা সিদ্ধান্তের রসদের ফল।
.
আপনারা ভালো থাকুন।

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৮:৫৬

মিয়া মোহাম্মদ হুসাইনুজ্জামান বলেছেন: গুছিয়ে লেখার মত মানসিক স্থিরতা নেই এই মুহুর্তে। কিন্তু চিন্তাশক্তি রহিত হয়ে যায়নি। যারা চলে যাচ্ছেন তারা (আমি সহ) নিতান্তই মুর্খ মানুষ। আপনারা ভালো থাকুন।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৯:০০

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: [আমার কথা অপ্রাসঙ্গিক, আমার যুক্তি/এ্যানালজি দূর্বল। তাইতো অপাংক্তেয় এখানে। আপনাদের কাছ থেকে জ্ঞান নেয়ার যোগ্যতাও আমার নাই। তাছাড়া এই মুহুর্তে সেই দূর্বল যুক্তিগুলোও লিখতে ইচ্ছা করছে না।]
মমম নিজেকে অনেক জ্ঞানী দাবি করেছি কবে মনে করতে পারছি না। আমার হাম্বলনেসের অভাব আছে জানি, ব্যাপারটা দূর করার চেষ্টা করছি, কখনও কষ্ট দিয়ে থাকলে সত্যিই দু:খিত।
দেখেন, থাকলে সত্যিই ভাল লাগত। আমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমন চলল যখন খুব, তখনও আমি যাওয়ার কথা ভাবি নি একটা কারণেই-- সব জায়গাতেই কিছু মানুষ থাকবে যারা সেন্সলেসলি কাজ করে যাবে। আমি যদিও এতটা সময় চুপ ছিলাম, দুই পক্ষের আন্দোলনকেই আমার সেন্সলেস মনে হয়েছে। যে ছবি দিচ্ছে, তাকে দেখে মনে হয়েছে স্রেফ নাচাচ্ছে, আর মানুষ নাচছে। সবাই এক জোট হয়ে ফ্লাডিং করছে। ওই লোক আরও মজা পেয়ে আরও দিচ্ছে। এটা কি নেহায়ত ছেলেমানুষী না? চলে যাওয়া কি আসলেই কোন সমাধান? ব্লগ একটা সমাজের মত। এখানে সব ধরণের মানুষই থাকবে। একজনকে তাড়ালে আরেকজন আসবে, অ্যানোয়িং নুইনেন্স। যার যতটুকু অ্যাটেনশন প্রাপ

১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৯:০৭

জলদস্যু বলেছেন: বিশ্বাস যার অটুট, ঠুনকো কথায় তার বিশ্বাস কখনও ভেঙ্গে যায় না। বিশ্বাসে ঘাটতি থাকলে তখন সামান্য কথাতেও আঁতে ঘা লাগে।

পরিবেশ তৈরি করতে পারলে অবশ্যই ব্লগিং করব। আজ থেকে ৬ মাস আগে যে পরিবেশে ব্লগিং শুরু করেছিলাম, সেটা এখন আর নেই। গালাগালি আর অহেতুক গলাবাজির জন্য অনেকে ব্লগিং করলেও আমি করি না।

সবাই ভাল থাকুন।

১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৯:০৯

অমিত বলেছেন: "কুরআনে তো চার স্ত্রী এক সাথে থাকার অনুমতি দেয়া হইছে, তাহলে কুরআনের লেখককে দিয়ে কি হবে?"-------
আমার রিজনিং জিনিসটা আমি নিজেই করি, অন্যের চাপানো সিদ্ধান্তরে অভ্রান্ত ধইরা তারপর করি না। তাই আপনে যেমন খুব সহজেই অন্য একজনকে এখানে ঢাল হিসাবে আনলেন, এই ক্ষেমতা আমার নাই। অন্যের দিকে রেফারেন্স না দিয়া নিজের কথা কন।

"যুঞ্চিক্ত থাকতেই তার পোস্টে বলেছি। "---
জ্বি না। এত কিসু কন নাই। পোস্টের কনটেন্টেই ছিলেন, পোস্ট কে দিসে সেই দিকে যান নাই। আর রেফারেন্স নিয়া যা কইতাসেন সেইটাও ঠিক না। যুন্চ্ঞিক্ত তার প্রথম পোস্টেই তার যাবতীয় রেফারেন্স দিয়া দিসিলেন। আর কারও লেখার অবর্তমানে তার সমালোচনা করার শিক্ষা কি আপনে নিজের রিজনিং দিয়া করতাসেন, নাকি এখানেও কারও দিকে আঙ্গুল দিয়া দেখাইবেন ???

১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৯:১১

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: জলদস্যু,
বিশ্বাসে আঘাত দেয়া আর অনুভূতিতে আঘাত দেয়া কিন্তু দুইটা ভিন্ন ব্যাপার। বাংলাদেশে অনেক দুনীর্তি কে না জানে? তারপরেও বিদেশীদের মুখে শুনতে ভালো লাগে? অশোভন মনে হয় না? এখানে অনুভূতি নিয়ে কথা হচ্ছে, বিশ্বাস নয়। আমার বিশ্বাসে চিড় ধরে নি, কিন্তু আমার একজন প্রিয় মানুষকে নিয়ে কুৎসা রটানো হলে খারাপ লাগবে, সেটা লেগেছে।

১৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৯:১১

আরশাদ রহমান বলেছেন: মোহাম্মদ জোবায়ের কে?? আপনি কি মুহম্মদ জুবায়ের এর কথা বলছেন?

ধর্ম কে সব বিষয়ে টানা আর কিছু ব্লগারের পান্ডিত্য প্রদর্শনের প্রবনাতা খুবি বিরক্তিকর। অনক লেখা পড়লে মনে হয় পাঠকরা যেন কিছুই জানেনা।

১৭| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৯:১২

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: অমিত,
তখন ব্যাপারটা সারসংক্ষেপে বলেছি।
ডিলিট হয়ে যাওয়া পোস্ট নিয়ে এখনও আন্দোলন চলছে। কালকের পোস্টগুলো পড়েন, অনেকে জিজ্ঞাসা করেছে, 'কি এমন ছিল যাতে আঘাত লাগল'। আমার লেখাটা সেই সব পোস্টের জবাব। যদি পোস্ট মুছার পরে তার পোস্টের বিপক্ষে কথা বলা অন্যায় হয়ে থাকে, তাহলে পক্ষে কথা বলাও অন্যায়। পক্ষে লেখা সেই সব পোস্টও ডিলিট হোক, আমারটাও করব।

১৮| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৯:২০

ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: যারে নিয়ে এতো হই-চই তার লেখা পরিনি। তবে এই লেখাটা চমৎকার হইছে।

১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ৯:৪৪

কৌশিক বলেছেন: অনুরোধের জন্য ধন্যবাদ।

২০| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ১০:০০

অমিত বলেছেন: সবাই বলছে পোস্ট কনটেন্টের ব্যাপারে, আর আপনে বলতাসে যুঞ্চিক্ত এটা করসে, যুঞ্চিক্ত ঐটা করসে। পোস্টের যুক্তি খন্ডন করসেন বা করার চেষ্টা করসেন সেই পোস্টে, এই ব্যাপারে তো কেউ কিসু বলে নাই। কিন্তু আপনে লাগসেন ব্যাক্তি যুঞ্চিক্তর সংগে।আপনার নাম দিয়া একসময় লোকজন এক্সরেটেড ছবি ছাপাইসিলো, আপনে যেটা করতাসেন সেটা কিন্তু একই রকম হয়া গেল। ব্যাক্তির পিছনে লাগা বাদ দেন, নোটিসবোর্ড নামের কিসু ওয়াইজঅ্যাস কিন্তু কনটেন্টের কারণে সেই পোস্ট মুচছে, অন্য কারণে না।

২১| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ১০:০৭

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: অমিত,
কি উদ্ভট কথা বললেন! আমি কোথায় ব্যক্তি যুঞ্চিক্ত'র পিছে লাগলাম, আমার প্রতিটা কথা তার লেখাকে কেন্দ্র করে! ব্যক্তি যুঞ্চিক্ত সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, একজন মানুষ হিসেবে যতটুকু শ্রদ্ধা তার পাওয়ার আমি ততটুকু করব। আমার প্রতিটা কথা তার পোস্টের কনটেন্টকে ঘিরেই। কনটেন্টের জন্যই ডিলিট করা হয়েছে, তার যৌক্তিকতা আমি কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি, সেটাই বললাম।

২২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ১০:০৮

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ঝড়ো হাওয়া, কৌশিক।

২৩| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৩৫

অমিত বলেছেন: পোস্টের কনটেন্ট ??? আইচ্ছা, তাইলে দেখি..
প্রথম কারণ ছিল রেফারেনস নিয়া, যেটা ঠিক না, কারণ যুঞ্চিক্ত প্রথমেই তার রেফারেন্স দিয়েছিল।
দ্বিতীয় কারণও কিন্তু সেই রেফারেন্স। আপনার মতে যুঞ্চিক্ত কোথাও থেকে কিছু কথা শুনসে, যেটা আপনার ভাষায় "উরাধুরা"(এখানে আপনে যুক্তিখন্ডন করেন নাই, সরাসরি সিদ্ধান্ত) এবং সেটা এখানে সে ছাপায় অপরাধ করসে। এরপর আপনে পয়েন্ট কইরা কইসেন কেন যুঞ্চিক্ত "খুব বাজে অপরাধে দোষী"।
এই দুই জায়গার কোথাও কি আপনে কনটেন্ট নিয়া কিসু বলসেন ?? একবারও কি বলসেন সেই পোস্টের কোথায় কি বলা হইসিল এবং সেই বক্তব্যগুলাতে এই এই জায়গায় ভুল ??? বক্তব্যের কথাগুলা আপনে বলসিলেন যুঞ্চিক্তের পোস্ট, আপনার "যুঞ্চিক্ত'র লেখা কেন ভালো লাগে নি? (সন্ধ্যাবাতি)" পোস্ট না। এইটাকে আপনে কি বলবেন ব্যক্তিগত আক্রমণ, না যুক্তিখন্ডন ???

হিংস্র বাঘ শিকারীর গুলিতে মরল আর চালাক শিয়াল তখন বাঘের মৃতদেহে কামড় দিল। এখানে আপনের অবস্থানটা কিন্তু শিয়ালের, বাঘ অথবা শিকারী না।
আপনেরে ব্লগে একসময় হ্যারাস করা হইসিল। তখন ব্লগে এমন কেউ ছিল না যে আপনেরে সাপর্ট করে নাই (রাসেল ভাই বাদে)। আপনার যে রূপ দেখলাম, ভবিষ্যতে এরম হলে কয়জনরে আপনার সংগে পাবেন, সেটা একটু ভেবে দেখেন। আপনে ত্রিভূজ না, চিন্তাভাবনা করার ক্ষেমতা আপনার আছে, তাই এত কইলাম...

২৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৪২

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: অমিত,
না যুঞ্চিক্ত রেফারেন্স দেয় নাই। যুঞ্চিক্ত যেই রেফারেন্স দিয়েছে ওইটা আবুল কাসেমের বিবলিওগ্রাফির কপি ছিল, আমি দেখেছি।


১, ২, ৩ প্রতিটা কনটেন্ট নিয়েই লেখা। আপনার সাথে একমত নই। অন্য কেউ কিন্তু বলে নাই এটা ব্যক্তির উপর আক্রমন।

হ্যারাসমেন্টের কথা বলে থ্রেট দিলেন মনে হয়? হা হা হা।

২৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৪৮

চোর বলেছেন: সন্ধ্যাবাতি, আপনি একেবারে মূলে ফিরে যান। ইসলাম কিসে অবমাননা হয়, সেটার ডেফিনিশিন কে দিবে? আমি, আপনি, নুটিশবুড, না আল্লাহ? দেখেন আল্লাহ কি বলেন:

"যখন আল্লাহ তা'য়ালার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতিজ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে।" (সূরা: আন-নিসা, ১৪০)

যুঞ্চিক্তর পোস্টে ইসলামের অবমাননা হয় নি; বরং তার পোস্টের ওপর হামলা করাটাই ইসলামের অবমাননা। আপনি কথাটি জানতেন না? জানলে কোথাও বলেছেন? না জানলে, এখন কি প্রতিবাদ করতে পারেন না?

উপদেশ না, অনুরোধ হিসেবে কয়েকটা কথা বলি: নিজের কাছে সত হউন, আল্লাহর কাছে সত হউন। তখন বুঝতে পারবেন আল্লাহর ইসলাম কত বড়, আমার-আপনার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার কত উপরে ইসলাম।

২৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৫২

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: চোর,
"যখন আল্লাহ তা'য়ালার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতিজ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে।" (সূরা: আন-নিসা, ১৪০)


হ্যা, 'সাথে বসব না' বলেই এই পোস্টের অবতারনা। সাথে বসা মানে সহযোগিতা করা অর্থেও।


আর একটা কথা, আমি কিন্তু ধর্মের অবমাননাতে জোর না দিয়ে মানুষের অনুভূতির কথা বলেছি। মুহাম্মদ (সা) বা আল্লাহর নামে মিথ্যাচার করলে তাদের কিছু হবে না, কিন্তু সেসব কথা বললে অনেকের কষ্ট হবে, যেমনটা হবে কারও মা সম্পর্কে বা প্রিয় মানুষ সম্পর্কে ভুল ভাল অপবাদ দিলে।

২৭| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৫৬

চোর বলেছেন: আচ্ছা, আলোচনা সিম্পল রাখি। যুঞ্চিক্তর পোস্টে ইসলামের অবমাননা হয়েছে, নাকি হয় নি?
১) হয় নি।
২) হয়েছে।

টিক দিন। এরপর মানুষের অনুভূতিতে আসি।

২৮| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ১১:১৬

অমিত বলেছেন: "অমিত,
না যুঞ্চিক্ত রেফারেন্স দেয় নাই। যুঞ্চিক্ত যেই রেফারেন্স দিয়েছে ওইটা আবুল কাসেমের বিবলিওগ্রাফির কপি ছিল, আমি দেখেছি। "----
সেই রেফারেন্স ঘেটে কি আপনি যুঞ্চিক্তর পোস্ট কনটেন্টের কিছু পান নি ??
"১, ২, ৩ প্রতিটা কনটেন্ট নিয়েই লেখা। আপনার সাথে একমত নই। "----
একমত না ?? ব্যাস এইটুকুই ?? ১, ২ পয়েন্টের কোথায় আপনি কনটেন্ট নিয়া বলসেন ?? ২ জায়গায়ই তো আপনে রেফারেন্স আর মুসলিমদের কোমল ধর্মীয় অনুভূতি নিয়া ত্যানা প্যাচাইসেন। আর ৩ নম্বরটা এতই হাস্যকর, এইটা নিয়ে আর কিছু বললাম না।
"অন্য কেউ কিন্তু বলে নাই এটা ব্যক্তির উপর আক্রমন।"----
তো !!!
"হ্যারাসমেন্টের কথা বলে থ্রেট দিলেন মনে হয়? হা হা হা।"-----
আপনার মনে হওয়া ভুল। আপনার সংগে ২-১ বার তর্ক করেছিলাম। তাতে আপনে আমার শত্রুও হন নি বা ইয়ার্কির দোস্ত হন নি । নিজেরে একটু কম ইমপর্টেন্ট ভাইবেন দয়া করে। থ্রেট না, আপনাকে বোঝাতে চেয়েছিলাম, একসময় মানুষের ভালবাসা, সহানুভূতি পেয়েছিলেন। সেটা নিজদোষে হারায়েন না।

২৯| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সকাল ১১:৩২

মুহম্মদ জুবায়ের বলেছেন: সন্ধ্যাবাতি, নামের বানানটি ভুল লিখলেও মনে হয় আমাকেই বলেছেন, কারণ আমার নামের কাছাকাছি কোনো ব্লগার এখানে আছেন বলে জানি না।

মুশকিল হলো, আমি ব্লগ ছেড়ে যেতে চাই এটা আপনি কোথায় পেলেন? আমি এই মর্মে কোনো পোস্ট দিইনি, আজ যেটা দিয়েছি তাতে বিপরীত কথাই বলেছি। চলে যেতে ইচ্ছুক এরকম কারো কারো পোস্টে মন্তব্য করার সময় তাদের ভেবে দেখতে বলেছি।

আর কিছু নয়, নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্যেই বলা।

৩০| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ দুপুর ১:১১

অমিত আহমেদ বলেছেন: আমার ব্লগ ছাড়ার সিদ্ধান্ত কেবল যুঞ্চিক্তর পোস্ট ডিলিটের কারনে নয়। আরও কিছু কারন আছে... এ বিষয়ে একটা পোস্ট দেবো শীঘ্রই।
থাকতে অনুরোধ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ সন্ধ্যাবাতি... যোগাযোগ থাকবে ইমেইলে।

৩১| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ দুপুর ২:২৩

অমিত আহমেদ বলেছেন: পড়ুন [ইংলিশ]!@@!885420[/ইংলিশ]

৩২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ বিকাল ৩:০৫

আশরাফ রহমান বলেছেন: সবার কাছেই নিজরে ধর্ম, নিজের দেশ, নিজের ভাষা, নিজের মা সেরা। ‍এদেরকে কেউ ‍আঘাত দিয়ে কথা বললে ‍এবং কেউ সেই ‍আঘাতকারীর পক্ষালম্বন করলে তাদের ‍উভয়ের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করা স্বাভাবিক ‍এবং যৌক্তিক। পাশ্চাত্যে বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে নবী মুহাম্মদ (সঃ) কে অবমাননা করে কার্টুন ‍আকার প্রতিবাদ যেমন মুসলমানরা করেছিলেন তেমনি ‍এখানে মুহাম্মদ (সাঃ)কে কামুক, মিথ্যুক আর সুবিধাবাদী' প্রমাণের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে ‍এটাই স্বাভাবিক। ‍এই প্রতিবাদ দেখে যারা ‍আহত হন তাদের চিন্তা করে দেখা ‍উচিত অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে ‍আঘাত দিলে তারাও ‍আহত হয়,কষ্ট পায়।

৩৩| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:৪২

ফারহান দাউদ বলেছেন: তেল দিলেই ভাব বাড়ে। যারা অন্যের মা-বোন তুইলা গালি দেয়,ওরা যা কয় তাই মুক্তচিন্তা,অন্যে কইলেই ব্যাটা মৌলবাদী নাইলে রাজাকার,এইতো মুক্তচিন্তার লোকজন,দেখা আসে।যাইতে চাইলে যাইতে দেন,কয়জন যাইবো জানা আসে,এখন পোস্ট মুইছা দিয়া যাবে আর ২ দিন পরেই অন্য কোন নিকে আইসা একি রকম কথাবার্তা নিয়া ব্লগ লেখা শুরু করবে,কম তো দেখলাম না এইসব তামাশা। কে যে কারে ম্যাচিউরড হইতে বলে! যাওয়ার কথা বইলা নিজেদের মার্কেট ভ্যালুটা একটু যাচাই করতাসে,তা উনাদের ভ্যালু আসে,করতে দেন!

৩৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৬

চোর বলেছেন: ফারহান, পিএল কি শ্যাষ? আইজকা ঘড়ির কাঁটা কোনদিকে ঘুরতাছে?

৩৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০০

অনুভূতি শূন্য কেউ একজন বলেছেন: হুমম, আমি এই মূহুর্তে নিজের মার্কেট ভ্যালু যাচাই য়ে ব্যস্ত ।

৩৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: চোরদা,পরীক্ষাও শেষ।আমার ঘড়ির কাঁটা একদিকেই ঘুরে,রাজাকাররে রাজাকার কইতেও আমার আটকায় না আর ঐটার লাইগা অন্য নিকের আড়াল নেয়া লাগেনা,আর যারা ভন্ডামি করে আর আমার অনুভূতিরে আঘাত করে(হ আমার লাগসে গায়ে,আমি যে ধর্মে আসি ঐটা কিসু কইলে নষ্ট হইবো না কিন্তু তাই বইলা আমার দেশরে নিয়া যা-তা কইলে যেমন কথা কম বইলা ২টা থাবড়া লাগায়া দিমু ধর্ম নিয়া কইলেও তাই করমু) তাদের ভন্ড কইতেও আমার আটকায় না।

৩৭| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

চোর বলেছেন: ফারহান, ধর্মীয় অনুভূতি কেন, যে কোনো মানবীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে সবারই লাগবো। কথা হইলো, এই অনুভূতির ব্যাপারে আল্লাহ কি বলেন?

"যখন আল্লাহ তা'য়ালার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতিজ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে।" (সূরা: আন-নিসা, ১৪০)

তার মানে, ওই থাবড়া দেওয়ার দায়িত্ব আল্লাহ তোমারে আমারে দেয় নাই। এখন আল্লাহরে, নবীরে গাইলাইলে আমরা যদি ধর্মীয় অনুভূতির কথা কইয়া থাবড়া দিতে যাই, তাহলে আমাদের কাজটাই আসলে ধর্মের নির্দেশের অবমাননা হলো। বুইঝা শুইনা ...

আরেকটা কথা কই, ব্যক্তিগতভাবে তোমার আমার মধ্যে মারামারি কাটাকাটি থাকতে পারে; কিন্তু সেইটার প্রভাব জাতীয় স্বার্থের ওপর গিয়া পড়লে সেইডা কিন্তু বলদামি। কি বলতে চাইছি, একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবা।

৩৮| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

পর্যবেক্ষন বলেছেন: চোরায় বিভ্রান্তি ছড়াইতেছে।


সেই কখন থেইকা সে একটা আয়াত দিয়া যাইতেছে, কিন্তু আয়াতটা পুরাটা দেয় না।

"যখন আল্লাহ তা'য়ালার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতিজ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদের একই জায়গায় সমাবেত করবেন।" (সূরা: আন-নিসা, ১৪০)"

অয় শেষ বাক্যটা কাইটা দেয়! শেষ বাক্যটা সহ পড়লে বুঝা যায় আয়াতে আসলে সাবধান করা হইছে, যেন কেউ "আল্লাহর আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতিজ্ঞাপনকারী আর বিদ্রুপকারীর" সাথে না বসে। চোরায় কিন্তু পুরা ব্যাখ্যা পাল্টায় দিছে শ্যাষ বাক্যটা না দিয়া! আয়াতটা পড়লেই বুঝা যায় এই খানে যারা ওদের 'সাথে বসে' তাদের সাবধান করা হইছে, "ওদের সাথে বসলে ওদের মত হইয়া যাবা" বইলা।


শেষ বাক্য পড়লে বুঝা যায় আল্লাহর ইঙ্গিত হচ্ছে, তাইলে মুনাফিক হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।


যুঞ্চিক্তর লাইগা চোরার পরাণ কাঁদে কিন্তু যুঞ্চিক্ত রে কেডায় গালি দিছে? কেডায় মারছে? অয় মুহাম্মদরে মিথ্যুক কইছে ইনায় বিনায়, তার পরেও কেউ কিসু কইছে? তুমি সমানে সবাইরে গালাগালি করবা, কিন্তু নবীরে মিথ্যুক কইলে তারে আদর কইরা পাশে বসায় রাখবা। সবাইরে গালাগালি করার সময় তুমার আল্লাহর নির্দেশ কই যায়? নাকি আল্লার নির্দেশ সব সময়ের জন্য না? ওইটাও যে মুনাফেকী, সেইটা জানো?


আল্লায় শাস্তি দিতে এই খানে কয় নাই, কেউ শাস্তি দেয় নাই। সাথে বইতে নিষেধ করসে, কইসে সাথে বইলে তুমি মুনাফিক। তুমি এত তাল দিতাছো কেন ওর লগে? ডাইকা আইনা বসাইতে চাইতেস কেন পাশে? যারা ডাইকা আইনা পাশে বসায় অদের আল্লায় কি ডাকসে দেখ নাই?

৩৯| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১১

চোর বলেছেন: পর্যবেক্ষণ, ওই আয়াতটা মুনাফেকদের জন্য না। মুমিনদের জন্য। মুমিনরা আল্লাহর নির্দেশ মানবে। কাফের (যারা আল্লাহকে গালি দিচ্ছে) সাথে আলোচনায়/তর্কে বসবে না, যতক্ষণ না তারা আল্লাহকে বিদ্রুপ করা বন্ধ করে। "তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। " অংশটা খিয়াল কইরা। এই তোমরা 'মুমিনেরা', মুনাফেকেরা নয়।

আর যারা আল্লাহর এই নির্দেশ অমান্য করে কাফেরদের সাথে আলোচনায়/তর্কে বসবে, তারা মুনাফিক হয়ে যাবে। মুনাফিক হয়ে গেলে কাফেরদের সাথে একই যায়গায় থাকবে।

আল্লাহকে কেউ কটুক্তি করলে তার সাথে যুক্তি দেখাতে যাওয়াটাই এইরকম মুনাফেকি। কাজটা ব্লগের অনেক তথাকথিত এচলামসেবী/সেবিনীই করে থাকেন।

----
আল্লাহকে গালি দিলে শাস্তির আদেশ মানুষকে কোথায় দেওয়া হয়েছে, পারলে এটা বের করেন।

৪০| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

পর্যবেক্ষন বলেছেন: চোরায় নবীর সব সঙ্গী সাথীরা মিথ্যা কথা কইয়া হাদীস মানের গাজাখুরি ফাদছে: এইটা কওন ছাড়া আর কখনও ধর্ম নিয়ে বিতর্ক করে না, যদিও বলা হইছে--


"আপনার পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে "বিতর্ক করুন পছন্দযুক্ত পন্থায়"। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তার পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনি ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।" (১৬:১২৫)


সুন্দর কইরা বিতর্ক করতে কিন্তু আল্লায় মানা করে নাই। চোরায় সব সময় থামাইতে চায়। কারণ সে চায় না কেউ সত্যটা জানুক।

৪১| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ রাত ১১:৫৬

রাজনীতিক বলেছেন: যারা চলে যেতে চায় তারা অন্যকে গালি দেয়ার অধিকার থেকে, মুসলমান এবং ইসলামের নবীকে কামুক বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবার আশংকা বোধ করছেন হয়ত!

৪২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৭ রাত ১১:৫৯

আইজউদ্দিন বলেছেন: রাজনীতিক চুপ মার ভালা আলোচনা হইটাসে তুই আইষা জায়গাটা গান্দা করতাসস

৪৩| ০৫ ই জুন, ২০০৭ রাত ১২:১২

আপনি মানুষ না আওয়ামীলিগ? বলেছেন: একটা কথা কই সন্ধ্যাবাতি আফা। কিছু মনে নিয়েন না। যখন ঐসব ব্লগারগো গালাগালি আর আক্রমনে মন খারাপ কইরা অনেকে গেছেগা, তখন আপনে কিছু কইলেন না কেন? এখন ওগো যাওনে কি আসে যায়? আপনে আমার প্রিয় রাইটার। চুপচাপ পড়ি আপনের লেখা। মন্তব্য দেওনের যোগ্যতা নাই মনে কইরা মন্তব্য দেই না। কিন্তু মাঝে মাঝে জনপ্রিয়তার পেছনে দৌড়াইতে দেইখা কষ্ট পাই। শুধু জানায়া গেলাম। মন্তব্য পইড়া মন খারাপ হইলে মুইছা দিয়েন। স্যরি কইয়া গেলাম আগেই।

৪৪| ০৫ ই জুন, ২০০৭ রাত ১২:১৯

আপনি মানুষ না আওয়ামীলিগ? বলেছেন: আরেকটা কথা আপুমনি। আপনার মন্তব্যে দেখলাম 'আক্রান্ত হবার ভয়' শব্দটা। আপুমনি, ছোট মুখে বড় কিছু কথা কই। হয়তো আপনারে এইসব কওনের যোগ্যতা আমার নাই। আপনার কথায় মনে হইছে ঐসব বাতিল ধারনার লোকগুলোর কাছে আপনার যে ইমেজ তা রক্ষায় সচেষ্ট। আপুরে, এই ব্লগের ত্রিভুজ নামে এক ব্লগার আছে। যার অনেক কথার লগেই আমার মতে মিলে না। শুধু আওয়ামীলীগ বিরোধী কথাগুলোই মিলে। কিন্তু ত্রিভুজ ভাইরে আমি শ্রদ্ধা করি। কেন জানেন? মনে হয় জানেন। তাই কইলাম না।

আপনার মত লেখতে জানলে আর আপনার মত বিশ্বাসী হইলে বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার লাইগা সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতাম। খোদা বইলা কেউ থাইকা থাকলে তিনি আমারে আপনার মত জ্ঞান দেন নাই।
মনে কিছু নিয়েন না। মন্তব্য মুছা দিয়েন খারাপ লাগলে। আর ভাল থাইকেন আপুমনি।

৪৫| ০৫ ই জুন, ২০০৭ রাত ১:৫৬

ধুসর গোধূলি বলেছেন: আপনার কথার প্রেক্ষিতে অনেক কথা বলা যায় (কমেন্টে হয়তো এসেছেও অনেক), কিন্তু কেবল দুই লাইনের কথা দিয়েই ইতি টানতে চাই।


ধার্মিক হোক আর মানবিক হোক, অনুভূতিটা একটা বড় ব্যাপার মানুষের কাছে। এই অনুভূতিকে আঘাত করার কারণেই যদি যুঞ্চিক্ত-র পোস্ট মোছা হয়ে থাকে (এপ্রিশিয়েট করি) তাহলে অন্যান্য পোস্ট যেগুলো বাংলাদেশের মাস-পিপোলের অনুভূতি আই রিপিট, মাস-পিপোলের অনুভূতিতে আঘাত করেছে সেগুলো কেন মুছে ফেলা হয়নি?

ওভার এণ্ড আউট!

৪৬| ০৫ ই জুন, ২০০৭ রাত ২:০০

শমশের আলম বলেছেন: এইটা এক্টা পাতানো খেলা, জেবতিক আগেই কইছে। সন্ধাবতি, সাদেক এরম কয়েকজনে মিল্লা কান্ডটা করছে

৪৭| ০৫ ই জুন, ২০০৭ রাত ২:৪৩

মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: ভেবেছিলাম এসব বিষয়ে একটা কথাও বলবো না। কারণ ধর্ম বিষয়ে আমার জ্ঞান খুব একটা বেশী নয়। তবে এটা মানি- ধর্ম একটি খুব সেনসেটিভ বিষয়। কোন ধর্মকেই অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা ঠিক নয়। ধর্ম নিয়া আমাদের উপমহাদেশে ইংরেজরা যে রক্তাক্ত খেল দেখিয়েছিলো তা আমরা সবাই জানি। তবুও ধর্ম নিয়া মানুষরে খুঁচানোর স্বভাব মানুষের গেলো না।
যুঞ্চিক্ত এর পোস্টগুলোও আমি পড়েছি। শুধু কোন মন্তব্য করা হয়নি। আমার ভালো লাগেনি।

ধর্ম বলে, দেশপ্রেম ঈমানের প্রধান অঙ্গ। প্রত্যেক ধর্মেই দেশপ্রেমকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। মানবিক ধর্ম তো ধর্মই, তাই না? মানবিকতার কথা ভেবেই তো কোনো গোত্রের মানুষের মনে আঘাত করা ঠিক না। কথাগুলো মনে হয় ঠিকভাবে গুছিয়ে বলতে পারছিনা।
আমার দেশরে নিয়া কিছু বললে মেজাজ কখনো ঠিক থাকেনা। রাজাকারের নাম শুনলেই মাথায় আগুন জ্বলে। রক্তপিপাসু হতে ইচ্ছে করে।
তাই আমার বিনীত অনুরোধ থাকবে কর্তপক্ষের কাছে যে সব বিষয় মানুষের মূল্যবোধে আঘাত করে তা থেকে যেনো ব্লগকে মুক্ত রাখা হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। ধর্মবিরোধী পোস্ট যেমন মোছা হওয়া উচিত ঠিক তেমনি দেশ বিরোধী পোস্টও মোছা উচিত। না হলে দুটোই রাখতে হবে। তবে আমি মনে করি মোছা উচিত।
আমার কথায় কেউ মাইন্ড খাইলে কিছু করার নাই।

৪৮| ০৫ ই জুন, ২০০৭ রাত ৩:৫২

ফারহান দাউদ বলেছেন: ধর্মবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পোস্ট মুছতে হবে।

৪৯| ০৫ ই জুন, ২০০৭ ভোর ৪:০২

মেজভাবী বলেছেন: ধর্ম আর মুক্তি্যুদ্ধ কি এক হল? বড়ভাবী বলেছেন, মুক্তি্যুদ্ধ বিরোধী পোস্ট মুছতে হলে সন্ধ্যাবাতি তথা আস্তমেয়েরই নব্বইভাগ পোস্ট মুছে দিতে হবে। নোটিশবোর্ড কি আর তা করবে!

৫০| ০৫ ই জুন, ২০০৭ সকাল ৯:৫১

মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: সৃষ্টির শুরু আছে তাই তার একদিন বিনাশ হবে।

৫১| ০৫ ই জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৩৬

তারেক রহিম বলেছেন: সন্ধ্যাবাতি, খুব ছোট একটা প্রশ্ন আপনার কাছে। তেলাপোকার নোংরা ইঙ্গিত মেয়ে হিসেবে আপনি কতটুকু সহ্য করতে পারেন? আশা করছি পালটা কোন যুক্তি না ছুঁড়ে কমেন্টটা মুছে দিবেন।

৫২| ০৫ ই জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৪৬

মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: দুঃখিত, লিংক ভুল ছিলো। সংশোধনঃ
যার শুরু আছে তার তো শেষ থাকবেই

ছোট্ট একটি সত্য কথা। যার উপরে কোনো সত্য আর কাজ করে না।

৫৩| ০৫ ই জুন, ২০০৭ সকাল ১১:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মিয়া মোহাম্মদ হুসাইনুজ্জামান : কি যাতা বলেন? রেফারেন্স কইরা কইরা পুরা ব্লগের মাথাডা বিলা কইরা দিলেন। আমি এরকম হাজার একটা রেফারেন্স দিতে পারুম যা ভুয়া। রেফারেন্স দিলেই যদি সত্য প্রতিষ্ঠিত হয় তাইলে আমি ১০-১২টা ডোমেইন হোষ্ট কইরা নিজেই রেফারেন্স ছাড়তে পারি আর যদি পুস্তকের কথা বলেন তাহলে গাটের টাকা খরচ কইরা নিজেই বই ছাপাইতে পারি।
রেন টিভি, টিভি ৬ খুললে রাইতের বেলা দেখবেন অ্যালিয়েন গো লইয়া কত যুক্তি হাজির করে। তার মধ্যে ৯০% যুক্তিই ঐ অনুষ্ঠানে বলে অপ্রমাণিত। হুদাই।আর অয়েব পেইজ কপি পেষ্ট কইরা প্রজেক্ট বানানো- এইডা ছাগলেও বোঝে করপোরেট অফিসও বোঝে এর মাজেজা।
সন্ধ্যাবাতি বস ঠিকই কইছেন কেউ যদি কারো বাপ মারে খারাপ কয় অয় চেতবই তা অর বাপ মা যতই খারাপ হোক না কেন? আর দ্বিতীয় কথা জানার জন্য যুক্তি করা, কামড়া কামড়ির জন্য ঝগড়া করা-সেইটা ব্লগ পড়লেই বুঝা যায়? এই পোলাপাইন গুলা আসলেই এমন কিছু মুসলমানের ঘরে জন্ম নিছে যাগো কামই হইছে পরের দোষ নিয়া বস্তির মানুষের মতো কুৎসা ছড়ানো। নবিজী (সা:) রে দেখেন নাই , তারে নিয়া তর্ক করেন কেন? জামাতরে গালাগলি করেন ঠিক আছে তার মধ্যে ইসলামরে টানেন কেন? জামাত শিবিরের বদঅভ্যাস পাইছে ঐগুলান!
সন্ধ্যাবাতি ধন্যবাদ দরুন পোষ্ট তয় জামাত শিবিরের ম্যন্ডেট জানি না হয় লেখাটা!

৫৪| ০৫ ই জুন, ২০০৭ সকাল ১১:৪৭

মদন বলেছেন: (আমার লেখাটি চোরের প্রতি, আলাদা পোস্ট দিলাম না)

প্রথমেই বলে নেই যুক্তির পোস্ট ডিলিট করাকে আমি সমর্থন করিনি। এটা অনেক পোস্টের মন্তব্যে লিখেছি। কাজেই যুক্তির পোস্টের ব্যপারে আমার অবস্থান পরিস্কার।

এবার আসি সহনশীলতার বিষয়ে..

তথাকথিত মুক্তমনা যারা নিজেদেরকে এই ব্লগের বাবা-মা মনে করেন। কথায় কথায় মানুষদের রাজাকার উপাধি দেন এবং মতের মিল না হলেই বাবা-মা তুলে গালি দিতে সামান্যতম কুন্ঠাবোধ করেন না তাদেরকে আপনি কি বলবেন? আপনি যদি শেখ মুজিবরে নিয়া সমালোচনা কইরা একটা পোস্ট করেন তাইলে দেখবেন কোথায় চলে গেছে তাদের সহনশীলতা আর তাদের মুক্ত মন। আপনি অথবা আপনার বাবাও যদি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন তবুও রাজাকার খেতাব তো পাচ্ছেন সাথে আপনার জন্ম নিয়া সন্দেহ সহ শুরু হয়ে যাবে এবং আপনার মাকে ইংগিত করে অশ্লীল গালি দিবে এব্যপারে শতভাগ নিশ্চিত। সেই সাথে শুরু হবে মুক্তমনা নামক জনগোষ্ঠীর একযোগে আক্রমন।

আমি একটি অন্যায় দিয়ে আরেকটি অন্যায় জায়েজ করতে বলছি না। শুধু এতটুকু বলছি যারা মুক্তমনের কথা বলে নবী(স.) এর সমালোচনা ও মিথ্যে অপবাদ মেনে নেয়ার কথা বলেন তারা কেন মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধায় নির্লজ ভুমিকা নেন, সহনশীলতা ভুলে যান? নবী (স.) এর ব্যপারে সহনশীল হতে হবে আর মুজিব-মুক্তিযুদ্ধের ব্যপারে হবে না?

সমালোচনায় কি নবী(স.) ছোট করা সম্ভব? মুজিবকে ছোট করা সম্ভব? মুক্তযুদ্ধকে ছোট করা সম্ভব?

না।

সবগুলো বিষয়ের সাথে সরাসরি হৃদয়ের সম্পর্ক।

সব জিনিসের সমালোচনা থাকতেই পারে। এটা মেনে নেয়ার মানসিকতাই মনে হয় মুক্তমনের পরিচয়।

মুজিব এবং নবী(স.) এক নয়। দুজনকে উপদাহরন হিসেবে ব্যবপার করার উদ্দেশ্য হলো। এদের একজনের সমালোচনা জায়েয আরেকজনেরটা একদম নাযায়েজ। আর এটাই নাকি মুক্তমনা।

৫৫| ০৫ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:২৪

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: আমি দুইটা মন্তব্য ডিলিট করলাম, যাদের মন্তব্য, তাদের অনুমতিক্রমে। আমার ব্লগে থাকার মত মনে হয় নি ওগুলোকে, তাই।

৫৬| ০৫ ই জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: যাবো নাকি চলে!

৫৭| ০৫ ই জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মাহমুদ রহমান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। বিশাল একটা হইচই গেছে দেখছি। কিছুটা আঁচ করতে পারছিলাম। কিন্তু এতটা!

৫৮| ১২ ই জুন, ২০০৭ ভোর ৪:৫৪

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: সহমত @ মদন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.