নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ami o amar charpash(me and my surrounding)

স্বপ্ন দেখি দেশকে এগিয়ে নেয়ার, আমার বিশ্বাস আমি পারব।

মেজেরকানদি

I am tension free about myself but not about others and you.

মেজেরকানদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার যে ভয়টি পেয়েছিল!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪



কাদের মোল্লার বিচারের রায় নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে, চারদিকে তিব্র আন্দোলন চলছে । সবারই একটাই কথা যে, ফাঁসি চাই, ফাঁসির কোন বিকল্প নাই। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য সরকার এই রায় এবং এই রায়টি কেন দিয়েছে সেটা মূল্যায়ন করা নিরপেক্ষ ভাবে। এখানে সবার একটি প্রশ্ন চলে আসতে পারে রায় কিভাবে সরকার দেয় ? রায় সরকার দেয় নি, দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল এর বিচারপতি। যেহেতু ,এই ট্রাইব্যুনাল সরকার গঠন করেছিল তার রাজনৈতিক ওয়াদা পূরণের জন্য, গণমানুষের মনের চাহিদা পূরণের জন্য তাই আমি বলছি পরোক্ষভাবে সরকারই এই রায় দিয়েছে। প্রসংগক্রমে চলে এসেছে রাজনৈতিক ওয়াদার কথা । এই সরকার ক্ষমতায় আসে ২০০৮ সালে, এটি একটি মহাজোট সরকার যাতে আরো তেরটি ছোট দল আছে। কিন্তু এই সরকার একাই দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পায় অর্থাৎ তারা একাই যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই সরকার যে এত বিপুল ভোট পেল তার এবং তরুণদের বেশিরভাগ ভোটই পেল তার একটা অন্যতম কারন ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার। একটিতে সরকার সফল হলেও যুদ্ধাপরাধ এর বিচার ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছিল। সরকার অনেক দেরীতে এই বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করে প্রায় তার মেয়াদের শেষের দিকে এসে। আড় এই প্রক্রিয়াটা ছিল অত্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি যাতে মানুষ ক্রমেই অসন্তুষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে শুধু কি লোকদেখানোর জন্য সরকার মেয়াদের শেষেরদিকে এসে এই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করেছিল যাতে মানুষ সরকারের অন্যসব ব্যর্থতাভুলে শুধু এই বিচারকেই মনে মনে রাখবে? এটা একটা রাজনৈতিক অবস্থান হতে পারে কিন্তু মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে তারা মাঝপর্যায়ে এসে এই ঝুকিটা নিতে চাচ্ছিল না কারণ তারা বিরোধী দল বিএনপিকে বিশ্বাস করে না । একদম ই না। বিএনপিকে অবিশ্বাস করাটা একদম ই ঐতিহাসিক। সেটা আমি একটু পরে ব্যাখ্যা করবো, আগে মূল প্রসংগটা আলচনা করে নিই। যদি সরকার তাদের মেয়াদের ঠিক পরপরেই বা মাঝামাঝি এসে বিচার শুরু করতো তাহলে সরকার এর মেয়াদ পুর্ণ করার আগেই সরকার পতনের একটা সম্ভাবনা তৈরি হতে পারতো যাতে দেশ এক চূড়ান্ত বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি হত। তাতে সম্পুর্ন বিচার শেষ হত কিনা সেই প্রশ্নটাও থেকে যায়। কারন, সরকার যদি কোনো ফাঁসির রায় দিত তাহলে, জামায়াত শিবিরের ক্যাডারেরা এমন তান্ডব শুরু করে দিত যাতে এই দেশের অন্যতম বিরোধীদল বিএনপি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে সরকারকে অচল করে দিতে পারার একটা সম্ভাবনা তৈরি হত। কারন বিরোধী দল বিএনপি এমন একটা সু্যোগ হাতাছাড়া করবে না একদমই বা বলা যায় এই দল এমনই একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। তাতে দেশ এক করুণ পরিনতির দিকে এগিয়ে যেত। এখন বলছি, বিএনপিকে অবিশ্বাস করার সেই ঐতিহাসিক কারনটা কি ? যখন এই দেশ স্বাধীন হয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, তখন এই দেশ থেকে প্রায় সকল রাজাকার বিভিন্ন দেশে পালিয়ে। তখন বঙ্গবন্ধু তখনকার সময়ের জামায়াতের আমির গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করে তাকে এই দেশ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে এবং জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষনা করে। কিন্তু জাতিরজনকের হত্যার পরে জেনারেল জিয়াউর রহমান এই গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাকে রাজনীতি করারও অধিকার দেয়। এমনকি জনকের হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি আইনের মাধ্যমে সেই খুনীদের রক্ষাও করে। এমনকি ২০০৪ সালে যে গ্রেনেড হামলা হয় তাতেও সরকারের হাত রয়েছে বলে সবারই বিশ্বাস, আজ যে জামায়াত শিবিরের এত হূংকার, এত তান্ডব সবকিছুর মূলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সেই রাজাকারদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত। তাছাড়া আজ যখন জাতি রাজাকার ও মানবতাবিরোধীদের বিচারে এক তখনো খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব বিএনপি সেই রাজাকার বাচানোর আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাই বিএনপির প্রতি সরকারের এই অবিশ্বাস ঐতিহাসিক। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু সরকার এই বিচার তাদের ইচ্ছেমত শেষের দিকে এসি শুরু করেছে তবে এই প্রহসন কেন? ফাঁসি কেন দেয়া হয়নি ? কারন সরকার ভয় পেয়েছিল, নিশ্চিত ভয় পেয়েছিল। ভয়ের কারন হচ্ছে ,বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার পর থেকেই শিবির ভয়াবহ তান্ডব শুরু করেছে পুলিশকে হামলার মাধ্যমে। কার্যতই তারা একটা অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। এ ছাড়াও পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার অসযোগীতায় সরকার একটা বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে পরে যায়। তবে কেউ কেউ আবার এটাও ধারনা করে থাকে যে হয়তো সরকার ইচ্ছে করেই এদের নিবৃত করছে না কারন মানুষ দেখুক যে শিবির কতটা ভয়ংকর। কিন্তু আমি তা মনে করি না কারন এদেরকে নিবৃত করতে না পারলে এটাকে সরকারের একটা ব্যর্থতা হিসেবেই দেখা হবে। আর যদি যামায়েতের কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়া হত তাহলে পূর্বঘোষনা অনুযায়ী চারলাখ ক্যাডার ও অস্রবাজ নিয়ে জামায়াত একটা প্রকট অবস্থা তৈরি করতে পারতো যা সরকারের প্রতিরোধের মাধ্যমে হয়তো গৃহযুদ্ধেরই শামিল হত। আর এই পরিস্থিতি তৈরি হলে সবচেয়ে বেশি খুশি হত বিরোধী দল , কারন তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বোঝাতো যে এই দেশে গণতন্ত্রের ইতি হয়েছে, স্বৈরতন্ত্র চলছে। আর সেই সেটআপ খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে লজ্জাজনক নিবন্ধ লিখে। তখন যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার সেনাবাহিনী নামাতো তাহলে হয়তো পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হত। তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই বার্তা পোছে যেত যে সরকার দেশ নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তখন পাকিস্তান বিএনপি এর মাধ্যমে অন্যান্য রাষ্ট্রকে বোঝাতো যে এই দেশে মুসলমানদের মানবাধিকার লংঘিত তাই এদের শাস্তি হিসেবে যেন মুসলিম্বিশ্ব তাদের সকল সাহায্য প্রত্যাহার করে, কারন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। তখন সরকারের সামনে হয়তো করুন পরিণতি থাকতো। তাছারা যেই আমেরিকা ১৯৭১ সালে এই দেশ দখলের জন্য সপ্তম নৌবহর পাঠাতে চেয়েছিল, ২০১২ সালেও এই বহর নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল তারা তো মুখিয়েই আছে , খালেদা জিয়া সেই নিমন্ত্রণ দিয়েই রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে যদি সরকার প্রতিবেশী কোন দেশের সাহায্য কামনা করে তাহলে হয়তো তারা এমন কিছু দাবী করে বসবে যা সরকারকে ভবিশ্যতে দুরবস্থায় ফেলতে পারে, দেশের সর্বনাশ হতে পারে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, সরকার হয়তো ভেবেছিল এই পরিস্থিতি সামাল দিতে জনগণ পাশে দারাবে না। কারন জনগণ বিশৃঙ্খলা থেকে দূরে থাকতে চায়। আবার এমন অনেক মানুষ আছে যারা শিবিরের রাজনীতি করে না কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়না। তাই সরকার জনগণের অবস্থান নিয়ে একটা ভয়ংকর উদ্বেগে ছিল। কিন্তু এখন হয়তো সরকার তাদের ভূল বুঝতে পেরেছে। এই দেশের জনগণ সত্যের পাশে সবসময় ছিল, থাকবে। এখন জনগনের প্রানের দাবী রাজাকারদের ফাঁসি দিয়ে এই বাংলাদেশ কলংক মুক্ত করা হোক।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

শরিফ নজমুল বলেছেন: তাহলে পরের সবার ফাসি নিশ্চিত তো?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

মেজেরকানদি বলেছেন: অনেক বড় প্রশ্ন করেছেন। যেহেতু , আমরা জনগন ফাঁসি চাই আর এর জন্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ও প্রস্তুত তাই হয়তো পরের সবার ফাঁসি ই হবে। বাকিটা সরকারের উপর। (পুরো লেখাটিই আমার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন)

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

সমকালের গান বলেছেন: রাজাকারদের ফাসিঁ চাই।

এর কোন বিকল্প নাই।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

মেজেরকানদি বলেছেন: ফাঁসির কোন বিকল্প নাই

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

মুহাই বলেছেন: এখন জনগনের প্রানের দাবী রাজাকারদের ফাঁসি দিয়ে এই বাংলাদেশ কলংক মুক্ত করা হোক।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০১

মেজেরকানদি বলেছেন: এখানে, আইনের কিছু মারপ্যাচ আছে। তবে আমাদের আন্দোলনের সামনে এই মারপ্যাচ কিছু ই না।

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

মহা ব্লগার বলেছেন: আসুন সকল অপরাজনীতি বর্জিত তরুণদের একটি রাজনীতি গড়ে তুলি। শাহবাগ কে করে তুলি সত্তিকারের তাহেরীর স্কয়ার

জীবনে এত খুশীর একটি দিন আসবে কখনও কল্পনা ও করিনি। আজ আমরা প্রমান করতে পেরেছি আমরা শুধু লাইক কমেন্ট করার নয় প্রয়োজনে মাঠেও নামতে পারি। মুখে নয় দেশের জন্য প্রয়োজনে আমরা ও আর একটি মুক্তি যুদ্ধ করতে পারি। আমাদের মাঝেই আছে লুকিয়ে মাহাথির, গান্ধী, লিংকন। আমরা তরুণ, আমরা সবই পারি। আমাদের দের দিকেই আজ তাকিয়ে আজ সারা দেশবাসী একটু সুবিচার পাওয়ার আশাই। জমাত, লীগ, বি এন পি সবাই আমাদের কে নিয়েই খেলা করে। আমরাই তাদের প্রধান আস্ত্র। ৪২ বছর কেটে গেল কেও কথা রাখিনি। আমরাই পারি দেশকে সত্যিকারের স্বাধীন করতে। জমাত, লীগ, বি এন পি নয় বরং সকল অপরাজনীতি বর্জিত তরুণদের একটি রাজনীতি গড়ে তুলি। শাহবাগ কে করে তুলি সত্তিকারের তাহেরীর স্কয়ার। শাহবাগ থেকেই আমরা আজ সত্যিকারের স্বাধীনতার ডাক দেব। আমরা আর কোনও দলের হাতিয়ার হতে চাই না। আমরা আজ সত্যিকারের একাত্তর এর হাতিয়ার। যাদের গর্জন শুনে সকল দুরনিতিবাজ দের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। এই দেশ আমার দেশ। ৩০ লক্ষ শহীদ কারো বাপ, কারো বর এর জন্য হইনি। হয়েছিল দেশটাকে সোনার বাংলা করার জন্য। সেদিনও আমরা তরুণরাই স্বাধীন করেছি এই দেশ। আমরাই পারি কোনও অপশক্তির কাছে মাথা নত না করে দেশটাকে সত্যিকারের স্বাধীন করতে। জানি আমরা এক হলে সমস্ত অপরাজনীতি এক হয়ে যাবে। এত ভেদাভেদ ভুলে তারা অস্তিত্ব রক্ষাই এক হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে তাদের হায়েনা বাহিনী লেলিয়ে দিবে। আমরা ভঁয় পাই না। সারা দেশ আজ মুক্তি চাই, সত্যিকারের মুক্তি। সকল সন্ত্রাস, রাজাকার, ধর্ষণ, হত্যা, গুম, লীগ, বি এন পি, জামত থেকে তারা মুক্তি চায়। আমরাই পারি এনে দিতে পারি তাদের সেই মুক্তি। আসুন শাহবাগ থেকেই গড়ে তুলি এমন একটি মুক্তি বাহিনী যারা কারো বাপ, কারো বর এর জন্য নয় বরং দেশের মানুষের জন্য , দেশের উন্নয়ন এর জন্য কাজ করবে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৯

মেজেরকানদি বলেছেন: আসলে , বিএনপি তো বাতিলের খাতায় আর এখন সরকারকে আমাদের দাবী অনুসারে আসল বিচার করে প্রমাণ করতে হবে যে তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

বন্ধুহারা বলেছেন: মহা ব্লগার এর সাথে সহমত

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১০

খুব সাধারন একজন বলেছেন: সবাই কান পেতে শোন!


এটা লীগ-দল-জাপা-বামের আন্দোলন না!
এটা দেশের আন্দোলন।
সব রাজাকারের ফাঁসির আন্দোলন।
জামাত শিবির পুরোপুরি নির্মুলের আন্দোলন।

এখানে রাজনৈতিক দল করার জন্য আসিনি। সরকার পতনের জন্য আসিনি।


কুত্তা মারার শপথে এসেছি। কুত্তার দল বিনাশে এসেছি।

এই লক্ষ্য থেকে সরে আমি আমার টাকায় পোষা পুলিশের সাথে যুদ্ধ করব না।

কুত্তা মারার আন্দোলনে শত্রু বাড়াবো না। শত্রু মাত্র একটা। জাশি।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

মেজেরকানদি বলেছেন: কুত্তা মারার শপথ নিয়ে এলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.