নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ami o amar charpash(me and my surrounding)

স্বপ্ন দেখি দেশকে এগিয়ে নেয়ার, আমার বিশ্বাস আমি পারব।

মেজেরকানদি

I am tension free about myself but not about others and you.

মেজেরকানদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যেমন শিক্ষাব্যবস্থা দরকার ! (মতামত থাকলে জানান)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১০



বিশ্ব ও বিদ্যালয় দুটি শব্দের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটি ঘটিত । বিশ্ববিদ্যালয় শব্দের ভাবার্থ করলে দাঁড়ায় , যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সার্বজনীন শিক্ষা দেয়া হয় । অর্থাৎ , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদান ও জ্ঞান সৃষ্টি করার ক্ষমতা হবে বিশ্বমানের । আরও বলা যায় , অবাধ বুদ্ধি চর্চা , মনশীলতা ও চিন্তার বিকাশে সহায়তা করা। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য দাড়ায় , জ্ঞান চর্চা , গবেষনা ও গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী হয়ে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা ও তার প্রয়োগ ঘটানো । বিশ্বের প্রথম সারীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় উল্লেখিত পদ্ধতির ।বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এই ভিত্তিগুলোর কথা চিন্তা করলে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাদান পদ্ধতি ও জ্ঞাণ সৃষ্টি করার সক্ষমতা কতটুকু সেটাই দেখার বিষয় । বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই স্নাতক পর্যায়ে কোন গবেষনা হয়না , খুব অল্প কিছু বিভাগে গবেষনা হলে ও তার মান বিবেচনা করলে হয়ত কষ্ট ই পেতে হবে। এই গবেষনা পত্রগুলোর বেশিরভাগেরই গন্ডি বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরী । অন্যদিকে , বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদানের মান পর্যালোচনা করলে হয়ত অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতিই চোখে পরবে। দৈনিক প্রথম আলোর একটি রিপোর্টে দেখা যায় , মাত্র শতকরা ২৮ ভাগ শিক্ষক ভাল আর বাকিরা চালানোর মত বা ভাল নয়। শিক্ষকরা প্রতিদিনের জ্ঞান –বিজ্ঞানের সাথে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই যোগাযোগ না থাকায় তারা মানসম্মত ক্লাস নিতে পারছে না। এমন কি তারা শিক্ষার্থীদের মনে আগ্রহ ও তৈরি করতে পারছে না। আবার অনেক শিক্ষক ছাত্র –শিক্ষক সম্পর্কের প্রতি মনোযোগী না হওয়াতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষের পড়ালেখায় স্বতস্ফুর্ত হতে পারছে না। অর্থাৎ জ্ঞান আদান প্রদানের ক্ষেত্রে আনন্দ তৈরি হচ্ছে না। তাছারা শিক্ষার্থীরা নিজে থেকে তাগিদ অনুভব না করায় চিরাচরিত প্রথায় গা ভাসিয়ে দিচ্ছে। শুধু মাত্র নাম্বার পাওয়ার জন্য না বুঝে বিভিন্ন লেকচার শিট , নোট মুখস্থ করে পরীক্ষা দিচ্ছে। এভাবেই যুগের পর যুগ চলছে মুখস্থনির্ভর যুক্তিহীন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থা । এখানে শিক্ষক্রা পরাতে আসেন পরীক্ষায় কি প্রশ্ন আসবে , কিভাবে উত্তর দিতে হবে সেটা। এখানে শিক্ষার্থীরা পরতে আসে নামসর্বস্ব সার্টিফিকেট অর্জন করতে । আসে চাকরীর ডীগ্রী নিতে ,কেউ আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরে পারিবারীক ও সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে। কেউ কেউ আসে পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে , আবার হাস্যকর হলেও সত্য যে অনেক মেয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাল ডিগ্রী নিতে যাতে তার একটা ভাল বিয়ে হয়। অনেকে আসে রাজনৈতিক লবিং করে ব্যবসা – বাণিজ্য করার ভবিশ্যত রাস্তা তৈরি করতে । এছারাও অনেকে আসে অনেক ধান্ধা নিয়ে । এজন্য ই যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তাদের শতকরা ৯০ ভাগ ই বিষয় পছন্দ করে বিষয়ের বাজারদর কেমন বা চাকরির বাজারে বিষয়ের বাজারদর কেমন তার উপর ভিত্তি করে। এভাবেই ইতিহাস , দর্শন , ভুগোল ও গণিতের মত মৌলিক বিষয়গুলো অবহেলার শিকার হয়। আবার অনেক শিক্ষার্থী লোভনীয় বিষয় গুলো না পেয়ে ৫-৭ বছর ইতিহাস দর্শন ও বিজ্ঞানে পড়ালেখা করে গিয়ে ব্যাংকে চাকরি করে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল শিক্ষার্থী নির্ধারিত হয় মুখস্থ করে কে কতটা ভাল উগ্রে দিতে পারে । এই মুখস্থ নির্ভর সৃজনশীলতাহীন শিক্ষায় ভাল রেজাল্ট ধারীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এই শিক্ষকদের শিক্ষাদান পদ্ধতিও আগের মতই গতানুগতিক । বেশিরভাগের ই নেই কোন মৌলিক গবেষনা , চমৎকার উপস্থাপনা , প্রাঞ্জল বক্তব্য ।কিছু কিছু ব্যতিক্রম বাদে , বেশিরভাগ শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের বিরক্তির পাত্র হয়ে থাকেন বছরের পর বছর। সম্পুর্ণ শিক্ষাব্যবস্থাই একটা দুষ্টচক্রের মধ্যে পরে গেছে। সার্বিক শিক্ষাকে বাচাতে এই দুষ্টচক্র থেকে বের হতেই হবে , নতুন পদ্ধতি বের করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে সবার জন্য উন্মুক্ত করা যাবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় হবে শুধু মাত্র তাদের জন্য যারা নির্দিষ্ট বিশয়ে সৃজনশীল , এই বিশয় নিয়ে যারা গভীর পর্যবেক্ষন ও অনুসন্ধানের মাধ্যমের এবং দীর্ঘ গবেষনার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে চায়। শিক্ষা হবে সম্পুর্ণ গবেষনা নির্ভর। শিক্ষার্থীরা চার বছর গবেষনা করে চারটি ভিন্ন ধাপে তাদের গবেষনা উপস্থাপন করবেন । তাদের কাজকে জাতীয় ও আন্তর্জাতীক ভাবে বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশ করা হবে। বিভিন্ন বিভাগে গুটিকয়েক সত্যিকারের মেধাবী শিক্ষার্থী গবেষনা করবে । সরকার তাদের শিক্ষার ব্যয় পুরোপুরি বহন করবে। আগে যেখানে ৫০-৭০ জনের ব্যয় বহন করা হত সেখানে মাত্র গুটিকয়েকের ব্যয় বহন করা হবে।এভাবে গবেষনার মাধ্যমে সৃষ্টি হবে তাত্বিক জ্ঞান । অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে । আর তাদের জ্ঞানকে কাজে লাগাবে বৃত্তিমুলক প্রতিষ্ঠানগুলো । তাই তাত্বিক জ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপ কমানোর জন্য কারিগরী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে একদিকে যেমন প্রকৃত গবেষক পাওয়া যাবে , অন্যদিকে অসংখ্য কারিগরী শিক্ষার্থী কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পাবে। আরেকটী বড় ব্যাপার হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায় আমরা অনেক সৃষ্টিশীল শিক্ষক ও তৈরী করতে পারব। এভাবেই সৃষ্টিশীল গবেষক ও শিক্ষক তৈরীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় হবে জ্ঞান, মেধা ও যোগ্যনেতৃত্ব তৈরীর কারখানা।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.