![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am tension free about myself but not about others and you.
২০১৩ আর ১৯৭১ সালের মধ্যে পুরোটা না হলেও ভাবগত ও পরিবেশগত মিল আছে। ১৯৭১ সালে আমাদের দাবী ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আদর্শিক মুক্তির মাধ্যমে শোষন মুক্ত রাষ্ট্র বাংলাদেশ গড়ে তোলা। কথাগুলো অনেক সহজ ও প্রাসঙ্গিক হলেও পরিস্থিতি একদমই সহজ ও স্বাভাবিক ছিল না। আর এই দাবীর স্বপক্ষে অনেক যুক্তি আর প্রায় সকল মানুষের সমর্থন থাকলেও প্রাপ্তির পদ্ধতিটা ছিল অনেক অত্যন্ত নির্মম, বেদনাদায়ক ও ভয়াবহ। এই প্রাপ্তির পেছনে রয়েছে ত্রিশ লাখ মূল্যবান মানবজীবন ও মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির শিকার প্রায় দুলাখ মানবী। এই এক একটা মানব-মানবীর সাথে আরো অসংখ্য অজানা মানব/মানবীর মানসিক মৃত্যু ঘটেছে। এই সবুজ শ্যামল ভূমি রক্তের লালে ছেয়ে গিয়েছিল। আবেগের সাথে সম্পৃক্ত বাসস্থানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। আর এর পিছনে দায়ী সেই জানোয়ারগুলো যাদের আমরা অত্যন্ত ঘৃণাভরে রাজাকার নামে ডাকি। তাদের অত্যাচারের কথা তুলে ধরতে একাত্তরের চিঠিগুলো বই থেকে মুক্তিযোদ্ধা বিপ্লবের লেখা কয়েকটা লাইন তুলে ধরছি। “ওরা পশু। পশুত্বের কাহিনী শুনবে মা? তবে শোন, শত্রু কবলিত কোন এক এলাকায় আমার এক ধর্ষিতা বোনকে দেখেছিলাম নিজের চোখে। ডেকেছিলাম বোনকে সাড়া দেয়নি, সে মৃত। সম্পুর্ণ বিবস্ত্র দেহে পাশবিক অত্যাচারের চিহ্ন তার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে। বাংলার শিশু ছিল তার গর্ভে কিন্তু তবুও পাঞ্জাবী পশুর হায়েনা কামদৃষ্টি থেকে সে রেহায় পায়নি(পৃষ্টা-৩৪, কলাম ২য়)। এই ইতরেরা এই অসহায় মানুষগুলোকে হায়েনার হাতে তুলে দিয়েছে তারা রাজাকার। এই রাজাকারেরা বিজয়ের প্রক্রিয়াকে ধীর করেছে কিন্তু থামাতে পারেনি। অসত্যের আর মিথ্যার শাসন ভেঙ্গে পড়বেই। তারা ছিল চক্রান্তকারী দোসর , রাষ্ট্রদ্রোহী অপশক্তি। এই অর্থে ২০১৩ এর সাথে ১৯৭১ এর একটা ভাবগত মিল রয়েছে। ৭১ এর মতই আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, “বাংলাদেশ গড়া” আর এই বাংলাদেশ হবে রাজাকার ও রাষ্ট্রদ্রোহীম মুক্ত বাংলাদেশ। কিন্তু এই দাবীও এত সহজে ধরাদেয়ার নই, একাত্তরের বিরুদ্ধ শক্তি আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ৭১ এ যেভাবে আমাদের গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল ঠিক সেভাবে তারা ২০১৩ তে ও আমাদের ধ্বংসের চেষ্টায় আর রক্তের খেলায় মেতে উঠেছে। তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করছে, শহীদ মিনার ভাংছে, জাতীয় পতাকা পুড়ছে আর আমাদের জাতীয়তার ভিত্তি অসাম্প্রদায়ীকতাকে চূড়ান্তমাত্রায় পদদলিত করে আমাদের ভাইদের হত্যা করছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের জন্য এটা নতুন কিছু নয় আর অসম্ভব ও কিছু না, কারন তারা কেউ বাঙ্গালী ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী না তার দোসরদের(পাকিস্তানী) জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসি। তারা অতীতেও একই কাজ করেছে। কিন্ত এবার যুক্ত হয়েছে নতুন একটি ভয়ংকর বিষয়, ৭১ এ যেমন হায়েনাদের সাহায্য করেছিল দেশীয় দোসররা(রাজাকার) ঠিক তেমনই এবারো সেই দোসরদের সাহায্য করছে অন্য দোসররা। এরা কারা এই প্রশ্নের উত্তর সবারই জানা। হ্যা, এরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এরা আবার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে !!! এরা আসলে প্রতারক। এদের প্রতারণা সেই পচাত্তর থেকে শুরু, আজ পর্যন্ত অব্যাহত। পচাত্তর পরবর্তী সময়ে এই দলটি সেই দোসরদের (রাজাকার) দেশে ফিরিয়ে আনে, বিভিন্ন সাজাভোগী রাজাকরকে মুক্তি দেয়,১৯৭৯ সালে তাদেরকে রাজনৈতিক দল ঘঠনের মধ্য দিয়ে এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার দেয় এবং ২০০১ সালে লাল সবুজের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী গাড়িতে উঠার সু্যোগ করে দেয়। যাদের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তাদের আত্মত্যাগকে অপমান করে জাতীয় সংসদে কথা বলার সুযোগ করে দেয়। এই পুরানো দোসরদের বিচারে যখন জাতি ঐক্যবদ্ধ, তখনই এই দলটি(বিএনপি) সকল মানবিকতা, চক্ষুলজ্জা ভুলে আমাদের চিরশত্রু, সেই পুরানো দোসরদের পাশে এসে দাড়ায়!!! দলীয় প্রধানের বক্তব্য, “সরকার নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যা করছে”। দলীয় প্রধানের কাছে আমার প্রশ্ন তিনি কি “বিচার” ও “সাধারণ মানুষ” এর সংজ্ঞা জানেন ও বুঝেন? যারা সুস্থ মস্তিষ্কে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করে, যারা পিটিয়ে, মাথায় রড ঢুকিয়ে মানুষ হত্যা করে, যারা তিনতলা থেকে ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যা করে, যারা আগুনে পুড়িয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে, মানুষ মারে, এরা সাধারণ মানুষ? দলীয় প্রধানের কাছে প্রশ্নটা রইল। দলীয় প্রধানের মতে সাধারণ মানুষের সংজ্ঞা কতটা যৌক্তিক, সেটা বিচারের ভার আমি পাঠকের কাছে দিলাম। আমার মূল প্রসংগটা ছিল, বিজয়ের ৪১ বছর পর স্বাধীনতা ও পরবর্তী প্রজন্ম সেই দোসরদের “তুই রাজাকার” বলে গালি দিয়েছিল, দিচ্ছে। এখন কি সেই সময় চলে এসেছে যাতে আমরা আর আমাদের পরের প্রজন্ম বিএনপি তথা খালেদা জিয়াকে দেখে গালি দেবো “তুই রাজাকার”, “তুই রাজাকার”???
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
মেজেরকানদি বলেছেন: আপনার শিক্ষক , আপনাকে ভদ্রতা শেখাতে চাই।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪২
পদ্য কবিতা বলেছেন: খুবই সম্ভাবনা আছে...
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
ভুল উচ্ছাস বলেছেন:
অবশ্যই একমাত্র লীগ ছাড়া সবাইই এখন রাজাকার।উদাহরনঃ কাঁদের সিদ্দিকি।
খালেদা জিয়া একা নন তার দলের যত অনুসারী আছে আসলে তো তারা পাকিস্তানের করদ রাজ্যে পরিনত করতে চায়, তারা চায় আবার পূর্ব পাকিস্তান ফিরিয়ে আনতে। আপনি জানেন না। এটা আপনার ব্যর্থতা। আর তাই খালেদা জিয়া এবং বি এন পি এর সবাইই ছাগু ও রাজাকার হিসেবে গন্য হইবে।
আসুন দলে দলে খালেদা জিয়াকে ছাগু বলিয়া গালি প্রদান করি। দোজাহানের অশেষ নেকী হাসিল করি।
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫০
রিমন রনবীর বলেছেন: না এটা বিএনপি সমর্থকদের বলা যাবে না। তাহলে তারা খুব রাগ করবে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
মেজেরকানদি বলেছেন: তাহলে তাদের কি বলা যায়?
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৫
ড্যানিশ কনডেন্সড মিল্ক বলেছেন: তুই কে ?
৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৮
রুদ্র মানব বলেছেন: মুফতি পাগলা টা পরথম মন্তব্য কইরা গেছে ,
পোস্টটা পইড়া ওর পাছায় আগুন লাগছে মে বি
বাই দ্যা ওয়ে , চরম যুক্তি +
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
মেজেরকানদি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৪
মুহসিন বলেছেন: বিএনপি আওয়ামী লীগের সমর্থকরা পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ি না করে দুই দল মিলে যদি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার শপথ করতো!
প্রয়োজনে ৫ বছর ৫ বছর করে ক্ষমতায় থাকুক, তারপরও স্বাধীনতা বিরোধী বা ইসলাম বিরোধী এইসব গালাগাল আর শুনতে ইচ্ছা করেনা।
৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
জীবনকেসি বলেছেন: Click This Link
আমারে বইকেন না। আমি আর এই পোষ্টে আসুম না। সকল রাজাকারের ফাসি চাই। তবে তা কোন বালকের (রাজাকারের বংশধরের) নেতৃত্বে নয়।
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
মেজেরকানদি বলেছেন: এই গুলো কি সব প্রপাগান্ডা নয়?
৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: মুহসিন বলেছেন: বিএনপি আওয়ামী লীগের সমর্থকরা পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ি না করে দুই দল মিলে যদি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার শপথ করতো!
প্রয়োজনে ৫ বছর ৫ বছর করে ক্ষমতায় থাকুক, তারপরও স্বাধীনতা বিরোধী বা ইসলাম বিরোধী এইসব গালাগাল আর শুনতে ইচ্ছা করেনা।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৩
মেজেরকানদি বলেছেন: !!!! ????
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
মুফতি বাবা বলেছেন:
-
তুই কে??