নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী

স্বপ্নেরা খুঁজে পাক বাস্তবের ঠিকানা

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

LOVE, SEX & BETRAY

২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

শব্দ ৩টা যেন একে অন্যের পরিপূরক হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাভ হলেই সেখানে সেক্স চলে আসছে আর সেক্স হলেই সেখানে প্রতারণা অবধারিত। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি কী এরকম ছিল...?

জীবনের পথে চলতে চলতে হয়ত একটি ছেলে আর একটি মেয়ের দেখা হয়ে যায়। দেখা থেকে শুরু হয় কথা বলা, কথা থেকে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের ঘনত্ব থেকে তৈরি হয় ভালো লাগা, সেখান থেকে ভালবাসা। মেয়েটাকে কোন কাজে সহায়তা করতে পারলে ছেলেটার যেমন খুশির অন্ত থাকে না, তেমনি ছেলেটাকে আশেপাশে দেখলে মেয়েটারও আনন্দের সীমা থাকে না। ছেলেটা হয়ত মেয়েটাকে লুকিয়ে লুকিয়ে আড়াল থেকে ভালবাসতে থাকে, মেয়েটাও হয়ত ছেলেটার মুখ থেকে ভালবাসি শব্দটি শোনার জন্য উদ্গ্রিব হয়ে থাকে। আড়াল থেকে ভালবাসতে বাসতে ছেলেটা কোন এক সময় মেয়েটার সামনে ধরা পরে যায়, আর মেয়েটাও মুচকি হাসি দিয়ে চিরদিনের জন্য ছেলেটাকে নিজের করে নেয়। এভাবেই শুরু হয় একটি সম্পর্ক।

আমার মতে, এ ধরনের সম্পর্কগুলোতে বিশ্বাসের পাশাপাশি সম্মানটাও অনেক বেশি থাকে। এক্ষেত্রে নিজের বেটার হাঁফের সাথে রুমডেট এ যেতে চাওয়াটাও তার প্রতি এক ধরণের অসম্মান প্রদর্শন করা। আর যাওয়া তো বড় ধরণের অপমান করা। আপনার বেটার হাঁফ আপনার ভোগের বস্তু নয়। আপনার বেটার হাঁফ আপনার আজীবনের সঙ্গি, আপনার ঘরের সম্মান, আপনার বাবা-মায়ের শেষ সময়ের রক্ষণাবেক্ষণকারী, আপনার সন্তানের মা। সেই বেটার হাঁফের সাথে বিবাহপূর্ব কোন সম্পর্ক করা মানে আপনার ঘরের মানুষকেই অসম্মান করা, অপমান করা। আপনার বেটার হাঁফের কাছে আপনার কিছু অধিকার থাকতেই পারে তবে সেটা সময়ের অপরেও অনেকটা নির্ভরশীল। বিবাহপূর্ব দৈহিক সম্পর্কের অধিকার আমাদের সংস্কৃতিতে কখনো ছিল না। তাই এধরনের কাজ করার মাধমে আমাদের সংস্কৃতিকেও অপমান করা হয়।

সকল মেয়েদের এবং আপুদের উদ্দেশে বলছি যে, প্রেম করুণ, ভালবাসুন, ভালবাসার মানুষটিকে সর্বোচ্চ বিশ্বাস করুন। তবে তা যেন রুমে যাওয়া নিয়ে না হয়। রুমে না গিয়েও ভালবাসা যায়। আশেপাশের বিভিন্ন ঘটনা আপনাদের চোখে পরছে বলে অনুমান করি। আপনি বিশ্বাস করে তার সাথে রুমে যাবেন আর পরে সে প্রতারণা করলে সুইসাইড করবেন বা সমগ্র ছেলে জাতিকে গালমন্দ করবেন তা কিন্তু হবে না। কারণ আপনার এই কর্মের দায়ভার সমগ্র ছেলে জাতি নিবে না উল্টা রুমে গিয়ে আপনি আমাদের সংস্কৃতিকে কুলসিত করেছেন এর দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে। আর জন্য আপনাকেই ভুগতে হবে। মনে রাখবেন, যারা সত্যিই ভালবাসে তারা কখনো রুমডেটের জন্য আপনাকে বলবে না। কারণ তারা আপনাকে ভালবাসে আপনার দেহকে নয়, আর যারা রুমডেটের জন্য বলবে তারা আপনাকে নয় শুধু আপনার দেহকেই ভালবাসে।

আর ছেলেদের ক্ষেত্রে বলব, আপনারা যারা রুম ডেট করে বেড়াচ্ছেন তারা সবচেয়ে বড় এবং বেশি অপরাধী। ভালবাসেন ভাল কথা এজন্য কি রুমডেটে যাওয়া লাগবে নাকি...? এখন রুমডেটে গেলে বিয়ের পর কি করবেন...? নাকি জীবনে বিয়েই করবেন না...? আর যারা অনেক গর্ব করে বলেবেড়ান রুমডেটের কথা তারা কি জানেন যে এ কথাগুল বলার সময় কতটা নিকৃষ্ট দেখায় আপনাদের...? আপনাদের দিয়ে তাকাতেও তখন ঘৃণা হয় মানুষের।

ভালবাসা শুধু একটা শব্দ না। ভালবাসা - দায়িত্ব, সম্মান, কর্তব্য, অনুভূতি, যত্ন, ত্যাগ, নিঃস্বার্থপর, এ শব্দগুলোকে এক কথায় প্রকাশ করা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এমন যদি হয়, রুমডেটে যাওয়াটা আপত্তিকর নয়! এই দৃষ্টিভংগি সমাজে ছড়িয়ে দিলে কেমন হয়? ভেবে দেখুন।

২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: হতে পারে, এক্ষেত্রে সুইসাইড করে মৃত্যুবরণ এর সংখ্যা কমে আসবে। কিন্তু এত কম সময়ে পরিবর্তন সম্ভব নয়। এ ধারণা যখন চলে আসবে তখন এই মৃত্যুগুলো দেখতে হবে না। এ ধারনাটি আসার আগে পর্যন্ত এসকল মৃত্যুর জন্য রুমডেট কেই দায়ী করবো।।

২| ২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:০৯

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ভাই, মানুষের সাথে জন্তু জানোয়ারের বেশ কিছু পার্থক্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি পার্থক্য হচ্ছে বিবেক এবং বিয়ে (আপনার লেখাটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই বললাম)। আপনার বিবেক তখনই জাগ্রত হবে যখন আপনি মানুষের কাতারে দাঁড়াবেন। আপনি তখন সত্যিকারের ভালোবাসতে পারবেন, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী কে সম্মান করতে পারবেন। জন্তু জানোয়ারেরাও ভালোবাসে। কয়েকদিন একসাথে ঘোরাফেরা করে, ইচ্ছামত সেক্স করে, আবার একে অপরের কাছ থেকে হারিয়ে যায় (কিছু কিছু প্রাণী এর ব্যতিক্রম, যাই হোক সে প্রসংগ আনলাম না)।

মানুষ এখন অজেয়, সব কিছুকে জয়, কিংবা অতিক্রম করতে চায়। বোধহয় সেই দিক থেকেই চিন্তা কিছু মানুষ এখন জন্তু জানোয়ারের বৈশিস্টকেও অতিক্রম করতে চাচ্ছে (নইলে, সমকামিতা আসল কিভাবে?)

এদেরকে শত বলেও লাভ হবে না। নইলে সূরা ইয়া-সীনে এই কথাটা থাকত না - "তাদের অনেকের জন্যেই শাস্তি অবধারিত, সুতরাং তারা বিশ্বাস করবে না"।

আর আপনি রুমডেটের (সেক্সের) চাহিদা শুধু মাত্র ছেলেদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন কেন? মেয়েদেরও এতে সমান দোষ আছে। এখন অনেক মেয়েই আছে যারা সেক্সের জন্যেই সম্পর্ক তৈরী করে। এদের সাথে আপনি সম্মানজনক ব্যবহার (পবিত্র ভালোবাসা) করা মানেই দু'দিনের মধ্যেই আপনি তাদের কাছে বোরিং হয়ে যাওয়া।

সুতরাং এদের কথা বাদ দেন। আমরা নিজের এবং নিজের পরিবারের হেফাজত করি, সেটাই যথেস্ট। সূরা ইয়া-সীনের আরেকটা লাইন হচ্ছে - "আপনি এদের সতর্ক করেন আর না করেন, তাদের জন্য উভয়েই সমান। তারা সতর্ক হবে না" ।

বেশী কথা বলে ফেললাম মনে হয়। আমাকে ক্ষমা করবেন। আপনার লেখার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আপনার মতই কয়েকজনকে সতর্ক করতে গিয়ে আমি কয়েকবার সমস্যায় পরেছিলাম। পরে আমি বুঝেছি এসব ক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ে দুজনেরই সম্মতি থাকে। পার্থক্য হচ্ছে মেয়েটা তার সম্মতি বা চাহিদার কথা কখনও স্বীকার করে না, ছেলেটা করে।

২৮ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:১৯

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: আসলে আমি শুধু মাত্র ছেলেদের ওপর চাপিয়ে দেই নি, ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই দোষ আছে এটা বলতে চেয়েছি।। যাই হোক, ভালো থাকবেন :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.