নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমাও বাউন্ডুলে ঘুমাও এবার !!!

লোকে বলে স্বপ্ন জোছনা বিহার, জোছনা কনা রাত্রি উজাড় ! আমি বলি এ বেলা চৈত্র বিহার, স্বপ্নে ছুরি চোখে আঁধার !

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে

আলো — অন্ধকারে যাই — মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়, কোন এক বোধ কাজ করে! স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয় !!!

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশ, তাঁর কিছু কথা এবং কিছু কবিতা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২১





জীবনানন্দ দাশ, বনলতা সেন এর জীবনানন্দ দাশ, আমার জীবনানন্দ দাশ ! তিনি এই বাংলার কবি। তিনি আমার হৃদয়ের কবি। প্রিয় কবিকে নিয়ে আমার অনুভুতি গুলোকে ঠিক ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয় অথবা বলা যায় তাঁকে ঘিরেথাকা আমার ভালো লাগা আমি ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারবোনা । এবং আমি সেই চেষ্টাও করবোনা।

যখন খুব বেশি মন খারাপ থাকে বা নিজের চারপাশের জগতটাকে অসহ্য লাগে তখন তাঁর কবিতা গুলোকে বড় বেশি আপন মনে হয় ।

তাঁর কবিতা গুলো বা কবিতার কিছু লাইন মনে হয় যেন শুধু আমার জন্যেই লেখা হয়েছে । আমি জানি এরকম অনেকেরই মনে হয় । আবার মাঝে মাঝে কবিকে খুব হিংসা হয় ! মনে হয় আমার কথা গুলো অনেক আগেই তিনি বলে দিয়ে গেছেন !

তিনি তাঁর সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক ছিলেন। আর সেকারনেই এই সময়ে এসে তাঁর কবিতা গুলোকে মনে হয় যেন এই সময়েরই কবিতা।



কবির জন্ম ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ বরিশালে । প্রিয় এই কবি তাঁর জীবদ্দশায় যথেষ্ট মূল্যায়ন পাননি । ২২ কবির অক্টোবর ১৯৫৪ এ কোলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় কবির মৃত্যু হয় ।



একটি কথা আমাকে খুবই আশ্চর্য করে যে, তিনি প্রায়ই ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা ভাবতেন। গত এক শত বৎসরে ট্রাম দুর্ঘটনায় কোলকাতায় মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র একটি। তিনি আর কেউ নন, কবি জীবনানন্দ দাশ !!!



তিনি মূলত তাঁর পেতে মৃত্যুর পর থেকে জনপ্রিয়তা থাকেন । এবং বর্তমানে তিনি জনপ্রিয়তম কবি ।



প্রিয় এই কবির কাব্য গ্রন্থ গুলোর নাম এবং সময় -



ঝরা পালক (১৯২৭)



ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬)



বনলতা সেন (১৯৪২)



সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮)



জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৪)



রূপসী বাংলা (১৯৫৭)



বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১)



সুদর্শনা (১৯৭৪)



আলো পৃথিবী (১৯৮১)



অপ্রকাশিত একান্ন (১৯৯৯)



কাব্য গ্রন্থ গুলোর মধ্যে শেষের ৫ টি তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়।

এছাড়া তিনি কিছু গল্প, প্রবন্ধ, এবং ৩ টি উপন্যাস লিখেছেন । যদিও তাঁর সবকটি উপন্যাসই তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে।





আমি তাঁর লিখে যাওয়া আমার খুব প্রিয় কিছু কবিতা এই পোস্টে সবার সাথে শেয়ার করতে চাই । বলতে পারেন আমার ভাললাগা আপনাদের সাথে ভাগ করতে চাই ।



তাই আর বেশি কথা না বলে প্রিয় কবির কিছু কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করি -





একটি নক্ষত্র আসে



একটি নক্ষত্র আসে; তারপর একা পায়ে চ'লে

ঝাউয়ের কিনার ঘেঁষে হেমন্তের তারাভরা রাতে

সে আসবে মনে হয়; - আমার দুয়ার অন্ধকারে

কখন খুলেছে তার সপ্রতিভ হাতে!

হঠাৎ কখন সন্ধ্যা মেয়েটির হাতের আঘাতে

সকল সমুদ্র সূর্য সত্বর তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাত্রি হতে পারে

সে এসে এগিয়ে দেয়;

শিয়রে আকাশ দূর দিকে

উজ্জ্বল ও নিরুজ্জ্বল নক্ষত্র গ্রহের আলোড়নে

অঘ্রানের রাত্রি হয়;

এ-রকম হিরন্ময় রাত্রি ইতিহাস ছাড়া আর কিছু রেখেছে কি মনে।



শেষ ট্রাম মুছে গেছে, শেষ শব্দ, কলকাতা এখন

জীবনের জগতের প্রকৃতির অন্তিম নিশীথ;

চারিদিকে ঘর বাড়ি পোড়ো-সাঁকো সমাধির ভিড়;

সে অনেক ক্লান্তি ক্ষয় অবিনশ্বর পথে ফিরে

যেন ঢের মহাসাগরের থেকে এসেছে নারীর

পুরোনো হৃদয় নব নিবিড় শরীরে।







হাজার বর্ষ আগে





সেই মেয়েটি এর থেকে নিকটতর হ’লো না :

কেবল সে দূরের থেকে আমার দিকে একবার তাকালো

আমি বুঝলাম

চকিত হয়ে মাথা নোয়ালো সে

কিন্তু তবুও তার তাকাবার প্রয়োজন – সপ্রতিভ হয়ে

সাত-দিন আট-দিন ন-দিন দশ-দিন

সপ্রতিভ হয়ে — সপ্রতিভ হয়ে

সমস্ত চোখ দিয়ে আমাকে নির্দিষ্ট করে

অপেক্ষা করে — অপেক্ষা ক’রে

সেই মেয়েটি এর চেয়ে নিকটতর হ’লো না

কারণ, আমাদের জীবন পাখিদের মতো নয়

যদি হ’ত

সেই মাঘের নীল আকাশে

(আমি তাকে নিয়ে) একবার ধবলাটের সমুদ্রের দিকে চলতাম

গাঙশালিখের মতো আমরা দু’টিতে

আমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছি

তুমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছো

হয়তো হাজার হাজার বছর পরে

মাঘের নীল আকাশে

সমুদ্রের দিকে যখন উড়ে যাবো

আমাদের মনে হবে

হাজার হাজার বছর আগে আমরা এমন উড়ে যেতে চেয়েছিলাম।







জনান্তিকে



তোমাকে দেখার মতো চোখ নেই- তবু,

গভীর বিস্ময়ে আমি টের পাই- তুমি

আজো এই পৃথিবীতে র'য়ে গেছি।

কোথাও সান্ত্বনা নেই পৃথিবীতে আজ;

বহুদিন থেকে শান্তি নেই।

নীড় নেই

পাখিরো মতন কোনো হৃদয়ের তর।

পাখি নেই।

মানুষের হৃদয়কে না জাগালে তাকে

ভোর, পাখি, অথবা বসন্তকাল ব’লে

আজ তার মানবকে কী ক’রে চানাতে পারে কেউ।

চারিদিকে অগণন মেশিন ও মেশিনের দেবতার কাছে

নিজেকে স্বাধীন ব’লে মনে ক’রে নিতে গিয়ে তবু

মানুষ এখনও বিশৃঙ্খল।

দিনের আলোর দিকে তাকালেয় দেখা যায় লোক

কেবলি আহত হ’য়ে মৃত হ’য়ে স্তব্ধ হয়;

এ ছাড়া নির্মল কোনো জননীতি নেই।

যে-মানুষ- যেই দেশে টিঁকে থাকে সে-ই

ব্যক্তি হয়- রাজ্য গড়ে- সাম্রাজ্যের মতো কোনো ভূমি

চায়। ব্যক্তির দাবিতে তাই সাম্রাজ্য ভেঙে গিয়ে

তারই পিপাসায়

গ’ড়ে ওঠে।

এ ছাড়া অমল কোনো রাজনীতি পেতে হ’লে তবে

উজ্জ্বল সময়স্রোতে চ’লে যেতে হয়।

সেই স্রোত আজো এই শতাব্দীর তরে নয়।

সকলের তরে নয়।

পঙ্গপালের মতো মানুষেরা চরে;

ঝ’রে পড়ে।

এই সব দিনমান মৃত্যু আশা আলো গুনে নিতে

ব্যাপ্ত হ’তে হয়।

নবপ্রস্থানের দিকে হৃদয় চলেছে।

চোখ না এড়ায়ে তবু অকস্মাৎ কখনো ভোরের জনান্তিকে

চোখে থেকে যায়

আরো-এক আভাঃ

আমাদের এই পৃথিবীর এই ধৃষ্ট শতাব্দীর

হৃদয়ের নয়- তবু হৃদয়ের নিজের জিনিস

হ’য়ে তুমি র’য়ে গেছ।



তোমার মাথাত চুলে কেবলই রাত্রের মতো চুল

তারকার অনটনে ব্যাপক বিপুল

রাতের মতন তার একটি নির্জন নক্ষত্রকে

ধ’রে আছে।

তোমার হৃদয়ে গায়ে আমাদের জনমানবিক

রাত্রি নেই। আমাদের প্রাণে এক তিল

বেশি রাত্রির মতো আমাদের মানব্জীবন

প্রাচারিত হ’য়ে গেছে ব’লে-

নারি,

সেই এক তিল কম।

আর্ত রাত্রি তুমি।



শুধু অন্তহীন ঢল, মানব-খচিত সাঁকো, শুধু অমানব নদীদের

অপর নারীর কন্ঠ তোমার নারীর দেহ ঘিরে;

অতএব তার সেই সপ্রতিভ অমেয় শরীরে

আমাদের আজকের পরিভাষা ছাড়া আরো নারী

আছে। আমাদের যুগের অতীত এক কাল

র’য়ে গেছে।

নিজের নুড়ির ’পরে সারাদিন নদী

সূর্যের- সুরের বীথি, তবু

নিমেষে উপল নেই- জলও কোন্‌ অতীতে মরেছে;

তবু নবীন নুড়ি- নতুন উজ্জ্বল জল নিয়ে আসে নদী;

জানি আমি জানি আদি নারী শরীরিণীকে স্মৃতির

(আজকে হেমন্ত ভোরে) সে কবের আঁধার অবধি;

সৃষ্টির ভীষণ অমা ক্ষমাহীনতায়

মানবের হৃদয়ের ভাঙা নীলিমায়

বকুলের বনে মনে অপার রক্তের ঢলে গ্লেশিয়ারে জলে

অসতী না হয় তবু স্মরণীয় অনন্ত উপলে

প্রিয়াকে পীড়ন ক’রে কোথায় নভের দিকে চলে।





স্বপ্ন





পাণ্ডুলিপি কাছে রেখে ধূসর দীপের কাছে আমি

নিস্তব্ধ ছিলাম ব’সে;

শিশির পড়িতেছিল ধীরে-ধীরে খ’সে;

নিমের শাখার থেকে একাকীতম কে পাখি নামি



উড়ে গেলো কুয়াশায়,- কুয়াশার থেকে দূর-কুয়াশায় আরো।

তাহারি পাখার হাওয়া প্রদীপ নিভায়ে গেলো বুঝি?

অন্ধকার হাতড়ায়ে ধীরে-ধীরে দেশলাই খুঁজি;

যখন জ্বলিবে আলো কার মুখ দেখা যাবে বলতে কি পারো?



কার মুখ?- আমলকী শাখার পিছনে

শিঙের মতন বাঁকা নীল চাঁদ একদিন দেখেছিলো, আহা,

সে-মুখ ধূসরতম আজ এই পৃথিবীর মনে।





তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে,

পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন,

মানুষ র’বে না আর, র’বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখনঃ

সেই মুখ আর আমি র’বো সেই স্বপ্নের ভিতরে।





হায় চিল





হায় চিল, সোনালী ডানার চিল,এই ভিজে মেঘের দুপুরে

তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে !

তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে ।

পৃথিবীর রাঙ্গা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে ;

আবার তাহারে কেন ডেকে আনো ?

কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে !



হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে

তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে !







আট বছর আগের একদিন





শোনা গেলো লাশকাটা ঘরে

নিয়ে গেছে তারে;

কাল রাতে - ফাল্গুনের রাতের আঁধারে

যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ

মরিবার হলো তার সাধ।



বধূ শুয়ে ছিলো পাশে - শিশুটিও ছিলো;

প্রেম ছিলো, আশা ছিলো - জোৎস্নায়, - তবু সে দেখিল

কোন ভূত? ঘুম কেন ভেঙে গেলো তার?

অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল - লাশকাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার।



এই ঘুম চেয়েছিলো বুঝি !

রক্তফেনামাখা মুখে মড়কের ইঁদুরের মতো ঘাড় গুঁজি

আঁধার ঘুজির বুকে ঘুমায় এবার;

কোনোদিন জাগিবে না আর।



'কোনোদিন জাগিবে না আর

জানিবার গাঢ় বেদনার

অবিরাম - অবিরাম ভার

সহিবে না আর - '

এই কথা বলেছিলো তারে

চাঁদ ডুবে চলে গেলে - অদ্ভুত আঁধারে

যেন তার জানালার ধারে

উটের গ্রীবার মতো কোনো-এক নিস্তব্ধতা এসে।



তবুও তো প্যাঁচা জাগে;

গলিত স্থবির ব্যাং আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে

আরেকটি প্রভাতের ইশারায় - অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে।



টের পাই যূথচারী আঁধারের গাঢ় নিরুদ্দেশে

চারিদিকে মশারির ক্ষমাহীন বিরুদ্ধতা;

মশা তার অন্ধকার সঙ্ঘারামে জেগে থেকে জীবনের স্রোত ভালোবাসে।



রক্ত ক্লেদ বসা থেকে রৌদ্রে ফের উড়ে যায় মাছি;

সোনালি রোদের ঢেউয়ে উড়ন্ত কীটের খেলা কতো দেখিয়াছি।



ঘনিষ্ঠ আকাশ যেন - যেন কোন বিকীর্ণ জীবন

অধিকার করে আছে ইহাদের মন;

দূরন্ত শিশুর হাতে ফড়িঙের ঘন শিহরণ

মরণের সাথে লড়িয়াছে;

চাঁদ ডুবে গেলে পর প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বথের কাছে

এক গাছা দড়ি হাতে গিয়েছিলে তবু একা - একা;

যে জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের - মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা

এই জেনে।



অশ্বথের শাখা

করেনি কি প্রতিবাদ? জোনাকির ভিড় এসে সোনালি ফুলের স্নিগ্ধ ঝাঁকে

করেনি কি মাখামাখি?

থুরথুরে অন্ধ প্যাঁচা এসে

বলেনি কি : 'বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?

চমৎকার! -

ধরা যাক দু -একটা ইঁদুর এবার!'

জানায়নি প্যাঁচা এসে এ তুমুল গাঢ় সমাচার?



জীবনের এই স্বাদ - সুপক্ব যবের ঘ্রাণ হেমন্তের বিকেলের -

তোমার অসহ্য বোধ হলো;

মর্গে কি হৃদয় জুড়োলো

মর্গে - গুমোটে

থ্যাঁতা ইঁদুরের মতো রক্তমাখা ঠোঁটে!



শোনো

তবু এ মৃতের গল্প; - কোনো

নারীর প্রণয়ে ব্যর্থ হয় নাই;

বিবাহিত জীবনের সাধ

কোথাও রাখে নি কোন খাদ,

সময়ের উর্ধ্বতনে উঠে এসে বধূ

মধু - আর মননের মধু

দিয়েছে জানিতে;

হাড়হাভাতের গ্লানি বেদনার শীতে

এ জীবন কোনোদিন কেঁপে ওঠে নাই;

তাই

লাশকাটা ঘরে

চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের'পরে।



জানি - তবু জানি

নারীর হৃদয় - প্রেম - শিশু - গৃহ - নয় সবখানি;

অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয় -

আরো এক বিপন্ন বিস্ময়

আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে

খেলা করে;

আমাদের ক্লান্ত করে;

ক্লান্ত - ক্লান্ত করে;

লাশকাটা ঘরে

সেই ক্লান্তি নাই;

তাই

লাশকাটা ঘরে

চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের 'পরে।



তবু রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি, আহা,

থুরথুরে অন্ধ পেঁচা অশ্বথের ডালে বসে এসে,

চোখ পালটায়ে কয় : 'বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?

চমৎকার !

ধরা যাক দু - একটা ইঁদুর এবার -'



হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজও চমৎকার?

আমিও তোমার মতো বুড়ো হব - বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব

কালীদহে বেনো জলে পার;

আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।







গোধূলি সন্ধির নৃত্য





দরদালানের ভিড়- পৃথিবীর শেষে

যেইখানে প'ড়ে আছে- শব্দহীন- ভাঙ্গা-

সেইখানে উঁচু-উঁচু হরীতকী গাছের পিছনে

হেমন্তের বিকেলের সূর্য গোল- রাঙা-

চুপে-চুপে ডুবে যায়- জ্যোৎস্নায়।

পিপুলের গাছে ব'সে পেঁচা শুধু একা

চেয়ে দ্যাখে; সোনার বলের মতো সূর্য আর

রূপার ডিবের মতো চাঁদের বিখ্যাত মুখ দেখা।

হরীতকী শাখাদের নিচে যেন হীরের স্ফুলিঙ্গ

আর স্ফটিকের মতো শাদা জলের উল্লাসঃ

নৃমুণ্ডের আবছায়া- নিস্তব্ধতা- বাদামী পাতার ঘ্রাণ- মধুকুপী ঘাস।

কয়েকটি নারী যেন ঈশ্বরীর মতোঃ

পুরুষ তাদেরঃ কৃতকর্ম নবীন;খোঁপার ভিতরে চুলেঃ নরকের নবজাত মেঘ,পায়ের ভঙ্গির নিচে হঙকঙের তৃণ।

সেখানে গোপন জল ম্লান হ'য়ে হীরে হয় ফের,পাতাদের উৎসরণে কোন শব্দ নাই;তবু তারা টের পায় কামানের স্থবির গর্জনে

বিনষ্ট হতেছে সাংহাই।

সেইখানে যুথচারী কয়েকটি নারী

ঘনিষ্ঠ চাঁদের নিচে চোখ আর চুলের সংকেতে

মেধাবিনী; দেশ আর বিদেশের পুরুষেরা

যুদ্ধ আর বাণিজ্যের রক্তে আর উঠিবে না মেতে।

প্রগাঢ় চুম্বন ক্রমে টানিতেছে তাহাদের

তুলোর বালিশে মাথা রেখে আর মানবীয় ঘুমে

স্বাদ নেই; এই নিচু পৃথিবীর মাঠের তরঙ্গ দিয়ে

ওই চূর্ণ ভূখণ্ডের বাতাসে- বরুণে

ক্রুর পথ নিয়ে যায় হরীতকী বনে- জ্যোৎস্নায়।

যুদ্ধ আর বাণিজ্যের বেলোয়ারি রৌদ্রের দিন

শেষ হ'য়ে গেছে সব; বিনুনিতে নরকের নির্বাচন মেঘ,পায়ের ভঙ্গির নিচে বৃশ্চিক কর্কট- তুলা- মীন।











আমার সবচেয়ে প্রিয় কবিতা "বোধ"

এই কবিতাটি আমাকে কিভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছে সেটা বলে বোঝানো সম্ভব না । কবিতাটির প্রতিটা লাইন যেন মনে হয় আমার জন্যে ! বিশেষ এই কবিতাটি সারাক্ষন আমার মাথার মধ্যে ঘোরে। সারাক্ষন মনে হয় " মাথার ভিতরে

স্বপ্ন নয়, কোন এক বোধ কাজ করে!"





বোধ





আলো — অন্ধকারে যাই — মাথার ভিতরে

স্বপ্ন নয়, কোন এক বোধ কাজ করে!

স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়,

হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!

আমি তারে পারি না এড়াতে

সে আমার হাত রাখে হাতে;

সব কাছ তুচ্ছ হয়, পণ্ড মনে হয়,

সব চিন্তা — প্রার্থনার সকল সময়

শূন্য মনে হয়,

শূন্য মনে হয়!

সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে!

কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে

সহজ লোকের মতো! তাদের মতন ভাষা কথা

কে বলিতে পারে আর! — কোন নিশ্চয়তা

কে জানিতে পারে আর? — শরীরের স্বাদ

কে বুঝিতে চায় আর? — প্রাণের আহ্লাদ

সকল লোকের মতো কে পাবে আবার!

সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর

স্বাদ কই! — ফসলের আকাঙ্খায় থেকে,

শরীরে মাটির গন্ধ মেখে,

শরীরে জলের গন্ধ মেখে,

উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে

চাষার মতন প্রাণ পেয়ে

কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর পরে?

স্বপ্ন নয়, শান্তি নয়,কোন এক বোধ কাজ করে

মাথার ভিতরে!



পথ চলে পারে — পারাপারে

উপেক্ষা করিতে চাই তারে:

মড়ার খুলির মতো ধরে

আছাড় মারিতে চাই, জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে

তবু সে মাথার চারি পাশে!

তবু সে চোখের চারি পাশে!

তবু সে বুকের চারি পাশে!

আমি চলি, সাথে সাথে সেও চলে আসে!



আমি থামি —

সেও থেমে যায়;



সকল লোকের মাঝে বসে

আমার নিজের মুদ্রাদোষে

আমি একা হতেছি আলাদা?

আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আমার পথেই শুধু বাধা?

জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে

সন্তানের মতো হয়ে —

সন্তানের জন্ম দিতে দিতে

যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়

কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয়

যাহাদের ; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজক্ষেতে আসিতেছে চলে

জন্ম দেবে — জন্ম দেবে বলে;

তাদের হৃদয় আর মাথার মতন

আমার হৃদয় না কি? — তাহাদের মন

আমার মনের মতো না কি?

–তবু কেন এমন একাকী?

তবু আমি এমন একাকী!



হাতে তুলে দেখি নি কি চাষার লাঙল?

বালতিতে টানি নি কি জল?

কাস্তে হাতে কতবার যাই নি কি মাঠে?

মেছোদের মতো আমি কত নদী ঘাটে

ঘুরিয়াছি;

পুকুরের পানা শ্যালা — আঁশটে গায়ের ঘ্রাণ গায়ে

গিয়েছে জড়ায়ে;

–এই সব স্বাদ

–এ সব পেয়েছি আমি — বাতাসের মতন অবাধ

বয়েছে জীবন,

নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে মন

একদিন;

এই সব সাধ

জানিয়াছি একদিন — অবাধ — অগাধ;

চলে গেছি ইহাদের ছেড়ে —

ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,

অবহেলা করে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,

ঘৃণা করে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে;

আমার সে ভালোবাসিয়াছে,

আসিয়াছে কাছে,

উপেক্ষা সে করেছে আমারে,

ঘৃণা করে চলে গেছে — যখন ডেকেছি বারেবারে

ভালোবেসে তারে;

তবুও সাধনা ছিল একদিন — এই ভালোবাসা;

আমি তার উপেক্ষার ভাষা

আমি তার ঘৃণার আক্রোশ

অবহেলা করে গেছি; যে নক্ষত্র — নক্ষত্রের দোষ

আমার প্রেমের পথে বারবার দিয়ে গেছে বাধা

আমি তা ভুলিয়া গেছি;

তবু এই ভালোবাসা — ধুলো আর কাদা — ।



মাথার ভিতরে

স্বপ্ন নয় — প্রেম নয় — কোনো এক বোধ কাজ করে।

আমি সব দেবতারে ছেড়ে

আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,

বলি আমি এই হৃদয়েরে;

সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়?

অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়?

কোনোদিন ঘুমাবে না? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ

পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ

মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন!

মানুষীর মুখ দেখে কোনোদিন!

শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন!



এই বোধ — শুধু এই স্বাদ

পায় সে কি অগাধ — অগাধ!

পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ

চায় না সে? করেছে শপথ

দেখিবে সে মানুষের মুখ?

দেখিবে সে মানুষীর মুখ?

দেখিবে সে শিশুদের মুখ?

চোখে কালোশিরার অসুখ,

কানে যেই বধিরতা আছে,

যেই কুঁজ — গলগণ্ড মাংসে ফলিয়াছে

নষ্ট শসা — পঁচা চালকুমড়ার ছাঁচে,

যে সব হৃদয়ে ফলিয়াছে

— সেই সব।





আজকের মতো এ পর্যন্তই । তবে এই পোস্ট মাঝেমাঝেই এডিট করা হবে এবং আরও কিছু কবিতা এতে যোগ করা হবে ।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৪

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: যখন খুব বেশি মন খারাপ থাকে বা নিজের চারপাশের জগতটাকে অসহ্য লাগে তখন তাঁর কবিতা গুলোকে বড় বেশি আপন মনে হয় । আহ।

সবগুলোই আগে পড়া। আবার পড়ব আমার প্রিয় কবির কবিতা। পোষ্ট প্রিয়তে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩১

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: কবির প্রতি আমার ভালোলাগাটা মনে হয় একটু বেশি মাত্রায় !
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪০

১০৩০৯০০৩ বলেছেন: মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয় — প্রেম নয় — কোনো এক বোধ কাজ করে

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪১

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয় !!!
ধন্যবাদ ।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৮

আরজু পনি বলেছেন:

সাথে একটু জীবনানন্দ দাশের জন্ম-মৃত্যু, তার প্রকাশিত সাহিত্য রচনা সংযোজন করা যায় কি না ভেবে দেখতে পারেন।


অনেক ভালো পোস্ট !
শেয়ার নিয়ে রাখলাম ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:২০

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: ভালো বলেছেন । কবির সম্পর্কে এবং তাঁর রচনা গুলো সম্পর্কে সংযোজন করতে হবে ।
ধন্যবাদ ।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৫

বলাক০৪ বলেছেন: প্রিয়তম কবি। বড় কবিতাগুলো আগে মুখস্থ করতাম, যাতে মনে মনে আবৃত্তি করা যায়। এভাবে সিন্ধু সারস, আট বছর আগের একদিন, নির্জন স্বাক্ষর মুখস্থ করেছিলাম। জীবনানন্দের এক ভক্ত (আমার চেয়ে অনেক বেশি - বোঝাই যাচ্ছে) খুব ভালো লাগছে। আরো লেখা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০১

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: প্রিয়তম কবি ।
অনেক ধন্যবাদ ।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৫

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: আরজুপনি বলেছেন:

সাথে একটু জীবনানন্দ দাশের জন্ম-মৃত্যু, তার প্রকাশিত সাহিত্য রচনা সংযোজন করা যায় কি না ভেবে দেখতে পারেন।

আপুর পরামর্শ মতো কবির সম্পর্কে আরও কিছু কথা সংযোজন করলাম।
ধন্যবাদ আরজুপনি আপু আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্যে ।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪১

অর্জুনের তীর বলেছেন: যেই ঘুম ভাঙ্গে নাকো কোনোদিন ঘুমাতে ঘুমাতে
সবচেয়ে সুখ আর সবচেয়ে শান্তি আছে তাতে
আমরা সেসব জানি, তবুও দু'চোখ মেলে জেগে
আমরা চলিতে আছি আমাদের আকাঙ্খার পিছে
কারণ - সবাই শান্তি - মৃত্যুর ঘুমের শান্তি চায়
পথ হেঁটে হেঁটে তবু চলিতেছি যা চলিয়া যায়
তারই পিছে পিছে গিয়ে, ব্যাথা পেয়ে, শুধু ব্যাথা
পেয়ে জেগে আছি; যদিও অনেক ঘুম, চোখে ঘুম আসে

(স্মৃতি থেকে লেখা, তাই যতিচিহ্ণ ভুলে গেছি, সরি)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১১

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: সবাই শান্তি - মৃত্যুর ঘুমের শান্তি চায়..............
অনেক ধন্যবাদ ।

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪১

অচিন্ত্য বলেছেন:
আপনার প্রোফাইল দেখেই বোঝা যায় জীবনানন্দ দাশ আপনার কতটুকু জুড়ে আছেন। তিনি আমারও প্রাণের কবি। তাঁর যে কবিতাটি আমাকে সবচেয়ে বেশি টানে তা হল 'আট বছর আগের একদিন'। "অর্থ নয়, কীর্তি নয়...আরো এক বিপন্ন বিস্ময়/আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে খেলা করে" আমার পড়া সবচেয়ে বিস্ময়কর লাইন। তবে এই কবির কিছু কবিতা আমার কাছে দুর্বোধ্য মনে হয়। তাঁর 'গোধূলি সন্ধির নৃত্য' কবিতাটির কোন মর্ম উদ্ধার করতে পারি না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৫

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: তাঁর কবিতার কিছু কিছু লাইন সত্যিই বিস্ময়কর !
কিছু কবিতা দুর্বোধ্য হলেও, কিছু বুঝতে না পারলেও ভালো লাগে ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০১

আরজু পনি বলেছেন:

অনেক দারুণ হয়েছে।
সাথে কুসুম কুমারী দাশীর কথা কিছু কি এ্যাড করা সম্ভব?!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৯

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু ।
কবি মাতার কিছু কথা এ্যাড করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পরে ইচ্ছে করেই এ্যাড করিনি । হয়তো তাঁর চাওয়া সেই আদর্শ ছেলে হতে পারিনি বলে :(

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৮

বলাক০৪ বলেছেন: অচিন্ত্য কে বলছি, গোধুলি সন্ধির নৃত্যের রহস্য অনেকেই ভেদ করতে পারেন নি। বড় বড় বোদ্ধারাও হাল ছেড়ে বলেছেন, এটা মনে হয় নেহাৎই একটা নাচকে বর্ণনা করা হয়েছে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১২

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় রহস্য ভেদ করার চেষ্টা না করে বরং কবির শব্দের জাদু উপভোগ করাই ভালো !

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৪

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা রেখে গেলাম।++

আট বছর আগের একদিন,স্বপ্ন আর বোধ আমারও পছন্দের।
এর বাইরে কুড়ি বছর পর,আর অন্ধকার এই কবিতা দুটোও পছন্দের।

" সব কিছু তুচ্ছ হয়, পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা — প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়! "

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪

ধরণীর অতিথি বলেছেন: vai monta vore dilen. Amar paribarik library te kobir boi collection poresi.

Apni onek boro moner manush...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪১

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: আপনার ভালোলাগাটাই আমার প্রাপ্তি । যদিও আমি কিছুই করিনাই । শুধুই আমার ভালোলাগার অনুভূতিটা প্রকাশের চেষ্টা করেছি ।
আর আমাদের সবার মন ভরে দিয়েছেন কবি তাঁর অসাধারন সৃষ্টি দিয়ে ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৭

কাউসার রুশো বলেছেন: আমি প্রতিদিন কবির একটি করে কবিতা পড়ার চেষ্টা করি।
কবির প্রতি আপনার শ্রদ্ধা নিবেদন ভালো লাগলো।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৯

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৫:৪৫

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: যুক্ত করে দিয়েছি :) View this link

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:১৬

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৩০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
সুচেতনা,
তুমি এক দূরতর দ্বীপ
বিকেলের নক্ষত্রের কাছে;
সেইখানে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে
নির্জনতা আছে।

এই পৃথিবীর
রণ রক্ত সফলতা সত্য;

তবু শেষ সত্য নয়।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৪

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন:

সুচেতনা,
এই পথে আলো জ্বেলে — এ পথেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে;
সে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ:
এ বাতাস কী পরম সূর্যকরোজ্জ্বল;–
প্রায় তত দূর ভালো মানবসমাজ
আমাদের মতো ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিকের হাতে
গড়ে দেব আজ নয়, ঢের দূর অন্তিম প্রভাতে।

১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: জীবনানন্দ এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবি। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ ছাড়িয়ে অসীম-অতল গভীর পর্যন্ত কবি। শুদ্ধতম কবি।

এখানে আপনার তুলে দেওয়া সব কবিতাই আমার প্রিয়।

"কমলালেবু" টা দিয়ে দিলে এই পোস্ট পূর্নতাকেও ছাড়িয়ে যেতো।


অনেক অনেক অনেক অনেক শুভতা।
আবার কথা হবে আপনার সাথে, ভালো থাকবেন।
প্রিয়তে নিলাম।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন, "জীবনানন্দ এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবি। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ ছাড়িয়ে অসীম-অতল গভীর পর্যন্ত কবি। শুদ্ধতম কবি।"

এই পোস্টে আরও অনেক কবিতা অ্যাড করা হবে।

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।

১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

নেক্সাস বলেছেন: অসাধারণ।

জীবনানন্দ সবসময় মনের গভীরে ঝড় তুলে।

প্রিয়তে নিলাম

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জীবনানন্দ সবসময় মনের গভীরে ঝড় তোলে এবং সারাজীবন তুলবে।
ভালো থাকবেন।

১৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.