নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নচূড়া

এমএ জব্বার

লেখাপড়া একাউন্টিং এ ।মাষ্টার্স শেষ করে একটি মাল্টিন্যাশান কোম্পানিতে চাকুরী করছি। ভালবাসি টেকনোলজিকে আর ইন্টানেট জগত কে। খুবই সাধারন একজন মানুষ।সহজ সরল জীবন যাপনে সাচ্ছন্দ বোধ করি। এটুকুই

এমএ জব্বার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মবিশ্বাস

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৫

আত্মবিশ্বাসহীন ব্যাক্তি আশ্রয়হীন লতার মতো শোচনীয় অবস্থায় বেড়ে উঠে কিন্তু সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। কারণ আত্মবিশ্বাসের অভাব ঘটলে দূর্বলতা প্রবল আকারে দেখা দেয়। এই দূর্বলতাই সকল উন্নতির পথে প্রধান অন্তরায়। যার আত্মবিশ্বাস নেই সে পদে পদে দ্বিধা ও শঙ্কায় জড়িত হয়ে পড়ে। কোন কাজ আরম্ভ করার পূর্বে তার সন্দেহ হয়, বুঝি কাজটা সফল হবে না। নানারুপ দুঃখ,হতাশা, চিন্তায় তার কাজ বিশাস হয়ে যায়।
মনে রেখ, প্রতিটি মানুষের কাজের চেহারাটি তার আত্মবিশ্বাসের অনুরুপ।

যে সাবজেক্টটা কঠিন বলে, তুমি ফেল করেছ। সেই একই সাবজেক্টে, তোমার ক্লাসের অর্ধেকের বেশি পোলাপান ৬০ এর উপরে মার্কস পেয়েছে। যে বৃষ্টির কারণে, যে ঠাণ্ডার ভয়ে তুমি ঘর থেকে বের হওনি। সেই একই বৃষ্টিতে ভিজে, একই ঠাণ্ডায় কেপে কেপে, রিক্সাওয়ালারা ঠিকই সংসার চালানোর টাকা কামিয়ে ঘরে ফিরেছে। যে শহরে ঘুষ, অনিয়ম আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বিজনেসে নামার স্বপ্নটা মাটি চাপা দিয়ে রেখেছো। সেই একই শহরে তোমার পাশের ফ্ল্যাটের একজন, ব্যবসায় নেমে ঠিকই এগিয়ে গেছে। সো, সমস্যাটা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, শীতের ঠাণ্ডা কিংবা সাবজেক্ট কঠিন হওয়ার মধ্যে না। সমস্যাটা তোমার মধ্যে। তবে সে সমস্যাটা তোমার স্বপ্ন, সাহস, চেষ্টার কমতি বা সময়ের অভাবের মধ্যে না।

শুনো, যে সিগারেট ছাড়তে চায়, সে সিগারেট ছাড়তে পারে না। যে সামনের সেমিস্টারে দুনিয়া উল্টায় ফেলতে চায়, সে সেই সেমিস্টারেও আগের সেমিস্টারের মতো লাড্ডু মারে। তাই সিগারেট ছাড়ার স্বপ্ন বাদ দিয়ে, আজকে দুপুরে লাঞ্চ শেষ করে সাথে সাথে সিগারেট না ধরিয়ে, ৫ মিনিট পরে সিগারেট জ্বালানোর টার্গেট সেট করতে হবে। পরেরদিন ঠিক একই কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। পুরা সেমিস্টার পড়ে তাল গাছে উঠে যাওয়ার চিন্তা না করে, ক্লাস লেকচার শেষ হওয়ার সাথে সাথে, ক্লাস লেকচারের একটা টপিক নিয়ে ৫ মিনিট বসে বসে বুঝার চেষ্টা করতে হবে।

কেউ যুদ্ধ জয় করে না, একজন একজন করে শত্রুপক্ষের সৈন্যকে পরাজিত করে। কেউ সাগর পাড়ি দেয় না, বৈঠা মেরে মেরে, ইঞ্চি ইঞ্চি করে সামনে এগুতে থাকে। কেউ বিশ্ব সেরা খেলোয়াড় হয় না, একটার পর একটা ম্যাচে, দুই-একটা করে গোল করতে থাকে। সফলতা কোন লটারি না। জন্মদিনে প্রেমিকার উপহারও না। সফলতা হচ্ছে- কনসিসটেন্সি (ধারাবাহিকতা)। এই কনসিসটেন্সি, রেজাল্ট বা আউটকামের কনসিসটেন্সি না। এইটা চেষ্টার কনসিসটেন্সি। লেগে থাকার কনসিসটেন্সি।

মানুষের চেষ্টা হচ্ছে পানির মতো। চান্স পাইলেই গড়িয়ে নিচে নেমে যাবে। রিলাক্স করার কোন পাত্র পাইলে, সেই পাত্রের আকার ধারণ করবে। আরো বেশি চান্স পাইলে, নদীর স্রোতের সাথে ভেসে ভেসে বঙ্গোপসাগরে নিয়ে তোমারে ডুবাবে। তাই রিলাক্স হইও না। লম্বা টার্গেট সেট করো না। বরং নেক্সট স্টেপের দিকে তাকাও। সেই ছোট স্টেপটাই নিয়মিত দিতে থাকো। দেখবা, ছোট ছোট স্টেপ, পানির পাম্পের মতো তোমার চেষ্টার পানিকে একটু একটু করে উপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই একটু একটু করে এগিয়ে যেতে থাকলেই, একসময় পাহাড়ের চূড়া এসে তোমার পায়ের নিচে শিস বাজাবে। view this link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.