নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে চেনা এবং জানার প্রবল ইচ্ছা।

শুপ্ত

বই পড়া,সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করা,লেখা-লেখি,ভ্রমন,খেলা-ধুলা।

শুপ্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

দীর্ঘ ৪৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটলো ...............

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

আজ থেকে ৪৫ বছর আগের কথা যখন ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ভয়াল কাল রাত্র।যে রাতে পাকিস্তানী বর্বর বাহিনীর প্রথম আক্রমণ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন। তারা মনে করে ছিলো যে, যদি পুলিশকে থামানো যায় তাহলে এদেশের মুক্তিকামী জনগন আর মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না। তারা তখন অর্তকিতভাবে কাউকে না বুজতে দিয়ে কুকুরের মতো গুলি করে এদেশের পুলিশ বাহিনীর উপর। শুধু জানতেন এ দেশের কিছু আমলা ও দেশ দ্রোহী নরপিশাচগন।
সেই রাতেই একজন সিপাহী রাজার পুলিশ লাইনে দুইজন পুলিশ সদস্য সবে মাত্র ডিউটি শেষ করে ব্যারাকের বাইরে বেরিয়ে ছিলো চা ও নাস্তা খাওয়ার উদ্দেশ্যে । খুব কাছ থেকে দেখলো তাদের বর্বরতা। কিছুই বুজার মতো ছিলো না ঐ সময়। তাদের ই একজন সিপাহী আবুল কাশেম,যার বাড়ী কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার রামপুর গ্রামে। আর ব্যারাকে না ডুকে কিছু মুক্তিকামী পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ছুটে চলে যান ভারতের উদ্দেশ্যে। ইচ্ছা ছিলো তাদের বিরুদ্ধে লড়ে দেশকে মুক্ত করার। যেই কথা সেই কাজ। চলে ও গেলেন বাড়ীর কাউকে না জানিয়ে। তার মাথায় ছিলো না যে তার ঘরে নব্য বিবাহিত স্ত্রী ও ৬মাসের ছোট বাচ্ছার কথা। শুধূ মাথায় ছিলো দেশকে স্বাধীন করার। গেলেন যুদ্ধ করতে । অবশেষে তিনি যুদ্ধ ক্ষেত্রে শহীদ হন পাকিস্থানীদের তাজা বুলেটের আঘাতে। যুদ্ধ শেষে যখন দেশ বিজয় লাভ করে তখন সাথে থাকা কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে শোনা যায় তিনি শহীদ হয়েছেন। তখন থেকে খোজাখুজি শুরু হয় তার সমাধিস্থল।
যখন খুজতে খুজতে সবাই ক্লা্ন্ত তখন ই একটি উড়ো ফোন এলো যে কসবার কোল্লা পাথরে স্থাপিত শহীদের সমাধিস্থলে আবুল কাশেম নামে হোমনা একটি সমাধি আছে। গত ১৭ই ফেব্রয়ারী পরিবারের সদস্যগন গিয়ে দেখে আসলো । পরিবারের ভাই,বোন ও সন্তাদের মনে একটাই সান্তনার বানী অন্তত কবরটি তো পাওয়া গেলো। সন্তানের আক্ষেপ বছর খানেক পূর্বে তার মা মারা গেছে তিনি কবরটি দেখে যেতে পারলেন না।
কবর নিয়ে শুরু হয় আরেক নাটক। কবর টি আরেকজন দাবী করে কিন্তু দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বলেন তার বাড়ী হোমনা থানায়,তিনি ছিলেন পুলিশ। কিন্তু যে ব্যক্তি দাবী করছে তার বাড়ী ছিলো তৎকালীন দাউদকান্দি উপজেলায় বর্তমানে তিতাস উপজেলা। কিন্তু তিনি বলেন উনার কোন ব্যক্তি সন্ধান না করাতে তারা তাদের নামে দিয়ে দিয়েছে। এখন কিছু আইনি জটিলতা পোহাতে হবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.