![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের সব মা-বাবাকেই বলছি।হ্যাঁ,আপনাদেরকেই বলছি।আপনার ছেলে বা মেয়েটি যখন ভাল রেজাল্ট করে, ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পায় বা ভাল চাকরি পায় তখন আপনারা যেমন তাকে সর্মথন বা উৎসাহ দিয়ে যান ঠিক তেমনি তার সবচেয়ে বেশি উৎসাহ বা সর্মথনের প্রয়োজন হয় তার দুঃসময়ে।কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে,আপনার ছেলে বা মেয়েটি যখন জি.পি.এ ৫ পেতে ব্যর্থ হয়, ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ না পায় বা ভাল চাকরি পেতে ব্যর্থ হয়ে বেকারত্বের অসীম অন্ধকারে ডুবে যায়,অধিকাংশ ক্ষেএে এই সময়গুলোতে তারা আপনাদের সমর্থন পাওয়া দূরে থাক,বরং ক্রমাগত অন্যের সাথে তুলনা, সমালোচনা,নিন্দা, গালমন্দ বা তিরস্কার,নিজেদের আকাশচুম্বী প্রত্যাশার ভার আপনারা আপনাদের সন্তানদের উপর চাপিয়ে দেন।অধিকাংশ ক্ষেএেই মা-বাবারা সন্তানদের মন-মানসিকতা বুঝতে ব্যর্থ হন বা বুঝতে চান না।আপনারা ধরেই নিয়েছেন, আপনার সন্তান ভাল রেজাল্ট করবে,ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাবে ,ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার ,ব্যাংকার বা বি.সি.এস ক্যাডার হবে।তারা যখন আপনার ইচ্ছা পূরনে ব্যর্থ হয়, তখন তাদের উপর শুরু হয় মানসিক নির্যাতন। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন, আপনার সন্তান কি হতে চায়? পৃথিবীর সবার মেধা সমান নয়, সবাই সবকিছু চেষ্টা করলেও হতে পারে না। অনেক তরুন বা তরুনী এই প্রত্যাশার ভার সইতে না পেরে আত্নহত্যার মত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। অথচ সন্তানদের এই দুঃসময়ে মা-বাবার একটু সমর্থন,উৎসাহ, আদর বা ভালবাসা তাদের জীবনের গতিপথ বদলে দিতে পারে। জীবনের কঠিন সময়ে যে ছেলে বা মেয়ে তার মা-বাবার কাছ থেকে সমর্থন,পাশে থাকার নিশ্চয়তা,অনুপ্রেরণা,ভালবাসা এবং সঠিক দিক-নির্দেশনা পায়, আমি বিশ্বাস করি জীবনের যে কোন বাধাঁই সে অতিক্রম করতে পারবে।আপনার সন্তান যা হতে চাই,যে বিষয় পড়তে তাদের ভাল লাগে,তারা যেভাবে ক্যারিয়ার গড়তে চাই- সে ব্যাপারে তাদের উৎসাহ দিন এবং গঠনমূলক পরামর্শ দিন।ফলে ভাল রেজাল্ট করতে না পারা, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার ,ব্যাংকার বা বি.সি.এস ক্যাডার হতে না পারার জন্য যাকে এ সমাজ ব্যর্থদের কাতারে ফেলে দিয়েছিল,আপনার সে ছেলে বা মেয়েটিই হয়ত একদিন আরেকজন সাকিব আল-হাসান,হূমায়ূন আহমেদ,বেগম রোকেয়া, প্রীতিলতা, মুসা ইব্রাহিম বা ডঃ মুঃ ইউনুসের মতো সমাজে বড় মানুষ হয়ে আপনাদেরকেই সম্মানিত করবে সমাজের কাছে।
২০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪২
মহাকাল333 বলেছেন: আপু, পুরনো একটি পোস্ট কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।আপনার পিচ্চি আসলেই অনেক ভাগ্যবান। সে তার দুঃসময়ে তার মাকে পাশে পাচ্ছে এবং আশা করি ভবিষ্যতে সে অনেক বড় মানুষ হবে। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, মা-বাবারা সন্তানদের ক্রমাগত প্রতিযোগিতার মুখে ঠেলে দিচ্ছে এবং তারা তাদের জীবনের অপ্রাপ্তিগুলো তাদের সন্তানের মাধ্যমেই সমাজ থেকে আদায় করে নিতে চায়। ফলে সন্তানদের নিজেদের চাওয়া-পাওয়াটা মা-বাবার কাছে মূল্যহীন হয়ে যায় বরং মা-বাবার ইচ্ছাটাই সন্তানদের ক্যারিয়ার গঠনে মুখ্য হয়ে যায়। ফলে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং একটা পর্যায়ে এসে ছেলে মেয়েরা হতাশ হয়ে যাচ্ছে এবং বিপথগামী হচ্ছে।
আপু, মাঝে মাঝে লেখার চেষ্টা করি। অনেক কিছু ভাবি, কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারি না, তার উপর বানান ভুল একটা বড় রকমের সমস্যা। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার ও আপনার পিচ্চির জন্য। ভাল থাকবেন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩
আরজু পনি বলেছেন:
আমি তথাকথিত মানসিকতার মা হয়েও সন্তানের বাজে সময়ে দারুণভাবে উৎসাহ দিয়ে তাকে ভালোভাবেই আশাকরি ফিরিয়ে আনতে পারছি...পিচ্চি যদিও বেশ ছোট তারপরও তাকে কারো কারো কাছে থেকে কটু কথা শুনতে হয়েছে তার খারাপ সময়ে কিন্তু আমি তার পাশে থেকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি...আমরা ভালো ভাবে মনোযোগ না দিলে ওরা খারাপ করতেই পারে...
াাপনার ব্লগে অনেকদিন পর এসে বেশ কটি পোস্ট দেখে ভালো লাগছে ।