নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহাকাল333

আমি আমার দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে চা্ই।

মহাকাল333 › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালমান খান: উদারমনা বজরঙ্গী ভাইজান নাকি একজন বিকৃত মানসিকতার মানুষ!!!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

হ্যাঁ, বলিউডের সুপারস্টার সালমান খানের কথাই বলছি।যিনি বর্তমানে ভারতের চলচিত্তের নাম্বার ওয়ান হিরো।তিনি ‘টাইগার অফ বলিউড’, ‘ব্লকবাস্টার খান’, ‘বক্স অফিস কিং’ এবং সেই সাথে তার ভক্তদের কাছে ‘সল্লু’ এবং ‘ভাইজান’ নামেও পরিচিত। আমেরিকার টিভি চ্যানেল সি.এন. এন এর মতে, সালমান খান শুধু উপমহাদেশে নয় বরং পৃথিবীর সেরা জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন এবং বর্তমানে সিনেমার ব্যবসায়িক দিক থেকে ভারতের সবচেয়ে অভিনেতা। বর্তমানে সিনেমা প্রতি তার পারিশ্রমিক প্রায় ১০০-১৫০ কোটি রুপি।
আমাদের অনেকেই সালমান খানকে পছন্দ করেন তার স্টার ইমেজ, উদারমনা মন-মানসিকতা, সুন্দর মুখশ্রী,দুর্দান্ত ফিগার এবং সাবলীল অভিনয়শৈলীর কারনে।সালমান খানের দানের কথাও প্রায়ই শোনা যায়।সালমান খান, তরুণ-তরুণীদের কাছে রীতিমতো আইডল।সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সালমান খান অভিনীত সিনেমা “বজরঙ্গী ভাইজানের” কল্যাণে তার জনপ্রিয়তা এখন আরও তুঙ্গে এবং তার উদার মন-মান সিকতার কথা সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে।এই সিনেমায় সালমান খানকে একজন উদারমনা অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং অনেকে সিনেমার মতো বাস্তবেও সালমান খানকে ভালও উদার মন-মানসিকতার মানুষ বলে মনে করেন যেটি সম্পূর্ণরূপে ভুল, হাস্যকর ও বাস্তবতাবির্বজিত ধারনা।
সালমান খানের ক্যারিয়ার যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখতে পাই, একের পর এক বিতর্কের কারণে তিনি খবরের শিরোনাম হয়েছেন। এমন কোন অপরাধ নেই যা সালমান খান করেননি। মাতাল অবস্তায় গাড়ি চালিয়ে মানুষ খুন খুন করা,দুর্লভ বন্য প্রাণী হত্যা করা, একের পর এক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলা, সহ অভিনেতাদের হুমকি দেওয়া ও অশ্রাব্য গালিগালাজ করা,জেলে যাওয়া,বেপরোয়া জীবনযাপন করাসহ এমন কোন কুকর্ম নেই যা তিনি করেননি।সম্প্রতি মুম্বাই সিরিজ বোমা হামলার অন্যতম আসামি ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে টুইট করে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।১৯৯৩ সালে সংগঠিত মুম্বাই সিরিজ বোমা হামলায় প্রায় ২৫০ জন মানুষ নিহত এবং ১৪০০ মানুষ আহত হয়। এই হামলার অন্যতম আসামি দাউদ ইব্রাহীম, টাইগার মেমনের অন্যতম সহযোগী ছিল এই ইয়াকুব মেমন। একজন কুখ্যাত জঙ্গির পক্ষ নিয়ে সাল মালমান খান প্রমাণ করেছেন তিনি নিজে ও বিকৃত মন-মানসিকতার মানুষ। সালমান খানের মতো মানুষরা ভাল মানুষ সেজে থাকা মুখোশধারী ভয়ংকর মানুষ। তার পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে সব বিতর্কের উপর এক নজর আলোকপাত করা যাক-

১৯৯৯- সালমান খান এবং তার সহ অভিনেতারা “হাম সাথ-সাথ হ্যায়” সিনেমার শুটিং করতে গিয়েছিলেন ভারতের যোধপুরে। সেখানে সালমান খান এবং তার সহযোগীরা দুর্লভ প্রজাতির ‘চিনকারা’ হরিণ শিকার করে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে।সেগুলো এখন ও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

২০০২- সেপ্টেম্বর ২৮, ২০০২ সালে সাল মান খান গ্রেফতার হয়েছিলেন মাতাল অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ খুন করার কারণে। মাতাল অবস্থায় তিনি তার ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি তুলে দিয়েছিলেন ফুটপাতের উপর। ফুটপাতে শুয়ে থাকা একজন মানুষ গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে সাথে সাথেই মারা যান এবং তিনজন মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হন।

২০০২-সালমান খানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক বলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায়ের সাথে। কিন্তু সে বছর মার্চে তাদের ব্রেক-আপ হয়ে যায়। এরপর থেকে সাল মান খান তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া ও হয়রানি করতে থাকে। ঐশ্বরিয়া রায়ের মা-বাবা সেই সময় সাল মান খানের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন।

২০০৩- অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের সাথে তিক্ত সম্পর্ক সেই সময় সালমান খান কে ব্যাপকভাবে সমালোচিত করেছিল।

২০০৮- বলিউডের আরেক সুপারস্টার শাহরুখ খানের সাথে সালমান খানের তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে ক্যাটরিনা কাইফের বার্থডে পার্টিতে।সেই পার্টিতে শাহরুখ খান সালমানের সাথে হালকা রসিকতা করলে সালমান খান মেজাজ হারিয়ে তাকে গালিগালাজ করেন। এই ঘটনা সেই সময় ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়।

২০১০- মুম্বাইয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা সংগঠিত হয় ২০০৮ সালে। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য পাকিস্তানি চার যুবক এই হামলায় অংশ নেয়।তারা তাজ হোটেল,শিবাজি রেল স্টেশনসহ একাধিক জায়গায় হামলা চালায়। এই হামলায় প্রায় ১৬৪ জন মানুষ প্রাণ হারায় এবং আহত হয় ৩০৪ জন মানুষ। সালমান খান পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলে মুম্বাই বোমা হামলা নিয়ে তির্যক মন্তব্য করে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়।তিনি মুম্বাই হামলায় পাকিস্তানকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন।

২০১৪- ভারতের মুজাফরনগরে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার ফলে অনেক পরিবার শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় এবং রিলিফ ক্যাম্পে পুনর্বাসনের অভাবে বহু বাচ্চা মারা যাচ্ছিল।সেই সময় সালমান খান তার সহযোগী মাধুরী দীক্ষিত,আলিয়া ভাটকে নিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের হাইফাই সাইফাই মহোৎসব উদযাপন করছিলেন।সালমান খানের মতো একজন পাবলিক ফিগার সেই সময় মুজাফরনগরে অবস্থান করে মানুষ কে সাহায্য করা দূরে থাক বরং আনন্দ ভ্রমণে ব্যস্ত ছিলেন।

২০১৫-মুম্বাই সিরিজ বোমা হামলার অন্যতম আসামি ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির বিপক্ষে অবস্থান নেন সালমান খান। একজন জঙ্গির পক্ষে অবস্থান নিয়ে পূর্বের সব বিতর্ককে ছাড়িয়ে যান সালমান খান।এটি মিডিয়াতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।এছাড়া কিছুদিন আগে আত্নহত্যা করা অভিনেএী জিয়া খানের আত্নহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত তার সাবেক প্রেমিক সুরজ পাঞ্চলিকে সালমান খান প্রযোজিত মুভি “হিরো” তে নায়ক হিসেবে নেওয়ায় ব্যাপক সমালোচলার জন্ম দেয়।

১৯৮৮-২০০৫- এই ২৭ বছরের ক্যারিয়ারে একের পর একে নারীর সাথে সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। যদিও এখনো পর্যন্ত তিনি চিরকুমার।তার প্রেমিকার তালিকায় আছেন ঐশ্বরিয়া রাই,ক্যাটরিনা কাইফ, সোমু আলী, জেরিনা খান, মেহেক চাহাল(বিগ বস প্রতিযোগী),ক্লডিয়া সিসলা, ভারতীয় ক্রিকেটার আজ হার উদ্দীনের স্ত্রী সংগীতা বীজলানি সহ দেশি বিদেশী আরও অনেক মডেল।

অবশেষে এটা বলতে চাই, সিনেমার চাকচিক্য আর অভিনয় দেখে আমাদের প্রলুব্ধ হওয়ার কোন কারন নেই। সালমান খানরা ভাল মানুষের মুখোশধারী ভয়ংকর মানুষ এবং এই ধরনের ভাল মানুষের মুখোশধারী মানুষ আমাদের সমাজেও রয়েছে।সালমান খান মাঝে মাঝে দানও করে থাকেন যেটি শুধুমাত্র লোক দেখানো,স্টার ইমেজ ও মিডিয়া পাবলিসিটি বজায় রাখার কারণে।সালমান খানরা হাজারটি অপরাধ করেও পার পেয়ে যায় শুধুমাত্র সিনেমার স্টার হওয়ার কারণে। সালমান খানের লাইফ স্টাইল দেখলেই এটা বোঝা যায়, তিনি একজন বিকৃত-মনা,কামুক,অহংকারী,উদ্ধত, মাতাল,কাণ্ডজ্ঞানহীন এবং বড়লোকের বখে যাওয়া ছেলে। বাংলাদেশের অনেক তরুণ-তরুণীও সালমান খানের সিনেমার ভক্ত, সচেতনভাবে আমাদের সালমান খানের মতো এইসব নীতি-নৈতিকতাহীন সিনেমার স্টারদের বর্জন করা উচিত।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

আবু শাকিল বলেছেন: হেতে খারাপ হইলে বাঙলা জাতির কিছু যায় আসে না।
আপনার এই পোষ্ট পড়ে কেউ যদি তার মুভি দেখা বন্ধ করে, বাংলা মুভি দেখার মন মানসিকতা তৈরি হয় কিছুটা লাভ হবে বৈকি ।
তবে সম্ভাবনা ক্ষীণ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

মহাকাল333 বলেছেন: আবু শাকিল ভাই, বলিউড সিনেমা বাদ দিয়ে আমার ও মনে হয় বাংলা মুভি দেখার মন মানসিকতা তৈরি করা উচিত। বাংলা সিনেমার উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।এই সেক্টরে উদ্যমী ও প্রতিভাবান তরুণদের অংশ গ্রহন বাড়াতে হবে। তাহলে হয়ত একদিন বর্তমান পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

সুমন কর বলেছেন: তথ্য সংগ্রহ করতে বেশ কষ্ট করেছেন-বুঝা যায়। তবে ব্লগার আবু শাকিল যা বলেছে, সেটাই ঠিক।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৭

মহাকাল333 বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাস্তবে সে হয়ত খুবই খারাপ মানুষ, মানলাম। তাতে কি বজরঙ্গি সিনেমার যে সুন্দর বক্তব্য, সেটা কি মিথ্যা হয়ে গেল? অথবা এই সিনেমায় পবনের চরিত্র রূপায়ণে কতটা দক্ষতা সালমান খান দেখিয়েছেন, সেটাই বিবেচ্য হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। আর কলকাতার যে পত্রিকার রিপোর্ট আপনে এখানে কপি মেরেছেন, সেখানে কিন্তু সালমান খানের কিছু সৎ গুণাবলীর কথাও লেখা ছিল, আপনি সেটুকু এড়িয়ে গিয়েছেন সযতনে। আপনার উদ্দেশ্য খুব ভাল বলে মনে হচ্ছে না।

এ সব বাদ দিয়ে আপনি বরং সিনেমাটার মূল বক্তব্যটা ধারণ করুন, ভাল লাগবে। চাঁদের উল্টা পাশ দেখার দরকার কি?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০০

মহাকাল333 বলেছেন: পদ্ম পুকুর, বজরংগী ভাইজান সিনেমা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। এ সিনেমা থেকে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে। কিন্তু সমস্যাটা হল বাংলাদেশের অনেক তরুণ-তরুণী ব্যক্তি সালমান কে নিজেদের আইডল হিসেবে বিবেচনা করে।যেই মানুষ রাস্তায় মাতাল অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ খুন করে, দুর্লভ বণ্যপ্রাণী শিকার করে,একটার পর একটা গার্লফ্রেন্ড পরিবর্তন করে, জঙ্গীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে... তিনি সিনেমাতে যতই হিরোগিরি করুক,তিনি অবশ্যই কারও আদর্শ হওয়ার যোগ্য নয়। তাই নয় কি?যে মানুষের চরিত্তের ৯৫%-ই খারাপ দিক, তার ভাল গুণাবলী সেই খারাপের আড়ালেই সবসময় ঢাকা পড়ে যায়। আপনি কপি পেস্ট করার যে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন, তা সঠিক নয়। আপনি যে লিংক শেয়ার করেছেন, তার সাথে এই লেখা কপি পেস্টের কি মিল খুঁজে পেলেন, তা আমার বোধগম্য হল না।না জেনে এবং নিশ্চিত না হয়ে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অভি্যোগ করা কি ঠিক? বিচার করার ভার আপনার উপর রইল।
মহাকালের ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: সাল্লু ব্যাক্তিগত জীবনের চোর হোক সেটা দেখার বিষয় না, কারন তিনি একজন স্টার তার ব্যাক্তিগত জীবনটা কেউ মনে রাখেনা মনে রাখে তার মুভির চরিত্রের কথা, যেখানে শিক্ষণীয় অনেক কিছু থাকে। তাই শিক্ষাটাকে গ্রহন করে তার ব্যাক্তিগত চরিত্রকে বর্জন করলেও চলবে। আর আমাদের মতো সাধারণ মানুষের এগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করা আর আদার বেপারি হয়ে জাহাজের খবর নেয়া একই কথা।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৩

মহাকাল333 বলেছেন: নৈশ শিকারী,মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সালমানের দোষ খুঁজে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও হামলার জন্য। ইন্ডিয়ার প্রধান মন্ত্রীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কি কি উদাহরণ তৈরী করেছেন পারলে তা লিখুন....আর বলিউডের কোন অভিনেতার দোষ নাই একটু বলেন দেহি।

সিনেমায় পকিস্তান অংশের শুটিং এ মনে দাগ কাটার মত ডায়লগ গুলো মুখস্ত করুন...তাহলে মানবতা খুঁজে পাবেন।

ধণ্যবাদ---------পদ্ম পুকুর (এ সব বাদ দিয়ে আপনি বরং সিনেমাটার মূল বক্তব্যটা ধারণ করুন, ভাল লাগবে। চাঁদের উল্টা পাশ দেখার দরকার কি?)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

মহাকাল333 বলেছেন: কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) ভাই,মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

পদ্মপুকুর বলেছেন: Click This Link

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এ ধরনের পোস্টের কোনো মানেই খোঁজে পাইনা । সে ভালো না মন্দ, সেটা জেনে তো আমাদের লাভ নেই । দর্শকরা তো তাকে তার অভিনয়ের জন্য পছন্দ করে । একের পর এক প্রেমের কারণে তাকে কামুক বলছেন? বলিউডের কোন নায়ক/নায়িকাটা চরিত্রবান একটু বলবেন কি? আজাইয়া পোস্ট বাদ দিয়ে ভালো কিছু লিখুন!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

মহাকাল333 বলেছেন: বলিউডের বেশির ভাগ নায়ক নায়িকাই চরিত্রহীন। কেউ কম, আর কেউ একটু বেশি, তফাৎ এতটুকুই। সালমান খান হয়ত একটু বেশি। :D
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

মুখ ও মুখোস বলেছেন: অবিশ্বাস্য লেখা =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~
আচ্ছা আপনি যে একজন প্রথম শ্রেনীর বলদ কেউ কখন বলে নি? :( :(

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২০

মহাকাল333 বলেছেন: মুখ ও মুখোস , আচ্ছা আপনি যে একজন প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেনীর বলদ সেটা ও কি কেউ কখন ও আপনাকে বলে নি? :) :D :D ভাই, কিছু মনে করবেন না। একটু মজা করলাম। :#) :#)
মহাকালের ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ।শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো তথ্য। স্টার-সুপার স্টারদের ব্যক্তিজীবনের অজানা কাহিনি জানার পর তাদের উপর হয় আমাদের ভক্তি বেড়ে যায়, অথবা হ্রাস পায়। কারো জীবনের মহৎ কর্মকাণ্ডের কথা শুনলে যেমন তার প্রতি আমার সম্মানে মাথা অবনত হয়, খারাপটা শুনলেও তেমনি ঘৃণার উদ্রেক হয়। আমি সালমান খানের ২-৩টা ছবি দেখেছি। অভিনয় গুণে মুগ্ধ। কিন্তু সালমানের এই নীচু মানসিকতার কথা জানা ছিল না। যদিও মানুষ খুন করা, হরিণ শিকার করা নিয়ে সে মামলা খেয়েছে তা টুকটাক জানতাম।

আমাদের বড় দোষ হলো আমরা স্বদেশের ঠাকুর ফেলে বিদেশের কুকুরের পায়ে ভক্তি করি। আমি দেখেছি, বাঙালিরা বাংলাদেশের সিনেমা স্টার আর সিনেমা নিয়ে আলোচনা করাকে লজ্জাকর কাজ মনে করে, কিন্তু ইনডিয়ার হিরো আর সিনেমা নিয়ে আলোচনা করা যেন খুব গর্ব আর সম্মানের কাজ। এই বেহায়াগুলোরে মুগুড় দিয়ে মুখ থেতলে দেয়া উচিত। এরা সারাক্ষণ অনন্ত জলিল আর শাকিব খানের পিছনে লেগে থাকে, আর কিং খানদের ছবি গলায় ঝুলিয়ে রাখে। ইনডিয়ার সিরিয়াল আর সিনেমাই যেন তাদের জীবন।

আমাদের বাঙালিরা ইনডিয়ান হিরোদের নিয়ে যত মাতামাতি করে, খোদ ইনডিয়ানরাও তাদের হিরোদের নিয়ে এতোখানি করে না। এটা হলো বাঙালিদের আদেখলেপনা আর নির্লজ্জ বেহায়াপনা।

আমাদের মনমানসিকতা বাংলাদেশকেন্দ্রিক হওয়া জরুরি। শাকিব খান, ফেরদৌস, সালমান শাহ- আমাদের মাতামাতি এদের নিয়ে হতে হবে। আমাদের আলোচনায় বাংলাদেশের সিনেমা থাকতে হবে। তাহলেই শাহরুখ খান আর পেডোকোনকে দেখার জন্য দেশ জুড়ে হৈচৈ পড়ে যাবে না।

আপনার মূল বক্তব্যের সাথে একমত।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৬

মহাকাল333 বলেছেন: "আমাদের মনমানসিকতা বাংলাদেশকেন্দ্রিক হওয়া জরুরি। শাকিব খান, ফেরদৌস, সালমান শাহ- আমাদের মাতামাতি এদের নিয়ে হতে হবে। আমাদের আলোচনায় বাংলাদেশের সিনেমা থাকতে হবে। তাহলেই শাহরুখ খান আর পেডোকোনকে দেখার জন্য দেশ জুড়ে হৈচৈ পড়ে যাবে না" - দারুন বলেছেন।
বাংলাদেশের মানুষের আড্ডা আর আলোচনার মধ্যে থাকে বলিউডের নায়ক নায়িকারা এবং বিরক্তিকর ইনডিয়ান সিরিয়াল।আমরা সবসময় অভিযোগ করি আমাদের সিনেমার চিত্রনাট্য দুর্বল,ছেলেমানুষি অভিনয় আর কম বাজেট। অথচ দেশে একটা ভাল সিনেমা হলে আমরা সিনেমা হলে গিয়ে সেই সিনেমা দেখার প্রয়োজন পর্যন্ত বোধ করি না এবং সময় ও সুযোগ পেলেই বাংলা সিনেমার চোদ্দগুস্টি ধরে গালিগালাজ করি। এভাবে তো বাংলা সিনেমার উন্নয়ন সম্ভব নয়।আশা করি একদিন এ অবস্তার পরিবর্তন হবে এবং বলিউডের এ সব নীতি নৈতিকতাহীন স্টার এবং ইনডিয়ান সিরিয়াল বাদ দিয়ে আমরা বেশি বেশি বাংলা সিনেমা এবং নাটক দেখবো, দেশীয় সিনেমা ও স্টারদের অভিনয়ের প্রশংসা করব এবং গঠনমূলক সমালোচনা করবো।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল, প্রিয় ব্লগার।ভালো থাকুন নিরন্তর । শুভকামনা রইল।

১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৮

Bithi Chakraborty বলেছেন: আপনার বক্তব্য ভীষণভাবে সত্যি তা আমরা সবাই জানি |সবাই কিন্তু বাস্তবের সলমনকে
নিয়ে ভাবিত নয় | দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছে ওর অভিনীত বিভিন্ন চরিত্রগুলো ৷

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

মহাকাল333 বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল, ভালো থাকুন সবসময় । শুভকামনা রইল।

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

নভেল ডি ক্যাসনোভা বলেছেন: তথ্য বহুল। ভাল লেগেছে। :)

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৭

মহাকাল333 বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.