নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমৃতের সন্তানেরা

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৪



অপমানিত এক দ্বিকবিজয়ী সম্রাট। বিজিত সম্রাট আপমান, লজ্জা, বেদনায় মাথা নত করে বসে আছেন বিজয়ী বীরের সামনে। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্ব একছত্র সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু পরাজয়ের নীল ছোবল তাকে আঘাত হানে। সময়টা ১৯৯৬ সালের মে মাস। সম্রাটের নাম “গ্যারি কাসপরভ” আর বিজয়ী সম্রাটের নাম “ডীপার ব্লু” নামক এক কম্পুটার। আর প্রোগ্রাম টার নাম ছিল “জিনিয়াস-টু”।



অথচ ১৯৮৮ সালের গোড়ার দিকে প্যারিসে এক সাংবাদিক সন্মেলনে বিশ্বজয়ী ওই দাবা সম্রাট বেশ আত্মম্ভরী নিয়েই বলছিলেন “২০০০ সালের আগে কোন গ্রান্ডমাষ্টার কে কোন কম্প্যুটার হারাতে পারবে না, কম্প্যুটারের সাথে খেলতে যদি কোন গ্রান্ডমাষ্টারের অসুবিধা হয় তবে খুশি মনে তাকে চাল বলে দিতে প্রস্তুত।” কম্প্যুটারের কাছে কাসপারভের এই হার ছিল ভীষন লজ্জার কারন যিনি কিনা অন্যকে বুদ্ধি দেবেন তিনিই কিনা হেরে গেলেন।

অবশ্য এর বছর ঘোরার আগেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান খেতাবের আর এক দাবীদার গ্রান্ড মাষ্টার বেন্ট লারসেন হেরেছিলেন এক কম্প্যুটারের কাছে ক্যালিফোর্নিয়ার লং বীচে। এমন কোন আহামরি সে কম্প্যুটার ছিল না সেটা সেই ১৯৮৯ সালে। কারনেনি মিলান ইউনির্ভাসিটির চার ছাত্রের তৈরী এক সাধারন মানের যন্ত্র ছিল সেই “ডীপ থট” নামক কম্প্যুটারের।



এইসব দাবা খেলার কম্প্যুটারের পূর্বসুরী কিন্তু আজকে না সেই ১৭৬০ সালে ওলফগ্যাং ভন কেমপেলিন বানিয়েছিলেন “টার্ক”। টার্ক কিন্তু ছিল একটা পুতুল যার ছিল মস্ত গোফ আর বড় পাগড়ি মাথাওয়ালা যা কিনা পুতুল নাচিয়েদের মত আর একজন পর্দার পেছন থেকে তাকে নিয়ন্ত্রন করত। খুব সুক্ষ্ম দড়ি দিয়ে এই টার্ক কে চালনা করত একজন দক্ষ দাবাড়ু যার কারনে একটু দূর থেকেও বুজা যেত না ওটার হাত পা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে একজন দক্ষ বাজিকর বুদ্ধিমান দাবাড়ু দ্ধারা। আর এই টার্ক ভীষন খেপিয়ে দিয়েছিল আর এক মহা পরাক্রান্ত সম্রাট নেপোলিয়নকে কারন উনিশ চালেই সম্রাট কিস্তি মাত। আর জানেনই তো সম্রাটরা পরাজিত হতে পছন্দ করেনা

কৌশল নির্ধারন যদি হয় বুদ্ধির শ্রেষ্ঠ উপহার তবে দাবা খেলা তার চমৎকার নিদর্শন। সম্ভবতঃ এই জন্যই গ্যেটে এই খেলাকে বলছিলেন “বুদ্ধির কষ্ঠিপাথর”। নির্দিষ্ট একটা চালের পালটা চাল কত রকম হতে পারে, এবং তার মাঝে সেরা চাল দিয়ে প্রতিপক্ষকে বেকায়দায় ফেলে নিজের সুবিধা আদায় করার মাঝেই দাবার মুল আনন্দ। যে প্রতিপক্ষ যত বেশি চাল চিন্তা করে তার মাঝ থেকে সেরা চালটা বের করে নিতে পারে সেই সাফল্য লাভ করবে। অতএব দাবার সাফল্য যুক্তিনির্ভর চিন্তার শ্রেষ্ঠ উদাহরন।

তা যদি হয়, তবে চিন্তাশীল যন্ত্রের পৌছানোর শ্রেষ্ঠ উপায় দাবাড়ু কম্প্যুটার বানানো, কারন তা প্রমান করে দেবে যুক্তি নির্ভর পদক্ষেপ যন্ত্রের ক্ষমতাধীন। অবশ্য এই মত যে সবাই মানেন তা কিন্তু না। কারন দাবার চাল নাকি অগুনিত “হ্যা” “না” র বিশ্লেষানে (চাল পালটা চালের লাভ ক্ষতির বিচারের মানদন্ডে) যে কাজটা কম্প্যূটার করে চলছে সারাক্ষন। দাবাড়ু কম্প্যুটারের ক্ষেত্রে বাড়তি ব্যাপার নাকি এই টুকু যে সে “হ্যা” “না” বিচার করতে পারে অনেক দ্রুত। আবার অন্যেরা ভিন্নমত পোষন করেন, তারা মনে করেন চিন্তার বিশ্লেষানকেও “হ্যা” “না” র ফর্মুলায় ফেলা যায়। চিন্তাকে বাধা যায় একটা ফর্মুলায়।


বিট্রিশ গনিতবিদ অ্যালান টুরিং

আধুনিক যুগে দাবাড়ু কম্প্যুটারের ব্যাপারে প্রথম ভেবেছিলেন বিট্রিশ গনিতবিদ অ্যালান টুরিং। এরপর জন ভন নিউম্যান এবং নিউম্যানের চিন্তার সুত্র ধরে ক্লদ শ্যানন। ১৯৫০ সালে শ্যানন লিখেন “সমস্যাটি খতিয়ে দেখা উচিত এই কারনে যে এর মধ্যে দিয়ে বেড়োতে পারে নতুন কিছু টেকনিক যা আমাদের বাস্তবে অন্য ক্ষেত্রেও কাজে লাগতে পারে.......”


ফাদার অভ “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স” মারভিন মিনস্কি

এম আই টি বা ম্যাসাচ্যুটেসাস ইনষ্টিটিউট অভ টেকনোলজির বিজ্ঞানী মারভিন মিনস্কি ভাবে বুদ্ধি বা ইন্টেলিজেন্স মানুষের একার সম্পত্তি না, চেষ্টা করলে যত্ন করলে যন্ত্রকেও বানানো যাবে বুদ্ধিমান। সেই মাথা খাটিয়ে বুদ্ধি বানানোকে বলা যাবে “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স”। এই বিশ্বাসের মুলেও সেই যুক্তি। বুদ্ধি আসলে একটা ফর্মুলা হতে পারে তা কিছুটা জটিল কিন্তু আদতে ফর্মুলা আর তাই তা যন্ত্রও আয়ত্বে আনতে পারবে। ওদিকে এর বিরোধী পক্ষ বিজ্ঞানী রজার পেনরোজ আবার এটা মানতে নারাজ, তার মতে বুদ্ধি কেবল কোন যুক্তি নির্ভর কোন কৌশল না তার থেকেও বড় কিছু। যন্ত্র যতই হিসাবে পটু হোক না কেন আদতে কোন দিন সে প্রকৃত বুদ্ধিমান হতে পারবে না। বিষয়টি ব্যাখ্যার জন্য ১৯৮৯ সালে লিখলেন “দ্যা এমপ্রেরস নিউ মাইন্ড” এর ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালে লিখলেন “শ্যাডোজ অভ মাইন্ড”।


স্যার রজার পেনরোজ

পেনরোজ যতই বইপত্র লিখুক মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে যতই শ্রেষ্ঠতর সম্পদ বিবেচনা করে দিস্তায় দিস্তায় কাগজ লিখে বই বানাক আজকে এসে এটা সুনিশ্চিত বুদ্ধির ক্ষেত্রে মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের দিনের অবসান ঘটতে চলছে। এ যেন মানুষেরই নিজের হাতে নিজের বিবর্তন। “ডীপার ব্লু”র কাছে হেরে যাওয়া কাসপরভের লজ্জায় অবনত হওয়া যেন সে দিকেই নির্দেশ করে।



কোপার্নিকাস প্রাক যুগে মানুষের বিশ্বতত্ত্ব ছিল স্বর্গে আর মর্ত্যে, পৃথিবী ছিল ব্রাক্ষ্মান্ডের কেন্দ্রে, ডারউইন এসে পরের আঘাত হানল মানুষ কোন অনন্য সৃষ্টি না অন্যান্য পশুর সাথে আমাদের আসন একই বিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের এই পর্যন্ত আসা, ফ্রয়েড এসে মনোজগত নিয়ে তার তত্ত্বে বিলো দ্যা বেল্ট আঘাত করে একদম কুপোকাত করে দিলেন আমাদের। আমরা আমাদের প্রবৃত্তির মালিক না। যার কারনে আমরা পারি না নিজেদের নিয়ন্ত্রন নিতে সেই জন্যই পারি না অ্যানিম্যালিটি থেকে র‍্যাশনালিটিতে পৌছাতে। কেবল দেহ না তার মানে মনেও আমাদের আর পশুতে খুব একটা পার্থক্য নেই। তবে কি ঘুচে যাবে সব সীমারেখা মানুষ আর পশুতে? মানুষ আর মেশিনে? এম আই টির বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদ ব্রুস মাৎশালিস এসে মুছে দিলেন চতুর্থ সীমারেখা তার লেখা বই “দ্যা ফোর্থ ডিসকন্টিনিউটি” তে এই অধ্যাপক লিখলেন “এই পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব যন্ত্র হাতে। আবিস্কৃত ফসিলের পাশাপাশি মিলছে হাতিয়ার........। স্বল্প বুদ্ধির আদিম মানুষ থেকে আজকের বুদ্ধিমান মানুষ আবার আদিম মানুষের এই হাতিয়ারের আধুনিক সংস্করন তো যন্ত্র...... এই যন্ত্রের কারনেই বিরাট বিরাট পশুর তুলনায় কমশক্তি আর কমজোরি হবার পরো আমরা টিকে গেছি আর তারা হয়েছে বিলুপ্ত..... এখন আমরা যন্ত্র নির্ভর এক প্রানী।

মাৎশলিশের ভাষায় মানুষের মত যন্ত্রেও এসেছে বিভিন্ন প্রজন্ম দুই শ্রেনীর বিবর্তন যা তার ভাষায় “কো-ইভলুশান” ব্যাপারটা অনেকটা মানুষ ও পশুর মত যেখানে বিজ্ঞান সাংবাদিক ষ্টিফেন বুদিয়ানস্কি তার "দ্য কভেন্যান্ট অব দ্যা ওয়াইল্ড। হোয়াই এনিম্যাল চোজ ডোমেষ্টিক” বইতে দেখিয়েছেন মানুষের এই পশুকে পোষ মানানো বিবর্তনের এক ধারা। যন্ত্রের ক্ষেত্রেও মাৎশালিশ বলেছেন বিবর্তন এগিয়েছে পারস্পারিক হাত ধরে। আমরা যান্ত্রিক হয়েছি, হাতে, হৃদয়ে, মাথায়। প্রমান চান? মাৎশলিশ প্রমান দিয়েছেন আমাদের এখন চালনা করে ঘড়ি, উৎপাদনের যান্ত্রিক কৌশল এবং প্রতিদিনের জীবন যাপনে যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তায়। আজকে আপনি একটি মোবাইল বা কম্প্যুটার ছাড়া অচল। এক দিকে যন্ত্রের অবিশ্বাস্য অগ্রগতিতে ধরুন হালের জিন প্রযুক্তিতে বা ন্যানো টেকনোলজিতে মানুষ পরিনত হচ্ছে যন্ত্রে “মেকানাইজেশান অভ এ্যানিম্যাল” আবার যন্ত্রকে বুদ্ধিমান বানানোর জন্য দেখা যাচ্ছে যন্ত্রের মানবিকিরন “এ্যানিম্যালাইজেশান অভ মেশিনস”

যন্ত্রের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা যত বাড়বে ততই আমরা যান্ত্রিক হয়ে যাব। আস্তে আস্তে আবির্ভাব হবে “সাইবর্গ” সেখান থেকে আরো অগ্রসর হয়ে যন্ত্র মানব বা “রোবট”। জিন প্রযুক্তি যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, ন্যানো টেকনোলজি যেভাবে বিস্তার লাভ করছে তাতে বোধ হয় খুব বেশি দিন নেই আমাদের “যন্ত্রমানব” হতে অথবা “মানবযন্ত্রে”। কিন্তু শেষ কথা মস্তিস্ক বা বুদ্ধি, সেটার কি হবে? মিনস্কির ব্যাখ্যা যতই আমাদের যন্ত্রের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হোক না কেন, বুদ্ধি কিন্তু সে হারে বাড়ছে না। কিভাবে? আইনষ্টাইন কি নিউটন বা আর্কিমিডিসের থেকে বেশী মেধাবী? আর বেশী হলেও সেটা কি সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যন্ত্রিকতার অগ্রগতির তুলনায় একই গতিতে? আবার শেকসপিয়ার বা ইউরিপিডিসের থেকে কি খুব বেশী মেধাবী নাট্যকার আবির্ভুত হয়েছে? যদি জবাব চান তবে বলতে হয় “না”। অর্থ্যাৎ যন্ত্রের অগ্রগতি হচ্ছে জ্যামিতিক হারে কিন্তু আমাদের মেধা বা বুদ্ধি কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে আটকে গেছে বা খুব সামান্য এগিয়েছে। এই কারনে মিনস্কি বলছেন আমাদের উচিত আমাদের মস্তিস্ক নিয়ে গবেষনা করে এর কার্যকারিতা বাড়ানো, না হলে যন্ত্র মানুষের সাথে প্রতিযগিতায় আমরা টিকব না।



প্রচন্ড ক্ষমতাবান বুদ্ধিমান যন্ত্রমানবেরা কি আসবে কোন দিন? মিনস্কির ধারনা আসবে আর পেনরোজের ধারনা আসবে না। মানুষের মস্তিস্কে ৬০০০ অংশ আছে। বিজ্ঞানীরা খুজে পেয়েছেন তাদের বিভিন্ন দায়িত্বই দক্ষতার চাবিকাঠি, ওই বিশেষ অংশ গুলোর একটা নষ্ট হয়ে গেলে একেক রকমের ক্ষতি যেমন কোনটা খারাপ হয়ে গেলে জীবজন্তুর নাম মনে থাকবে না, কোনটা খারাপ হয়ে গেলে বড় কোন পরিকল্পনা করা যাবে না, কোনটা খারাপ হয়ে গেলে বাজে কথা বেশি বলবে, কোনটা খারাপ হলে কেউ কেউ অহেতুক আগ বাড়িয়ে মানুষের সাথে ঝগড়া করবে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে এক অংশ নষ্ট হলেও মগজের কাজ কিন্তু বন্ধ হবে না। কিন্তু কম্পিউটারের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটার বড় অভাব একটা অংশ নষ্ট হলে পুরো কম্প্যুটারই অকেজো, এজন্যই বিজ্ঞানীরা কেউ কেউ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অস্বীকার করে। এই অবজ্ঞাই মিনস্কির মতে “ফিজিক্স এনভি”। কিন্তু সেটা কতদিন? কোন দিন যদি কম্প্যুটারের কোন প্রোগ্রাম নিজে নিজে নিজের খারাপ অংশ টাকে রিপেয়ার করতে পারে তবে সেদিন কি হবে?

“বোঝা” কাকে বলে? মিনস্কির নতুন বই “দ্যা সোসাইটি অভ মাইন্ড” এ লিখছেন “আপনি যদি কোন কিছু এক ভাবে বুঝেন তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি আদৌ কিছু বুজেন নি। কেননা সেক্ষেত্রে কোন কিছু ভুল দিকে গড়ালে আপনি আটকে পড়বেন......... চিন্তাশক্তির বিভিন্ন দিক অনুমান করে ভাবনা কে...... একটায় কাজ না হলে অন্যটায়...... এটাকেই আমরা বলি চিন্তাশক্তি।” আপাতত মিনস্কিদের মত মানুষদের বিশ্বাস যেদিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এই রকম ভাবনার অধিকারী হবে সেদিন দূর হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সীমাবদ্ধতা। ফলাফল? মানুষের বিবর্তন। মানুষ থেকে মেশিন। আমাদের উত্তারাধিকারী হবে মেশিন মানবরা। সেক্ষেত্রে মেশিন মানবদের প্রচন্ড বুদ্ধিমত্তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য হয়ত কোন এক জনের একক মস্তিস্কে কাজ হবে না, সুপার কম্পিউটারের মত অগুনিত কম্পিউটারকে এক করার মত সমগ্র মানুষজাতির মস্তিস্ককে হয়ত এক হতে হবে কোন এক উপায়ে তবে সেক্ষেত্রেও বিবর্তন কিন্তু হবে মানুষের অঙ্গ প্রতঙ্গে কারন হাত পা বা শরীরের অনেকাংশের কাজই তখন ইনভ্যালিড হয়ে যাবে। সুপার কম্প্যুটারের মত সুপার ব্রেইন অথবা মেশিন মানবদের মাঝে কি হারিয়ে যাবে আমাদের মানব জাতি? তবে কি মেশিন মানুষরাই আমাদের বিবর্তনের শেষ ধাপ? আমি জানি না। তবে আশার কথা, আপনাকে আমাকে তত দিন বেচে থাকতে যে হবে না তা নিশ্চিত।

Bertrand Russell তার Conquest of Happiness বইতে লিখেছেন ইংল্যান্ডে Industrial Revolution হবার পর মানুষের উদ্ভাবিত যন্ত্র সাধারন এক ঘেয়ে কাজের ভার নেবে আর মানুষ তত নিজেকে মানবিক কাজে নিয়োজিত করবে “To do the human Things” কিন্তু এখন কি হল? মানুষ তো কায়িক শ্রম বিসর্জন তো দিলই মানুষ জন্মের সব থেকে বড় সার্থকতা, নিজের সন্তান এর মুখ নিজ স্ত্রীর গর্ভ থেকে বের হয়ে আসার পর প্রথম দর্শন, বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় নাকি আগামী ৩০ বছর সেটাও থাকবে না।

নিজের মস্তিস্ক ও মানুষ আজকে কম্প্যুটার নামক যন্ত্রের কাছে ইজারা দিয়ে দিল। সারা বিশ্ব এখন কম্পুটার সুপার কম্প্যুটারের জয় জয়কার। সেদিন আর বেশী দূরে নাই যেদিন মানুষ বুজতে পারবে আমাদের এই সব আবিস্কার আমাদের উন্নতির দিকে না নিয়ে ব্যাক টু দ্যা ফিউচার এ আমাদের আদিম গুহা মানবের যুগে ফেরত নিচ্ছে। যা কিছু মানুষ নিজে গড়ে তুলছে সাহিত্য চিত্রকলা সঙ্গীত সব আজকে কম্পুটার এর হাতে সপে দিয়ে আমরা আমাদের মেধা মনন কে কি নির্লজতায় অস্বীকার করছি কেউ কি ভাবছ?

সবাই ভাবছে ভবিষ্যত উজ্জ্বল কারন দিন দিন নিত্য হরেক পন্য আবিস্কার আমাদের চোখ ধাধিয়ে দিচ্ছে। মানুষ্যত্বের মরন আর্তনাদ কেউ শুনতে পাচ্ছে না।

গত কিছুদিন যাবত মাঝে মাঝে এইসব বৈজ্ঞানিক লেখা পড়তে গিয়ে আজকের এই নিবন্ধ লিখতে গিয়ে হঠাৎ করে মনে পড়ল কিছু দিন আগে একটা বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী লিখছিলাম আসলেই কি সেটা কল্প কাহিনী হয়ে থাকবে? না সত্যও হতে পারে? সময় থাকলে দেখুন নিকট ভবিষ্যতে

ভালো থাকুন মানব জাতি। অমৃতের সন্তানরা যেভাবেই থাকুক না কেন।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে কিন্তু আমারে বিপদে ফালাইতাছেন। এত্তো এত্তো লেখা জমছে, পড়ি নাই। তার মধ্যে আরেকটা দিছেন। হাল্কা পড়লাম আর এইটাও জমাইলাম। :)

দাবা আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা। একসময়ে ঢাকায় মহনগরী দাবা লীগে খেলছিও। পুরানো দিনের কথা মনে করায়া দিলেন।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২২

শের শায়রী বলেছেন: কি করুম কন, আকামে বইসা আছি তাই খলি মোন চায় লিখি :) আর কন কি আপনি লীগেও লেখছেন! প্রাউড অভ ইউ "সেম প্রজাতি"

২| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কি নিয়ে আপনি লিখতে চেয়েছিলেন, মানুষের ভাবনাশক্তি ও লব্ধজ্ঞানের ক্রমবর্ধমান পরিধি বিস্তারের কথা, কম্প্যুটারের সিপিইউ'র বিবর্তনের কথা, আর্টিফিশিয়েল ইন্টেলিজেন্সের কথা, ডাটা সায়েন্ষের কথা, নাকি সায়েন্স ও টেকনোলোজির বিবর্তনের কথা? সব আছে, কোনটা সঠিভাবে নেই!

০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী আপনি আমার একটা পোষ্ট পইড়াও কি বুজছেন? সাত বছর পর আইসা গত চাইর মাসে প্রায় ৭৫ টা পোষ্ট দিছি প্রতিটা আপনার কমেন্ট আছে কিন্তু কোনটাই আপনি বুজেন নাই আমি কি লিখছি, সে বিজ্ঞান, ধর্ম, ইতিহাস বা যাই লিখি না কেন।

উপসংহারঃ আমার কোন পোষ্ট বুঝার মত জ্ঞান আপনার নাই, যেহেতু আমার পোষ্ট আমেরিকান নিউজ পেপারে ছাপা হয় না, আর আপনার এক মাত্র যোগ্যতা আমেরিকান নিউজ পেপারের বাংলায় অনুবাদ করে ব্লগে দেয়া। :P

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৩৪

যারীন তাসনীম আরিশা বলেছেন: লেখা অনেক বড় হয়েছে। এতো বড় লেখা কেউ পড়তে চায়না।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যে। প্রথমতঃ আমি ততক্ষন একটা ব্লগ লিখি যতক্ষন নিজেকে স্যাটিসফাইড না করে, সেক্ষেত্রে বড় বা ছোট লেখা আমার কাছে মুখ্য বা গৌন কোন বিষয় না। মজার ব্যাপার কি জানেন? আমার লেখা আমিই পড়ি, তারপর যদি একজনও পড়ে সেটাই আমার অনেক বড় পাওয়া, তবে আপনি যদি আমার পোষ্টগুলোর ভিউ দেখেন সেক্ষেত্রে এইটুকু বলতে পারি আপনি হয়ত ভুল ধারনায় আছেন। অনেকেই পড়ে। যারা পড়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আর ছোট লেখার জন্য তো ফেসবুক আছেই :) ব্লগ মানেই যথাযথ বিস্তারিত ভাবে তুলে আনা, সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মত কেউ যদি ব্লগ ব্যাবহার করে তারা আসলে ব্লগিং করে না, "ফেসবুক ব্লগিং" করে বলেই আমার ধারনা। আবারো আপনাকে ধন্যবাদ

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি ভালো লাগলো।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: অনেক কঠিন বিষয় নিয়ে লিখেছে। তবে-
১। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্রমাগত বিকাশ হবেই আর সেটার উন্নততর অবস্থা আসবেই।
২। মানুষও কিন্তু তার বুদ্ধিমত্তার খুব কম অংশই এখনও ব্যবহার করতে জানে।
খেলা চলবে কিন্তু-

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৮

শের শায়রী বলেছেন: নীল ভাই, মানুষের বুদ্ধিমত্তার উৎকর্ষ হবার সম্ভাবনা খুব কম, যাদের দ্ধারা হবে তারা নিজেদের ব্রেইনকে মোডিফাইড করে নিজেকে যন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে অনেক টা সাইবর্গ টাইপের কিছু একটা। মানুষের বিবর্তন মানুষ নিজে করছে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজের মনুষত্ব বিসর্জন দিয়ে।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৯

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শ্রুতিমধুর লেখা ।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৯

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

নিভৃতা বলেছেন: আমার স্বল্প বুদ্ধিতে যা বুঝি তা হলো যন্ত্রের যুগটা আসলেই খুব খারাপ। যন্ত্রের যুগ আমাদেরকেও যন্ত্রে পরিণত করেছে। আবেগ অনুভূতি ভালোবাসা এখন বড়ই বিরল। আবেগ অনুভূতি ভালোবাসাগুলো এখন বড্ড বেশি মেকি।

দাবা খেলা আমার প্রিয় একটা খেলা। যদিও অত ভালো খেলতে পারি না। একটা সময় ছিল, আব্বার সাথে প্রতিদিন দাবা খেলতাম এবং প্রতিদিনই হারতাম। সেই দিন এখন হারায়ে গেছে।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই।

০৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: বোন আমার জন্ম হয়েছে এক ট্রানজিট সময়ে এক দিকে যন্ত্রহীন জীবন দেখছি আর এক দিকে এখন দেখছি যান্ত্রিক জীবনের তুমুল গতিতে ধেয়ে আসা। দুটোর পার্থক্য খুব ভালো ভাবে অনুধাবন করতে পারি। যান্ত্রিক জীবন যে আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা এই প্রজন্ম উপলদ্ধিই করতে পারবে না কারন এরা জানেই না অযান্ত্রিক জীবনের সৌন্দর্য্য।

ভালো থাকুন প্রিয় বোন।

৯| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

নতুন বলেছেন: মানুষ ক্রিয়েটিভ কাজগুলি ভালো করতে পারবে কিন্তু যন্ত্র গতি এবং রিপিটেটিভ কাজগুলি ভালো করতে পারবে।

মানুষ অবশ্যই যন্ত্রের সাথে নিজেকে যুক্ত করে একটা সময় তখন বিষয়গুলি অন্য রকমের একটা ব্যাপার হবে।

এআই অনেক এগিয়ে যাবে এবং অনেক কিছুতেই মানুষ এআই ব্যবহার করবে।

০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৮

শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই আপনি লিখছেন এআই অনেক এগিয়ে যাবে এবং অনেক কিছুতেই মানুষ এআই ব্যবহার করবে। এই এগিয়ে যেতে যেতে নিজেকে বাচার আকাঙ্খায় মানুষ হয়ত একদিন যন্ত্রে লীন হয়ে যাবে, তবে সেখানে মনুষ্যত্ব কতটা থাকবে সেটাই প্রশ্ন।

১০| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ম্যা'ভাই ভুই পাই

সাইফাই ছবির মতো মানব সভ্যতা না আবার যান্ত্রের কাছে বন্দী হয়ে যায়!

+++++

০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৫

শের শায়রী বলেছেন: ম্যা'ভাই বড় বড় অনেক বিজ্ঞানীরা তো তাই বলতাছে! তয় আল্লাহ বাচাইছে তত দিন আপনি আমি কেউ থাকুম এই দুর্দশা দেখার জন্য :)

১১| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

করুণাধারা বলেছেন: শেষে দেয়া দুটো লিঙ্ক ধরে পড়ে আসলাম, ভালোই লাগলো। আপনার নিকট ভবিষ্যৎ শুরু হয়েছে ১০৩ বছর পর, আমার মনে হয় আগামী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে হার্টে যেমন পেস মেকার লাগায় তেমনি ব্রেনের সাথেও ছোট একটা চীপ লাগিয়ে মানুষ ফোন, টিভি, সার্চ ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত হবে...

ভালো লাগলো ভবিষ্যৎ দুনিয়ায় এ আইর প্রভাব কী হতে পারে তা জেনে। শুনেছি এ আইর উন্নতির সাথে সাথে অনেক প্রানঘাতী রোগের চিকিৎসা সহজলভ্য হবে, একসময় মানুষের আয়ু হবে হাজার বছর, এ আই দেবে অমৃতের সন্ধান!! সেই ভবিষ্যৎ মানবকে অমৃতের সন্তান বলা যেতেই পারে।

০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫০

শের শায়রী বলেছেন: কিন্তু বোন অমৃতের সন্তানরা কি আসলে মানুষ থাকবে? নাকি বিবর্তিত অন্য কোন রূপ যা যতটা না মানুষ তার থেকে বেশী হবে যন্ত্রমানুষ?

১২| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৩

সোহানী বলেছেন: এইবার একটু সময় নিয়া পড়লাম কারন আফনে আমারে নিয়া বহুত বিপদের মইধ্যে আছেন B-)) .....হাহাহাহা

সব কিছুর মতো আমার একটা নিজস্ব ব্যাখা আছে। যেমন, যন্ত্রের উন্নতি হচ্ছে সেটা অবশ্যই ঠিক। তার ছাড়া কোন কিছু ছাড়া মূহুর্তেই আপনি পৈাছে যাচ্ছেন যেকোন কারো কাছে। আধুনিক স্মার্ট ফোন থেকে শুরু করে সুপার কম্পিউটার......। কিন্তু সে সবতো বের হয়েছে মানুষের মন্তিস্ক থেকে। তার মানে আমাদের জ্ঞান বুদ্ধি নিউটন আইনাস্টাইন পর্যায়ে পড়ে থাকেনি। আমরা আমাদের ব্রেন সেলগুলোকে ভালোই ইউটিলাইজ করছি। তাদের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আমরা সুপার কম্পিউটার পর্যায়ে পৈাছে গেছি। কিন্তু প্রশ্ন, আগে যেমন ঘরে ঘরে বিজ্ঞানী তৈরী হতো তাহলে এখন কেন দেখা যায় না। এইখানেই হলো কথা..., আমাদের আধুনিক সমাজ আধুনিক আবিস্কার আমাদেরকে ভোগী পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। কষ্ট করার হাত থেকে বাচাঁয়ে দিচ্ছে। আর যার কারনে আমরা অলস হয়ে যাচ্ছি দিরে পর দিন। ব্রেন সেলকে ও অলস বানাচ্ছি আস্তে আস্তে করে।

এবার আসি আসল কথায়, এসব বুঝতে পেরেই উন্নত দেশ বিভিন্ন প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে কিভাবে বাচ্চাদেরকে ব্রেন সেল ইউজ করার কাজে লাগানো যায়। ওরা প্রতি বছর গ্রেড টু থেকে শুরু করে প্রতি ক্লাসে প্রতিটা স্কুলে যেয়ে প্রতিটা বাচ্চার পরীক্ষা নেয়। যারা এ পরীক্ষায় টিকে যায় ওদেরকে আলাদা স্কুলে পাঠিয়ে দেয়। এবং মজার ব্যাপার এখানে বাচ্চাদের স্কুলে কম্পিউটার গেইম একটা কমন ব্যাপার কিন্তু সে সব স্কুলে সম্পূর্ন নিষেধ এবং কারিকুলাম ও ভিন্ন।

ওরা এসব জানে বলেই বাচ্চাদেরকে আলাদা করে ফেলে প্রথম থেকে। বাকিগুলারে গার্বেজ হিসেবেই রাখে.......হাহাহা। আর আমরা দেশে বাচ্চাদেরকে প্রথমেই হার্বেজে ফেলে রাখি্ সেখান থেকে কখনই উঠাই না :((

০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:১৮

শের শায়রী বলেছেন: বোন এইবার তাহলে আসি আসল কথায় ওই যে উন্নত দেশে বুদ্ধিমান বাচ্চাগুলোকে আলাদা করে নেয়া হচ্ছে খুব সম্ভবত এদের কে "মেনসা" বলা হয়। এই সব বুদ্ধিমান বাচ্চাদের আলাদা করে এরা কিন্তু এ আই বা তার থেকে অধিক কিছু বানাবে। আজ না হোক এক সময় মানুষ আরো দীর্ঘ জীবন পাওয়ার লোভে হলেও যন্ত্রকে আত্মীভুত করে নেবে, সেটা যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে তখন মানুষ কি আর মানুষ থাকবে? এটা অবশ্যই আজ কাল কের ব্যাপার না হয়ত দু এক শত বছর পর ঘটবে। তবে ঘটবে এটা নিশ্চিত যেভাবে বিজ্ঞান এগিয়ে যাচ্ছে।

মনুষ্যত্বহীন বিজ্ঞান চাই না। আমি এই নশ্বর জীবনের আনন্দ, বেদনা, কষ্ট নিয়েই সুখী :)

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

সোহানী বলেছেন: ঠিক তা নয়। সেসব বাচ্চারাই ভবিষ্যতের দেশের হাল ধরে। কারন তাদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলে যাতে তারা যেকোন কম্পিটেশানে টিকে যায়।

আমি এ ব্যবস্থাকে সাপোর্ট দেই বলতে গেলে। কারন, যারা বুদ্ধিমান তারাই দেশ চালাবে। অযথা গোবড় মাথার পিছনে কেন অর্থ ঢালবে!!!!! এদেরকে দিয়ে লেবারের কাজ করাবে। সবাইকে আমাদের দেশের মতো শিক্ষিত বানালে সব শিক্ষিত বেকারে ভরে যাবে, আর অশিক্ষিতরা ক্ষমতায় বসে থাকবে।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

শের শায়রী বলেছেন: আমাদের দেশে এই ব্যাবস্থা চালু করতে গেলে রায়ট লেগে যাবে B-) ক্লাশ টুতে পড়ুয়া বাচ্চাদের সব বাবা মা মনে করে তার ছেলে মেয়ে আইনষ্টাইন বা মাদাম কুরি হবে। এছাড়া যারা এই পরীক্ষা নেবে তারা তো নিজেদের সন্তান ছাড়া অন্যদের সন্তানদের দিকে ফিরে তাকাবার সুযোগ পাবে না তাতে যদি সেটা প্রতিবন্ধীও হয়। আমাদের এত মানুষ, এত বাচ্চা! ওই সিষ্টেম আমাদের লাগবে না, তার থেকে আমাদের দেশের ৯৫% জিপিএ ৫ পাক তাও ভালো :P

১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৮

করুণাধারা বলেছেন: অমৃতের সন্তানরা কি আসলে মানুষ থাকবে? নাকি বিবর্তিত অন্য কোন রূপ যা যতটা না মানুষ তার থেকে বেশী হবে যন্ত্রমানুষ?
আমার মনে হয় অনেকটাই যন্ত্র মানুষ হয়ে যাবে। অনেকদিন আগে টিভিতে দেখতাম, Bionic woman, যার কান ছিল যান্ত্রিক আর Six million dollar man যার পা ছিল যান্ত্রিক। দেখার জন্য তো আর থাকব না।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

শের শায়রী বলেছেন: মিলে গেছে বোন, আমার ধারনার সাথে তবে বায়োনিক উম্যান বা সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যানের থেকে অনেক বেশী সফিস্টিকেটেড হবে তারা সেক্ষেত্রে কতটুকু তাদের মানুষ বলা যাবে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে!

তবে আশার কথা ওইটাই এদের দেখার জন্য আমরা কেউ থাকব না, থাকতে চাইও না।

১৫| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

হাসান রাজু বলেছেন: কাকু'রে বেশি পচাইয়া ফেলছেন । :P

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০১

শের শায়রী বলেছেন: এইডা কি কইলেন হাসান ভাই! কালো রং কে কি আরো কালো বানান যায়? সাদাকে কি আরো সাদা বানান যায়? আগুনকে কে কি আগুন দিয়ে জ্বালানো যায়? ;) ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.