নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিম্যান হাইপোথিসিস পুরস্কার এক মিলিয়ন ডলার মাত্র

১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৪


ডেভিড হিলবার্ট

১৯০০ সালের আগষ্টে প্যারিসে ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অভ ম্যাথমেটিশিয়ানে মুলবক্তা হিসাবে ডেভিড হিলবার্ট তার বক্তৃতায় ২৩টি ধাঁধার এক তালিকা দিলেন, তার জীবদ্দশাতেই এই তেইশটি ধাঁধার অধিকাংশ সমাধান হয় একটা সমাধান হয় তার মৃত্যুর পর ১৯৯৩ সালে যা সবাই ফার্মা’স লাষ্ট থিওরম নামে জানেন। শুধু বাকী থাকে একটি ধাঁধা যেটাকে হিলবার্ট তার ধাঁধার তালিকায় আট নাম্বারের রেখেছিল যার পোষাকি নাম রিম্যান হাইপোথিসিস। এর ১০০ বছর পর। ২০০০ সালে সেই প্যারিসেই আবারো এক হন দুনিয়ার সেরা গনিতজ্ঞরা উদ্যোক্তা আমেরিকার ক্লে ম্যাথমেটিকস ইন্সটিটিউট, যার পরামর্শক কমিটিতে ছিলেন ফার্মা’স লাষ্ট থিওরোমের সমাধানদাতা এ্যান্ড্রু উইলস।


জর্জ ফ্রেডারিখ বার্নার্ড রিম্যান

গনিতের সব শাখা নিয়ে সাতটি সেরা প্রবলেম বাছাই করা হয়, ২০০০ সালের ২৪শে মে মহা ধুমধামের সাথে শত খানেক টিভি ক্যামেরার সামনে সেই সাতটি প্রবলেম পেশ করা হয়, যার একটি নামও দেয়া হয় “মিলেনিয়াম প্রবলেম” দেখুন ক্লে ম্যাথমেটিকস ইন্সটিটিউট এর ওয়েব সাইটে মিলেনিয়াম প্রবলেম (Millennium Problems )। হিলবার্টের সেই ২৩ টি ধাঁধা থেকে মাত্র একটি আনসলভ ধাঁধা এখানে স্থান পায় নিজ গুনেই কারন ওই একটি ধাঁধা আজ পর্যন্ত কেউ সমাধান করতে পারে নি। ২০০০ সালে প্রস্তাবিত সাতটি ধাঁধার সমাধানে যে কেউ পাবেন ১ মিলিয়ন ডলার করে। তো আজকে চলুন সেই বিখ্যাত রিম্যান হাইপোথিসিস নিয়ে জেনে আসি। প্রবলেম টা কিন্তু খুব একটা কঠিন না, কঠিন যেটুকু....... সেটুকু পোষ্টের শেষে আপনাকে সমাধান করতে হবে এবং সেক্ষেত্রে ১ মিলিয়ন ডলার নগদ প্রাপ্তি। আপাতত চলুন এই রিম্যান হাইপোথিসিসটা কি জেনে নেই। তার আগে -

১৭৪০ সালে লিওনার্ড অয়েলার গনিতের একটা ফাংশান নিয়ে কাজ শুরু করেন। ব্যাপারটার পোষাকি নাম “জিটা ফাংশান”। ভয় পাবার কিছুই নাই এটা স্রেফ একটা নাম আসলে পানির মত সোজা। জিটা ফাংশান হল – (আমি দুঃখিত এই খানে কিভাবে গনিতের এই সংখ্যাগুলো টাইপ করে লিখতে হয় আমি জানি না তাই হাতে লিখে ছবি আকারে ইনসার্ট করে দিলাম।)



এই যে ফর্মুলা, যা চলছে অসীমের দিকে মানে যোগফল এসেছে ওই নিয়মের পর পর সংখ্যা এসে, আয়েলার ভাবছিলেন এই সিরিজে অসীম সংখ্যার যোগফল কি হবে, ভাবতে গিয়ে আর একটা অদ্ভুত সম্পর্ক আবিস্কার করেন (আবারো দুঃখিত গনিতের এই সংখ্যাগুলো টাইপ করে কিভাবে লিখতে হয় আমি জানি না তাই হাতে লিখে ছবি আকারে ইনসার্ট করে দিলাম।)



এক অদ্ভুত সম্পর্ক কতগুলো জিনিসের যোগফল হয়ে যাচ্ছে অন্য কিছু জিনিসের গুনফল। সব আবার নিয়ম মেনে। যোগফল গুলো হয়ে যাচ্ছে অন্য কিছু সংখ্যার গুনফল। যোগফলের সংখ্যাগুলো ১,২,৩,৪,৫,৬…… সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে গড়া আর এর সমান সমান অন্য দিকে যে সংখ্যাগুলো আসছে সেগুলো কিছু সংখ্যার গুনফল ২,৩,৫,৭,১১……. যা কিনা মৌলিক সংখ্যা। ভারী অদ্ভুত এক ব্যাপার।

পেছনের দিকের একটু কথা বলে নেই, মৌলিক সংখ্যা নিয়ে কারো কোন ধারনা থাকলে সে জানেন এই মৌলিক সংখ্যা যেমন ২,৩,৫,৭,১১,১৩……… নিয়ে গবেষনার শেষ নাই। সব থেকে বড় মৌলিক সংখ্যা কোনটি? এক থেকে এক লাখের মাঝে কয়টি মৌলিক সংখ্যা থাকতে পারে? সংখ্যারাশির মধ্যে মৌলিক সংখ্যার কি কোন নিয়ম আছে? আজ পর্যন্ত এ রকম অসংখ্য প্রশ্নের জবাব গনিতজ্ঞরা দিতে পারে নি। তাই মৌলিক সংখ্যা একটা রহস্য হয়ে এখনো অনেক কিছু অধরা হয়ে আছে এই আধুনিক সুপার কম্প্যুটারের যুগেও। এ যেন গনিত ফ্যামিলির উচ্ছৃঙ্খল ছেলে যে কিনা ধরা বাধা নিয়মের মাঝে থাকতে অভ্যস্থ না।

তো অয়েলার জিটা ফাংশানের মাধ্যমে আপাত উচ্ছৃঙ্খল মৌলিক রাশির মাধ্যমে একটা সুপ্ত নিয়মের দেখা পেলেন। এটাই অয়েলারের জিটা ফাংশান। এই পর্যায়ে নাটকে আবির্ভাব জর্জ ফ্রেডারিখ বার্নার্ড রিম্যানের। জার্মান এই গনিতজ্ঞের জন্ম ১৮২৬ সালে হ্যানোভারের ব্রেসলেনৎজ শহরে। ছয় ভাই বোনের মাঝে রিম্যান ছোট বেলা থেকেই কিছুটা লাজুক। রিম্যান কোন দিন স্কুল কলেজে মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত ছিলেন না। লাতিন গ্রামারও যেমন বুজতেন না তেমনি নিজ মাতৃভাষা জার্মানেও ছিলেন অপটু। ছত্রিশ বছর বয়সে নিজ বোনের বান্ধবী এলিস কখ কে বিয়ে করেন। ১৮৬৬ সালে মারা যান এই গনিতজ্ঞ বয়স তখন মাত্র ৪০। এই স্বল্পায়ু সময়ের মধ্যে একটা বিষয়েই তি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন সেটা হল গনিত। ১৮৫৯ সালে মাত্র দশ পৃষ্ঠার একটি পেপার লিখেন “উবের ডাই আনঝালে ডার প্রিমঝালেন উনটের ইনের গেগবেনেন গ্রসে” বাংলায় মানে দাড়ায় “নির্দিষ্ট মানের কম মৌলিক সংখ্যা” রিম্যান হাইপোথিসের জন্ম ওই পেপার থেকেই।

রিম্যান অয়েলারের জিটা ফাংশানে x এর জায়গায় পূর্ন সংখ্যার বদলে “জটিল সংখ্যা” বসিয়ে ফাংশানটার মান বের করার চেষ্টা করেন। এখানে আবার গনিতে “জটিল সংখ্যা” কথাটির একটু ব্যাখ্যা দিতে হয় না হলে অনেকেরই প্রশ্ন থেকে যাবে।

ইতালির ইঞ্জিনিয়ার রাফায়েল বামবিনো ষোড়শ শতাব্দীতে অনেক কাজ করেন ঋনাত্মক সংখ্যার বর্গমুল নিয়ে। যেমন ১ এর বর্গমুল হল “+১” এবং “-১” কারন

+১ X +১ = ১
-১ X -১ = ১

কিন্তু -১ এর বর্গমুল কত? √(-১) ? বলা অসম্ভব। কিন্তু বমবেলি দেখলেন গনিতের বিভিন্ন হিসাব নিকাষে এই অবাস্তব জিনিসটা বার বার উকি দিচ্ছে, এবং ওটার অস্তিত্ব অস্বীকার করলে অনেক হিসাবই করা সম্ভব না। তাই তিনি গননার সুবিধার্থে √(-১) কে ওভাবেই রেখে দিলেন, মান যাই হোক না কেন। বাস্তবে এই √(-১) এর অস্তিত্ব অসম্ভব। তাই বমবেলি এর নাম দিলেন “ইমাজিনারি নাম্বার” বাংলায় যাকে বলে “অবাস্তব সংখ্যা” এর সাংকেতিক চিহ্ন ইংরেজী ছোট হাতের “আই” (i) যেমন ২i, ৩i, ৪i, ৫i মানে হল ২√(-১) , ৩ √(-১), ৪√(-১), ৫√(-১) এখানে একটা ব্যাপার বলে রাখা ভাল, এই অবাস্তব সংখ্যা যতই অবাস্তব হোক না কেন বাস্তব জীবনে কিন্তু এর গুরুত্ব অপরিসীম এ্যারোনোটিকস থেকে শুরু করে সেল ফোন সব জায়গায় এই অবাস্তব সংখ্যা ছাড়া অচল। জটিল সংখ্যা হল বাস্তব এবং অবাস্তব সংখ্যার মিশ্রন। তাদের চরিত্র আলাদা তাই তারা মিশে এক হয়ে যেতে পারে না। থাকে পাশাপাশি। যেমন (২+৩i), (৭+১১i), (১৭+২৩i)..... এক কথায় (a+bi); a এবং b এর মান যা খুশী তাই হতে পারে।

অয়েলারের জিটা ফাংশানে এ x এর জায়গায় জটিল সংখ্যা বসিয়ে রিম্যান যা পেলেন তা অনেকটা নিম্নরূপঃ



এটাকেই বলে “রিম্যান জিটা ফাংশান” রিম্যান একাধিক জটিল সংখ্যা ওই ফাংশানে বসিয়ে তার মান বের করেন, আর তাতেই লক্ষ্য করেন এই আজব ব্যাপার। জটিল সংখ্যা a+bi এর মধ্যে যদি a এর মান ½ হয় অর্থ্যাৎ সংখ্যাটি যদি ১/২ + bi (b এর মান যা খুশী তাই) তাহলে রিম্যান পরীক্ষা করে দেখলেন ফাংশানটির মান শুন্য “০” হয়। রিম্যান বেশ অবাকই হলেন। রিম্যান অনুমান করলেন (১/২ + bi) এই চেহারার সব জটিল সংখ্যা ব্যাবহার করলে মান শুন্য। b মান যা খুশী তাই বসান সেটা পূর্ন সংখ্যা হতে পারে (১,২,৩,৪…..) অথবা ভগ্নাংশ হতে পারে (২/৫, ৭/১১, ১৯/২০, ৫০১৩/৫৫২৯…..) তো এই সংখ্যার শেষ নাই। সংখ্যা সব অগন্য। তাই [(১/২) + bi)] চেহারার জটিল সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। তো সব ক্ষেত্রেই এই রিম্যান জিটা ফাংশানের মান শুন্য? হ্যা সব ক্ষেত্রেই এই ফাংশানের মান শুন্য।

রিম্যান এই ফাংশানে জটিল সংখ্যা বসিয়ে সবার মান পেলেন শুন্য। রিম্যান তো মান বের করেই খালাস, কিন্তু কেন এই মান শুন্য হবে তা কিন্তু বুজতে পারলেন না তার এক সহকর্মীকে কার্ল ওয়াইয়ারষ্ট্রস কে চিঠি লিখলেনঃ " জটিল সংখ্যার মান [(১/২) + bi)] চেহারার হলে জিটা ফাংশানের মান হবে শুন্য, তবে এর একটা নিশ্চিদ্র প্রমান অবশ্যই কাম্য। ইতিমধ্যে একটু এদিক ওদিক ব্যার্থ চেষ্টা করার পর তেমন প্রমানে পৌছানোর কাজটা আমি সাময়িকভাবে সরিয়ে রেখেছি। কারন আমার গবেষনার পরবর্তী বিষয় ছিল অন্য দিকে।”

বন্ধুকে লেখা এই চিঠির মুল মন্তব্য থেকে জন্ম নিয়েছে রিম্যান হাইপোথিসিস। যার মুল কথাঃ [(১/২) + bi)] চেহারার সমস্ত জটিল নাম্বারের ক্ষেত্রে জিটা ফাংশানের মান শুন্য। এটাই রিমানের অনুমান বা হাইপোথিসিস। রিম্যান বা তারপর আজ পর্যন্ত কেউ যুক্তি দিয়ে বা অংক কষে দেখাতে পারেনি কেন এই জিটা ফাংশানের মান শুন্য হবে? আর হয়নি বলেই রিম্যান হাইপোথিসিস আজ পর্যন্ত অংকের ইতিহাসে “মোষ্ট ওয়ান্টেড”। এ যেন অনেকটা ফার্মা’স লাষ্ট থিওরম বা এফ এল টির মত (দেখুন পিথাগোরিয়ান ট্রিপল এবং ফার্মার লাষ্ট থিওরম সাড়ে তিন শতাব্দীর রহস্যর সমাধান )। এর আগে আমার একটা পোষ্ট ফার্মার লাষ্ট থিওরোম নিয়ে দিয়েছিলাম তাতে দেখিয়েছিলাম ঘাত ২ এর জায়গায় ৩ হলেই আর দুই লাইনের সুত্র মিলছে না যা প্রায় সাড়ে তিনশত বছর পর এই সেদিন স্যার এন্ড্রু উইলস কেন মিলছে না তা প্রায় ২০০ পৃষ্ঠার এক গনিত বিশ্লেষান দ্ধারা প্রমান করে অমর হয়ে গিয়েছেন।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে এই রিম্যান হাইপোথিসিস প্রমান করা এত জরুরী কেন? জরুরী এই কারনে যদি এই হাইপোথিসিস প্রমান করা যায় সত্যি তবে কোন সংখ্যার নীচে কতগুলো মৌলিক সংখ্যা আছে তা বের করা যাবে যেমন ১০০ এর নীচে মৌলিক সংখ্যা কেন ২৫ টি বা ১০০,০০০,০০০ এর নীচে মৌলিক সংখ্যা কেন ৫৭,৬১,৪৫৫ টি তার নিয়ম জানা যাবে অথবা সব থেকে বড় মৌলিক সংখ্যা কত হবে তাও বের করা সম্ভব হবে যা আজ পর্যন্ত জানা অসম্ভব এই সুপার কম্প্যুটারের যুগেও।

তাহলে সবই তো জানলেন এখন কেউ কি একবার চেষ্টা করবেন কেন রিম্যান জিটা ফাংশনের মান শুন্য হয়? নিশ্চিত ওয়ান মিলিয়ন ডলার আয়।

আরো জানতে চাইলে দেখুন


মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



করোনা চলে যাক, তারপর ভাবতে বসবো, এখন মন বসবে না।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: ইউ আর ওয়েলকাম স্যার।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: শের শায়েরী আপনাকে আমি চিনি না, জানি না। অথচ আপনার পোষ্ট পড়ে, আমি মুগ্ধ! এবং আপনি আমার প্রিয় ব্লগারের তালিকায় চলে এসেছেন।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:০৪

শের শায়রী বলেছেন: আমি সন্মানিত রাজীব ভাই। অনেক অনেক শুকরিয়া।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দারুণ লেখা ,বেশ ভালো লাগলো ।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৮

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

অপরিচিত অতিথি বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারি। ধন্যবাদ এত কষ্ট করে লেখার জন্য।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২০

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনাকে তো দেখলাম সেই ২০১৩ তে পোষ্ট দিয়েছেন, তারপর আর কিছুই লিখেন নি। লিখুন প্লীজ।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনেরে নিয়া আর পারি না। আবারও কঠিন লেখা দিছেন। দেহি.....সময় নিয়া পড়তে হবে। সেই সময়টা কখন পামু সেইটাই চিন্তা করতাছি!! :(

১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২১

শের শায়রী বলেছেন: আমি নিজেও খুব একটা বুজি নাই, না বুইজ্জাই লিখছি :(

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন: পোষ্টে ভালো লাগা।
৥প্রিয় ব্লগার/প্রিয় ভাইজান, আপনার হাতের লেখা কিন্তু খুব সুন্দর।
শুভকামনা।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৩

শের শায়রী বলেছেন: ভালো লাগায় অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রিয় কবি। কিন্তু এই হাতের লেখাকে খুব সুন্দর কইলেন :-* ?

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৪

মা.হাসান বলেছেন: আপনি যে বুয়েটের কমার্স ডিপার্টমেন্ট থেকে বা হোম ইকোনমিক্স কলেজ এর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে পড়াশোনা করেছেন তা আপনার পোস্ট থেকে পরিষ্কার, কেননা অন্য কারো পক্ষে জিটা ফাংশনের এমন 'চমৎকার' করা সম্ভব ছিল না ।
ইমাজিনারির বাংলা অবাস্তব না করে কাল্পনিক করলে 'চমৎকার' একটু কম হতো ।
প্রাইম নাম্বার নিয়ে গবেষণা শুধু শখের বিষয় না আমরা কম্পিউটারে যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি , এটি জেনারেট করার জন্য প্রাইম নাম্বার ব্যবহার করতে হয়। রিমান এর আগেও অয়লার যেটা ফাংশন নিয়ে কাজ করেছেন ,তবে আয়লারের সময় কম্প্লেক্স নাম্বার থিওরি এতোখানি সুসংহত ছিল না যার কারণে অয়লার শুধু পজিটিভ নাম্বার নিয়ে কাজ করছেন । কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি, হারমোনিক্স এনালাইসিস সহ অসংখ্য জায়গায় জিটা ফাংশন ব্যবহার করা হয় ।

করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার এর আরো একটা জোরালো কারণ পাওয়া গেল, এর উপর মিলেনিয়াম প্রবলেম গুলোর সলিউশন নির্ভর করছে ।

১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৮

শের শায়রী বলেছেন: ;) দিলেন তো জারিজুরি ফাস কইরা! আমি আসলে বুয়েটের কমার্স ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ছিলাম, যার কারনে এই অবস্থা। তবে ইমাজিনারির বাংলাটা "কাল্পনিক" টা মনে ধরছে। হ এই সব পড়তে গিয়া প্রাইম নাম্বারের অনেক কিছুই পড়ার সুযোগ হয়েছে, লিখতেও চেয়েছিলাম কিন্তু সেগুলো লিখতে গেলে মানে প্রাইম নাম্বারের কাহিনী লিখতে গেলে আর একটা ইতিহাস হয়ে যাবে তাই সেদিকে আর যাই নাই। এই প্রাইম নিয়ে লিখতে গেলে ফ্রেডরিখ গাউস কে আনতে হয় তার যে ফর্মুলা তা থেকে প্রাইম নির্নয় করতে গেলে সত্যিকারের প্রাইম নাম্বারের মাঝে যে পার্থক্য এই সব ম্যালা কাহিনী হোম ইকোনোমিক্সে এর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে যখন পড়াত তখন পড়ছি এখন অনেক কিছুই ভুলে গেছি।

হেরম্যান টি রিয়েলের কাহিনী আর ১৫৫ সংখ্যার যৌগিকের দুটো মৌলিক উৎপাদক দেইক্কা আমার মাথা খারাপ। যাউজ্ঞা আর শরম দিয়েন না, জ্ঞান তো বুজতেই পারছেন :P

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৪

সোহানী বলেছেন: কিছু কইলেতো কইবেন আমারে নিয়া বহুত জ্বালায় আছেন। যাউগ্গা, কিছুই বুঝি নাই তাই চেস্টা ও করি নাই |-) । চেস্টা করলেও যে কিছু বুঝতাম তাও মনে হয় না B-)) । না বুইঝাই লাইক..................

১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: আমনেরে আর দোষ দিমু কি? হোম ইকোনোমিক্স কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে যখন সাবসিডিয়ারি ক্লাশ করতে যাইতাম তখন ম্যাডামরা কি সব কইত এই গুলা নিয়া সব মনে নাই, যেটুকু মনে আছে তাই জোড়াতালি দিয়া দিছি ;)

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫০

সোহানী বলেছেন: ওওও ভুইলা গেছি আফনি তো বুয়েটের কমার্স ডিপার্টম্যান্ট আর হোম ইকোনোমিক্স কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে থেইকা পাশ করছেন B-)) । এর লাইগাতো এমন লিখা লিখেন যে বুয়েটের পোলাপানই ডরায় ;) .........

১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১১

শের শায়রী বলেছেন: চাদ্গাজী মুরুব্বীরে কেডা জানি কইছে আমি বুয়েটের কমার্স ডিপার্টমেন্টের ইঞ্জিনিয়ার !:#P হ্যার আইজকার পোষ্টেও দেখেন মন্তব্যে আমারে ইঞ্জিনিয়ার কইছে :(( আমি যামু কৈ? সবাই যদি এমুন করে :((

১০| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:১১

ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভালো লাগায় অশেষ কৃতজ্ঞতা, কিন্তু এই হাতের লেখাকে খুব সুন্দর কইলেন ?
সুন্দরকে সুন্দর বলেছি অসুবিধা কি তাতে?
আপনার পোষ্টগুলো ও খুব সুন্দর/সুন্দরী :P

১৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

শের শায়রী বলেছেন: =p~ কোন অসুবিধা নাই কবি।

১১| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: সোহানী বলেছেন: ওওও ভুইলা গেছি আফনি তো বুয়েটের কমার্স ডিপার্টম্যান্ট আর হোম ইকোনোমিক্স কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে থেইকা পাশ করছেন B-)) । এর লাইগাতো এমন লিখা লিখেন যে বুয়েটের পোলাপানই ডরায় ;) .........
আসলেও ডরাইছি আমি!!!! এরচেয়ে ভারতীয় গোমুত্র খোরদের নিয়ে পোস্টের ২য় পর্ব লিখি সেটাও ভালো।
এটা নিয়ে বসলে মাথায় সর্ট সার্কিট হবার চান্স আছে.....

১৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই লিখতে গিয়া আমার অল রেডি শর্ট সার্কিট হইয়া গেছে :P

১২| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ব্লগার শের শায়েরী লিখেছেন বলেন , অংক মংক ফাংশন নিয়ে লেখা পোস্ট পড়তে বাধ্য হলাম। :)

১৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় মানুষের ফ্যাকড়া আর কি প্রিয় ভাই, ভালোবাসার টানে বাধ্য হইয়া এই সব অখাদ্য কু খাদ্য খাইতে হয় :P

১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২০

হাসান রাজু বলেছেন: ১৯৯০-৯৭ সাল । ছোট ভাই টিভির সামনে আর আমি ছাদে। এন্টেনা নাড়াচ্ছি আর হাঁক পাড়ছি, " আসছে?" রিপ্লাই আসতো, " না ঝিরঝিরি " ।

ভাই, পোস্ট খুব মনযোগ দিয়ে পড়ছি কিন্তু সেই " ঝিরঝিরি " ।

কিন্তু বুঝেছি যে, ফার্মার লাষ্ট থিওরম নামক ভাইরাসের (গানিতিক) প্রতিষেধক আসতে ৩০০ বছর লেগেছে। কিন্তু ইতিহাসে খুবই সহজ সরল (!!!) গানিতিক ভাইরাস আয়লারের “জিটা ফাংশান” কে ল্যাবে নিয়ে বার্নার্ড রিম্যান নামক মানুষটি আর জটিল করে তোলেন । প্রতিষেধক তৈরি করতে গিয়ে তিনি রাফায়েল বামবিনোর উল্টো থিউরি এপ্লাই করে ইহাকে গানিতিক ভাইরাসের ফ্রাঙ্কেন্সটাইন বানিয়ে বসে আছেন। ব্যাটা নিজে সমাধান করতে পারেনাই উল্টা দুনিয়ায় জটিল একখান গনিত রাইখ্যা গেছেন।
শুধু এই কারনে, এই একটা মাত্র কারনে এই বিষয়ে আমার কোন ইন্টারেস্ট নাই।

১৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: আসলে ওই আমলের মানুষ গুলা সব সোজা ব্যাপারগুলারে আউলা ঝাউলা বানাইয়া ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটা প্যারায় ফালাইয়া গ্যাছে :P

১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১০

করুণাধারা বলেছেন: তিনবার পড়লাম মোট, যে আঁধারে ছিলাম তার মাঝে খুব অল্পই আলো দেখতে পেলাম :(

অবশ্য মস্তিষ্ককে সবসময় খাটানো দরকার, নাহলে কে না কে আবার কারখানা ফেঁদে বসবে... তাই পোস্টটা ভালোই লাগলো, কিছুক্ষণ তো মস্তিষ্ক খাটাতে পারলাম!!

১৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: আপনার ধৈর্য্য আছে বোন বলতেই হবে আমি কোন রকম লেইখাই খালাস আর আপনি তিন বার পড়ছেন :| =p~

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

অক্পটে বলেছেন: মাথা ঝিরঝির করছে!
তেমন কিছু বুঝে আসেনি, তবে মথেমেটিকস্ নিয়ে যেসব ফিল্ম আছে সেগুলো আমার প্রিয় মুভি হয়ে যায়। কিছুই না বুঝলেও মনের ভেতর যেসব ভাবনারা ঘুরপাক খায় তার দোলাচল আমার ভালোই লাগে। খুব উপভোগ করি।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: আমি নিজেও খুব একটা ভালো বুঝি না ভাই, খুবই হাল্কা বুঝি। তবে কেন যেন আমারো ভালো লাগে গনিত, অনেকটা না বুঝেই :)

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সুইপার কম্পুও যেইখানে পারে নাই , আমার মতন লিলিপুটিয়ানের মগজ এই সমস্যা দেইখ্যাই সেই যে হ্যাং হৈছে আর কুনু নড়নচরণ নাই ! হালায় রিম্যানরে পাইলে কইষ্যা এক্ষান গাট্টা লাগাইতাম !! হালায় কি প্যাচটা লাগাইছে !!

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৭

শের শায়রী বলেছেন: টারজান ভাই ওই সময়ের মানুষ গুলাই ছিল প্যাচাইলা। একটা না একটা প্যাচ দিয়া বইসা থাকত!! আমার এই সব পইড়া এখনো মাথা ঝির ঝির!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.