| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ কোনকিছু না চাইতেই পেয়ে গেলে তার আর মূল্য থাকে না। সেই জিনিস নিয়ে আগ্রহও থাকে না। মানুষের জন্মের কয়েক মিনিটের মধ্যে তার কপালে ধর্ম আর জাতীয়তার সীল পড়ে যায়। বাকি জীবন সেই ধর্ম আর সেই জাতীয়তা রক্ষা করেই তার জীবন চলে যায়। সে কি করে বুঝবে ধর্ম কিংবা জাতীয়তা অর্জনের গৌরব কিংবা সম্মান।
পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ তাদের ধর্ম আর জাতীয়তা একই ভাবে পেয়ে থাকে। কোন ধর্মের মানুষই তার ব্যতিক্রম নয়। বেশিরভাগই শুনে ধর্ম পালন করে। মা বাবার কাছে, দাদা-দাদির কাছে, বড় ভাই বোনের কাছে,পাড়া পড়শির কাছে এরা ধর্ম নিয়া শেখে। এই প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষকদের বেশিরভাগই আবার শুনেই গুরু বনে গেছেন। ফলে শুইনা শুইনা ধর্ম শিক্ষার এই ইনফাইনাইট লুপ চলতেই থাকে।
আর এই শুইনা মুসলমান/হিন্দু/খ্রিষ্টান/বৌদ্ধ -দের যখন কেউ ডাইকা বলে তুমি বৌদ্ধ ,তাই রোহিঙ্গা মাইরা গৌতম বুদ্ধের আদর্শ রক্ষা করা তোমার নৈতিক অধিকার। কিংবা বলে, আসো খিলাফত প্রতিষ্ঠা করি, এর জন্য যৌন দাসী দরকার, মাথা কাটা লাশ দরকার। কিংবা বলে, চলো গ্যাং ধইরা অমুক দেবীর নামে মুসলমান উৎসর্গ করি । কিংবা সিক্রেট সোসাইটি খুইলা অমুক ধর্মের লোক তাড়ানোর ব্যবস্থা করি। তখন "শুইনা শিক্ষিত" মানুষজন বেহেস্ত/স্বর্গ লাভের আশায় ঝাপায় পড়ে।
তারা কোরআন খুইলা দেখে না আল্লাহ কি বলছে,কিংবা গৌতম বুদ্ধের ইতিহাস ঘাইটা দেখে না। তাদেরকে যা বুঝাইবা তাইই ঠিক। ধর্মের নামে সবই ঠিক। ধর্মের নামে কিছু নিয়া প্রশ্ন না তোলাও ঠিক।
ইদানীং নাস্তিকতার লেবাসও জন্মের সাথে সাথে অনেকের গায়ে পড়ায়ে দেওয়া হয়। এইটাও একটা ধর্মের মত। আধুনিক মূর্খ নাস্তিকদের মতে তাদের প্রধান শত্রু যে কোন ধর্ম পালনকারী ব্যাক্তি।
যেখানে সবাই কোন না কোন মিথ্যা ইস্যু নিয়া একে অপরের দিকে ছুটতাছে সেখানে প্রতিদিন কয়েকশ জন মারা পড়া তো স্বাভাবিকই বটে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: মানুষ যখন আস্তে আস্তে কুরআন হাদীসের দিকে আকৃষ্ট হতে শুরু করেছে, তখনই আইএস - আল কয়েদায় উদ্ভব হয়েছে মুসলমান কি 'চীজ' - এটা সারা বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষকে 'বুঝিয়ে' দেবার জন্য!