নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের প্রত্যয়ে

শুজা উদ্দিন

ব্যতিক্রম

শুজা উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তি কোথায়? জাতিসংঘ নাকি বিশ্বরাষ্ট্র

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩

“সাধারণ মানুষের প্রতি ইনসাফ, আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন, প্রশস্ততর স্বাধীন উন্মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি, জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন, সকলে মিলে এক রক্ষাবুহ্য রচনা, সম্মিলিত নীতিতে কাজ করা, অকারণ অস্ত্র ব্যবহার রোধ এবং সকল মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণ বিধানের প্রতিজ্ঞা ঘোষনা করা হয় এই চার্টারে।
জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় অফিস বিল্ডিং ম্যানহাটন দ্বীপে ৬ব্লকে ১৮একর জমির উপর স্থাপিত। ৩৯ তলার একটি বিরাট প্রাসাদ নির্মাণে দুনিয়ার মানুষের ব্যয় হয়েছে মোট ২১কোটি ৩৮লক্ষ ৫০হাজার টাকা। এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনের জন্য প্রতি বৎসর খরচ হচ্ছে ৪০ কোটি ডলার। একে সজ্জিত করেছে সকল দেশের লোকেরা: একমনে একধ্যানে। উদ্দেশ্য ছিলঃ ঐক্য সাম্য ও আন্তরিকতার সাথে সকলে মিলে চেষ্টা করবে বিশ্বশান্তি স্থাপনের জন্য।
আফ্রিকার মাউ মাউ আন্দোলন ও বৃটিশের অমানুষিক দমননীতি, আলজেরিয়ার আন্দোলন ও ফরাসী সরকারের নিষ্পেষণ নীতি, কংগো, লাওস ও কিউবার অবস্থা, তিব্বত ও কাশ্মীর সমস্যা জাতিসংঘের চোখে অংগুলি দিয়ে প্রমাণ করছে যে ‘তুমি লীগ অব নেশনের চেয়েও লজ্জাস্করভাবে ব্যর্থ হয়েছ।’
সবচেয়ে বড় কথা, সর্বজাতির এই বিরাট প্রতিষ্ঠানের সামনে এমন কোন সম্মিলিত আদর্শের অস্তিত্ব নেই, যার কাছে সকলেই নির্বিবাদে আত্মসমর্পণ করতে পারে, যার ভিত্তিতে নিজেদের পারস্পরিক সকল বিরোধ ও মনোমালিন্য দূর করে নিতে পারে।

বিশ্ব সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হতে পারে না বিশ্বরাষ্ট্র ব্যতীত, হতে পারে না বিশ্বশান্তি স্থাপন। এ বিশ্বরাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য হচ্ছে একটি বিশ্বমত, নির্বিশেষে সর্বজন গ্রাহ্য একটি মতাদর্শ, যাতে সর্বপ্রথম স্বীকৃত হবে দুটো কথা-
১। বিশ্বস্রষ্টার প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব
২। বিশ্বমানবের একত্ব, ঐক্য, একবংশজাত ও পরস্পর ভাই ভাই হওয়া।
বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছেন, ‘কোন আন্তর্জাতিক প্রভুত্ব সম্পন্ন শক্তির সম্মুখে পূর্ণ আনুগত্য স্বীকার না করলে, অকৃত্রিম আত্মসমর্পণের সাথে নিজেকে সোপর্দ না করলে দুনিয়ার মানুষকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা কিছুতেই সম্ভব হবে না।’
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই প্রভুত্বসম্পন্ন শক্তি কে, এরূপ এক সত্তা পেশ করতে পারে কোন মতাদর্শ?
বিগত তিন চারশ বছরের জ্ঞান বিজ্ঞানের ইতিহাস একথা প্রমাণ করে যে, কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্রের পর আর কোন মতাদর্শই মানবসমাজে রচিত হয় নি, উদ্ভাবিত হয়নি। এতে করে এ কথা জোর করেই বলা যেতে পারে যে, দুনিয়ায় আর কোন নতুন মতবাদ আবিষ্কৃত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, আদর্শ ও মানবতার দিক দিয়ে দুনিয়ার মানবতা বন্ধ্যা হয়ে গেছে। বর্তমানের মতবাদসসমূহের তুলনায় উন্নত ও অধিকতর মানবতাবাদী আর কোন মতবাদ রচিত হওয়া বাস্তবিকই সম্ভব নয়।
কাজেই আজ ইসলামের প্লাটফর্মে দাড়িয়ে আমি বিশ্বমানবকে কুরআনের আকুল আহ্বান জানাচ্ছিঃ ‘এসো হে মানুষ একটি কথার দিকে যা তোমাদের ও আমাদের মাঝে সমান, তা হল (আমরা ও তোমরা মিলে এ নীতি অবলম্বন করব যে) আমরা এক আল্লাহ ব্যতীত আর কারো দাসত্ব করব না, এবং তার সাথে কোন জিনিসকেই শরীক করব না। এবং আমরা একে অপরকে প্রভু হিসেবে মেনে নিব না( গ্রহণ করব না) আল্লাহকে বাদ দিয়ে। [ সুরা আলে ইমরান ৬৪ আয়াত]
নবী করিম সা. বলেছেন, অবশ্যই তোমাদের খোদা একক, এবং অবশ্যই তোমাদের পিতাও একজন(আদম আ.), তোমাদের প্রত্যেকে আদম হতে আর আদম মাটি হতে সৃষ্ট।
এ হল বিশ্বরাষ্ট্রে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার মূলভিত্তি।

আরকিছু মূলনীতি হল
সারা দুনিয়ার সার্বভৌমত্ব ও প্রভুত্বের একচ্ছত্র মালিক হচ্ছেন স্বয়ং আল্লাহ। দুনিয়ার সব মানুষ ও সব জাতি তারই অধীন, তারই প্রজা।
★এই জীবনের পর আর একটি জীবন আসবে, সেখানে সব মানুষই উপস্থিত হবে, বাধ্য হবে খোদার সম্মুখে, এবং সেখানে নিজ নিজ দুনিয়ার জীবনের কাজকর্মের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিবে।

এ বিশ্বাসের প্রভাবে মানুষের মনঃস্তত্বে, মানসিকতায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে ও কাজে কর্মে, আচরণে, চেষ্টা সাধনায় ও শ্রম মেহনতে এক মৌলিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এ বিশ্বাস ইসলামী আদর্শের অন্যতম ভিত্তি।” সার্বিক সফলতার ভিত্তিও বটে।
।।।।৩রা মার্চ ১৯৬১, একটি প্রবন্ধ হতে।।।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা যতই বুক দিয়ে ঠেলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, পলিটিশিয়ানরা ততই পিঠ দিয়ে ঠেলে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.