নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপনিবেশিক প্রভাব থেকে কেউ মুক্ত থাকতে পারেনি।
তারা সঠিক আমরা বেঠিক।
আমাদের ডাক্তাররা যে কবিরাজি বা স্থানীয় পন্থায় চিকিৎসাকে তাচ্ছিল্য বা ঘৃণা করেন, অবৈজ্ঞানিক মনে করেন সেটাও উপনিবেশিক অন্ধভক্তি।
এই দাসত্ব থেকে কিছুটা মুক্ত থেকেছে আলেম সমাজ আর নিরক্ষর কৃষক-জেলে সমাজ।
যে #প্রেরণা আলেমগণকে অদ্যবধি স্বকীয়তা ধরে রাখতে শেখাচ্ছে, সেটা উপনিবেশিক দাদা ও তার অনুচরদের জন্য বিপজ্জনক। সবকিছু মুছে দেয়া গেলেও এ জিনিসটা মুছে দেয়া যাচ্ছে না।
এ কারণেই শত বছর আগে ইউরোপীয়রা মুসলিমদের ওপর যে অভিযোগ ও নির্যাতন চালিয়েছে এখনো তা ভিন্ন রূপে জারি আছে তাদের এবং তাদের অনুসারীদের দ্বারা। 150 বছর আগে থেকে ব্রিটিশরা আলেমদেরকে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে নির্বাসন দেয়া ও কারান্তরীণ করা শুরু করেছিল এ কারণেই। দিল্লি, পেশোয়ার থেকে আরাকান পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে জায়গায় জায়গায় প্রতিবাদী আলেমদেরকে হত্যা করে গাছের সাথে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিল এবং ভিক্টোরিয়া পার্কের গাছগুলোকে ষাটজন আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিল এ কারণেই।
বর্তমানে পশ্চিম সভ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে রুখে দিয়ে বিপরীত এবং সবচেয়ে কল্যাণকর নতুন সভ্যতা উপহার দেয়ার ক্ষমতা আছে একমাত্র ইসলামের।
এ কারণেই বিশ্বসভ্যতা ইসলামকে সব জায়গাতেই শত্রু এবং হুমকি মনে করে। এ কারণেই ইউরোপের অনুসারীরা একজন মুসলিমকে দেখে সেকেলে এবং উদ্ভট ভাবে। একারণেই একজন মুসলিম আধুনিক সভ্যতার সাথে চলতে গেলে দোটানায় পড়ে।
এর প্রমাণ ইসলামে 'নবদীক্ষিত' তরুণ সমাজ। যারা ইসলামের সঠিক ধারণা পাওয়ার পর আপনা থেকেই পশ্চিমা সবকিছুকে উত্তম ভাবার মনোভাব ত্যাগ করে। অর্থাৎ তাদের মন decolonised হয়ে যায় আপনা আপনি।
একমাত্র ইসলামই কলোনিয়াল মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে পারে, পুরো সমাজ থেকে তা নির্মূল করতে পারে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
শুজা উদ্দিন বলেছেন: বড় করে দেখার কারণ আছে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আলেমরাই প্রথম সংগ্রাম শুরু করেছে। বালাকোটের যুদ্ধের কথা জেনে দেখুন
আর হ্যাঁ মুসলিম বলে বড় করে দেখছি না।
হাজারো মুসলিম আমাদের পরিচিতদের মধ্যেই আছে যারা নিজ ধর্মকে বড় করে দেখেনা। আসলে যোগ্যতা রাখে না।
এখানে ইতিহাস জানাটাই মুখ্য বিষয়।
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সিপাহী বিদ্রোহে আলেমদের থেকে অনেক বেশি ছিল সৈনিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামীরা।আর আলেমরা বৃটিশদের সৈনিক ছিল না।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
শুজা উদ্দিন বলেছেন: ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আলেমরাই প্রথম সংগ্রাম শুরু করেছে। বালাকোটের যুদ্ধের কথা জেনে দেখুন
সিপাহী বিদ্রোহকে মিউটিনি বলা নিজেদেরকে গালি দেয়ার মতই।
বলতে হবে ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম।
আপনার শেষ বাক্যটি বুঝতে পারিনি।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৬
এমেরিকা বলেছেন: মুসলিম কেন, সব ধর্মের মানুষেরই উচিত, নিজের ধর্মকে বড় করে দেখা, নয়ত সেই ধর্ম ত্যাগ করা।
তবে আলেমদের প্রতি কেবল ব্রিটিশরাই খড়গহস্ত ছিল - একথা বলা ভুল হবে। আকবরের ভ্রান্ত নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে মুজাদ্দেদ আলফেসানি জাদীদ (র) তার রোষের শিকার হয়েছিলেন। তুরস্কে আধুনিকতার নামে অশালীনতার বিস্তারকে চ্যালেঞ্জ করে বহু আলেম ওলামা নির্যাতনের লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন। ইবনে তাইমিয়ার জীবনেও তাই ঘটেছিল। বাগদাদের খলীফার অত্যাচারে বহু আলেম সিরিয়ায় গিয়ে বসবাস করেছিল। ইমাম হাসান আল বান্নার কথা তো সবারই জানা।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১
শুজা উদ্দিন বলেছেন: আমি এখানে উপনিবেশিকতা এবং উপমহাদেশ নিয়ে কথা বলেছি।
ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চূড়ান্ত বিজয় ইসলামেরই হবে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
শুজা উদ্দিন বলেছেন: দোয়া করতে হবে আল্লাহ যেন আমাকে আপনাকে সেই বিজয়ে শামিল করেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি মুসলিম বলেই, নিজের ধর্মকে বড় করে দেখছেন।