নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সু্মিন রায়ান

সু্মিন রায়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পর্ক- ৩

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৩

সম্পর্ক- ১
সম্পর্ক- ২

চাইলে ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে পার, আমি চাই ধৈর্যশীলতার অনবদ্য নজির গড়তে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, ধৈর্য আমাকে বিজয়ী করে শেষ হাসিটা আমার মুখেই দেবে। অদ্ভুত স্বপ্ন আমার চোখে -মুখে। কি করব? আশা নামের ভেলায় ভেসে ভেসে পুরো দুনিয়া দেখে আসতে চাই। সম্পর্কের মধ্যে আনতে চাই গতিময়তা। কিভাবে শুরু করব সম্পর্কের নতুন বর্ণনা। যখন অনেক ছোট আমি, মাঝ রাতে কেঁদে উঠতাম কি জন্য জানি না। কিন্তু মায়ের দেয়া এক ফিডার দুধ যেন জাদু হয়ে আমার কান্না থামিয়ে দিত। আমি একটু খেয়ে ফিডার ফেলে দিয়ে যখন আবার ঘুম তখন আমার বোনটা আমার ফেলে দেয়া দুধ খেয়ে নিত। আমি আবার কান্না করে উঠি আর মা দেখে ফিডার খালি। এভাবে মাকে এক রাতে ৪/৫ বার যখন জালালাম, আম্মু অধৈর্য হয়ে আমাকে মারতে লাগল তখন আমার বোনটা আমাকে ধরে বলছে ভাইকে মেরো না মা, আমি সব দুধ খেয়েছি। এটাই কি সম্পর্কের মধুময়তা?? ছোট ভাইকে আগলে রাখার প্রবনতা। একটু বড় হওয়ার পর আমাকে মেয়েদের জামা পড়িয়ে, চুলে ঝুঁটি বেঁধে, ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে সাজানো, আপুর সাথে সিমা-চম্পা নামে কল্পিত দুই বোনের দ্বৈত সত্তা হয়ে খেলা করা। অদ্ভুত সে ভাল লাগার সম্পর্ক। আরও বড় হয়ে যাওয়ার পর বোনটার সাথে খুনসুটি, মারামারি, হাতাহাতি। কাঁদতে কাঁদতে মাকে গিয়ে বোনের বিচার দেয়া। আমাকে শাস্তি দিতে বোনকে ফুপ্পির বাসায় পাঠিয়ে দেয়া, আমার বড় বোনটাকে কাছে না পেয়ে আমার সে কি কান্না? সম্পর্কের অদ্ভুত স্বরূপ, তাই না? আমার জামা কাপড় ঠিক করে রাখা, আয়রন করা, আমার অগোছালো পড়ার টেবিল গুছানো, উফ! বড় আপুকে আমি কি কম প্যারা দিছি? আমাদের সে কি ঝগড়া, কথা বলা বন্ধ, মুখ দেখা-দেখি বন্ধ! আর বিয়ের পর বিদায়বেলায় ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কান্না, হৃদ স্পন্দনের মধ্যে ওর জন্য সে দিনের হাহাকার গুলোর স্মৃতি যখন রোমন্থন করি সম্পর্কের টান গুলো অনুভব করতে থাকি। সম্পর্কগুলো শক্ত করে বাঁধতে চায় কিন্তু স্থান কাল পাত্র ভেদে অনেক সম্পর্কের উপর দাবি ছেঁড়ে দিতে হয়। এখানেই সম্পর্কের জটিলতা ধরা দেয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.