নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতি সাধারণ

সু মন

ভাই অতি সাধারণ মানুষ আমি

সু মন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় বহালঃ প্রত্যাশা পূরণ

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫


আজকের প্রসঙ্গ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ওরফে সাকা। এই মানুষটিকে চেনে না এমন লোক খুজে পাওয়া সত্যিই কঠিন হবে বলে আমার মনে হয়। লোকটির জন্ম মগের মুল্লুক খ্যাত চট্টগ্রামের রাউজানে।পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী (ফকা) তৎকালীন মুসলিম লীগ এর প্রভাবশালী নেতা ও ষাটের দশকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকারও হয়েছিলেন। পিতার রাজনৈতিক পথকে অনুসরন করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী রাজনীতি শুরু করে মুসলিম লীগ এর ম্যাধমে। খুব দ্রুত সে চট্টগ্রামে ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সাকা চৌধুরি ও তার বাবা সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহ, হাটহাজারীর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজাফফর ও তার ছেলে শেখ আলমগীর, এছাড়াও সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায় হিন্দু বসতিতে গণহত্যা চালায় এই মানুষরূপী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার দলবল। তাছারাও তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনকে ধরে এনে নিজের গুডসহিলের বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে ষড়যন্ত্রের শিকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে রাজাকার, আলবদর ও কুখ্যাত ষড়যন্ত্রকারীরা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সাকা চৌধুরী জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মূলধারার রাজনীতিতে ফিরে আসে। ১৯৮৬ সালে সে নিজ এলাকা রাউজান থেকে নির্বাচিত হয়। কিন্তু হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কিত হয়। পরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টিতে যোগ দেয়। সেই থেকে রাজাকারের লেভাজ ঘুচিয়ে রীতিমত মুল ধারার রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করে। ১৯৭৯ সাল থেকে সাকা চৌধুরী ছয় বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়।

কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে ১৯ ডিসেম্বর ২০১০ সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক করে পুলিশ SQ Chy remanded
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দিলে ১৮ নভেম্বর তা আমলে নেন বিচারক view this linkSQ Charged with 24 crimes। এরপর ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই সাংসদের বিচার শুরু হয় Click This Link বিচার চলাকালে নানা মন্তব্য ও বক্তব্য দিয়ে সমালোচনায় ছিলেন তিনি নটরিয়াস আর উদ্ধত সাকা

মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি ঘটনায় সাকা চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এ অভিযোগে হত্যা, গণহত্যা ও অপহরণের পর খুনের দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালে যে চারটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল, আপিলে তা বহাল রেখেছে সাকা চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ বহাল

সর্বশেষ একটা কথাই বার বার মনে হয়, যে কিভাবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, গলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, কাদের মোল্লার মত রাজাকাররা স্বাধীন বাংলাদেশে বুক ফুলিয়ে ঘুড়ে বেড়ায়, তাদের নিয়ে সংসদে বসায় ও মন্ত্রীত্ব দেয়। মুক্তিযদ্ধাদের প্রজন্ম দেশে বিদ্যমান থাকতে এই সব রাজাকার, আলবদররা কিভাবে দিনের আলোয় আসে। আজ জাতি দুই দলকে ঘিরে বিভক্ত। আর এই সুযোগে তৃতীয় পক্ষ আমাদের সমাজটাকে ঘুন পোকার মতো ভিতর থেকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই আমাদের দুইভাগে বিভক্ত না হয়ে একে অন্যের সাথে এই তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.