নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতি সাধারণ

সু মন

ভাই অতি সাধারণ মানুষ আমি

সু মন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাশ থেকে পড়েও রক্ষা !

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪২


সড়ক দুর্ঘটনা যত বড়ই হোক না কেন, বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেই। কিন্তু আকাশে বিমান দুর্ঘটনা মানেই মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। তার ওপর যদি আবার প্যারাসুট না থাকে, তবে ক্ষীণতম সম্ভাবনাও থাকে না। অথচ দেখা গেল আকাশ থেকে পড়েও বেঁচে গেছেন কেউ কেউ।


প্যারাসুট বিপর্যয়

রাশিয়ার একটি টিভি ডকুমেন্টারির জন্য স্কাইডাইভিং করছিলেন ব্রিটিশ অভিযাত্রী জেমস বোল। সময়মতো লিভার টান দিতেই দেখা গেল বিপর্যয়। খুলছে না প্যারাসুট! ৬ হাজার ফুট উপর থেকে পড়তে থাকলে কী হবে তা আঁচ করেই তার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কথা। ভাগ্য ভালো যে তা হয়নি। নিচে বরফের ওপর পড়ার ঠিক এক সেকেন্ড আগে প্যারাসুট খোলে। মাটিতে আঘাত খান ১০০ কিলোমিটার বেগে। তুষারাবৃত শিলার ওপর পড়ে পিঠ ও পাঁজরে সামান্য ব্যথা পান শুধু।


পা ধরে রক্ষা

অস্ট্রেলিয়ার রাজকীয় বিমান বাহিনীর পাইলট জো হারম্যান। ১৯৯৪ সালে বোমারু বিমানে ত্রুটি দেখা দেয়ায় প্যারাসুট ছাড়াই লাফিয়ে পড়েন। ভেবেছিলেন বসে বসে পুড়ে মরার চেয়ে লাফিয়ে মরাই ভালো। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাত পা ছোড়াছুড়ি করছিলেন। এমন সময় হাতের কাছে একটা কিছু পেয়ে আঁকড়ে ধরেন। পরক্ষণেই বুঝতে পারছিলেন, পড়ার গতি কমে এসেছে তার। তাকিয়ে দেখলেন যেটা ধরলেন সেটা আর কিছু নয়, তারই আরেক সহযোদ্ধার পা। প্যারাসুট নিয়ে নামছিলেন জন ভিভাস নামের ওই সেনা। দুজন হওয়ায় প্যারাসুটের গতি সামান্য বেড়ে গেলেও প্রাণে বেঁচে যান তারা।


তুষারের বরপুত্র

১৯৪৪ সালের ২৪ মার্চ। জার্মানির আকাশে উড়ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্রিটিশ বৈমানিক ২১ বছর বয়সী ফ্লাইট সার্জেন্ট নিকোলাস স্টিফেন এলকেমেড। শত্রুপক্ষের আঘাতে আগুন ধরে যায় তার বিমানে। পুড়ে যায় স্টিফেনের প্যারাসুটটিও। যথারীতি লাফ দিলেন মৃত্যু ত্বরান্বিত করতে। ১৮ হাজার ফুট ওপর থেকে পড়তে লাগলেন মাধ্যাকর্ষণের টানে। কিন্তু শেষপর্যন্ত মরলেন না। তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে একটি পাইন গাছ। ওপর ডগায় আছড়ে পড়ায় গতি কমে যায় নিকোলাসের। পরে যেখানটায় আছড়ে পড়েন, সেখানে ছিল নরম তুষার। শুধু একটা পা মচকে যায় তার।


সাঁতরে বাঁচা

২০০৯ সালের ৩০ জুন ভারত মহাসাগরের উত্তর উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইয়েমেনিয়া এয়ারের একটি এয়ারবাস। বিমানটিতে থাকা ১৫২ জন যাত্রীর মধ্যে ফরাসি স্কুল ছাত্রী বাহিয়া বাকারি ছাড়া বাকি সবাই নিহত হয়। জীবন রক্ষাকারী কোনও কিছু ছাড়াই ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় পানিতে ভেসেছিলেন বাকারি। পরে তাকে জাহাজে তুলে নেয় উদ্ধারকর্মীরা।


প্যারাসুটে সংঘাত

১৯৮৫ সালের মার্চে ১২ হাজার ফুট ওপর থেকে গ্রুপ স্কাইডাইভিংয়ের জন্য লাফ দেন অসি নাগরিক ডেভ হগম্যান। কিন্তু সময়মতো বাকিদের হাত ধরতে পারলেন না। আড়াই হাজার ফুট উঁচুতে থাকতে প্যারাসুট খোলেন ডেভ। কিন্তু বুঝতে পারেননি, তার ঠিক নিচেই ছিল আরেক জাম্পার। তিনিও সবে মাত্র প্যারাসুট খুলছিলেন। ব্যস, দুজনের প্যারাসুটে লেগে গেল ঝামেলা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজনেই আছড়ে পড়লেন একটি পুরনো গাড়ির ভাগাড়ে। মারাত্মক আহত হন ডেভ। অপর যাত্রী সামান্য আঘাত পান।


রেকর্ড পতন

২২ বছরের বিমানবালা ভেসনা ভুলোভিচ। ইউগোস্লাভ এয়ারের এক ফ্লাইটে স্টকহোম থেকে বেলগ্রেড যাচ্ছিলেন। ভূমি থেকে ৩৩ হাজার ফুট ওপরের চলন্ত বিমানটির সামনের অংশে হঠাৎ বিস্ফোরণ। বিমানের পেছনের অংশে ছিলেন ভুলোভিচ। ছিন্নভিন্ন বিমানটির লেজের দিকটা ছিটকে পড়ে একটি তুষারাবৃত পাহাড়ের ঢালু অংশে। বিমানে থাকা ২৮ যাত্রী ও ক্রুর মধ্যে ভুলোভিচ ছাড়া বাকি সবাই মারা যান। বেঁচে গেলেও পা ভেঙে যায় ভেসনা ভুলোভিচের। প্যারালাইজড হয় কোমরের নিচের অংশ। ২৭ দিন কোমায় থাকার পর সুস্থ হতে সময় লেগেছিল ১৭ মাস। মজার বিষয় হলো সুস্থ হওয়ার পর আরও ২০ বছর ইউগোস্লাভ এয়ারে চাকরি করেন ভুলোভিচ। প্যারাসুট ছাড়া সবচেয়ে উঁচু থেকে পড়ে গিয়ে বেঁচে থাকার রেকর্ডটি এখন ভুলোভিচেরই দখলে।
সংগ্রহঃ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

সুমন কর বলেছেন: তথ্যে উৎস দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। যে কোন সংগৃহীত লেখায় অবশ্যই উৎস দিতে হয়। নতুবা সেটা চুরি বা কপির মতো হয়ে যায়।

চমৎকার শেয়ারের জন্য লাইক সহ ভালো লাগা রইলো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

সু মন বলেছেন: আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.