নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা এবং আমি বাঙালি

আজও নিজেকে জানার চেষ্টা করছি...........।

শুভ্র-আকাশ

আজও নিজেকে জানার চেষ্টা করছি..............

শুভ্র-আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামালপুর জেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

ভৌগোলিক অবস্থানঃ-
জামালপুর জেলার ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে উত্তরে শেরপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা। দক্ষিণে টাঙ্গাইল, পূর্বে ময়মনসিংহ, পশ্চিমে বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলা অবস্থিত।

পটভুমিঃ
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদীর বিধৌত অঞ্চল নামে খ্যাত উত্তরে গারো পাহাড়, দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের গড়, পূবে ময়মনসিংহ জেলা, পশ্চিমে যমুনা নদী বেষ্টিত সৌন্দর্যমন্ডিত লীলা ভূমির নাম জামালপুর জেলা।

জেলার নামকরণঃ-
প্রখ্যাত অলি হযরত শাহজামাল (রহঃ) নামে নামকরণ করা হয় জামালপুর। জামালপুর জেলার নামকরণ ইতিহাস উদঘাটন করে যতটুকু জানা যায়, প্রায় হাজার বত্সর পূর্বে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্রোহী সন্ন্যাসীদের আড্ডাখানা ছিল। তাই তাদের আড্ডাখানা-বসতির জন্য প্রথমে সন্ন্যাসীনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৭৫৭ সালের পর ১৮৩৮ইং সালের তত্কালীন বৃটিশ গভর্মেন্ট এ অঞ্চলে রেল প্রতিষ্ঠা করে। সেসময় জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনের নামকরণ করা হয় সিংহজানী রেলওয়ে জং। কালক্রমে তা' এখন পরিবর্তন করে বর্তমানে জামালপুর টাউন জং নামে পরিচিতি লাভ করেছে। জামালপুর জেলায় ১২০১ থেকে ১৫০৩ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল ইয়েমেন থেকে বেশ ক'জন প্রখ্যাত অলির আগমন ঘটেছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম হযরত শাহ সুফি সৈয়্যদ শাহ জামাল (ইয়েমেনী—জামালপুরী (রঃ) অন্যতম। প্রখ্যাত অলি হযরত শাহ সুফি সৈয়্যদ শাহ জামাল (রঃ) ইয়েমেনী তিনি একাধারে ইসলাম প্রচারের মধ্য দিয়ে তার জীবন অতিবাহিত করেন। তার জবনিকা ঘটলে জামালপুর সদর থানার সন্নিকটে তাকে সমাহিত করা হয়। যা এখন হযরত শাহ জামাল (রঃ) রওজা শরীফ। পর্যায়ক্রমে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও বলিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেলে সন্ন্যাসীনগর কিংবা সিংহজানী নাম পরিবর্তন করে প্রখ্যাত অলির নামে নামকরণ করা হয় জামালপুর। বর্তমানে জামালপুর জেলা নামে খ্যাতি অর্জন করেছে।

জেলার ইতিহাসঃ
জামালপুর ১৮৪৫ ইং সাল থেকে ময়মনসিংহ জেলার অধীনে একটি মহকুমা ছিল। ১৮৬৯ সালে জামালপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯১২ সালে লর্ড কার্জন বাধ্য হয়ে জামালপুরকে একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসাবে ঘোষণা করেন অবশেষে মরহুম রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে ১৯৭৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার মহকুমা থেকে উন্ী্নত হয়ে জামালপুর জেলার মর্যাদা লাভ করে। এসময় জামালপুরের অধীনে শেরপুর মহকুমা নিয়ে গঠিত দেশের ২০তম জেলা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তিতে শেরপুর মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়ে আলাদা হয়ে যায়।

জামালপুর জেলার আয়তন ২০৩১.৯৮বর্গ কিলোমিটার। জামালপুর সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকসিগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী। এই ৭টি উপজেলা নিয়ে গঠিত জামালপুর জেলা। জাতীয় সংসদীয় আসনসংখ্যা ৫টি। পূর্ণাঙ্গ থানা ৮টি। পৌরসভা মোট ৭টি। ইউনিয়ন সংখ্যা ৬৮টি। মৌজার সংখ্যা ৮শ ৪৪টি। ১৩ শ ৬২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয়েছে জামালপুর জেলা। জেলার বর্তমান লোকসংখ্যা পুরুষ ১১লাখ ১৫ হাজার। মহিলা ১০লাখ ৫০হাজার। মোট জনসংখ্যা প্রায় ২২ লাখ ৬৫ হাজার। প্রধান অর্থকারী ফসল ধান,পাট, আখ, বেগুন, সরিষা, ভুট্রা, আলু ইত্যাদি। জেলার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও দেশজুড়ে সমাদৃতঃ- কাঁসার শিল্প, নকশি কাঁথা ও বেগুন।

জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ১টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ১টি। সরকারি মহাবিদ্যালয় ৪টি। ফিশারিজ কলেজ ১টি। বিএম এন্ড টেকনিক্যাল কলেজ ৭টি। আইন কলেজ ১টি। হোমিও কলেজ ২টি। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংখ্যা ৪টি। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩১৪টি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯শ ৭৮টি। ভোকেশনাল স্কুল ১৬টি। কামিল মাদ্রাসা ২টি। আলীম ও দাখিল মাদ্রাসা ১শ ৮৬টি। ভিটিআই ২টি। পিটিআই ১টি রয়েছে। ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদের সংখ্যা ৩ হাজার ৩শ ৪০টি। মন্দিরের সংখ্যা ৪৪টি। গীর্জার সংখ্যা ৩৯টি।

জেলার শিক্ষার হারঃ ৩৪% ভাগ।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাঃ
২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ১টি। উপজেলা হাসপাতাল ৬টি। রেলওয়ে হাসপাতাল ২টি। যক্ষা হাসপাতাল ১টি। পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৩২টি। কুষ্ঠ ক্লিনিক ৭টি। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ২৮টি। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রস্তাবিত ২শ ৬২টি, তার মধ্যে চালু রয়েছে ১শ ৫৮টি। সরকারি খেলার স্টেড়িয়াম ১টি, কৃষিখামার রয়েছে ১টি ।

জেলার দৈনিক পত্রিকার সংখ্যাঃ
দৈনিক ৮টি। সাপ্তাহিক ১৮টি। মাসিক ২টি। ত্রৈমাসিক ১টি।

প্রধান নদ-নদীঃ
পুরাতন বহ্মপুত্র ও যমুনা, জিঞ্জিরাম ও ঝিনাই নদী।

জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ
রেলপথ, সড়ক ও নৌ-পথ, তিনটি পথ রয়েছে সচল। রেল স্টেশন সংখ্যা ১৮টি।

ভারী শিল্প কারখানাারঃ
৫টি। দেওয়ানগঞ্জ জিল বাংলা চিনি কল, সরিষাবাড়ি তারাকান্দি যমুনা সারকারখানা অন্যতম। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ৫হাজার ৭শ ৮২টি। গ্যাস বিতরণ স্টেশন ১টি। বিদ্যুৎ বিতরণ সাবস্টেশন ৩টি।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: লিখা্য়+++
আমার ব্লগে আমন্ত্রণ

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

শুভ্র-আকাশ বলেছেন: অলরেডি আই এম অ্যা ফলোয়ার অফ ইউ

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

খেলাঘর বলেছেন:


জেলার শিক্ষার হারঃ ৩৪% ভাগ?

যীশুর জন্মের সময় সব ইহুদী পড়তে ও লিখতে জানতো।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৭

শুভ্র-আকাশ বলেছেন: হ্যাঁ শিক্ষার হার কম।
এখন তো যিশু নাই তাই এই অবস্থা

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট। কাজে লাগবে।

সম্ভব হলে প্রত্যেক জেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নিয়ে একটি সিরিজ চালু করে দিন। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় ইতিহাস তুলে ধরবেন। অনেক ভাল হবে এবং কাজেও লাগবে।

শুভকামনা রইল। :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

শুভ্র-আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাইয়া।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

হাসান ইফহাজ বলেছেন: শুভকামনা রইল। :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

শুভ্র-আকাশ বলেছেন: থ্যাংক ইউ

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

 বলেছেন: ++++++++++++++++

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪০

 বলেছেন: ++++++++++++++++ :D

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৩

শুভ্র-আকাশ বলেছেন: কি লিখচেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.