নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওঙ্কার..............

কতো কী করার আছে বাকি..................

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র

সব কিছু খর লাগে

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইজ্জা হুডি মাচ দি বাত খামু

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৫৬

আইজ্জা আঁর বাইত চলেন

: বাজাত্তুন আর বাইজ্জাইতেন কিল্লাই-চলেন আইজ্জা আঁর লগে চলেন আন্নেরে হুডি(পুঁটি) মাচ দি বাত খাবামু। (এই লিখায় চ এর উচ্চারণ সাইকেলের স এর মত হবে)

: হুডি মাচ হাইচচ কন্ডে।

: হাইচি আঁর হোলায় আইনছে-হ্যতেতো দরেন মাইনষের হরমাইশ খাডে-আইজ্জা চোদরীগো হইর(পুকুর) হিঁচচিলো(সেঁচা) বলে-হেতেরে ডাইকচিল মাচ দরি দিবেল্লাই-হেতে ওই হুডি মাচ কোগা রাই বাঁইয়া হইল-টাগি-বাইচ্চা মাচ বেচি দিচে-চাইল আর কিয়া কিয়া জানি আইন্ছে বাজারতুন-আঁরে কয় আব্বা আইজ্জা হুডি মাচ বাজুম আর গরম বাত খামু রাইচ্ছা।

: তোর হুডি মাচ আর গরম বাত আঁই কিল্লাই খামু।

: আরে চলেন চলেন এই দুইন্যাডায় আন্নেরও বয়স অইচে আঁরও বয়স অইচে-আন্নরেও বউ মইচছে আঁরও বউ মইচছে। আন্নেও থান হোলার সংসারে আঁর হুতের বউ নাই-তাইলেওতো হোলার ইঙ্কামই(ইনকাম) খাই। বাজারে আঁর লগে যান আঁর লগে আইয়েন-তই আঁর হুডি মাচ খাইলে কি আন্নের যাত যাইবোনি।

: রাইত অই যাইবো আঁর বাইত হিত্তে কষ্ট অইবো।

: রাইচ্ছা আবার বাইত যাইবেন কিল্লাই। আঁর লগে থাই যাইবেন।

: না-আঁর হুত আর হুতের বউ চিন্তা কইরবো।

: আরে আন্নে খালি হ্যঁচান-আঁর হোলারে হাডাই দিমু হেতে কইও আইবো আর রাইচ্ছা আন্নের গরে থাইকবোনে। আন্ডা(আমরা) দুই বুইয়া মনে করেন হারা রাইত দরি গপসপ মাইল্লাম-বাঁচুমই আর কয়দিন।

: গপসপ মারি কি লাব-হে দিন কি আর আইবো নি-খালি খালি মনে কষ্ট হামু।

: আরে গরে যাইতো হেডেত্তে কোগা দি চিত্তই হুতি গুম যাইবেন-তা আইজ আঁর লগেই থাকেন-কিল্লাই আন্নের হাদিসে নিষেদ আচেনিকি আঁর লগে থাইকবার কতা।

: তুই লাগে যে চেতি যরি।

: ন থাইকলেতো চেতমু-চেইত্তান্ন কিল্লাই-আন্নে আঁরে চোড বেলায় যিআন কইচেন হিয়ান কইচ্ছি-কার গাচের রস হাইতে ওইবো-কার ঊমের মরগ চুরি কইত্তে অইবো-কোন কতা না কইচ্ছিনি-বাফে হোন্দের চাম্বা তুলি হালাইচে ফিডি-ত বাফেরে গাইল্লাইচি আন্নেরে কোনদিন কিচু কইচিনি।

: বাজি চল চল তর লগেই আইজ্জা রাইচ্ছা থাকমু।

: এত্ক্কনেনি আন্নের মন গইলছে। রাইত দেখিইতো আঁর মন উতালা অই গেচে। আন্নে খালি গর গর করেন। রেনি চান না কি খোয়া(কুয়াশা) হইচে। খোয়াগান কেমন বাসিবাসি যার এমুইত্তুন হেমুই-লাগে যে সাদা চাদইর হড়ি আকাশেত্তুন সাদা ফরী অগল নামি আইচে-যেই ফরীর কোন শরীল নাই-আঁসে(হাসে)-বাসে(ভাসে)-গুরে(ঘুরে)। ঠান্ডা চাদইরে আন্নেরে জোয়াই দরে। গুইত্তে গুইত্তে আন্নের নাকে দি ডুকি যায়-লগে রসের গন্দ-উতলা অই যায় না মনডা-মনে অয় না বয়স কমি গেচে।

: হা হা হা এরে মইত্ত্যা তোর কি অইচে আঁরে ক চে। জ্বীন ফরিএ দইচ্চেনি কোন-হা হা হা-বুয়া কালে কোন আরিগ্গা বিয়া কইরবিনি। হা হা হা হা-কহ্হ কহ্হ খ্য....... থু (কাশি)।

: বেশি আঁসিয়েন না-ফরী অগল আন্নের মুখে দি ডুকি যাইবো কইলাম।

: কিবো ডুইকলে কি অইবো। হা হা হা-অ.........।

: হাইজলামি করিয়েন না। আইজ্জা আন্নেরে হাইচি। এক্কানা বকিয়ের-এই আরি।

: আইচ্ছা যা তোর যা খুশি ক-খালি আঁরে আঁইসতে দিচ।

: আইচ্ছা রাইতেরে আন্নের কাচে কি মনে অয়-মনে অয় না রাইত মাইনষেল্লাই ন। রাইত অইচে গাচে গোল্লাই-তারা গোল্লাই-কুয়াশার ফরী গোল্লাই-আষাড় মাসের রাইতে হারা আকাশ কান্দে-হাঁফেরা ব্যাঙ খোঁজে-ব্যঁঙেরা জমিনে জমিনে ডাকে, সোহাগ করে। কিন্তু আন্নে আঁই গুম যাই ডরে বাইরওই না। রাইত মানেইতো আন্দার-রাইত মানেই গুম। বুইজলেন নি আয়েশা মইরবার হরেত্তুন রাইত অইলেই আঁর খালি মরনের কতা মনে অয়। আয়েশা এমন এক রাইতে চলি গেচে যিয়ানে কোনওদিন সকাল আইতোনঅ।

: থক মন খারাপ করিচ্চা। হেতিতো রাইতেই মইচ্চে কেন ন।

: মাইনষের মরন লই কোন সমে চিন্তা কইচ্ছেননি। এই যে মানুষ মরে- মাডি তারে বুকে লয়-মাইনষের শরীরের রক্তচর্বিতেল সব মাটি চুইষ্যা লয়-হেই তেল টানি গাচ তরতরাই ব(বড়) অয়। হেই গাচের রস-ফল আন্ডা খাই-হেই গাচের কাঠদি খাটিয়া বানাই আরেকটা লাশ লই কবরে যাই। কবরের তলে একটা মানুষ চুপচাপ হুতি থাকে-মাডির হোক (পোকা) অগলে তারে হঁচাই হালায়-ত চিল্লায় না-কান্দেনা-অথচ যন বাঁচি আচিল হেসুমে কতো কামে চিল্লাইচে-কাইনছে-হিম্বা ইগ্গারে গার ওঁচে দি আঁইটতো দেনঅ। হে মইরবার হর এক্কেরে চুপ-তাল্লাই খালি আন্ডা কান্দি। কোনঅ দিন দেইখচেন-মানুষ মইচ্ছে বলি একটা গাচের হাতা খসি হইড়চে। আকাশেত্তুন এক হোডা হানি হইচে। এক লগে কয়েক শ' মানুষ মইল্লেওত আকাশ কান্দেনা। এই যে যুদ্দে এক লগে কত মানুষ মরে-নদীর হানি রক্তে লাল অই যায়-কিন্তু নদীনি চুপচাপ হুতি থাইকবো। নদী খালি বই যায়। লাশ লই অক আর নৌকা লই অক। খালি মাইনষে নিজের কাম বদলাই হালায়। মাইনষে মাইনষেরে মারে। দুই টেঁয়া-হাঁচ টেঁয়ারলাই মারে। এক দেশের মানুষ আরেক দেশের মানুষরে মারে। ফাফ(পাপ)-এ যে কত বড় ফাফ। আঁর বুকটা হু হু করি উডে-এই ফাফের কি বিচার-নাকি এতোবড় ফাফের কোন বিচার খোদার বিধানে নাই।

: তুই ব্যডা মনডাই খারাপ করি দিতেছচ।

: কিন্তুক-বিচার কিন্তুক অইবই। আন্নের মনে আচেনি। মোশা মোলবির কতা মনে আচেনি। হেতেনে আঙ্গোরে কি হইত্তোদিন মাইত্তোনি। আন্ডা কতদিন মক্তব কামাই দিচি। কিন্তু একদিন মাইত্তো- বাদি গাচের ডাইল দি-নিন্দার চোঁয়াদি (নিন্দা স্থানীয় একটি ঝোপ জাতীয় গাছ এর কঞ্চি দিয়ে পেটানো হত)। এ যে কি মাইর দিন-রাইত এক করি হালাইতো। এই মাডিও একদিন দেইকবেন ফতিশোদ লইবো। মাডি কইবো-আঁই একজন একজন করি লাশ বুকে লমু-একলগে বেশি লাশ কবর দিলে আঁই হাডি যামু। আবার জিজ্ঞাইবো এই ডা কিয়ের লাশ- না গুলি লাগা লাশ আঁই লইতান্ন-এই লাশ তোগো সামনে হঁইচবো-তোরা বুজ-একদিন তোগো এইচ্ছা অবস্তা ওইবো।

:এর তোর কি ওইচে আঁরে ক চাই।

:আন্নেত বুজেনই ব্যাক কিচু। আয়েশা মইরবার হরেত্তুন-আঁর কাচে ব্যাক কিচুই কেইচ্চা কেইচ্চা লাগে। হায়রে আঁর বুকে মাতা ঠ্যকাই আয়েশা কত কান্দা কাইনছিল। হিতির চোকের হানিতে আঁর বুকে শ্যাওলা হড়ি গেছে। হেই শ্যাওলা অন হুয়াই কালা অই বুকে বান্দি গেচে। আন্নে জানেন নি আয়েশা মইচ্ছিল আশ্শিন মাসে। একদিন আকাশের সাদা ম্যগের(মেঘ) মুই রেনি কয় ওই দেইকচেন নি, আকাশে কাফনের কাফঅ উই যার-আঁই বাইচতান্ন-মনতাজের বাফ আঁই বাইচতান্ন।



হুডি মাচের কি নাম আচেনি

: তোর এগান মরনের কতা থামা। গরের দজ্জা খোল।

: বইয়েন, আঁই চেরাগ জালাইয়ের। আরেকটা গটনা আন্নেরে কই। আঁর নানা মইরবার সমে খালি কইতো আঁরে আঁর বাইত লই চল। কি ব্যফার চিন্তা করেন নিজের বাইত হুতি রইচে আর কয় আঁরে বাইত লই চল। কোন বাইর কতা কইচে কন চে। আঙ্গো আসল বাই কি তাইলে ফরফারে। আরো আচে, মইরবার কয়েকদিন আগে কয় নাতি আঁর কাচে এগুন কন বই রইচে-কন এগুন-এগুনেরে চা টা দিচত্তি। আন্ডা দমকাই-কন্ডে নানা আন্নের খাটের ওঁচে কন বই রইচে-কেউ নাই ত। নানা তাও খালি কয় না তোরা আঁর লগে মিচা কতা করি-ওইত্তো বই রইচে। চিন্তা করেন চে কাগোরে দেইকচিল নানায়। তার বাপেরে-দাদারে-কারে। আঁর মনে অয় কি জানেন্নি মইরবার আগে মাইনষে ঠিকই ট্যার হায় যে হে মরি যাইবো।

আইয়েন বইয়েন। বাতগুন অনঅ গরম আচে। হোলার হুডি মাচ বাজা কেইচ্ছা অইচে কনে কইবো।

: তুই কি হারাদিন খালি এগানই চিন্তা করচ নি।

: হারাদিন কি এগান চিন্তা করন যায় নি। হোলাগারে অনঅ বিয়া দিতাম হারি ন। তই মাজে মাজে মন খারাপ অই গেলে এগান চিন্তা মাতাত আইয়ে আরি।

: হুডি মাচগুন ত বঅ আচে দেয়া যায়।

: এক্কান জিনিস চিন্তা কইচ্ছেন নি। হুডি মাচের কোন নাম নাই। ফরিচয় নাই। দালান নাই-বিমান নাই। হুডি মাচ বেগ্গুন এক লগে থায়। এক লগে আন্নের জালে দরা দে। আন্নে কিল্লাই দইচ্ছেন তারে, হিল্লাই বুলি আন্নেরে লাফাই-জাফাই কাম্বাইতে আইতো ন। এইডা হুডি মাচের স্ববাব। আর মাইনষের কতা চিন্তা করেন। মাইনষে কিল্লাই নিজের চরিত্র বদলাই হালায়। দরেন এক দেশের মাইনষে আরেক দেশের মাইনষেরে হুডি মাচ যেইচ্ছা হইরে আটকা থায় হেইচ্ছা দেয়াল দি গিরি হালাইলো- কইলো তোরা কোন আনে যাইতি হাইত্তি ন। তারফর হুডি মাচরে আন্ডা যেইচ্ছা জাল দি দরি, হেইচ্ছা কামান দি-গুলি দি কাতারে কাতারে মানুষ মাইত্তে থাইকলো। কিল্লাই এত মানুষ কিল্লাই মাইরবি তোরা- কেউ কি হুডি মাচের মত মানুষ বাজি কইরবো- নাকি কেউ শত শত মানুষ কবর দি হেই মাডিতে গাচ লাগাইবো বালা ফলনের লাই। একটা মাইনষের যদি মইরবার আগে মার মুক(মুখ) আন চাইতো মনে কয় হে সুযোগ কিল্লাই হাইতো ন, কিল্লাই-মানুষ কি হুডি মাচ, কন মানুষ কি হুডি মাচ যে চাইলেই শত শত মানুষ মারি হালান যাইবো। এর কি কোন বিচার অইতো ন, কন কোন বিচার অইতো ন।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৫৯

টানিম বলেছেন: কি জটিল ভাষা?
পড়তে ভয় হচ্ছে।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:০০

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: নির্ভয়ে পড়ুন। ফেনী অঞ্চলের ভাষা।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:০২

সন্দীপন বসু মুন্না বলেছেন: হুরা হইরতাম হারি ন।
শোকেসে রাইকছি।হরে সময় করি হরুম।
গল্প আর নোয়াখাইল্যা ভাষায় লেখা গল্প দুইটাতেই প্লাস।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:০২

সন্দীপন বসু মুন্না বলেছেন: বাই আন্নের বাড়ি কোনাই?

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৩০

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: ফেনী-সোনাগাজীতে।

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:০৬

কিংকং বলেছেন: বাড়ি কোনাই?
তুইলা আছাড় দিতে মন চায়।

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৩১

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: কেন ভাই, আছাড় দিবেন কেন।

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:০৬

লীনা দিলরূবা বলেছেন: গল্পটা ফড়ি ন । হরে হরমু। বাইচার বাড়ি হেনী নি?

জিন্দাবাদ

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৩১

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: পড়লে কৃতার্থ হবো।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:০৮

নিঃসঙ্গ বলেছেন: প্রথম কয়টা লাইন পড়তেই কয়েক মিনিট লাগলো পুরা পড়তে রাত পার হয়ে যাবে :|

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৩২

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:১০

০০৭৭৭৭৭ বলেছেন: অণর বাড়ি কি নোয়াখালি???????????????????

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৩২

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: জ্বি ভাই ফেনীতে।

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৫

জানা বলেছেন:

স্বাভাবিকের চেয়ে খানিকটা বেশী সময় লাগলেও পড়লাম। একবার, দু'বার, তিনবার। মুগ্ধ হলাম! একটি বিশেষ অঞ্চলের দু'টো বয়সী মানুষের অসাধারণ কথোপকথন। একেবারে জীবন্ত। পড়তে পড়তে যেন পুরো দৃশ্যটি চোখের সামনে ভেসে উঠলো। কুয়াশার বর্নণাটি চমৎকার।

"আইচ্ছা রাইতেরে আন্নের কাচে কি মনে অয়-মনে অয় না রাইত মাইনষেল্লাই ন। রাইত অইচে গাচে গোল্লাই-তারা গোল্লাই-কুয়াশার ফরি গোল্লাই-আষাড় মাসের রাইতে হারা আকাশ কান্দে-হাঁফেরা ব্যাঙ খোঁজে-ব্যঁঙেরা জমিনে জমিনে ডাকে সোহাগ করে। কিন্তু আন্নে আঁই গুম যাই ডরে বাইরই না। রাইত মানেইতো আন্দার-রাইত মানেই গুম।"--- কোন এক রাতে সবচে' কাছের মানুষটির মৃত্যুর পর রাত নিয়ে অসহায় বৃদ্ধ মন্তাজের বাপের এই অসাধারণ মন্তব্যে মনটা কেমন করে উঠলো।

মানুষ আর গাছের সম্পর্ক, বেড়ে ওঠা এবং উভয়ের গন্তব্য/পরিণতি, লক্ষ মানুষের মৃত্যুতেও নদীর নিরবধি বয়ে চলার বর্ননা, মক্তবে পড়া শৈশবের স্মৃতিচারণ - অসাধরণ!

সর্বপোরি মানুষ ও ক্ষুদ্র পুঁটিমাছের জীবন নিয়ে যে এখানে যে দর্শন রয়েছে তা দীর্ঘক্ষণ ভাবনার খোরাক। আরও একবার পড়বো।

খুব যত্নের সাথে আঞ্চলিকতা ধরে রেখে চমৎকার করে গল্পটি শেষ করলেন।

আপনি কি ফেনী অঞ্চলের? এই অসাধরণ লেখাটির জন্য আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা এবং অবশ্যই ধন্যবাদ। এমন আরও অনেক অনেক লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকবো।

ভাল থাকবেন, আনন্দে থাকবেন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩০

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: বলেছেন: আপনার মন্তব্যের পর লজ্জাই পেতে হচ্ছে আমাকে। আমি ভেবেছি-মৃত্যু নিয়ে-মানুষতো প্রকৃতিরই অংশ সে কেন স্বভাব বদলে ফেলল। আরেকটা চেষ্টা করেছি আমাদের গ্রামের লোকেদের যুদ্ধ কেন্দ্রিক মনোজগত তুলে ধরতে।

যদি মনে করেন আমি আপনার সামনে কিছু বিষয় তুলে ধরতে পেরেছি-তাহলে আমি কৃতজ্ঞ।

ভালো থাকবেন

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৮

ফয়সাল খালিদ বলেছেন: চমৎকার ... অসাধারণ... এই ভাষা এবং ধরণটা ধরে রাখুন .. সত্যিই বেশ মজা পেলাম ...

++++

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২৩

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: খালিদ ভাই.....
বেশি হয়ে গেল না।

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২৩

টুশকি বলেছেন: হানি মানে পানি, এর বেশি কিছু জানিনা
লেখা পড়তে অনেকক্ষন লাগবে
ঘুরেফিরে পারলে আবার আসব, এখন প্লাস দিয়ে গেলাম, হিহিহি প্রথম কয়েক প্যারা পড়ে মজা পাইছি

১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২৭

বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: বুঝিনা । :|
আমার নোয়খালীতে বিয়া করার শখ গেছে গা

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩১

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: বিরক্ত মানুষ........ সহজেই বিরক্ত হন কেন।

১৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩৭

বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: Click This Link একটা সুযোগ আছিলো .... এখন আর ভরসা পাইতাছি না
আমি কমু চিংড়ি মাছের দোপেয়াজার কথা .. দেখা যাইবো শ্বাশুড়ি আমারে হুডি মাচ দি বাথ খাবাই দিচে।

১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪১

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আপনার লিংকটি পড়লাম....ওই স্লোগানের কাহিনী আরো আগের মনে হয়।


আর ভরসা আমি কিভাবে দেই বলুন। তবে চিংড়ি মাছ আমরা খাই।

১৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৪৪

...অসমাপ্ত বলেছেন: ...ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে পোস্টগুলো দেখছিলাম।

...এইটা কি লিখেছেন ভাই :| । ...ঘুম পালিয়েছে। ...আট-দশ লাইন পড়েই আমি নাই।

তবে ....প্রিয়তে রাখছি। পুরোটা বুঝতে না পারলে শান্তি পাব না। ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে।

...+++ ফর দিস "জটিলস্য" এফোর্ট।

১৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:২৭

লীনা দিলরূবা বলেছেন: বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: একটা সুযোগ আছিলো .... এখন আর ভরসা পাইতাছি না আমি কমু চিংড়ি মাছের দোপেয়াজার কথা .. দেখা যাইবো শ্বাশুড়ি আমারে হুডি মাচ দি বাথ খাবাই দিচে।

বিমা ভাই, চিংড়ি মাছের কথা কইলে আপনারে হুডি মাছ ন ইচা মাছ দিবে। নোয়াখাইল্যারা এত বোকা না। দোয়া করি ইচা খাইবার সুযোগ হোক!

১৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫১

লীনা দিলরূবা বলেছেন: শুভ্র, পুরো গল্পটা পড়লাম। প্রিন্ট করে পড়তে হয়েছে, কারন নিজের ভাষা হলেও টানা এই ভাষায় কোন লেখা পড়া খুব কষ্টকর।

আয়েশা এমন রাতে চলে গিয়েছিল যেখানে কোনদিন সকাল হবেনা। অদ্ভুত কথা তো! মৃত্যু পরবর্তী জীবনটা ক্যামন, অন্ধকার? যেখানে রাত আর দিনের কোন পার্থক্য নেই!

মানুষ দুই টাকার জন্য মানুষকে হত্যা করে, দেশে দেশে এই নরহত্যার দায় তো বর্তায় আমাদের সবার ওপরই। দুই বৃদ্ধ মানুষের কথোকথন মূলক এই গল্প আমাদের ভাবায়, কাঁদায়ও। স্ত্রীর মৃত্যু, বৃদ্ধের একাকীত্ব, মৃত্যু চিন্তা, স্ত্রীর শোক, ভালোমন্দ খাওয়ার বাসনা সব মিলে কি সুন্দর একটি গল্প পড়া হল।

বাই দ্য বাই, আপনার মাধ্যমেই প্রথম নোয়াখালীর লোকাল ভাষায় একটি পরিপূর্ণ গল্প পড়ার সৌভাগ্য হল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আই হরি হাইলছি। আঁরে হানি দেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৭

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: ধন্যবাদ শরৎ ভাই।

১৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩৫

প্রণব আচার্য্য বলেছেন:
বাড়ী তইলে হেনী। আঁর নোয়াখালী। :)

২০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৬

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

বাইচা, আঁই হরি হালাইছি । একটানে হইচ্চি, কষ্ট অয়নো !
আঁর বাড়ি কিন্তু হেনী ন' ! আঁই আন্নেগো কতা হারি !

গপসপ বালা লাইগজে ।

২১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০৪

কালপুরুষ বলেছেন: এক একথায় অসাধারণ! পড়তে সময় লাগলো। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লাম। কিছু কিছু জায়গায় প্রথমবারে বুঝতে অসুবিধা হলেও পরেরবার সেটা বুঝতে পেরেছি। খুব ভাল লাগলো। আঞ্চলিক ভাষায় ব্লগের সেরা লেখা নিঃসন্দেহে।

২২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৫

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন:
এই মনিহার আমায় নাহি সাজে......................

২৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০২

শাওন৩৫০৪ বলেছেন: ....রাতের কুয়াশা'র বর্ননা টা যেকোন ক্লাসিক লেখার সমতুল্য....আমি বাকরহিত।
অনেক অনেক দিন পর অপরিচিত কারো লেখায় এতটা পরিশীলতা দেখে অসম্ভব ভালো লাগলো।লেখাটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি দয়া করে লেখা চালিয়ে যান।

২৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:১৬

মুনীর উদ্দীন শামীম বলেছেন: আঁর কাছেও বালা লাইগছে.............

২৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:১৭

মুনীর উদ্দীন শামীম বলেছেন: সোনাগাজীর কোন ইউনিয়নে বাড়ি????

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৩২

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আমার গ্রাম সেনেরখিল.... মঙ্গলকান্দি স্কুল সংলগ্ন

২৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৩

লীনা দিলরূবা বলেছেন: শুভ্র, একটা গল্প (১ম ভাগ) লিখেছি। পড়ার অনুরোধ রইল।

Click This Link

২৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৫

|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: রাইতের কুয়াশারে লঁই যেন্নে লিইকছেন , আঁই তো কাইত্তোই গেছিরে ভাই। যঁঅন লাগের দেঁ কউয়া খালের দি ছলছলাই হানি বঁই যায় ,
এক্কেরে হেইচ্ছা অইছে ভাষা। হইডতে হইডতে এক্কেনা কষ্ট অইছে, কারণ মুকে কই,লেখি তো না। তয় হইবের হরে খাটনি হোষাই গেঁছে।
খালি ভাষা দেখি হড়া শুরু কইচ্ছিলাম, কিন্তু গপখান লিএখছেন এক্কেরে জমাই।

এই গপখানের লাই বাইত গেলে আন্নেরে ভাফের হিডা খাবামু।

২৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৫

মুনীর উদ্দীন শামীম বলেছেন: আমার বাড়িও সোনাগাজী..................... [email protected]

২৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১২

মিলটনরহমান বলেছেন: আঞ্চলিক ভাষায় লেখা ভালো লাগলো

৩০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২০

দাউদ রনি বলেছেন:

আন্নের লেয়া হড়ি আঁর বালা লাগছে।
কতা অইলো, বানানে এক্কানা ভুল আছে।
'চন্দ্রবিন্দু' গুনতা জাগা মতো হড়ে ন।

৩১| ০৯ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫

রুবেল শাহ বলেছেন: আর বাড়ী ছালগনাইয়া............

৩২| ১৩ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৫৫

নুশেরা বলেছেন: শুভ্র, জানুয়ারিতে ব্লগে আসা হয়নি তেমন। অসাধারণ এই লেখাটা তাই আগে চোখে পড়েনি। ভাগ্যিস আপনি লিঙ্ক দিলেন।

গল্পের চরিত্রের মুখে কুয়াশার বর্ণনা পড়তে পড়তে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল; কী অদ্ভুত সুন্দর! ছোটবেলায় এই "খোয়া"র চাদরটা খুব অনুভব করেছি... শেষরাতে চালতাগাছে ঝুলন্ত ফলের গায়ে জমে জমে ঝরতে থাকা খোয়া... আমরা বলতাম "খোয়া ট্যাবাই ট্যাবাই হড়ে'র"...

শেষটায় এসে যুদ্ধের প্রতি বীতশ্রদ্ধাটা কিন্তু কোন সময়কালের গন্ডীতে বাঁধা থাকেনা। এটা একাত্তরের বাংলার মাটি হতে পারে, হতে পারে ইরাকের মাটি, কিংবা পিলখানার... । চরিত্রগুলোর এই ধরণের সংবাদ-সূত্রের প্রতি এক্সপোজার কী ধরণের হতে পারে তার কোন আঁচ লেখক দেন না গল্পের কোথাওই। এখানেই গল্পটার আবেদন চিরন্তন বলে মনে হয়েছে।

ছোটমুখে কিছু কথা বলে ফেললাম। ধৃষ্টতা ক্ষমা হোক।
ভাল থাকবেন। আপনার অন্য সব লেখা পড়ার প্রত্যাশায় রইলাম।

১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৩৫

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আমি আসলে আপনাকে লিংক দিয়েছিলাম ভাষার মজাটা নেয়ার জন্য। তাছাড়া আপনার পোষ্টে মন্তব্য করার পর বললেন একটা লিখা দিতে-তাই লিংক দিলাম।

গল্প নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি শুধু নিজের ভেতরের প্রচন্ড এক যন্ত্রণা প্রকাশের চেষ্টা করেছি। নিজের গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষেরা যুদ্ধকে কিভাবে ভাবে-তাদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ তুলে ধরতে চেয়েছি।

আপনার ছোট মুখের বচনই আমার পাথেয় হয়ে থাকুক।

৩৩| ০৭ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সবাক বলেছেন:
হুঁডি মাছ লই গল্পয়ান বালা লাইগছে...

আঞ্চলিক ভাষায় আঙ্গোরে আরো বেশি করি লেখন দরকার।

শুভ্রভাই আন্নেরে ম্যালা ধইন্যবাদ :)

০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৩

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আন্নেরেও ছেইম.................

৩৪| ০৭ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: আই হর্তি হর্তি হরি গেলাম....... ;)

০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৪

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: উডি যান উডি যান..........হিম্বায় দইরবো।


হিম্বা মানে বুঝেনতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.