নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়, আমি শুনি যেন তার চরণের ধ্বনি আমারি তিয়াসী বাসনায়।
সম্প্রতি হাতিরঝিলের পারফর্মিং আর্ট ''হিউম্যান ডগ'' কনসেপ্ট নিয়ে চারিদিকে বেশ হৈ চৈ পড়ে গেছে। পুরুষেরা এর বিপক্ষে জোড় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ফেইসবুক, ব্লগ সবখানেই লিখালিখি চলছে। কেউ কেউ বিষয়টিকে ‘মধ্যবিত্ত পুরুষের করুণ জীবনকাহিনী ফুটে উঠেছে’ বলে মনে করছেন। ব্যাপারটি এমনও হতে পারে যে পুরুষশাসিত সমাজ নারীদের অবলা ভাবতে পছন্দ করলেও নিজেদের নিরীহ গোছের কিছু একটা (সেটা কল্পনায় অথবা প্রতীকী হলেও) ভাবতে নারাজ, সেজন্য প্রতিবাদ করেছে।
যাই হোক, নারী হোক আর পুরুষ ই হোক তাকে মানুষ না ভেবে পশুর মতো, সাধারণ পণ্যের মতো বিবেচনা করা হবে তা কখনোই প্রত্যাশিত হতে পারেনা। একটি ব্যাপার লক্ষ্য করুন, অধিকাংশ মানুষ ই পুরুষকে নারীর অথবা নারীকে পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এমনটি কখনো সুন্দর ও স্বাভাবিক ভাবনা হতে পারেনা। পারিবারিক/সামাজিক ভূমিকা অথবা শারীরিক গঠনগত দিক থেকে কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। বরং নারী- পুরুষ একজন আরেকজনের সহযোগী হবার কথা ছিল। একসাথে মিলেমিশে এগুবার কথা ছিল। সেটাই শোভনীয় এবং তাতে সার্বিক উন্নতিও সম্ভব। কিন্তু কিছু মানুষের একপাক্ষিক মনোভাবগুলোই বৈষম্য তৈরী করেছে এবং তা অনাদি -অনন্তকাল থেকেই চলে আসছে। আগে আমাদের নানী -দাদীরা অশিক্ষিত, অজ্ঞ ছিলেন জন্য সবকিছু মেনে নিয়ে চলেছেন। তখন শুধু পুরুষের দাপট দেখা গেছে। যেই না আমরা নারীরা শিক্ষিত হলাম, অমনি শেকল ভাঙতে চাইলাম। আর তাতেই মুখোমুখি দাঁড় হয়ে গেলো নারী -পুরুষ নামের দুই মানবীয় সত্তা। যেখানে যার ক্ষমতা বেশি, সেখানে সেইজন দাপট দেখিয়ে চলেছে।
আপনি যেমন নির্যাতিত পুরুষ দেখাতে পারবেন, আমিও তেমনি অসংখ্য নির্যাতিতা নারী দেখাতে পারবো যারা- স্বামী দ্বারা, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দ্বারা প্রতিনিয়ত নিগৃহীত হয়ে চলেছেন। তাই আমার মনে হয়, এমন বৈপরীত্য বাদ দিয়ে হাতে হাত রেখে পাশাপাশি এগিয়ে চলার মনোভাব গড়ে তোলা উচিত। কেননা, সম্পর্ক যদি একটি রশি হয় আর আমরা যদি দুইপাশ থেকে সর্বস্ব শক্তি দিয়ে টানতে থাকি, তবে রশিটিই ছিঁড়ে যাবে, যেটা আধুনিককালে হচ্ছে। এর বাজে পরিণতি হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে, বিচ্ছেদের হার বেড়েছে। স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে বড় ধরণের মানসিক দূরত্ব তৈরী হচ্ছে। বিবাহ বহিৰ্ভূত সম্পর্কে জড়াচ্ছে এবং সেইসাথে একে অন্যের উপর দিয়ে কর্তৃত্ব দেখানোর চেষ্টা করছে। ফলশ্রুতিতে, সম্পর্কগুলো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার না হয়ে অতিমাত্রায় ডমিনেটিং টাইপ হয়ে গেছে। সম্পর্কে ফাঁটলের আরো কারণ হতে পারে - অযাচিতভাবে একজন আরেকজনকে ছোট করা, হেয় করা, সঙ্গীর শ্রম /কাজকে অবমূল্যায়ন করা ইত্যাদি।
আমার মতে, একপেশে মনোভাব পোষণ না করে এমনভাবে লিখা উচিত যেখানে নারী -পুরুষ দুইপক্ষের ই কথা উঠে আসে, সুন্দর সমাজ গঠনের প্রয়াসে হাতে হাত রেখে দৃঢ় প্রত্যয়ে সামনে চলবার প্রেরণামূলক মেসেজ যেন তাতে থাকে।
যেহেতু নারীকে ছাড়া পুরুষ অথবা পুরুষবিহীন একজন নারীর জীবন কখনো পূর্ণাঙ্গ অর্থবহ হতে পারেনা, সেহেতু মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে আসা উচিত। ইগো, জেদ আর দাম্ভিকতা তো কেবল আমাদের থেকে ভালোকিছু কেড়ে নেবে ও নি:সঙ্গ করে তুলবে। একটুখানি কম্প্রোমাইজ আর স্যাক্রিফাইস যদি সম্পর্ককে সুন্দর করে তোলে, পরিপূর্ণ জীবনবোধের তৃপ্তি দিতে পারে এবং একটা সুন্দর গঠনমূলক সমাজ বিনির্মাণের সহযোগী হয়ে থাকে তবে কেন আমরা সেসবের চর্চা করতে দ্বিধান্বিত হবো !! আমরা সবাই সহনশীল আর সহমর্মী হতে শিখি, তবেই না আমাদের সম্পর্কগুলো সুন্দর হবে, সামাজিক বন্ধন আরো মজবুত হবে।
ফটো, গুগল থেকে সংগৃহীত
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৪
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আমাদের মধ্যে একটা অসুস্থ্ প্রতিযোগিতা তৈরী করে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে যে একজন পুরুষ যেটা করবে সেটা আমরা কেন করতে পারবোনা! এজন্য মেয়েরা রাস্তায় ওপেনলি সিগারেট খাচ্ছে। সিগারেট খাওয়া তো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেটা নারী /পুরুষ যে -ই হোক না কেন। তাহলে একটা খারাপ কাজ কেন অনুকরণ করতে হবে, ভেবে পাইনা। আমরা মানুষ না হয়ে পুরুষ হতে চাইছি, যেটা আমার কাছে মনে হয় নেহায়েত ই বাজে ভাবনা।
হ্যাঁ, ভাইয়া। এটাই আমার ব্লগে প্রথম পোস্ট। কিভাবে লিখব এটা ভেবেই কখনো লিখা হয়ে ওঠেনি। আমার প্রথম পোস্টে এসে উৎসাহিত ও অভিনন্দিত করবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকুন।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪১
শের শায়রী বলেছেন: একটা ছোট টিপস যখন লিখবেন প্রতি প্যারার মাঝে আর এক স্পেস ফাক রাখবেন। দেখতে এবং পড়তে দৃষ্টিন্দন এবং দৃষ্টি সুখকর হবে।
ভালো থাকুন।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৯
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: এডিট করে ঠিক করে দিয়েছি। বেশ সুন্দর একটা টিপসের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
একজন পুরুষ যদি কোন নারীর জন্য ভালোবাসা অনুভব করেন, নারী সেটা অনুভব করতে পারেন।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: অবশ্যই তা অনুভব করতে পারেন। তেমনি একজন নারী কোনো পুরুষের সূক্ষ অবহেলা, উপেক্ষা এবং ফাঁকিবাজীও বুঝতে পারেন।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এখনো বিশ্বে নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি নির্যাতিত। তবে অবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে দ্রুত।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৯
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: সেটাই তো। কিন্তু ইদানিং এই কথাটা বেশ শোনা যাচ্ছে যে পুরুষরা ঘরে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। তবে তা হয়ে থাকলে ডমিনেটিং মনোভাবের জন্যই হয়ে আসছে যেটা পোস্টে উল্লেখ করেছি।
নারীরা নিগৃহীত হবার আরো বড়ো কারণ হলো,'মেয়েরাই মেয়েদের বড় শত্রু।' একজন নারী অন্যজন নারীর সুখে প্রচন্ড ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে থাকে। তখন তার কাছে যা হাতিয়ার (কুবুদ্ধি দিয়ে, কুটনামি করে ইত্যাদি) থাকে সেটাই ব্যবহার করতে থাকে, সেই নারীটিকে অশান্তিতে ফেলতে। নারীরা শিক্ষিত হলে নির্যাতন কমে যাবে এমনটিই ধারণা করা হতো। কথাটি অনেকাংশে সত্য হলেও নির্যাতন কিন্তু একদম বন্ধ হয়নি।সেজন্যই উভয়ের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
ঘুটুরি বলেছেন: নারী ও মানুষ, পুরুষ ও মানুষ। এভাবে চিন্তার বিকাশ পরিবার থেকেই শুরু করা উচিৎ। হুট করেই সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা সম্ভব নয় কিন্তু একটা জেনারেশন যখন শুরু হয় তখন থেকেই আমরা যদি এই বিষয় গুলি নিয়ে সুস্থ চর্চা করতে পারি আশা রাখা যায় চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন আসবেই। আপনার লেখা ভালো লেগেছে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫১
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: জ্বী, পরিবর্তনটা নিজ ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। আমার লিখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার জন্য শুভকামনা।
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪১
রূপম রিজওয়ান বলেছেন:
প্রথমত সামুতে সেফ হওয়ায় আন্তরিক শুভেচ্ছা নিন। আপনার তিনটে পোস্টই পড়লাম। দারুণ আপনার লেখার হাত,বিশ্লেষণী ক্ষমতা। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্লগে নিজের অবস্থান পোক্ত করে নেবেন।
বাই দ্য ওয়ে,আমিও ব্লগে প্রায় নতুন। নিকের বয়স দুই মাসের কিছু বেশি। উপরে ১ আর ২ নং মন্তব্য যার,সামুতে তিনি আমার গুরুজি,বলতে পারেন। অসম্ভব ইন্সপায়ারিং। তাছাড়া শ্রদ্ধেয় ব্লগার নীল আকাশ ভাইয়াও নবীন ব্লগারদের গাইড করার অসম্ভব ফ্রেন্ডলি। নবীন ব্লগারদের জন্য দিকনির্দেশনামূলক কয়েকটা পোস্ট ওনার ব্লগবাড়িতে পাবেন,ঢু মেরে আসতে পারেন। সেফ হবার আগে-পরে ওনাদের সহযোগিতা কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
যাহোক,অনেক অনেক শুভকামনা! হ্যাপি ব্লগিং!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৮
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ধৈর্য্য ধরে আমার প্রতিটি লিখা পড়েছেন এবং বেশ অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্বী, কিছু জন সম্মানিত ব্লগার আছেন যারা বরাবর উৎসাহিত করেন ভালো লিখবার জন্য। তাদের প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
ব্লগে নিয়মিত হতে পারিনা তাই হয়তো ব্লগার নীল আকাশ ভাইয়ার দিকনির্দেশনামূলক লিখাগুলো মিস করে ফেলেছি। আমাকে জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি সময় করে পড়ে আসবো।
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা। আশা করি, সামুতে আপনার পথ চলা অনেক সুন্দর ও সুখকর হবে।
ভালো থাকবেন, পাশে থাকবেন।
৭| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা পড়লাম । মানবিক সম্পর্কের বিপর্যয়ের কারণগুলো খুব ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আপনার লেখার হাত অনেক পুরনো বোঝাই যাচ্ছে তাই আরো নতুন লেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
রমজানের মোবারকবাদ জানবেন ।
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ৩:৪৬
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: রমযানুল মোবারাক। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। টুকটাক লিখালিখি করতাম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে খুব স্বল্প পরিসরে। আশা করি, পাশে থাকবেন সময়। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
৮| ০৩ রা মে, ২০২০ সকাল ৯:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন, পোস্টে পঞ্চম প্লাস +।
নারী ও পুরুষ, কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং একে অপরের পরিপূরক।
আপনি সম্পর্ককে সুন্দর করার জন্য কম্প্রোমাইজ আর স্যাক্রিফাইস এর কথা বলেছেন, ঠিকই বলেছেন। দুটোই পারিবারিক শান্তির জন্য পূর্বশর্ত।
আবার ৪ নং প্রতিমন্তব্যে আপনি এটাও ঠিক কথা বলেছেন, 'মেয়েরাই মেয়েদের বড় শত্রু।' এখনো পরিবারের মায়েরা মাছের সবচেয়ে ভাল টুকরাটা (যদি মাছ খান, অন্যথায় অন্য কিছুর) তার পুত্রসন্তানের জন্য বেছে রাখেন, কন্যার জন্য কদাচিৎ!
৩ নং মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য, দুটোই সত্য এবং সুন্দর।
০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আমার পোস্টে বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্যের জন্য ও প্লাস দিয়ে এপ্রিশিয়েট করার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
৯| ০৩ রা মে, ২০২০ সকাল ১০:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা আপনার প্রথম পোস্ট, তাই বিলম্বিত সুস্বাগতম জানাচ্ছি। শুভ হোক আপনার ব্লগযাত্রা, আনন্দময় হোক!
০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: স্বাগতম জানবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পরামর্শ, উপদেশ দিয়ে আমার পাশে থাকবেন সেই আশা করি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৬
শের শায়রী বলেছেন: এই ব্যাপারটা নিয়ে ব্লগে যত পোষ্ট এসেছে আমার দৃষ্টিতে আপনার ব্যাখ্যাই সব থেকে গ্রহনীয়। নারী হোক পুরুষ হোক একজন মানুষ কে কুকুরের মত বেধে ঘুরানোকে যদি আর্ট বলা হয় তবে পারভার্শান কোনটা?
এই মানবিক বোধ নিয়ে লিখতে থাকুন।
এটাই সম্ভবতঃ আপনার প্রথম পোষ্ট ব্লগে। অভিনন্দন।