নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়, আমি শুনি যেন তার চরণের ধ্বনি আমারি তিয়াসী বাসনায়।
প্রথম পর্ব দেখার জন্য নিম্নের লিঙ্কটিতে ঘুরে আসতে পারেন -
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার - মেটেওরা, গ্রীস (১ম পর্ব)
আজ তবে আরো খানিকটা সময় ঘুরে আসি মেটেওরা থেকে।
আহারে ! কী শান্তিতে ঘুমায় বেচারা। মানুষ না হয়ে ওই বিড়ালটা হতে পারলে তবুও ভালো হতো। ভাবলেশহীন ভাবে ঘুমিয়ে জীবন কাটানো যেতো। বিড়ালটার পাশে কিছুক্ষণ বসে থেকে এসব ভাবছিলাম। হা হা ..
যেন স্বর্গ পৃথিবীতে নেমে এসেছে। একেকটা দ্বৈত্যকার শিলাখন্ডগুলোর সামনে দাঁড়ালে নিজেকে অতিকায় ক্ষুদ্র মনে হবে।
'বালিকা তোমায় নিয়ে মঙ্গল গ্রহে হারিয়ে যেতে চাই' বলে কেউ যদি প্রেম নিবেদন করতো, তবে তারে শুধাতাম-''হে বালক, মঙ্গলে যেয়ে আমার কোনো কাজ নেই। তুমি বরং আমাকে ওই দূর পাহাড়ে নিয়ে চলো। ওখানেই প্রেমের বেসাতি সাজাবো।'' হি হি .... যাই হোক, ওই দূরে পাহাড়ের চূড়ায় ঘরগুলোতেই সাধু -সন্ন্যাসীরা থাকেন।
এটি একটি রাস্তার নাম। এসব দেশে একটা বড় সুবিধা হলো, সবগুলো রাস্তার নাম রয়েছে এবং সুন্দরভাবে তার ডিরেকশনও দেয়া থাকে। এমনকি জঙ্গলে ঘুরতে যেয়ে দেখেছি যে কাঠে খোদাই করে তারা রাস্তার নাম লিখেছে। তার মানে এই আইডিয়াটা তাদের অনেক পুরোনো।
কোনো একটি শিলাভূমির উপর দাঁড়িয়ে ফটোটি উঠানো। এখানে উঠে চারপাশের প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছিলো, এখুনি ধ্যানে বসে যাই। বসেও গিয়েছিলাম বললে ভুল হবেনা।
সেন্ট স্টেফান নামের এক মঠে প্রবেশের পথে কেমন কাপড় পরিধানযোগ্য নয় তার নির্দেশনা।
এসব মঠগুলোতেই সাধুদের বাস। ধ্যানের জন্য নিরিবিলি স্থান পছন্দ করেন জন্য এসব স্থানে তাঁরা আবাস গড়েন।
সিঁড়ি বেয়ে মঠে পৌঁছাবার পর এমন দৃশ্য। মানুষের ফটো থাকায় পুরো ভিউটা দেখানো গেলোনা। তবে অনেক কষ্ট করে উঁচুতে উঠার পর প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য দেখবার পর প্রাণ ভরে যায়। মনটা জুড়িয়ে যায়। ফটোতে স্কার্ট পরিহিতা একজন মহিলাকে দেখা যাচ্ছে। মঠগুলো পরিদর্শন করতে চাইলে মেয়েদের অত্যাবশ্যকীয়ভাবে এমন লং স্কার্ট আর একটা স্কার্ফ পরতে হয়।
এর উপযুক্ত ক্যাপশন কী দেব ভেবে পাচ্ছিনা। ফটোটা দেখে আপনাদের মনে কী ধারণা জন্মায়, তা চাইলে জানাতে পারেন।
প্রকৃতি অকৃপণভাবে তার শোভা ছড়িয়েছে পুরো পৃথিবী জুড়ে।একেক জায়গার একেক রকম বিশেষত্ব।সেসব দেখে মনে একধরণের প্রশান্তি অনুভূত হয়। আবার কবে যে আমরা বাধাহীনভাবে পৃথিবীর বুকে বিচরণ করবার সুযোগ পাবো !! সবশেষে, আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে একটা সুন্দর কবিতার লিঙ্ক দিলাম। পারলে চোখ বন্ধ করে শুনে দেখবেন। উপলব্ধি করবার মতো কথাগুলো। ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন।
১০ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৪৮
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: শুনে আনন্দিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ।
২| ১০ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালোই হয়েছে।
১০ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৫৯
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩| ১০ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:১৪
ওমেরা বলেছেন: এত সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গেলে মন তো ভালো লাগবেই । ছবি দেখেও আমার মন ভরে গেল ধন্যবাদ নিবেন তার জন্য।
১০ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:২০
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আসলেই মনটা ভরে যায়। মনে হয় এত সুন্দর পৃথিবীটা ঠিকমতো না দেখে মরতে চাইনা।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৪| ১০ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:২৯
রাফা বলেছেন: প্রথম পর্বের চাইতে ভালোভাবে ঘুরে আসলাম আপনার সাথে মিটেওরা গ্রীস থেকে।
ঐ হুকটা মনে হয়, ক্যাবলে পারাপার করার জন্য।
ধন্যবাদ,শু.শুভ্রা।
১০ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৪৫
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: শুনে বেশ ভালো লাগলো।
হ্যাঁ, জিনিসপত্র পারাপারের জন্য মনে হয়।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৫| ১০ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই কমপ্লক্সের নিকটবর্তী লোকালয়ে আপনারা কি থেমে ছিলেন; মানুষজনের অবস্হা কি রকম; স্কুল কলেজ, শিল্প কারখানা দেখলেন? কেমন এলাকা, গরীব নাকি সম্পদশালী এলাকা?
১০ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ওই এরিয়াতে যাবার জন্য ট্যুর বাস নিয়েছিলাম। লোকালয়ের কোথাও থামা হয়নি। বাসের মধ্যে থেকে কোনো কলকারখানা চোখে পড়েনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশ্যই আছে কালাবাকা টাউনে। টুর গাইডের বর্ণনামতে, ওখানকার মানুষজন কৃষিকাজ, শিকার, পশুপালন ইত্যাদি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এর বেশি অল্প সময়ে জানার সুযোগ হয়নি। ওই এরিয়াটা মঠগুলোর জন্য প্রসিদ্ধ। তাই ট্যুর বাসগুলো কেবল সেসব জায়গায় থেমেছে।
৬| ১০ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:০০
সুপারডুপার বলেছেন:
সুন্দর !!! পোস্টে +++
=========================================================================
সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি।
১০ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:০০
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ট্রিপল + এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কোয়ান্টামের বাণী প্রচার করছেন ! বেশ ভালো। পজিটিভিটি ছড়িয়ে দেবার দরকার আছে।
৭| ১০ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
সুপারডুপার বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ট্রিপল + এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কোয়ান্টামের বাণী প্রচার করছেন ! বেশ ভালো। পজিটিভিটি ছড়িয়ে দেবার দরকার আছে।
- জ্বী না। কোয়ান্টামের বাণী প্রচার করছি না। শুভকামনা করছি।
=========================================================================
সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি।
১০ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: কথাগুলো কোয়ান্টামের তো। তাই বলেছি। আপনার শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৮| ১০ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
সুপারডুপার বলেছেন:
ভালো কথা , আপনার মেটেওরা, গ্রীস ভ্রমণের ১ম পর্ব ও শেষ পর্ব দেখলাম। মাঝখানের পর্বগুলো কোথায় গেলো?
=========================================================================
সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি।
১০ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৫
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: মাঝখানের পর্বগুলো এই দুই পুবের মাঝে গায়েব হয়ে গেছে !
৯| ১০ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৩৯
শের শায়রী বলেছেন: ইশ গ্রীস মানেই প্রাচীন দেব দেবীদের আবাসভুমি, সম্ভবতঃ ওই পাহাড়ের ওপরই অলিম্পাস ছিল
গ্রীস দেখার প্রতি মনের মাঝে সব সময়ই সুপ্ত ইচ্ছা আছে। জানিনা ইচ্ছা পুরন হবে কিনা। তাও আপনার সাথে ভার্চুয়ালি ঘুরে আসা গেল কিছুটা হলেও।
পোষ্টে ভালো লাগা জানবেন।
১০ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৮
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: হা হা .. হয়তো ছিল।
আপনার মনের আশা একদিন পূরণ হবে নিশ্চয়ই।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা শের শায়রী ভাইয়া।
১০| ১০ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শুভ্রনীল শুভ্রা,
পৃথিবীটা আসলেই সুন্দর।
সুউচ্চ শিলাখন্ড, তার ঢাল বেয়ে নেমে আসা সবুজ বৃক্ষরাজী আর তার মাঝখানে পীচঢালা পথের এঁকেবেঁকে চলা দারুন রোমান্টিক।
দুটো পর্বই সে রোমান্টিকতায় ভরা।
১০ ই মে, ২০২০ রাত ৯:২০
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১১| ১১ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:০৯
ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোষ্টে ভালো লাগা।
শুভকামনা রইলো।
১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।