নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্যামল সোম

আমিও এক জন সামান্য লেখক, কবিতা,গল্প,রম্যরচনা, প্রবন্ধ লিখে থাকি।

শ্যামল সোম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দু জোড়া চোখ

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:১৭

ঐ এক জোড়া চোখ

( সম্পূর্ণ কাল্পনিক চরিত্র, ভুল ত্রুটির জন্য মার্জনা করবেন কৃপা করে)



শ্যামল সোম



আসন্ন আগামী বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মহাদেশে, গ্রামে, শহরে

বন্দরে, রেস্তোরাঁ, পানশালা, মন্দিরে গির্জার, গুম্ফা

মসজিদ, আশ্রম, উপাসনালয়ে, মল, সিনেমা হলের

বাহিরে, সৌচাগারে, হোটেলে, বিশ্বের শহরে শহরে

খবরের চ্যানেলে চ্যানেলে শোনা গেল, স্বদেশের

ও বিদেশের শাসনকর্তা, নেতৃত্ব যৌথ বিবৃতিতে দিয়ে

ঘোষনা করেছেন, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নীতি নির্ধারণে

সর্ব সন্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে।

ফতোয়া হয়ে গেলো জারি, সারি সারি শরীর,

মুখ ঢাকা বোরখার আড়ালে ঐ এক জোড়া উজ্জ্বল

হয়ে ক্রোধে, অপমানে,বেদনায়, চেতনায় জ্বলে,

ঐ চোখে দু ফোঁটা অশ্রু ব্যথায় করে টল মল।

ফতোয়ার শিরনামা রয়েছে বড় রাস্তার মোড়ে

বিশাল প্লাকার্ড কাট আউট এ রক্তের বড় বড় অক্ষরে,

লেখা আছে,

" সাবধান ! সতর্ক হও ! সতর্কতা জারি করা হচ্ছে সেই

মহান মেহেরবান ঈশ্বরের নামে, ঈশ্বর তোমাদের সৃষ্টি

করেছেন, গর্ভে স্বাস্থ্যবান শুধুমাত্র পুত্র সন্তান প্রসব করার জন্য।

নারী তোমাদের একমাত্র কৃত্য কতিপয় কর্তব্য, সূখী সংসারে

কর্তৃত্ব তোমার শৈশবে, পিতৃগৃহে তোমার আব্বুজানের,

তাঁর অবর্তমানে তোমার ভাইজানের।

নিকা, পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার লগ্নে, পরম শ্রেষ্ঠ

কৃপাসিন্ধু, দাবানল ঈশ্বরের নামে, তুমি মৌলবী সাহেবের

সামনে কবুল করেছো, খসম, স্বামীর অধীনে, তাঁর সেবায়

সকল সময়ে যে কোন মুহূর্তে স্বামীর ডাক শোনা মাত্র,

এমন কি যখন রন্ধনে ব্যস্ত রয়েছো, বা শিশুকে স্তনদানে

সময় স্বামীর ডাক শোনা মাত্র কর্তব্য পরায়ন বাধ্য বাঁদীর

মতো ছুটে যাবে স্বামীর মনোরঞ্জনের জন্য, বা স্বামীর

সম্ভোগের আহ্বানে, নারী তোমার উৎসর্গিত স্বামীর পাদপদ্মে

তুমি সৌন্দর্যের পদ্মফুল সতী লক্ষী, সাবিত্রী, মেরীয়াম, আলেয়া

প্রাচীন কালের কাল উত্তীর্ণ মহীয়সী মহান নারীর মর্যাদা রক্ষার্থে

পড়াশোনা, স্কুল কলেজ, চাকরী বাকরী, কোর্ট কাছারি ছেড়ে,

ফিরে যাও সুখী গৃহকোণে, কিচেনে, পুত্র সন্তান উৎপাদনে

জেহাদ, আর যুদ্ধে এক তন্ত্র, ধনতন্ত্র, গণতন্ত্র দেশ বিদেশ

সুদৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে, বৃহত্তর স্বার্থে যুদ্ধ চাই।

সদ্য লেখাটা নিয়ে ভাবছি কতটা আন্তরিক না ভাবাবেগ লিখেছি?

আজ সন্ধ্যায় একাই এসেছি গুলশান বাগে এক নামী রেস্তোরাঁয়, এখানে মটন বিরিয়ানি খুব সুস্বাদু, অপার দিয়ে একটা ড্রিংকস নিয়ে, কোলকাতা থেকে এই অমর একুশ ভাষা শহীদ প্রতি স্মরণ করে যে 21 শে ফেব্রুয়ারি ও এক মাস ধরে যে ঢাকায় অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় আমার এক লেখিকা বান্ধবী জেসমিন আকতার কবিতার সাথে আমার কিছু অকবিতার, যৌথ সংকলন " যুগল বন্দি" জেসমিন এর ভাই শাহীন ভাইয়ের প্রয়াসে প্রকাশিত হয়েছে শাহীন বহু বিজনেসের সাথে প্রকাশনা ব্যবসা আছে।

শাহীন পরিবার রক্ষণশীল, তাই বাধ্য বাড়িতে না ডেকে এই ধানমন্ডি এই নীলাকাশে রেস্তোরাঁ এ ডিনারে ঢেকেছে।কেবিনে টেবিল বুক আগেই সে করে ছিল,

আশ্চর্য ঢুকতেই এক স্মার্ট যুবক হেসে এগিয়ে এসে বললেন," সুস্বাগতম

আপনাকে, আপনে তো শ্যামল সোম?

" জী ! কিন্তু আপনে আমারে চেনলেন, কি ভাবে? "

" জী, বাংলাদেশে আপনাকে বিভিন্ন চ্যানেলে চ্যানেলে দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে, ভীষণ প্রাণবন্ত আশার কথা শুনিয়েছেন ও কোলকাতা মানুষের শুভেচ্ছা বার্তা বহন এনেছেন।"

আসেন জী"

নিদিষ্ট কেবিনে-টেবিলে সুসজ্জিত চেয়ারে বসে ভাবছি, এত ভালো এই বাংলাদেশের মানুষ গুলান, কি ভীষণ আন্তরিকতা, সংবেদনশীল মন, এত ধর্মপরায়ণ, সুমিষ্ট স্বরে যখন কথা বলে, যেন মধু ঝরে। আমি মনে মনে প্রার্থনা করি, হে ঈশ্বর নত শিরে মোনাজাত করে মহান আল্লাহ্‌ আপনি রক্ষা করুন।

আশ্চর্য এক সুগন্ধী সুবাসে ভরে গেল কেবিন, চোখ তুলে তাকিয়ে অবাক হয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে আছি, মৃদু সুরে বললেন " আদাব ভাইয়া" আড়ালে হাসি মুখে, হাত জোড় করে নমস্কার করলেন বেহেস্তের নুর,হঠাৎ শাহীন ভাই ডাকে সম্বিত ফিরে এলো, " আদাব ভাইয়া কি ব্যাপার, কোথায় হারিয়ে গেছিলেন ?শোন ফারজানা ! ইনি কবি, আপুর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী, জেসমিন আপু এইকোলকাতার কবির সাথে ওনার কবিতার সংকলণ--"

" শ্যামল দাদা ভাইর কবিতা পড়েছি, খুব ভালো লেখেন আপনি, একবারে মন কেড়ে নেন "

" এ কবিদের ভাষা বোঝার জন্য পান করতে হবে।"

" এই যে ভাই, দুটো শিভারস রিগল স্কচ বড় পেয়ালায়, আর ওনার জন্য

রেড ওয়াইন, --"

হঠাৎ শাহীন কানের কাছে মুখ নিয়ে আমার দিকে আড়াল থেকে তির্যক চোখে চেয়ে কি যেন বললেন। প্রশ্রয় এর হাসি হেসে মাথা নেড়ে, নীচু স্বরে বললেন, " হাঁ ভাই, এক পেয়ালা ব্লু রিবন জিন্স ওনার জন্য।"

রথ ম্যান সিগারেট নিয়ে শাহীন এগিয়ে দিলো আমার দিকে, আমি চোখের ইশারায় মহিলার উপস্থিতি বোঝাতে, উনি মৃদু সুমিষ্ট স্বরে জানালেন, " আমার সমস্যা নাই " চোখে কৌতুক।

আমিও পেয়েছি এসে সিগারেট এ ধোঁয়ার আড়াল থেকে দেখছি, ভীষণ কারুকার্য করা হিযাব বোরখার আড়ালে এক জোড়া ডাগর কালো সুরমা শোভিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.