![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রুবী রায় আছে ভালোবাসায়
শ্যামল সোম
সেদিন বিকেলে সূর্য্য পশ্চিমে হেলে আবীর ছড়াচ্ছে আকাশে, রথে মেলায় রথ দেখা কলা বেচার তালে, আমার পরনে চোঁঙাপেন্ট, বাহারী- টি-সা র্ট -মারলিন এর ছবির আঁকা বুকে, ছত্রিশ বুক চল্লিশে ফুলিয়ে; কায়দা করে টুপি বাঁদিকে হেলিয়ে, ইমপোটেট সানগ্লাসের ভেতর থেকে খুঁজছি মনালিসাকে।
ভীড়ে শীষ. দিয়ে গানের সুর ভাঁচছি, সামনে তাকিয়ে থমকে থেমে,
বিস্ময়ে অবাক ! রথের মেলায় এমন তন্নী, তরুনী, উদ্ধত যৌবনা রূপের
অহংকারে- অহংকারী মোমের মেয়ের পরণে কালো লংস্কাট, গলায় লাল চুনী হার কানে দুলছে চুনীর দুল, মুখে অকৃপন হাসি, সোনালী সূতোয় অপূর্ব অলংকরণ মেয়ের টপ।
এত ও পবিত্র হয় সুন্দরী যুবতীর মুখ। সে মুখের দিকে তাকিয়ে অজানা আশংকায় কাঁপছে বুক। রাজ হংসীর গমন, সাদা মোজা সাদা জুতোয় লম্বা ফেলে, ফেলে হাঁটছে সে।
ড্রাইভার ও কাজের ছোকরা দুজনে কাঁধে- হাতে, মাথায় নানা জিনিসপত্রের এত ভার সামলাতে না পেরে ছোকরার মাথায় চাপানো গোটা পাঁচেক
টবে বিদেশিনী ও দেশী ক্যাকটাস, ও নানা জাতের ফুলের চারা গাছ, সব একই রাস্তায় ধূলোয় গড়ায়।
ছুটে এসে সেই মেয়ে ধূলোয় বসে পড়ে, ছল ছল চোখ. তুলে তাকায় আমার দিকেই, ঐ চোখের চাউনিতে জ্বলে-- আমি জ্বলে উঠি।
ক্লিয়পেট্রা, তার রূপের আগুনে, চোখের কটাক্ষে ছারঘার হয়েছিল রোম।
সীতার জন্যে ধংস হয়ে গিয়ে ছিল লঙ্কা পুরী--
হঠাৎ আমিও মেয়েটির পাশে বসে রাস্তা থেকে জিনিসপত্র, তাল পাতার সেপাই, বেতের বাহারী সৌখিন টুকি টাকি গুছিয়ে নিয়ে সাজাচ্ছি --হঠাৎ আবার ড্রাইবার বাবাজীর দু-হাতে মুনিয়া পাখীদের বিশাল খাঁচা। অন্য হাতে জোড়া দোয়েল পাখীর পেতলের দাঁড়, দুই পাখীর পায়ের, নূপুরের শিকল গেছে খুলে, বুড়ো ড্রাইবারে ছুটে আসার ভুলে।
একটু উঁচুতে- পত করে নূপুর পায়ে উড়ছে তারা, যুগলে প্রায় নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে।
আমি যাদুকরের যাদুকরী খেলা দেখানোর পালা, আসমানে -আমি শরীরটা নিয়ে পাখীর মতো শূন্যে লাফ দিয়ে বহুত করসত করে - দুই দোয়েলদের ধরে এনে
রূপসীর হাতে দিতেই -ঐ আলো করা মেয়ের - দু-চোখে তার ঝরছে জল, ব্যাথায় টল মল বুক, সারা মুখে, সূর্য্যোদ্বয়ের আলোয় আলোকিত হাসি !
মাইরী বলছি, ঐ .এক হাসিতেই ফেঁসে গিয়ে চলেছি ---ঐ মেয়ের চোখের ইশারায় হাঁটছি মোনালিসার সাথে আমার এক হাতে দাঁড়ে যুগল দোয়েল, আর অন্য হাতে--
গভীর ভাবে জড়িয়ে ঐ মেয়ের নরম কোমর। আমার বুকের কাছে সাপ্টে খুব সাবধানে
লতার মতো সে--আমাকে জড়িয়ে আছে - ঊষ্ণ শরীরের- বিদেশী পারফিউমের আর কালো চুলের ঢেউকে শাষন করছে তাজা কনক চাঁপায় সাজানো ক্লীপে আবরণ।
ফুর ফুরে মোদিত নেশায় -স্বর্গের পারিজাত এখন হাতের মুঠোয়, আনন্দে ভাসছি আমি।
ওদের সৌখিন সাদা রঙে মোটর গাড়ি চেপে মেয়ের ঘণ সান্নিধ্যে পাশে বসে যেতে যেতে - দেখছি হাওয়ার দুষ্টুমি হাওয়ায় এসে উড়িয়ে দিচ্ছে মেয়ের চুল, ঘণ স্পর্শের শিহরণে থেকে থেকে কাঁপছে আমার সদ্য পরশ পাওয়া মোনালিসা - অরফে - রুবী রায়--!
লভ - এট - ফাস্ট -সাইট- আবেগে থরথরিয়ে উঠছে বুক,
এরই নাম কী ভালোবাসার সুখ ?
রুবী রায় ভালোবাসায়. ( ২য় ভাগ )
শ্যা ম ল সোম
মোনালিসার বাঁধন ছেঁ ড়া ভালোবাসায় ভাসছি অকূল দোরিয়ায়,
সাঁতরিয়ে কূলে ফেরার অভিপ্রায় বার বার আলি ঙ্গণের মাতনে বুকের
ভেতর মাদল বাজছে, ক্লা ন্ত শরীর তবু নিরুপায়ে সোঁপে দিয়েছি।
মোনালিসার হুকুম তামিল করতে, কাক ডাকা ভোরে উ ঠে লেগে যাই
সংসারের জাঁতাকলে। বিশাল বাগানে পাইপে ঝারি নিয়ে গাছে গাছে-
দিয়ে যাই জল, খুরপী হাতে আলগা মূলের . মা টি, কত রকমের গাছের
আ ড় বুঝে সদা তারই প্র স্তুতি। খানসামার মতো মুখ বুজে খেরমদ খে টে
যা চ্ছি সারাদিন। বিনিপয়সায় আমারই ভা লোবাসায় কেনা গোলামের
মোনালিসার উ চ্ছল হাসি, উ জ্জল মুখে -পা নাচিয়ে, যখন চুমু ছুঁড়ে--
দিয়ে তু করে আমি হামাগুঁ ড়ি দিয়ে এগিয়ে গিয়ে মোনালিসা কোলে মুখ
গুজে ভালোবেসে কাঁদি, পোষা পোষ্যের মতো মোনালিসা আমার শরীর নিয়ে-
আপন মনে খেলে, আমি ভা লোবাসার আগুনে ঝলসে গিয়ে নিত্য পু ড়ে যাই।
গভীর রাত জেগে, প্রতি ক্ষায় কখন ঘুমিয়ে প ড়েছি জানিনা; হ ঠাত শেষ রাতে
গা ড়ির হ র্ণ শুনে দৌ ড়ে বিশাল লোহার গে ট খুলে দিয়ে নি স্পলক দৃ ষ্ঠিতে
তাকিয়ে থাকি--।
পুরুষ ব ন্ধুর কাঁধে রেখে হাত, কোমর. জ ড়িয়ে গা ড়ি বুকে ধরে নামিয়ে
য ত্ন করে দুজনেই টল মল পায়ে ভেতরে যায়। সময় বহে যায়, শীতের শীতল-
রাতে হীম প ড়ছে মাথায় উজবুকের মতো দাঁ ড়িয়ে, নবীন ম ডেল যুবক আমায়-
ইশারায় থামস-আপ- দেখিয়ে হেসে হুশ করে চলে যায়;
ঠেলতে ঠ লতে গে ট ব ন্ধ ক্লা ন্ত পায়ে করে ঘরে আসি।
ঘরের বিছানায় আম
©somewhere in net ltd.