| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ
হাঁজাঁরঁ বঁছঁরঁ ধঁরেঁ তোঁ শুঁধুঁ দেঁখেঁইঁ আঁসঁলাঁমঁ, এঁখঁনঁ আঁরঁ নঁতুঁনঁ কঁরেঁ কিঁছুঁইঁ দেঁখাঁরঁ নাঁইঁ... এঁখঁনঁ শুঁধুঁইঁ বঁলেঁইঁ যাঁবোঁ...
পোস্টটা নির্বিকারভাবে না পড়ার আগে একবার হলেও শিরোনামটা আর একবার দেখুন আর ভাবুন.... কী রেখে যাচ্ছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ??!!!
১। জনসংখ্যা সমস্যাঃ পৃথিবীর ঘনবসতিপূর্ণ শহরের একটা। যার মধ্যে পুরাণ ঢাকার ইসলামপুরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৭০০০ লোক বাস করে !!! সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা।
২। বিশুদ্ধ বাতাসের অভাবঃ দূষিত নগরীর মধ্যে একটা। বাতাসে সীসার পরিমাণ এতটাই বেশি এই দেশেরই অন্য এলাকার মানুষ এই বাতাস সহজে সহ্য করতে পারেনা। আর বিদেশীদের কথা বাদই দিলাম !
৩। যত্রতত্র নোংরা আবর্জনাঃ পুরো শহরটাই ডাস্টবিন। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা যে অপরাধ এটা কারোই মাথায় আসেনা।
৪। বিশুদ্ধ পানির অভাবঃ সুপেয় পানির পরিমাণ দিন দিন দুর্মুল্য হয়ে যাচ্ছে। এখনই হাফ লিটার পানি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। অথচ আমাদের দেশ নাকি সুমিষ্ট নদীমাতৃক দেশ !
৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে অভিভাবকদের অহেতুক অমানসিক দুশ্চিন্তাঃ জানুয়ারী মাস আসলেই অভিভাবকদের লম্বা লাইন পরে যায় নিজের সন্তানকে ভিকারুন্নিসায় কিংবা আইডিয়ালে পড়াতে হবে। যার একটা ইম্প্যাক্ট কোমলমতি বাচ্চাদের উপর গিয়ে পড়ে । মানসিক অশান্তি বাড়ে সেইসাথে।
৬। বেকার সমস্যাঃ শিক্ষা দিনকে দিন সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার মান পরে যাচ্ছে, নিতান্তই পড়াশুনা না করেই হাতে এসে যাচ্ছে সার্টিফিকেট। ফলে দেশ হারাচ্ছে মেধা, আর সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী হারাচ্ছে ক্যারিয়ারের চাবি।
৭। পার্কিং সমস্যাঃ যত্রতত্র পার্কিং এখন চরম আকার ধারণ করেছে। রাস্তার যেকোন অংশে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করা এখন নিয়মেই পরিনত হয়েছে। যা জীবন ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
৮। বাড়িভাড়া সমস্যাঃ মাস ফুরাতে না ফুরাতেই বাড়িভাড়া বাড়ছে। স্বেচ্ছাচারী রূপ নিয়েছে বাড়িওয়ালারা । আর দিন দিন মাস চলতেই দম ফুরিয়ে যাচ্ছে মধ্য আয়ের মানুষদের।
৯। রাজনৈতিক অস্থিরতাঃ এই সমস্যা এখন রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌছে গেছে। সব সমস্যার মূলে এখন এটাই। আগামী ১০০ বছরেও এই সমস্যা থেকে এই জাতি উদ্ধার পাবে কিনা সন্দেহ। মানুষ মারা যাচ্ছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে । কিন্তু জ্বালাময়ী কিছু বক্তৃতা আর প্রতিশ্রুতি ছাড়া এই নিঃস্ব হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো তেমন কিছুই পায়না।
১০। বিশুদ্ধ খাবার সমস্যাঃ প্রত্যেকটা খাবারে ভেজাল। রুগ্ন মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রোগ দিনকে দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে সেই সাথে।
১১। চুরি-ছিনতাইঃ দিনে দুপুরেই এখন চুরি-ছিনতাই বাড়ছে। আর রাতের কথা বাদই দিলাম। অঙ্গহানী থেকে জীবন পর্যন্ত যাচ্ছে এই কারনে।
১২। ঘুষের লেনদেনঃ অনৈতিক ঘুষ আদান-প্রদান এমন লেভেলে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, সরকারী কোন কর্মকর্তার কাছ থেকে কাজ আদায় করা নিতান্তই বোকামী হয়ে গেছে এখন।
১৩। খেলার মাঠের অপ্রতুলতাঃ ঢাকা শহরে এখন খেলার মাঠ নাই-ই বললেই চলে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কি রেখে যাচ্ছি নিজেকেই প্রশ্ন করুন।
১৪। কারিগরী শিক্ষার অনগ্রসরতাঃ শিক্ষার এই দিকটা একেবারেই দুর্বল। শুধু একধরনের শিক্ষাব্যাবস্থা একটা দেশে কখনই সুফল বয়ে আনেনা।
১৫। ঢাকামুখী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানঃ একটা জিনিস দেখে অবাক হই, সব কোম্পানীর হেড অফিস ঢাকা না থাকলেই যেনো ওই প্রতিস্থান পুর্ন রূপ পায় না !! এই ধরনের মানসিকতা ঢাকার উপর ভয়াবহ চাপ বাড়াচ্ছে।
আরও অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ভালো লাগছে না। এতো সমস্যা নিয়ে এখনও বেঁচে আছি, এই ভেবে খুব অবাক হই। স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই। এটাও অসম্ভব কিছু না, যদি হাল্কা ব্রেক করা গাড়ী থেকে তাড়াহুড়া করে নামিয়ে দেয়ার জন্য হেল্পারের ধাক্কায় গাড়ি চাপায় মৃত্যু হয় ! এই তো জীবন ! এভাবেই কেটে যাচ্ছে। জানিনা, জন্মানোর আগে পাপ-পূন্য করার কোন অপশন ছিলো কিনা ?? তা না হলে কোন পাপের জন্য এমন এক এলাকায় জন্ম হল, যেখানে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকাটা অলীক কল্পনা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। মানুষের মধ্যে চরম অস্থিরতা। কে কাকে মেরে সামনে এগিয়ে যাবে এই নিয়ে যুদ্ধ, এক অন্তহীন যুদ্ধ। কবে শেষ হবে জানা নেই। হয়তো ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১ ছিলো বলেই এখনও স্বপ্ন দেখি এক দাঙ্গাবিহীন সুস্থ বাংলাদেশের। এক সুস্থ ঢাকা শহরের। বেঁচে থাকাটাও এখনও স্বপ্ন দেখায়….
০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
মনটা খুবই খারাপ। চলমান ঘটনাগুলো আমাদের দেশের ইমেজ কোথায় নামিয়ে দিচ্ছে এ নিয়ে কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। বিচিত্র এ দেশ !
২|
০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
সোহানী বলেছেন: একদম মনের কথা। তবে সব সমস্যার মূলে হলো জনসংখ্যা। এই একটা সমস্যার সমাধান হলে বাকিগুলো এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে।
০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: জনসংখ্যা তো অবশ্যই.... তার বাইরে সবার ঢাকা কেন্দ্রীক চিন্তাও দূর করা উচিৎ ! আর সর্বোপরি রাজনৈতিক ভুল বুঝাবুঝি... বিদেশী কোম্পানী গুলো এ দেশে বিনিয়োগ করতে ভয় পায় শুধু রাজনৈতিক ইম্ব্যালেন্স এর কারনে !
৩|
০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
রাজীব বলেছেন: এই পোস্ট টি স্টিকি হওয়া উচিৎ।
আপনি আমাদের প্রিয় শহর ঢাকার সমস্যাগুলো একসাথে লিপিবদ্ধ করেছেন।
আসলেই আমার আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য কি রেখে যাচ্ছি? এমনকি ১০-১৫ বছের পরে আমরাই বা কিভাবে এই শহরে থাকবো?
আমার মনে হয় দেশের ৫০% মানুষই ঢাকায় থাকে। যেমন আপনার গ্রামের আত্মীয়দের দিকে তাকান দেখবেন ৫০% আত্মীয়ই ঢাকায় থাকেন।
তারপরও আমাদের দেশের আসল সমস্যা জনসংখ্যা নয়। আসল সমস্যা হলো আমরা ঢাকা ছাড়া অন্য কোন বড় শহর বানাতে পারি নি।
০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে !
সবাই শুধু জনসংখ্যা নিয়ে কথা বলে.... অথচ এই দেশকে গড়ার জন্য ঢাকার মত আরও কতগুলো বড় শহর করা উচিৎ যা ঢাকার উপর চাপ কমাবে, রাজনৈতিক অস্থিরতা কমানো উচিৎ তাহলে বিদেশী বিনিয়োগ আসবে, ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জলতর হবে ।
৪|
০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সাইফুল আলম সারোয়ার বলেছেন: ঢাকার মতো জীবনযাত্রার আয় যদি গ্রামে করা যায়, তাহলে কয়জন ঢাকা ছাড়বে ? খুব কম লোকই পাওয়া যাবে।
আসলে আমাদের শহরপ্রীতি খুব বেশী। যতোদিন এই মানসিকতার পরিবর্তন না আসবে ততোদিন শহরের উপর চাপ বেড়েই যাবে।
যারা জীবিকার তাগিদে শহরে যায় তাদের কথা অবশ্য ভিন্ন ।
সেই জন্য আমি ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে এসেছি ২০১০ তে, আপনি কবে ছাড়ছেন ?
০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: খুবই সুন্দর কথা বলেছেন। মিনিমাম ২০ লাখ গার্মেন্টস কর্মীর ঢাকায় আসা কোনই দরকার ছিলো না, যদি তারা একই সুযোগ সুবিধা পেত তাদের গ্রামাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত কোন গার্মেন্টসে । তাহলে ঢাকা থেকে মিনিমাম ৫০ লাখ লোক কমানো যেতো (২০ লাখ গার্মেন্টস কর্মীর পরিবার বর্গ সহ) !!
আমিও ভার্সিটিতে পড়া অবস্থায় চেয়েছি ঢাকা ছাড়তে। কিন্তু চাকুরীস্থল যেহেতু ঢাকা, তাই আপাতত পারছি না। তাই ক্ষোভ আর কষ্ট থেকে এই কথাগুলো বলা।
৫|
০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০১
বনলতা মুনিয়া বলেছেন: বিদেশী বিয়ে করার ধান্দায় আছি। বিদেশীরে বিয়া কইরা বিদেশ চইলা যামু
০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৫
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: রান্নাবান্না, গাড়ি চালানো, বাজার করা, ঘর পরিস্কার করা, রাস্তা ঝারু দেয়া... এসব বেসিক জিনিস জানেন তো?? তা না হলে বিয়ের দুদিন পর আপনার বিদেশী হাজবেন্ড আপনারে কিন্তু চিনবেই না।
৬|
০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৯
বনলতা মুনিয়া বলেছেন: বিদেশীরে লিমিটলেস ভালোবাসা দিমু। ভালোবাসা দিলে সব ঠিক
:!> :!> :!> :!> :!> :!> :#> :#> :#>
০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: তাইলে আপনার কপালে সিলোটি ছাড়া আর কোনো গতি নাই !
৭|
০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
বনলতা মুনিয়া বলেছেন: আমি ঐসব ফালতু জিনিষ বিয়া করুম না
![]()
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪০
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: জিনিষ !!!
(মেশিন কইলে তাও বুঝতাম !
)
আমার তো সিলোটি মানুষ ভালই লাগে । আর তাদের ভাষা তো সেইরকম... "কিতা খবর ? ভালা নি বা? " ! আহা, কি চমৎকার ।
৮|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩২
বনলতা মুনিয়া বলেছেন: ধুর ব্যাটা ভূত......!!!
জিনিষ বলতে বুঝাইছি সিলোটি পুলা, আফনে যারে মিন করছেন...........
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৮
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন:
আমি তো মেশিন দ্বারা টাকার মেশিন বুঝাইছি। আপনে কি অন্য কিছু মিন করেছেন নাকি??
৯|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৫
বনলতা মুনিয়া বলেছেন: ধুর ব্যাডা মর
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৮
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: কিঞ্চিৎ ভুল করছেন আফামনি ! ভূতেরা কখনো মরে না। তারা বারবার জীবিত হয় !
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
ডেনজারাসবয় বলেছেন:
++++++++++++++++++++++++