ঞ

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

হরতালের মাদল বাজে, কাজের কথা থাক,

বাজা রে ঢোল, বাজা রে খোল, বাজা রে আজ ঢাক !



জাতির ভাগ্যাকাশে আবারো দেখা দিয়েছে হরতালের তৃতীয়া তিথির চাঁদ। যা দেখে বিমোহিত হয়ে কাজী নজরুল প্রেমে টগমগ হয়ে লিখেছিলেন,



মোর প্রিয়া হবে এসো রানী, দেব খোঁপায় তারার ফুল

কর্ণে দোলাব তৃতীয়া তিথির চৈতী চাঁদের দুল !



আমারও আজ কাজীর মত প্রেম উথলে পড়ছে, চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। আহা ! আরেকটা গান মনে পড়ে গেলো। নাহ ! চুইয়ে চুইয়ে শব্দটা তো দেখছি আমাকে নস্টালজিক করে দিচ্ছে....



ভালোবাসবো বাসবো রে বন্ধু তোমায় যতনে

আমার মনের ঘরে চান্দের আলো চুইয়া চুইয়া পড়ে ।



যাই হোক ! হরতাল পরবর্তী এতো ভালোবাসার তাল-বেতালের মাঝে জাতি জানতে চায়, “লবতাল” বলে কিছু নাই কেনো?? হরতাল একাই রাজত্ব করে যাবে, আর লবতাল মাঠে নামতে পারবেনা; তা কি করে হয়? “লবঙ্গ” শব্দটা যদি থাকতে পারে, তার মানে লব যদি অঙ্গে থাকতে পারে; তবে লবতাল কেনো থাকতে পারবে না?? (তবে “লবতাল” এর মানে কী হবে, তা বিজ্ঞ ব্লগার বন্ধুরা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম ! )



আরে?? এতো কথা বললাম, আসল কথাই তো দেখছি বলা হলো না ! আমি কিন্তু ইদানিং “চন্দ্রবিন্দু” কে ছেড়ে দিয়েছি। একেবারে তালাক দিয়ে দিয়েছি। কারন আমি এখন মানব জন্ম উপভোগ করছি, আর এ জন্মে চন্দ্রবিন্দু একেবারেই বেমানান। তবে আরেকটা কারন আছে যৌবনদিপ্ত “চন্দ্ররূপী বিন্দুকে” ছেড়ে দেয়ার !! কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম লাক্স সুন্দরী বিন্দুর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাই সে যতই চন্দ্রের মত বড় কপাল নিয়ে জন্মাক না কেনো, তাতে আমার আর কিছুই যায় আসে না ! তাই একেবারেই বিয়ে না করেই তিন তালাক দিয়ে দিলাম ! (তবে হঠাৎ করে ভূত জন্মে ব্যাক করলে, আমার কোন দোষ কিন্তু দিতে পারবেন না। তখন চন্দ্রবিন্দু আবার আমার হয়ে যাবে। তা সে ষোড়শীই হোক, আর সাঁড়াশিই হোক !! হি হি হি)



________________________________________________



বিঃদ্রঃ যারা আমার ভূত জন্ম সম্বন্ধে জানেনা না, নিচের লিঙ্কগুলো তাদের জন্যঃ



আঁমিঁ জাঁনতাঁম আঁপনিঁ অঁবশ্যঁই আঁসবেঁন আঁমাঁর ব্লঁগেঁ...



জানারঁ আঁছেঁ......



মাঁনুঁষঁ তোঁ মুঁরঁগী-ছাঁগঁলঁওঁ বঁলাঁ চঁলেঁ.....



সাঁমুঁ ! ( সাঁমুঁ !! ( সাঁমুঁ !!! ( (গঁরঁমঁ হঁইঁতেঁছিঁ কিঁন্তুঁ !!) ((



_________________________________________________





নাহ! বহুত প্যাঁচাল পারলাম। সব প্যাচালের সারাংশ হলো আজ হরতাল। তাই কোন কাজ নাই। আর গরীবের কাজ নাই, মানেই কোন আহার নাই। আর আহার নাই মানেই পরকাল সন্নিকটে। আর পরকাল সন্নিকটে মানেই চিরশান্তির সমারোহ.... না চাইতেই সব কিছুই হাতের নাগালে। আর এতো সুখের উৎস শুধুই আমাদের এই বিজ্ঞ রাজনীতিবিদের কল্যানে । তারা এইসব কর্মসূচী দিচ্ছে, শুধু আমাদের জন্য, আমাদের সুখের জন্য, চিরসুখের জন্য।



কমেন্টের মাধ্যমে যারা এই মতবাদের বিরোধিতা করবে, তাদের জন্য রইলো আমার হৃদয় নিংড়ানো ধিক্কার। (কষ্ট করে, দুহাত পেতে নিয়েন !) আর মনে মনে করলে মাফ !!



আর সব শেষে একটা কথাই বলব, বেঁচে থাক সবুজ, বেঁচে থাক অবুজ, আর বেঁচে থাক আমাদের প্রিয় নেতারা।



আর বাকি যারা আছে তারা সুখের সন্ধানে চলে যাও, যার অধিকার নেতারাই তোমাদেরকে দিয়েছেন !



কবিগুরু এই কারনেই বলেছেন,

.........তুমি সুখ যদি নাহি পাও যাও সুখেরও সন্ধানে যাও.........

৩২ টি +০/-০