নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথকতার যুধিষ্ঠির

দেশই শেষ কথা।

কথক যুধিষ্ঠির

দেশ ই শেষ কথা।

কথক যুধিষ্ঠির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি মুখ্য সুখ্য মানুষ বাবু কিছুই জানিনা.....এবং একটি ভন্ডপীরের বায়াত,অতপর পীরের খেদমতে আমরা.....

১৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

আজ মতি আবার শুরু করেছে। এই মতি। এই বেজন্মা মতি। আজ আবার ফ্লোর দিয়েছে এক বিশেষ প্রজাতির প্রাণীকে,যেই প্রাণীটি পা চাটছে আজ আবার আমেরিকার। আমি বারবার বলে এসেছি এবং এটা সর্বজনবিদীত যে, মতির সৃষ্টি , প্রথম আলোর সৃষ্টির একমাত্র অভিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে এদেশে আমেরিকার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় পদাতিক সেনানী হিসেবে কাজ করা। এই মতি আমেরিকার জন্য প্রয়োজনে জীবন দিবে।তো এই মতি আজ সেই ঘরাণার এক ভদ্রলোককে দিয়ে লিখিয়েছে, ভালো দাম পেলে যাদের বাপকেও বেচে দিতে কোন আপত্তি থাকেনা। আজ এই জানোয়ার আবার কি করেছে একটু খোজ নিব।

"টিকফা চুক্তিতে বাংলাদেশই লাভবান হবে" শিরোনামে গোলাম মোহাম্মদ কাদের কে দিয়ে আজ মতি লিখিয়েছে টিকফা চুক্তিকে কেন্দ্র করে এক আষাঢ়ে গল্প। অনেক মজা পেয়েছি পড়ে। অনেক। সাথে ক্ষোভে রক্ত চড়ে গিয়েছে, ইচ্ছে করেছে গলা টিপে ধরে জিজ্ঞাসা করি বল মতি তোমাকে কত টাকা দিলে আমার দেশটাকে মুক্তি দিয়ে তুমি তোমার স্বপ্নের দেশে যাবা? এই ভাড়াটে লেখকের দাবী, ১০ বছর আগে টিকফা চুক্তিতে যা ছিল, তাই এখনো আছে। তিনি আরো বলতে চান, কোন পরিবর্তন না করেও এক চুক্তি বাস্তবায়নে কেন এত দীর্ঘসুত্রিতা, তাকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে, ভদ্রলোক মজিনার বক্তব্যকে অনুবাদ করেছেন দেখা যাচ্ছে।

বলেছেন, জোট সরকারের আমলে ধামাচাপা পড়ে যাওয়ার পরে ২০০৭ সালে আবার মারিয়ার্টি শুরু উদ্যোগ নেন চুক্তি বাস্তবায়নের।

তো মান্যবর গোলাম মোহাম্মদ কাদের, ১০ বছর আগের টিফা কেন, কিসের দুঃখে নাম বদলিয়ে টিফা হয়েছে? ঐ নাম টিফা চুক্তির ভালো লাগেনি তাই বলে? টিফা নাম থাকলে কেই এর সাথে প্রেম করতে আসবেনা তাই বলে? গাজাখুরি গল্প সাজান? কেন টিফা বদলিয়ে টিকফা করা হল? "সহযোগীতা"র মুলা ঝুলানো হলো? এই চুক্তি বাস্তবায়নে কেন আপনার মহান আমেরিকা এতবার অপমানিত হওয়ার পরেও নির্লজ্জের মত পিছু লেগে আছে এসবের? কেন বারবার অগ্রাহ্য, অবহেলা আর ব্যাঙ্গাত্নক প্রতিবাদ সত্বেও তিন দফায় নিযুক্ত মার্কিন কুটনীতিকেরা নির্লজ্জের মত লেগে থাকলেন এই চুক্তির পেছনে?

এই প্রশ্ন গুলো করার ক্ষেত্রটাকে ধামাচাপা দিতে গোলাম সাহেব ভয়ংকর এক মেলোড্রামা সাজিয়েছেন শেষের দিকে। ভদ্রলোকের দাবী," আসলে আমি যেটা দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ভালো চায়। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, বাঙালি কর্মঠ ও দক্ষ জাতি। দেশটি আমাদের সাহায্য করতে চায়। আমরা না বুঝে অনেক বিরোধিতা করলেও এ ব্যাপারে তারা যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। ধন্যবাদ জানাই যুক্তরাষ্ট্রকে। আমরা যেভাবে চেয়েছি, অনেক ছাড় দিয়েও তারা সেভাবেই রাজি হয়েছে!!!!!!!

"

আহা!!!!! কি সুমতি কি সুমতি!!!!!! ধণ্যি ধন্যি যুক্তরাষ্ট্রে। ধন্যি ধন্যি গোলাম রহমান। তো জনাব আপনার নাম টা কি কোনভাবে গোলাম আমেরিকাদের থেকে সংশোধিত নাকি?

আপনি চোখ বন্ধ করে ভাবছেন আপনি কাউকে দেখছেন না, কাজেই অন্যরাও কাউকে দেখছেনা। অনেক ছাড় দিয়েছে, না? গোলাম বাবু, আমরা ভুলে যাইনি এই মজিনা মরয়ার্টিরা কিসিঞ্জারের উত্তরসূরি, নিক্সনের উত্তরসূরি। এরা বাংলাদেশের ভালো চায়? তাহলে কেন এসেছিল ৭ম নৌবহর? কেন বলা হয়েছিল প্রয়োজনে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিক পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র কিছু মনে করবেনা?কেন পাকিস্তানের পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে বুশ যুদ্ধবিরতির চুক্তি করতে মরিয়া হয়েছিলেন?(১৯৭১)



কেন দুর্ভিক্ষে এদেশের মানুষ এতগুলো মানুষ মরে যাওয়ার মত সময়ে (১৯৭৪)

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য্ভর্তি নৌবহর ডুবেগিয়েছিল? ওটা কি কাকতাল ছিল? তাহলে তখন কোথায় ছিল ধৈর্য যুক্তরাষ্ট্রের? নাকি ঐ জাহাজ ডোবার পরমুহুর্তেই বাংলাদেশ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল দুর্ভিক্ষ? আরেকটি নৌবহর পাঠানোর ধৈর্য কেন হলনা তাদের তখন? আমার দেশের মানুষ মরে, তখন তাদের এই মঙ্গল দ্বীপে কি তেল থাকেনা? আর আজ যখন আমার দেশ উন্নতির দিকে এগচ্ছে, তখন কি এমন মঙ্গল করবে আপনার মঙ্গলপ্রার্থীরা ? কি মঙ্গল? মুলা ঝোলান? মঙ্গলের স্বরুপ আমরা জানি, বেশ ভালোভাবেই।

জিএসপির কোন সুবিধা আমরা পাইনা, অথচ ধোয়া ওড়ানো হচ্ছে, জিএসপি বাচাতে টিকফা করতেই হবে। যেটি বারবার বলে আসছে মজিনা। তা বাপ যা না? মুড়ি খা তুই তোর জিএসপি দিয়া? আমাদের লাগবেনা তোর জিএসপি। এ কথা নাহয় মজিনাকে বলে আপাতত থামিয়ে দিলাম, কিন্তু টিকফা হলে জিএসপি বাদে আর কি লাভের জায়গা আছে, যা পাবে আমাদের সরকার? আছে। সেটা বুঝতে পারার জন্য

বাংলাদেশের ধর্মব্যবসায়ীদের একটা সাধারণ কেত্তন তুলে দেয়া যেতে পারে। ব্যাপারটা এরকমঃ

এদেশে ধর্মভীরু মানুষ যেমন আছ, তেমনি আছে কিছু ভয়ংকর রকমের অপরাধী। এরা জীবনে এমন পরিমানে অপকর্ম করে ফেলে যে, একটা পর্যায়ে এদের মনে বদ্ধমুল ধারণা তৈরি হয় যে, পরকালের নিশ্চিত আজাব তথা

শাস্তির হাত থেকে বাচার জন্য সে নিজে যদি দিনরাত

প্রার্থনা করে, তাহলে ও আল্লাহ তায়ালা শুনবেন না। ফলে, তার পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য একজন পীরের শরণাপন্ন হয় সে, কামেল পীর, অর্থাৎ যে পীরের প্রার্থনা অব্যর্থ ওষুধের কাজ করে। তো এই পীরকে দ্বারা প্রার্থনা করানোর আগে পীরকে খুশি করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পীর বাবার খেদমতে নিজের সহধর্মিনী কিংবা কন্যাকে এক দিন রাখতে হয়, তবেই কিনা পীর বাবা রাজি হন প্রার্থনায়। যদিও আমরা সকলেই জানি ঐ এক দিনে কিভাবে খেদমত করতে হয় ঐ অভাগীদের। কখনো কখনো প্রচন্ড লোভী মানুষজন গুপ্তধন পাওয়ার আশায় ও এমনটি করে থাকে। ফলে, দুষ্ট্লোকের পাপমোচন কিংবা ধনলিপ্সার খেসারত দিতে হয় এসব আবাল নারীদের,যারা অনেক কষ্টে রক্ষা করে থাকতেন তাদের কুমারীত্ব, সতীত্ব।যার রক্ষা করার কথা এদের সতীত্ব, তার অপকর্ম ঢাকার কিংবা ধনলিপ্সার বলি হতে হয় এই অভাগীদের। পীরের ভন্ডামো নিয়ে নাই বা বললাম।



তো আমাদের মহান সরকারের এই পীরকে দুই দিক থেকেই দরকার। পাপমোচন, আর গুপ্তধন। এই আমেরিকা যদি থাকে খুশি, তাহলে নির্বাচনে যাই করা হোক, টিআইবি সার্টিফিকেট দিবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। বড় বড় পত্রিকাগুলো সাফাই গাইবে। ফলে, এদেশের মানুষের দেয়া সাজা ভোগ করতে হবেনা। এটা একটা আশা এই পীরের বায়াত নেবার। আবার, সুযোগ পেলেই মোটামুটি সুরঞ্জিত বাবুদের ব্যাগে ভুল করে টাকা ভরে নেয়া যাবে। কাজেই এই পীর গুপ্তধন ও দেবে। সুতরাং পীরকে খুশি কর। কিভাবে? তুলে দাও দেশকে, তাদের খেদমতে। পীর ইচ্ছামত ভোগ করুক, তারপর পীরের ভোগ শেষ হলে আবার ভোগ করা যাবে। অথবা পাশাপাশি দুই পক্ষই না হয়.....



মান্যবর সরকার, নিজের অপকর্মে নিজে নিজের ওপর বিশ্বাস আর ভরসা পাচ্ছেন না,তাইতো? লোভ ও সামলানো যাচ্ছেনা? আমরা অত অবলা না, বুঝেন নাই? যে আপনাদের জন্য আপনাদের পীরের শয্যা সঙ্গী হব। লাথি মেরে মাথা থেকে কি করে ভুত নামাতে হয়, আমরা দেখিয়েছি ৭১ এ, আমরা দেখিয়েছি ৯০ এ। সময় আছে, জনগণের কথা শুনেন। টিকফা চুক্তিসই করলে আমার রক্ত দিয়ে কালি বানিয়েন, যত রক্ত লাগে। কিন্তু মনে রাখবেন, বাঙ্গালীর রক্ত অত সহজলভ্য নয়। দেশকে দেবেন বেচে, আর করবেন টিকফা চুক্তি? নির্বাচন? দেশের জন্য করেন, মানুষ ভোট দেবে। এসব ভন্ডপীরের বায়াত নিয়ে লাভ নাই। এরা কেবল নিজের পেট তাজা করতে পীরত্বের ব্যবসা ধরে। নানা ক্ষমতা দেখায়। এদের ক্ষমতা ভাওতাবাজি। এরা ভন্ড। এরা বাটপার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.