![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার স্বত্ত্বার এক অবিকল প্রতিবিম্ব। অন্যভাবে বলতে গেলে আমি একজন অতি নগন্য মানব বা মানুষ, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়।
জোৎস্না ভরা রাত.....!
গৃহত্যাগী হওয়া মন আমার। ঊর্ধ্ব গগনে জোৎস্নার আলোয় মেঘেরা ভেসে চরাচর। তার মাঝে মিটিমিটি আলোয় ঝলমলিয়ে বসেছে লক্ষকোটি তারার মেলা। এমন চাঁদনী রাতে ছাদের কোন এককোণের নির্জনতায়, সমুদ্রের বালিয়াড়িতে আড়ি পেতে বসে দূরের পানে তাকিয়ে জোয়ারভাটার শু-শু আওয়াজের সাথে শব্দগুচ্ছ বিনিময় করতে দারুণ ভালো লাগে। সাগরপাড়ের এই মুহুর্তটা আমায় খুব টানে। হঠাৎ-ই পাশ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় হৃদয় জুড়িয়ে নিজেকে হারায় সাগরের অতলান্তিক গভীরতার ইউটোপিয়ায় (Utopia - কল্পরাজ্য)।
কিংবা....
গ্রামের ধুলাবালি মাখানো শুনশান মেটো পথ ধরে চলতে বেশ ভালো লাগে। যদিও অমাবস্যার নিকষ কালো আঁধারের চেয়ে জোৎস্নার আলোতে পদচারণে, মনের গহীনে অজানা ভয়ের বিকাশ ঘটে। তখন মনেহয়, পাশের ঝোপঝাড়ে দাঁড়িয়ে বা হাজার বছরের পুরানো বটের আবডালে আটকে পড়া কোন এক অশরীরী যেন আমার গতিবিধি অবলোকন করছে। তবুও পথ চলি, হেঁটে বেড়ায় বহুদূর। মাঝেমাঝে থমকে দাঁড়ায়।
দেখি....
শুনশান আর নিস্তব্ধ-নীরবতায় পরিপূর্ণ চারপাশ। দূরের কোন কোন বাড়িতে পিদিমের আলো জ্বলে নিভো নিভো করে। হঠাৎ হঠাৎ আসা দমকা বাতাসে কেঁপে উঠে বক্ষপট। তখনি মনের অজান্তে অক্ষিদ্বয়ে ভেসে উঠে প্রিয়মুখ গুলো। কল্পনার বাতাসে ভেসে বেড়ায় তাদের মমতা জড়ানো সুর। কেউ বুঝি আমায় ডাকছে মায়ারথ গলায়। একসাথে এক ছাদের নিচে থাকা সেই মুখগুলো, সামান্য বিষয় নিয়ে তুমুল ঝগড়া করা মানুষগুলো। সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে অনেকগুলো দিন কাটানো প্রিয় মানুষগুলোর কথা মনে পড়ে। ছোট ছোট পূর্ণতায় বিরাট আনন্দ করা মানুষগুলো কেমন করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল।
আহা....!
কত দিন, কত দিন দেখা হয় না তাদের সাথে। সময়টা বড্ড নিষ্ঠুর। নিষ্ঠুরতা প্রতীকও বটে। সময়ের কাছে আমরা বড়ই অসহায়।
এই বুঝি সময়!
এই বুঝি জীবন!
এভাবেই কেটে যায় আমার বিনিদ্র এক রজনী।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৩
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ভালো লাগলো বেশ। গভীর রাতের সাথে বেশ মানিয়ে গেছে। তবে ইউটোপিয়া শব্দটির বদলে কল্পরাজ্যই ব্যবহার করতে পারেন। লেখার মাধুর্যে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে।