![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল থাকতে হয় আকাশ দেখে, আকাশ এঁকে। ভাল নেই, একদিন ভাল থাকব
কাকে প্রাধান্য দিবে বাংলাদেশিরা? মানবতা, ধর্ম না স্বদেশ!
-
কঠিন সময়ে আমরা আজ বাংলাদেশিরা। আমরা রেহিঙ্গাদের ছেয়ে অসহায়। আমরা না পারছি রেহিঙ্গাদের পথ অবরোধ করতে, না পারছি সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিতে। সীমানৃত পুরোপুরি খুলে না দিলেও প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গা এ দেশের আনাচে কানাচে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের পাড়ায় পাড়ায় রেহিঙ্গা, অতিষ্ঠ বাংলাদেশিরা। কিন্তু মানবিকতার দৃষ্টিকোণে আমরা আজ নিশ্চুপ। আমরা এতটাই নমনীয় আচরণ করছি যে বার্মিজ আর্মি হ্যালিকপ্টার আমাদের আকাশ সীমানায়। আমাদের প্রতি তাদের ঔদ্ধত্যতা, তারা যে বেয়াদবি করেছে তা দেখে আমি হতবাক এবং একই সাথে আমাদের সার্বভৌমত্ব নিয়ে শঙ্কিত।
বাংলাদেশের জন্মের পর থেকেই আমরা রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিকতা দেখাচ্ছি। এটা বিশ্বাস করা আশ্চর্যের যে কোন সমাধান দেখছিনা। এই সতেরকোটির জনবহুল দারিদ্র কিন্তু উন্নয়নশীল দেশের প্রতি ভিন্ন রাষ্ট্রগুলোর অসদাচরণ হতাশার এবং উদ্বেগজনক। লজ্জ্বিতত হই যখন আমাদের বন্ধুপ্রতীম ভারত ও কোন প্রশ্ন তুলছেনা। এখন কথা বলি, প্রশ্ন বলি, জিজ্ঞাসা বলি - একটাই ছিল শুধু ''আমরা আর কত মানবিকতা দেখাতে পারি?
বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এদেশ পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক না হলেও সাম্প্রদায়িক বলাটা কষ্টকর। কারণ এখনো আমরা এক সমাজে পূজা পার্বণ ঈদ কোরবানি পালন করছি। একে অপরের দাওয়াত গ্রহণ ও সম্প্রীতির বড় উদহারণ। ধর্মের দিকে ইসলাম অনুসারী তথা মুসলিম রা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এদেশের মানুষ ধর্মভীরুতা ও ধর্মান্ধের সমন্বয়ে মানুষ। এদেরকে সিডিউস বলি কনভিন্স বলি ধর্ম দিয়ে গায়েল করা সম্ভব। অতীতেও অনেক ভাবে বাংলাদেশের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ইসলাম কে বিক্রি করার নজির ও কম নয়। সবমিলিয়ে আমাদের একটা বৃহৎ দূর্বলতা এই ধর্মান্ধ সমাজ।
একটি শ্রেণী কোন এক বিশেষ কারণে পারলে বাংলাদেশে পৃথিবীর সকল মুসলিম কে বাংলাদেশি বানায়ে ছাড়ে!! কেন এই প্রবণতা তা আমার জানা নেই। তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে রোহিঙ্গাদের ছেয়ে আকুতি মিনতি করে। বাংলাদেশে একটা মিথ ছড়িয়ে পরেছে যে, ওরা মুসলিম বলেই মায়ানমার তাদের নির্যাতিত করছে। নির্যাতনের ছবিগুলার সাথে বিভিন্ন মুভির ফটো, অতীতে বিভিন্ন দুর্যোগের ফটো ছড়িয়ে দিয়ে, বাংলাদেশেরর আপামর মুসলিমদের মধ্যে একটা বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়েছে।
এটা সত্যি যে, রোহিঙ্গারা নির্যাতিত। এটাও সত্য যে রোহিঙ্গারা শুধু মুসলিম নয়। রোহিঙ্গা কোন মুসলিম গোষ্ঠীর নাম নয় বরং একটা জাতির নাম। এখানে প্রায় ১৪% হিন্দুও রয়েছে। যার প্রমাণ কদিন আগে বাংলাদেশে আসা হিন্দু রোহিঙ্গারা।
মানবতার এ চরম বিপর্যয়ে ইতিহাসবিদরা এবং যারা বাংলাদেশকে একাগ্রচিত্তে ভালবাসে তারা কোনভাবেই দিনের পর দিন বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ভিড় মানতে পারছেনা। আজ বাংলাদেশিরা নির্বাক। বিবেকবান মানুষমাত্রই বুঝতে পারছে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ একটা ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশকে ভাগ করে ফেলার একটা ষড়যন্ত্র চলছে। এ মাস্টারমাইন্ড একদল কুচক্রীর। কেউ কেউ বিশেষ একটি দেশের কথাও তুলছে।
কিন্তু এতকিছুর ও আসলে কি হচ্ছে?
রোহিঙ্গা রা কবে এ দেশ ছেড়ে যাবে?
মায়নমার কি এদের ফিরিয়েয়ে নিবে, না নিলে আমাদের করণীয় কি?
আমরা বাংলাদেশিরা, আমরা সমগ্র বাংলাদেশ কাকে প্রাধান্য দিব (?) বিপন্ন মানবতা, রোহিঙ্গা সমাজ নাকি বাংলাদেশকে?
ভাবার সময় এসেছে, আমাদের বাংলাদেশ কে বাঁচাতে হলে, কক্সবাজার সহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম কে বাঁচাতে হলে, আমরা কোনভাবেই আমরা রোহিঙ্গাদের মেনে নিতো পারিনা। আমি বলছিনা তাদের মেরে ফেলুন, বলছিনা তাদের আশ্রয় দেয়া না হউক।
আমি বলছি, রাষ্ট্রীয় ভাবে আমাদের কে এর সমাধান করতে হবে। যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধতা করছে, স্বার্থ দেখছেনা তাদের ও চিহ্নিত করা হউক।
মনে রাখা ভাল, মানবতা কেথাও নেই, কাষ্মীর থেকে শুরু করে পৃথিবীর এমন কোনদেশ নেই যেখানে অন্যায় হয়না, একটা গোষ্টীর প্রতি নিপীড়ন হয়না। আমরা মানবতা দেখাতে গিয়ে যদি আমরা ই বিপন্ন হয়ে পড়ি!! ভাবতে হবে ত, কে ভাববে? বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও জ্বালা, না দিলেও জ্বালা " এই কথা আকাশের চাঁদ সূর্যের মত প্রতীয়মান। সুতারাং,বাংলাদেশ আওয়াজ তুলো।
মনবতাও বাঁচুক,
বাংলাদেশ ও বাঁচুক।
©somewhere in net ltd.