![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
------====---------
ছেলের ওর মার আর নিকটাত্মীয়দের জন্য ঈদের কাপড়-চোপড় কিনলাম।
সাধ্যমত যাকে যেমনটা দিলে মানাবে তাকে তেমন কাপড় দেয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টাটুকু করলাম। গরীব প্রতিবেশীদেরও লিষ্ট ঠিক রাখার চেষ্টা করলাম।
ঈদের সকালে ঘুম থেকে উঠে নতুন একটা কাপড় কত যে আনন্দ দিতে পারে সে স্মৃতি আমি এখন ভুলিনি!বাবার সাধ্য ছিলনা সবাইকে নতুন কাপড় কিনে দেবার তাই পূরাতন কাপড়টিই ঈদের আগের দিন আরিফের কয়লায় তা দেয়া স্ত্রি দিয়ে ভাজ করে নেয়ার জন্য ওর দোকানে লাইন ধরে অপেক্ষা করতাম। কখনো দোকানির অসতর্কতায় কাপড়ের কোথাও পুড়ে যেত। কিছু বলতাম না,'তাও যে স্ত্রি করে দিছে' মনে করে।কিন্তু যত্নে রাখা আমার সে পূরান শার্টটা আগুনের তাপে পূরে দিয়ে মনে হয় আমার ঈদের দিনটিই পূরে দিত এজন্য দোকানির চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়তাম। তার পরেও সে ভাঁজ করা পূরনো শার্টটির পোড়া পাশটি ঢেকে রেখে সুন্দরটুকু সবার সামনে আরো সুন্দর করে প্রকাশ করতাম আর পোড়া অংশটির মতই ঢেকে রাখতাম অন্তরের মাঝে পুরে যাওয়া না দেখা অংশটির। হয়তো দূর থেকে মা সেটা বুঝতো তাই শাড়ির আঁচলে মার কস্টের অশ্রুটুকু গড়িয়ে পড়তে দিত না। আমি তখন ভাবতে পারতাম না। এখন মার কষ্ট বুঝি। সকলকে খুশী করার জন্য তাই চেষ্টা করি।
সময়ের স্রোতের সাথে চলে আমরা আজ আর সেই সকালে উঠে নতুন জামা পাওয়ার অপেক্ষা করতে পারি না। কারন সে অনুভুতি প্রকাশের সুযোগটুকু সময়ের সাথেই বিদায় হয়ে গেছে। এখন তটস্থ থাকতে হয় কারটা ভাল দিতে পারিনি সে অভিযোগ কানে আসার ভয়ে। এবারো সামর্থ্য অনুযায়ী 'ওকে' সর্বোচ্চ দামে একটা শাড়ি কিনে দিলাম সাথে ম্যাচিং করা ওর পছন্দানুযায়ী এটা সেটা। তার পরও শংসয়ে আছি,না জানি কী কয়! কারণ এদের সাথে সামাজিক সম্পর্ক,জীবন চলার সম্পর্ক,বেঁচে থাকার সম্পর্ক,ভাল থাকার সম্পর্ক,সুস্থ থাকার সম্পর্ক হার্ট এ্যাটাক না করে ভাল থাকি সেটার সম্পর্ক এক কথায় কতকিসের সম্পর্ক তার ইয়ত্তা নেই। আমাদের প্রয়োজনেই এদের কাছে আমরা ভাল সাজার আর ভাল থাকার চেষ্টা করি। গিফট দিয়ে জোড়া-তালি দিয়ে সময়ের সর্বোচ্চ সমস্যাটুকুন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।
আর মায়ের শাড়ি তার জন্য বাজেটের এক চতুর্থাংশ দিয়ে ক্রয় করলাম। আমার বিবেকের কাছে আমি পরাজিত হলাম,প্রশ্নের বানে আমি জর্জরিত নির্ঘুম রাত কাটালাম কিন্তু আমি স্বস্তিতে আছি- আমার মা খুশি হয়েছে। মাকে নিয়ে আমার অর্থহীন টেনশন। মা র মুখ উজ্জল হয়েছে-মা শাড়ি দেখেনি, দেখেছে তার ছেলে তাকে শাড়ি কিনে দিয়েছে। আমি আবারো হারলাম,আমি আমার 'মা'কে চিনিনি। মার ভালবাসা চিনিনি। কত গভীর তোমার ভালবাসা মা! তুমি কি কখনো তোমার স্বার্থের দিকে দেখতে পাওনা? তুমি আমাদের সুখে সুখী হও? তুমি কখনো রাগ করতে শেখনি? দেখলাম তুমি একটু অভিমান করেছ। কারণটা তুমি বলেই দিলে আমি এবার ঈদে কেন নতুন পান্জাবি নেইনি। দুঃখিত মা' আমি তোমার কাছে দুঃখিত! তুমি টাকার অংকে শাড়ি দেখ না। অর্থ দিয়ে তোমার সাথে আমার ভালবাসা আর স্নেহ ধরে রাখতে হয় না। কারন আমি যে তোমার নাড়ি ছেড়া নয়নের মণি। জীবনের ঝুকি নিয়ে তুমি আমাকে এই চাদের জোসনা দেখিয়েছ। তোমার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন একটি ''টুকরো' সে তোমার কলিজার টুকরো 'তোমার সন্তান'। মা তোমার সন্তানের জন্য তোমার ছায়া আরো দীর্ঘ হোক আর আমি তোমার পায়ের নিচে আমার জান্নাত খুঁজে নেই এই সুযোগ যেন মহান আল্লাহ আমাকে দান করেন। আর যাদের এই আশ্রয় হারিয়েছে হে আল্লাহ তুমি এই ''ঈদের দিনে'' ধ্যৈর্য দান করো। তাদের মাকে জান্নাতের সুশিতলায় ছায়া দান করো আর জান্নাতের মর্যাদা বাড়িয়ে দাও
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬
চাদের জোসনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। সহযোগীতা কাম্য। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
আরজু পনি বলেছেন:
মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রইল ।
--------
অফটপিকে বলতে এলাম, আপনার করা প্রশ্ন কিভাবে পোস্ট প্রিয়তে নিবেন, জবাব দিয়েছি ছবি সহ ।
ধন্যবাদ চাদের জোসনা ।।