![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিরিয়ায় আঘাত হানতে জাল গোটানো শুরু করে দিল আমেরিকা। শুক্রবার আমেরিকা লেবানন থেকে তার কূটনীতিকদের দেশে ফেরানোর জন্য নির্দেশ জারি করল। মার্কিন বিদেশ দফতর এক লিখিত নির্দেশে জানিয়েছে, লেবাননের রাজধানী বেইরুটের মার্কিন দূতাবাস থেকে অপ্রয়োজনীয় এবং বেশিরভাগ কর্মীকে দেশে ফিরতে বলা হচ্ছে। এখন থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনো মার্কিন নাগরিক যেন লেবাননে বেড়াতে না যান বা সে দেশে না থাকেন। ইতিমধ্যে সিরিয়ায় আঘাত হানতে মার্কিন সেনেট অনুমতি দিলেও ওবামা প্রশাসন ও মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যে বিতর্ক চলছে সিরিয়ায় আমেরিকা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজ উদ্যোগে আঘাত হানবে কি না।
এরই মধ্যে বৃটিশ পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে হেরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন সিরিয়ার যুদ্ধে তারা আমেরিকার দোসর হতে পারছেন না। আঘাত না হানার জন্য আমেরিকাকে চূড়ান্ত হঁশিয়ারি দিয়েছে চীন, রাশিয়া, জার্মানি। এখন ফ্রান্স ছাড়া আমেরিকার সঙ্গে কেউ নেই। তবে আমেরিকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফ্রান্সও যে লড়বে তা নিশ্চিত নয়। এই অবস্থায় জেদের বশে একলা চলো নীতি নিলেন ওবামা। মার্কিন বিদেশ দফতরের সর্বশেষ ফরমান, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মার্কিন কূটনীতিকদের সক্রিয় ও সজাগ থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের দেশে ফেরানো হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষেপণাস্ত্র হানার আগে জাল গোটাচ্ছে আমেরিকা। লেবাননকে সামরিক ঘাঁটি বানিয়ে সিরিয়ায় আঘাত হানতে পারে মার্কিন মেরিনস। তবে মার্কিন হামলা ঠেকাতে ইরানের মদদপুষ্ট ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের অনুগত হিজবুল্লা জঙ্গিরা তাদের হাজার হাজার যোদ্ধাকে সিরিয়ায় পাঠিয়েছে। তারা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হয়ে সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছে। হিজবুল্লার ক্যাডারদের ওপর নির্দেশ আছে, তারা যেকোনো সময় মার্কিন নাগরিক ও মার্কিন দূতাবাসের ওপর হামলা চালাতে পারে। তবে মার্কিন বিদেশ দফতর জানিয়েছে, লেবানিজ সরকার মার্কিন কূটনীতিক, নাগরিক ও কর্মীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। এটা জানার পর আমেরিকা কোনো ঝুঁকি নিতে পারছে না।
এদিকে, সেন্টপিটার্সবার্গে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ওবামাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেও সিরিয়া নিয়ে তিনি যেকোনোভাবেই এক ইঞ্চি জমি ছাড়বেন না তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন। রুশ সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, রুশ সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক পুতিনের নির্দেশেই শুক্রবার ভূমধ্যসাগরের দিকে রওনা হল বিশালাকায় রুশ যুদ্ধজাহাজ নিকোলাই ফিলচেঙ্কভ। রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিরিয়ার বিতর্কিত ও স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট বাশার অল আসাদ জানিয়েছেন, আমেরিকা সামরিক অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করতেই রাশিয়া যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে দামাস্কাসের পূর্ণ সমর্থন আছে। রাশিয়ার পদক্ষেপে আমরা নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত বোধ করছি।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া এর আগে উত্তর আটলান্টিক থেকে দুটি যুদ্ধ জাহাজকে আগেই রওনা করিয়ে দিয়েছিল সিরিয়ার দিকে। এবার তৃতীয় যুদ্ধ জাহাজটিকেও ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলের দিকে রওনা করিয়ে দিল। অতিরিক্ত সেনা ও রসদ নিয়ে সেটি রওনা হয়েছে পশ্চিম এশিয়ার দিকে। উদ্দেশ্য, সিরিয়ায় মার্কিন হামলা প্রতিরোধ করা। যদিও এই নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। এই মুহূর্তে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। সিরিয়ার কালো ছায়ায় ও যুদ্ধের টেনশনে এখানে ঢাকা পড়ে গিয়েছে সব ইস্যু। এখন চলছে মস্কো বনাম ওয়াশিংটন স্নায়ুর লড়াই। যদিও জি-২০তে উপস্থিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ রাশিয়ায় ওবামা ও পুতিনের সামনে গতকালই স্পষ্ট জানিয়েছেন, যুদ্ধ নয়। জাতিসংঘের বিধি ও বিধানের মধ্যে থেকেই সিরিয়া নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে হবে। সামরিক অভিযানে ভারতের সায় নেই। সিরিয়ায় রাসায়ানিক অস্ত্রের ব্যবহার হয়ে থাকলে তা খুবই নিন্দনীয়। তবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বা সিদ্ধান্ত নিক জাতিসংঘ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
চাদের জোসনা বলেছেন: গৃহস্থ ঘুমিয়ে আছে,ডাকাত চলছে ডাকাতি করছে। আমাদের জাগতে হবে। ডাকাতি বন্ধে সোচ্চার হতে হবে।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
তারিন রহমান বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজছে নাতো ....
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
চাদের জোসনা বলেছেন: ৩ নাংটি বাধলে তাও মজলুমরা বঁাচতে পারে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
চাদের জোসনা বলেছেন: আমরা ৩নাং এর জন্য অপেক্ষা করতেই পারি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
মেহেদী হাসান '' বলেছেন: আমেরিকা হল লজ্জাহীন জাতি। এরা চুরি নয়, ডাকাতি করতেই ভালোবাসে।