![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
--------------------------------------------------------------------------------
১.
ফিরছিলাম হজের সফর শেষে। ৩২ ঘন্টার দীর্ঘ সফর! বিমান আর বাসের সফরে আসে-পাশে অনেক যাত্রী থাকে। আল্লাহর রহমতে ভালোভাবেই ঢাকায় ল্যাণ্ড করলাম। এবার বাসে করে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা। পথে ফুড ভিলেজে বিরতি। জুহর আদায় করে গাড়িতে আসলাম। এখনো কোন যাত্রী আসেনি তাই আবার হোটেলে ঢুকলাম।
.
জুস নিয়ে গেটে আসতেই আমাদের গাড়ি ছেড়ে যাবার ঘোষনা আসলো। দ্রুত আসলাম। গাড়ি পার্কিং করা জায়গা থেকে একটু সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হেল্পার, সুপার ভাইজার নিচে সিগ্রেট টানছে। আমি আর আমার সহযাত্রী হাজি সাব গাড়িতে উঠে বসতে যাব এমন সময় পেছন থেকে শাসানো কণ্ঠে প্রশ্ন -এতক্ষণ কী করলেন?
.
ভেবেছিলাম সুপারভাইজার, তা নয়- একজন যাত্রী। আপাদ মস্তকে ভদ্রতার রেশ আছে বলে অনুমিত হলো। ক্ষুন্ন না করে ভদ্রতার সাথে উত্তর দিলাম ' জ্বী,এইতো একটু কাজ সেরে আসলাম'
গর্জে উঠলেন মধ্য বয়স্ক লোকটি- আপনার কী অধীকার আছে এত যাত্রীর সময় নষ্ট করার??.......এই সেই...(বলতেই ছিল)। আবারও ভদ্রতার সাথেই উত্তর দিলাম, যদিও মনে মনে রাগ হচ্ছিল- আচ্ছা, প্রতিটি গাড়ির নির্দিষ্ট সময় শেষ হলে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়,এই গাড়িটির ঘোষণা আসার সাথে সাথেই তো আমরা চলে আসলাম। এক সেকেন্ডেও দেরি করি নি। সময় নস্ট করলাম কী করে?
.
উনি দমবার পাত্র নন। পাশে বসা ভদ্রলোকের স্ত্রী হাত টেনেও বসাতে পারছে না। আমাদের কতল করে ছাড়বে- এমন ভাব । বাসের পুরো যাত্রী উনার দম্ভ থামাতে চাইলো,কেউ কেউ চাচা চাচা বলে বসতে বলল, নাহ উনি মানছেই না। আমিও অনুরোধ করলাম, মুরু্ব্বি আপনি আমার বাবার বয়সী প্লিজ ঝগড়া করবেন না, থামুন অনুরোধ করছি'' এই ভাষাতেই আমি রিকোয়েস্ট করলাম। আরো বললাম ' একটা পবিত্র জায়গা থেকে ফিরছি আমি ঝগড়া করতে চাই না' ।
- আরে রাখেন! হুজুর হয়ে, ইসলামের ড্রেস পড়ে ভণ্ডামী সব হুজুররাই এমন। মাথায় পাগড়ি বানলেই হয়??
.
আমার জাতি নিয়ে কটাক্ষ! আর চুপ থাকতে পারলাম না।
৫৫ পার্সেন্ট ভয়েসে বললাম -স্টপ !ইডিয়েট, ইউ আর আ এ্যাবসুলোটলী স্টুপীড! আই থট ইউ আর জেন্টলমেন,নট সো, বি সাইলান্ট এন্ড স্টপ, ইডিয়ট!!' লাউডলীই বললাম। দেখি কি ওসুধে কাজ দিছে। দাঁড়ানো থেকে চাচির কাছে যেয়ে বসেছে।
-ইফ ইউ সে এনিথিং রং, ইউ মাষ্ট আন্ডাসট্যান্ড' - আরেক ডোজ দিলাম। এবার সবাই আমাকে থামার অনুরোধ করল। ইংরেজি টেবলেটে ভালো কাজ দিল।দুই ডোজেই একদম ঠান্ডা। চাচা চুপ! মাথা নিচু। ভেজা বিড়ালের মত।
.
আসলে এই শ্রেনীর লোকেরা আলেমদেরকে যাচ্ছে তাই মনে করে। তাদের অহমটা হলো ইংরেজি।ইংরেজরা পুশ করে গেছে গায়ে গতরে, মননে-মানষে।এ বিদ্বেষ উত্তরাধীকার সূত্রে প্রাপ্ত ! যেহেতু হুজুররা ইংরেজি ব্যবহার করে না তাই ওরা আমাদের মূর্খই মনে করে। কারণ আমরা যে ইলম অর্জন করেছি ঐ লাইনে তো উনারা কিছুই জানে না, মানে মূর্খ। আর মূর্খরা শিক্ষিতের পরিমাপ করবে কিভাবে? কারো ইলম পরিমাপ করারও তো একটা নির্দিষ্ট 'ইলম' থাকা চাই। মাপতে না পেরে অশিক্ষিতই ভেবে বসে। দয়া হয় উনাদের উপর। ন্যুনতম শিক্ষা-দীক্ষা না থাকায়।
.
উনাদের ইংরেজি বিদ্যাটা হলো ফুলা বেলুনের মত। আপনি যদি পীনটা মারতে পারেন তাইলে ফুস করে একটা আওয়াজ দিয়ে চুপসে যাবে। যেমনটা এই মুরুব্বি।এমন ঔষধ অবশ্য বেশবার কাজে দিয়েছে। কিন্তু যারা ইংরেজির পাশাপাশি ইলমে দ্বীন বুঝেছে তারা সত্যিকার মানুষে পরিণত হবার চেষ্টা করেছে।আল্লাহ তাদের ভালো করুন। আর অবুঝদের বুঝ দান করুন। আমার ভাইদের ইংরেজি নামক আলপিন সংগ্রহ করার তাউফিক দান করুন। আমীন।
(বাস থেকে নামার সময় কী ঘটলো ,(উল্টো ফলঃ) ২য় অধ্যায় বাকী থাকলো, জানতে চাইলে কাল ইনশাআল্লাহ) পড়ে দেখুন কাজে আসতে পারে, হুজুরদের ইংরেজি ডোজ
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১
চাদের জোসনা বলেছেন: ঔদার্য থাকতে পারতো। পজিটিভ চিন্তাইতো সফলতার সিঁড়ি। ওনাকে বিরাট আলেম আমিও বলি নি। বাকী, নষ্ট সমাজে অবহেলার শিকার একজন মানুষ যখন তার অধীকার মৌলিক সম্মানটুকুআদায় করে নেয় তাকে আপনি আমি স্যালুট করলে নিশ্চয় আমরা সুজনদের একজন হবো। সো ব্রাদার! তবুও থ্যাঙ্কস।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০
গোধুলী রঙ বলেছেন: বাংলার জামিনদার- আপনার মনিটরটা ভার্টিক্যালি উলটানো, নাকি!!
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
চাদের জোসনা বলেছেন: আপনি তার দৃষ্টিটা প্রসারিত করার আহ্বান করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭
ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: হা হা হা ... ... দারুন দারুন ... ...
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
বাংলার জামিনদার বলেছেন: দুই লাইন ইংরেজিতে গালি দিতে পারলেই বিরাট আলেম????? হাসি পায়।