নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতবার মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি, ততবারই পুরুষ হয়ে উঠি। তুই শালা একটা ‌‘পুরুষ’ শব্দটি সম্ভবত পৃথিবীর নিকৃষ্ট একটা গালিতে রূপান্তরিত হবে। পুরুষ হিসেবে গর্ব করার কিছু নেই, আমি লজ্জিত, সত্যি লজ্জিত যে আজও মানুষ হতে পারিনি।

সীমান্ত প্রধান

যা কিছু সত্য, তাই সুন্দর

সীমান্ত প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

লজ্জা নয়, গর্ব করেই বলো ‘আমার মাসিক চলছে’

২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১১


‘পিরিয়ড’ বা ‘ঋতুস্রাব’ অথবা ‘মাসিক’ আর পাঁচটা স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়ার মতোই একটি প্রক্রিয়া। তবুও ঋতুস্রাবের মত স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ঘিরে এখনো এই সমাজে নানা কুসংস্কার রয়ে গেছে। একজন নারীর ‘পিরিয়ড’ বা ‘ঋতুস্রাব’ অথবা ‘মাসিক’ হলেই তাকে এ সমাজ অশুচির তকমা দিয়ে থাকে! এ সমাজে এমন সংস্কৃতি বহুকাল আগের থেকেই চলমান।

ধরুন একজন নারী প্রতিদিনের মতোই পরের দিনের বেশ কিছু কাজের রুটিন তৈরি করে ঘুমোতে গেলেন। পরেরদিন সকালে উঠে তিনি অনুভব করলেন, তার ইউটেরাসে ব্যথা, তখন কি তার পক্ষে সম্ভব নতুন একটি দিন শুরু করা? কারণ, একই সময় তার শরীরের নানা অংশ ক্র্যাম্প হয়ে যাবে, শুরু হবে ‘ঋতুস্রাব’।

একজন মেয়ের জন্য ‘ঋতুস্রাব’ আনন্দের নয়, উল্লাসের বিষয়ও নয়। আবার কিন্তু লজ্জার বিষয়ও নয়। তবে এই ‘ঋতুস্রাব’ একজন মেয়েকে কতটা কষ্ট দেয়, কতটা যন্ত্রণা দিয়ে থাকে, তা একজন মেয়েই ভালো বলতে পারবে। তবে সব যন্ত্রণা সে নিজেই মুখ বুঝে সহ্য করে যায়। চিৎকার করে কাঁদতেও পারে না। বলতেও পারে না তার যন্ত্রণাটা কোথায়?

‘ঋতুস্রাব’র দিনগুলিতে একজন নারীর মন-মেজাজ এতটাই খারাপ থাকে যে, অনেক সময় সেই রাগ গিয়ে পড়ে সন্তান অথবা কাছে থাকা কোন মানুষের উপর। কিন্তু কেউ বোঝার চেষ্টা করে না, এই নারীর ‘ঋতুস্রাব’ চলছে, এবং এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া।

এ সমাজের অনেকে আবার ‌‘ঋতুস্রাব’ চলাকালীন মেয়েদের অপবিত্র তকমা দিয়ে থাকে। সমাজের একটা বড় অংশ এখনও মনে করেন, একজন মেয়ের ‘ঋতুস্রাব’ হওয়া মানে সে অশুচি, অ-পবিত্র! যার ফলে ‘ঋতুস্রাব’ চলাকালীন মেয়েরা রান্না করতে পারবেন না, মন্দিরে যেতে পারবেন না, আচারে হাত দিলে, তা খারাপ হয়ে যাবে, এছাড়া আরও অনেক কুসংস্কার প্রথা চালু আছে এই ‘ঋতুস্রাব’ নিয়ে।

তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে যে, এখনও বহু নারী বাজারে গিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে লজ্জা পান! দোকানের লোকও ন্যাপকিন এমনভাবে কাগজে মুড়ে দেন, যেন এগুলো অবৈধ কোন কিছু! যেন, কত গোপন একটা ব্যাপার!

কেন? স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি করার সময় একজন দোকানদার এতোটা রাখঢাক করবেন কেন? আর মেয়েটিই বা কেন এতোটা ইতস্তত করে তা গোপন করে কিনবে? ‘ঋতুস্রাব’ হওয়া কি খারাপ?

তাহলে কি একজন নারীর উচিত, এটা লুকিয়ে রাখা? অথচ একজন মেয়ের ‘ঋতুস্রাব’ শুরু হওয়া মানে, ওই মেয়ে আরেকটি প্রাণের জন্ম দিতে পারার শক্তি সঞ্চার করেছে, এমনটাই তো জানান দিয়ে থাকে। এই ‘ঋতুস্রাব’ এর প্রচলন না থাকলে আমার মতো পুরুষগুলোই বা কিভাবে এই পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখত?

এছাড়া ‘ঋতুস্রাব’ তো একটা স্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া এটাই বা কেন বুঝতে চাই না আমরা? নিয়মিত ‘ঋতুস্রাব’ হওয়া মানে অনেক রোগ-প্রতিরোধ সহায়ক। তাহলে এ নিয়ে এতোটা নোংরামি কেন? কেন এতোটা রাখঢাক? আর মেয়েরাই বা কেন এ নিয়ে এতটা অস্বস্তিতে ভোগেন?

এখনও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েরা প্রতি মাসে এক সপ্তাহ করে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয় ‘ঋতুস্রাব’ চালু হলে। কেন না, অন্য কেউ যদি জানে তার ‘ঋতুস্রাব’ চলছে, তাহলে এ নিয়ে তাকে নানা টিটকিরিমুলক কথা শুনতে হবে। যার জন্য সে নিজ থেকেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় লজ্জার হাত থেকে বাঁচার জন্য। আর এই সংস্কৃতির জেরে অনেক মেয়ের পড়াশোনারও ক্ষতি হয়।

কিন্তু না। ‘ঋতুস্রাব’ নিয়ে মানুষের ভুল ধারণা পরিবর্তন করার সময় এসেছে। যতদিন না ‘ঋতুস্রাব’ নিয়ে এসব কুসংস্কার দূর হয় ততদিন পর্যন্ত এ নিয়ে প্রতিটি মেয়েরই লড়াই করা উচিৎ। সেই সাথে দরকার, ‘ঋতুস্রাব’ চলাকালীন সময় যাতে কোন মেয়ে লজ্জা না পায়, লজ্জা ভেঙে যাতে সে বাইরে আসতে পারে, সে জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

মেয়ে, আর নয় মুখ লুকিয়ে কাঁদা, ‘ঋতুস্রাব’ স্বাভাবিক, এ নয় কোন বাধা। জাগো নারী জাগো, ‘ঋতুস্রাব’ নিয়ে কুসংস্কার, লজ্জা ভাঙার সময় এসেছে, জাগো এবার জাগো। লজ্জা নয়, গর্ব করেই বলো ‘আমার মাসিক চলছে’। জয়তু নারী।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

বিজন রয় বলেছেন: সহমত।

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

বিজন রয় বলেছেন: এটা বলাতে তো আমি লজ্জার কিছু দেখি না।
আমাদের সমাজ এটাকে অমন গোপন করেছে।

++++

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

বিজন রয় বলেছেন: অথচ প্রকৃতির খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। মানব জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য শারীরিক ব্যাপার।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:

খুব সুন্দর করে লিখেছেন।

আমার মনে হয় এটা যেমন গোপন করার বিষয় না তেমনি ঢোল বাজিয়ে বলারও কিছু দেখি না।
একেবারেই স্বাভাবিক একটা বিষয়।

তবে হ্যাঁ, বর্তমান সময়ে যেভাবে পিরিয়ড নিয়ে কথা হচ্ছে...সেটা ভালো লাগছে এই কারণে যে, অন্ধকারে তলিয়ে থাকা মানসিকতার মানুষদের এভাবে চিৎকার করে বলে, চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলা উচিত...। যেনো তাতে কিছুটা হলেও বোধের জাগরণ হয়।

কিন্তু সত্যিই অনেক মেয়েরাই পিরিয়ডের সময় যেই ভয়ঙ্কর শারীরিক কষ্টের শিকার হয় (আমার পরিচিত একাধিক জনকে দেখেছি) তাতে শুধুমাত্র সেই ভুক্তভোগী নারীই বোঝে কতো কষ্ট নিয়ে তাকে চলতে হয়।

প্রিয়তে রাখলাম পোস্টটা।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

রেজা এম বলেছেন: ইন্ডিয়ায় প্যাড কিনা আম ব্যাপার .. like nothing .....

................................ উদাহরণ দিলাম

৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

আলো হীন চাঁদ বলেছেন: ++++++++

৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

এস নবীন (সম্রাট) বলেছেন: প্রয়োজনীয় একটি লেখা, দারুণ

৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: লিখাটা ভালো লাগছে।
তবে এটা ঠিক যে এই জিনিষটা যেমন লজ্জার কিছুই না, তেমনি ঢোল পিটিয়ে বলার ও কিচ্ছু না!!

৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

গোলাপীচাবি বলেছেন: ঋতুস্রাব সমন্ধে এখনও অজ্ঞ, পিএমএস সমন্ধেও জানেনা অনেকেই ৷ কিন্তু, একটা মেয়ের যেমন সব জানা জরুরী এ সমন্ধে; তার আশেপাশের মানুষেরও জানা জরুরী৷
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে ৷


+++

১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: খুব ছোট বেলায় বেড়াতে গিয়ে আমার এক খালার সাথে ঘুমিয়েছিলাম।মানুষ পেটে তীব্র ব্যাথা পেলে যেমন কান্না কাটি করে তেমনি কান্নার আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়।
রাতের সেই কান্না আমার কচি মন তখন কিছু বুঝে নাই।
কারও সাথে এই বিষয় নিয়ে শেয়ার ও করি নাই।তবে মাঝে মাঝে হঠাৎ কান্নার বিষয় টা উকিঁ দিত।
আস্তে আস্তে বড় হইতে শিখলাম, কান্না করার কারন টাও জানা গেল।
আপনি ঠিক ই বলেছেন-
‘ঋতুস্রাব’ একজন মেয়েকে কতটা কষ্ট দেয়, কতটা যন্ত্রণা দিয়ে থাকে, তা একজন মেয়েই ভালো বলতে পারবে।

মেয়েদের ঋতুস্রাব একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।মেয়েদের এইটা নিয়া গর্ব করার কিছু নাই।
এ নিয়ে অনেকেই লিখছেন- সচেতনতা তৈরি হচ্ছে।সবাই জানতে পারছে।
কিছু আবালদের কাছে মেয়েদের ঋতুস্রাব নিয়ে আড্ডায় হাসি ঠাট্টা করতে দেখা যায়।
আশা করি - আপনার এই লেখাটি সেইসব আবালদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাবে।
লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একটি ঘটনা শেয়ার না করে পারছি না-
মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় কাপড় পরিষ্কার,পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি কেননা- রাস্তায় যাতায়াত করার সময় স্মার্ট এক মেয়েকেই দেখেছি দুষ্ট বাতাসে তার কামিজ উল্টে গেলে খুব লজ্জার এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি দেখতে হয়েছে।

১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

মুহিব মোরসালিন বলেছেন: রাখঢাকের কোনো বিষয় না হলেও এটা "জাগো নারী জাগো" বলে আন্দোলন করারও কোনো বিষয় নয়। সমাজে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অশিক্ষার কারনেই এমন টা হয়ে আসছে। যা থেকে মুক্ত হতে হলে আমাদের প্র‍য়োজন সঠিক ধর্মীয় জ্ঞান এবং সুশিক্ষা। যা যুগপৎ ভাবে আমাদের গড়ে তুলবে সুনাগরিক এবং সচেতন সত্ত্বা হিসেবে।

১২| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

তার আর পর নেই… বলেছেন: যতটা বলা সহজ ততটাই কঠিন।

১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

খেপাটে বলেছেন: বিষয়টা এমন যে মাসিক বিষয়টা অনেকেই গোপন করতে পছন্দ করে । কারন মেয়েলি ব্যাপার । আপনার মতে বিষয়টা এমন যে আমি বীর্যপাত করার পর বলবো জাগো পুরুষ জাগো ,,,ু

১৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো পোস্ট।

১৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২০

জাগরিত নিদ্রা বলেছেন: 'একজন মেয়ের জন্য ‘ঋতুস্রাব’ আনন্দের নয়, উল্লাসের বিষয়ও নয়।'

আবার সবার শেষে লিখছেন- 'গর্ব করেই বলো ‘আমার মাসিক চলছে’'

যেহেতু এটা উল্লাসের বিষয় না, সেহেতু গর্ব করারও বিষয় না।

১৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫০

জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন: হ্যা বুঝতে পেরেছি আপনার মাসিক হচেছ তাই আপনি অনেক অনেক গর্বিত ! প্রশ্ন হচেছ আপনিই কি পৃথীবিতে একমাএ মানব যার মাসিক হচেছ ?
আমার মনে হয় এত গর্বিত হওয়ার কিছু নাই, আবার লজ্জা পাওয়ার ও কিছু নাই। কারন এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানব জাতি সৃষিটর শুরু থেকে এই প্রক্রিয়া চলে আসছে।

ধন্যবাদ........

১৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৩

প্রামানিক বলেছেন: বাস্তবতার ভিত্তিতে চমৎকার পোষ্ট। এরকম লেখার প্রয়োজন আছে।

১৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:
আমার মনে হয় এটা যেমন গোপন করার বিষয় না তেমনি ঢোল বাজিয়ে বলারও কিছু দেখি না।
সহমত।

১৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ, এমন সুন্দর পোষ্টের জন্য। তবে ন্যাপকিন ঢেকে দেওয়ার মাঝে তেমন কিছু দেখি না। আমার মতে অনেক ছেলেই নিজের আন্ডারওয়ারটি ঢেকে নিয়ে আসে।

২০| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++্

২১| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

সামায়েল লিনিথ বলেছেন: ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক ভাবে দেখলেই হয়, আমি অনেক ছেলেকে দেখেছি যারা নতুন গোফ উঠলেও লজ্জা পেতো আবার অনেক মেয়ে যারা বাড়ন্ত বুক নিয়েও স্বাভাবিক ভাবেই চলাফেরা করতো। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবারই বিপরীত লিংগের শারীরিক পরিবর্তন বা শরীরবৃত্তীয় ব্যাপারকে সহজভাবে মেনে নেওয়ার প্রবনতা থাকা ঊচিৎ

২২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২১

ফেরারী মানব বলেছেন: দারুন

২৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪৯

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: হাহাহাহা পোস্ট আর মন্তব্য পড়ে হাসছি,

আপনাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে দেশ জাতি এখন পিরিয়ড সমস্যা নিয়ে জর্জরিত।এটা না জানলে আর না বললে দেশ অজানারা অনলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। আর কোন টপিক কি নেই? কেন আমাকে জানতে হবে এসব।কেন তাকে গর্বের সাথে বলতে হবে আজ আমার পিরিয়ড হচ্ছে? ঠিক আছেন আপনারা? নাকি আমি ঠিক নেই? পিরিয়ড সমস্যা অপেন হয়ে গেলেই কি মানুষ সভ্যতায় ফিরে আসবে?
যারা এসব নিয়ে নারীদে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তারা জানলেও করবে না জানলেও করবে। কি সুবিধা হবে গর্ব করে যদি কোন মেয়ে ক্লাশে বলে এখন আমার পিরিয়ড চলছে? কি সুবিধা আমাকে বুঝিয়ে বলবেন? কেন একটা মানুষের সব কিছু অন্য মানুষ জানতে হবে? আপনি পিরিয়ড বিষয় গোপন করার জন্য যেই ভয় পাচ্ছেন বা যাদেরকে নিয়ে চিন্তিত তাদের মনের কি পরিবর্তন আসবে একটা মেয়ে গর্ব করে বললে?মানুষের প্রাইবেসী বলে কিছু থাকতে নেই?কেউ কিছু ঢাকলে সেটা অপেন করার স্বভাব যাদের আছে তাদের কাছে দুই সমান বরং খোলা কথার সুত্র ধরে সামনে পিছনে টেক্সে ইনবক্সে কথা দুই লাইন বেশি হবে।

আর এর আকার ইকার প্রতিকার আবিষ্কার পরিষ্কার সব কিছু জানার অনেক মাধ্যম আছে, আমরা এসব কোন নারী মুখে শুনিনি,কোন মেয়ে আমাদের বলেনি এর ভালো মন্দ,তবুও আমরা জানি, জানি এসময়ে একটা নারী শারীরিক সমস্যা ও আমাদের করনীয় কি কি, গর্ব করে বলার আদৌ কোন প্রয়োজন নেই বলেই আমি মনে করি,

ধন্যবাদ

২৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:০২

সাগর মাঝি বলেছেন: এটা লজ্জার কোন বিষয় বলে আমি মনে করিনা। স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রিতে কেন এত গোপনীয়তা।
এটা কোন হাসি ট্রাটার বিষয় নয়। ''ঋতুস্রাব'' খুবই সাভাবিক একটা বিষয় যা আপনার আমার সবার মা,বোন,বউয়ের প্রতিমাসে হয়।

২৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: আপনি উত্তর করছেন না কেন???

২৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০২

মেঘপিয়ন বলেছেন: আমার বলার মতো তেমন কিছই নেই। হঠাৎ একদিন মাথায় ভূত চাপে লেখালেখি!!!

আপনার প্রোফাইল এ লেখা , হুম সেটাই মনে হচ্ছে আমার ।
সবাই যদিও বাহবা দিচ্ছে কিন্তু আমার আপনার শিরোনাম এই অবজেকশন আছে , , , নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের নানা রকম শারীরিক ব্যাপার থাকে ,যেটা ব্যক্তিগত বিষয় । অপরাধ বা গোপনীয় বলে নয় , শালিনতা বলে একটা কথা থাকে , আছে সভ্যতাও । এমনকি বাচ্চাদের ও আমরা বলতে শেখাই বল ওয়াশ বা রেস্টরুম ইউজ করতে হবে । আপনি নিজেও টয়লেট পেলে নিশ্চয়ই বলেন না " " করে আসি । কি বলেন নাকি? ? খুব সাভাবিক এবং অপরিহার্য একটি বিষয় ত , তাইনা! ! একটু ভেবে দেখবেন ।

এনিওয়ে , লেখার শুরুর দিকে কথাগুলো ভালো ই লিখেছিলেন । হয়তো কিছু না ভেবেই লিখে পোস্ট দিয়ে ফেলেছেন ।যেহেতু এই বিষয় টা এখন খুব চলছে দেখছি নিজেদের শুশিল সচেতন বলে প্রমাণ করার লক্ষ্যে ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: আপনার কথাগুলো হাস্যকর। ‘আমার মাসিক চলছে’ এটা বলা কি অশ্লীল? যা শরীরের স্বাভীবক পক্রিয়া, তা অশ্লীল হয় কি করে? অশ্লীলতা কোথায় থাকে জানেন? আমাদের মস্তিস্কে।

ধরুন, আপনি আপনার এক মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। তার কিন্তু পিরিয়ড চলছে। এসময় মেয়েদের শারীরিক যন্ত্রণাটা স্বাভাবিক ভাবেই হয়ে থাকে। আপনার বন্ধুটি একটু এগিয়ে যেতেই কুকড়ে বসে পরলেন! আপনি তার কাছে জানতে চাইলেন, ‘কি হয়েছে’ । সে বরাবরই মাথা নেড়ে কিছু হয়নি বলেই এড়িয়ে যাচ্ছে। কেন এড়িয়ে যাচ্ছে? লজ্জায়। কারণ আপনি ব্যাপারটা ভালোভাবে নাও নিতে পারেন। কারণ আপনি পুরুষ।

আমার লেখার বিষয়টা ঠিক তেমন, এটা লজ্জার নয়, তুমি বলো, ‘আমার মাসিক চলছে’। আশা করি বুঝতে পারছেন? ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন। শুভ কামনা। আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

২৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১১

আহলান বলেছেন: লজ্জাশীলতা সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সিমা লঙ্ঘন কখনোই ভালো ফলাফল বয়ে আনে না .... বর্তমানে সেনিটারি প্যাডের বিজ্ঞাপনে যেখানে যেখানে ক্যামেরা ক্লোজ করে দেখানো হয়, বুঝানো হয়, সেটা কি আদৌ প্রয়োজন আছে ? ওটা যারা ব্যবহার করেন, তারা কি জানেন না কোথায় ওটা কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? কেনো করতে হয় ... বাচআচ কাচ্চা ময় মুরুব্বীদের সামনে বসে টিভি দেখাই এখন দায় হয়েছে কিছু কসমেটিকস আর প্যাডের বিজ্ঞাপনের জন্য ....

২৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫১

মেঘপিয়ন বলেছেন: আপনার কথাগুলো হাস্যকর। ‘আমার মাসিক চলছে’ এটা বলা কি অশ্লীল? যা শরীরের স্বাভীবক পক্রিয়া, তা অশ্লীল হয় কি করে? অশ্লীলতা কোথায় থাকে জানেন? আমাদের মস্তিস্কে।

হা হা হা , সীমান্ত আমার মন্তব্য টা আরেকবার পড়ুন , না আরও তিন বার পড়ে তার পর বলুন আমি অশ্লীল কোথায় বলেছি ?? শালীনতায় বিপরীত শব্দ অশ্লীল ধরেই কি আপনার এই প্রতি উত্তর ??? টয়লেট এ যাওয়াও স্বাভাবিক কথা কিন্তু সেটা বলতেও আমরা শব্দের ব্যবহারে সতর্ক হই ,ঠিক তেমনি " লজ্জা নয়, গর্ব করেই বলো ‘আমার মাসিক চলছে’ " এখানে লজ্জা বা গর্ব নিয়ে বলে বেড়ানোর কিছু নেই । অশ্লীলতা কই থাকে জানিনা ভাই , শুধু বুঝি সবার শরীর আছে , কি আছে না আছে সবাই ই জানি , তারপর ও আমরা পোশাক ব্যবহার করি , মস্তিস্কের দোহাই দিয়ে আপনিও নিশ্চয়ই এরিয়ে যান না পোশাক কে ??

উপরে ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট , আহলান কিছুটা ব্যখ্যা দিয়েছেন ।

সব কিছুর মূলে হচ্ছে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হউয়া , সহানুভূতি শীল হউয়া , তার জন্য সব কিছুর সীমাহীন প্রকাশের প্রয়োজন নেই , কিছু বিষয় পরিমার্জনের দরকার আছে । এটা আমার অভিমত , আপনার ভিন্ন হতেই পারে ।

আপনার জন্যও শুভকামনা ।
মন্তব্যের উত্তর দেওয়ায় বারতি ধন্যবাদ
আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.