নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতবার মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি, ততবারই পুরুষ হয়ে উঠি। তুই শালা একটা ‌‘পুরুষ’ শব্দটি সম্ভবত পৃথিবীর নিকৃষ্ট একটা গালিতে রূপান্তরিত হবে। পুরুষ হিসেবে গর্ব করার কিছু নেই, আমি লজ্জিত, সত্যি লজ্জিত যে আজও মানুষ হতে পারিনি।

সীমান্ত প্রধান

যা কিছু সত্য, তাই সুন্দর

সীমান্ত প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মই যত নষ্টের মূল

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫২


বিশ্বজুড়েই থেমে থেমে চলছে সন্ত্রাসী হামলা। এসব হামলায় নিহত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। যেন প্রতিদিনই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। আজ কোথাও গাড়ি বোমা হামলা তো কাল আত্মঘাতি হামলা। কিংবা কোথাও আবার চোরাগুপ্তা হামলা।

পুরো বিশ্বে বর্তমানে সন্ত্রাসী হামলা এতটাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে যে, চলতি বছরের তিন মাসের ঘটনার পরিসংখ্যানে আঁতকে উঠবেন আপনিও। প্রশ্ন জাগবে, তবে কি দেশে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে? নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেরই আলামত এগুলো?

২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি মার্চ পর্যন্ত একটি পরিসংখ্যান থেকে যেসব তথ্য উঠে এসেছে তাতে এটুকু বুঝা যায় বিশ্ব কতটা শান্তিময়। আগামীতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এই পরিস্থিতি। পরিসংখ্যান বলছে, এই তিন মাসের মধ্যে রেকর্ড করা হয়েছে ৯৬টি বড় হামলার ঘটনাকে। এরমধ্যে, ফেব্রুয়ারিতে ঘটে ৩৬টি ও মার্চে ৬০টি।

আর এসব হামলার মধ্যে বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪২ জন নিহত হয়। আর এসব হামলার দায় স্বীকার করেন যথাক্রমে আইএস ও আইএস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠি। তবে সর্বশেষ মঙ্গলবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে উপর্যুপরি বোমা হামলার ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৪ জন নিহত হয়েছে।

জানা গেছে, ৭ জানুয়ারি লিবিয়ায় গাড়িবোমা হামলায় ৬০ জন নিহত হন। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। ১৩ জানুয়ারি পাকিস্তান আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৫ জন নিহত হয়, এর দায় স্বীকার করে তেহরিক-ই-তালেবান। ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি বুরকিনা ফাসোতে গুলি, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩০ জন নিহত হয়। এর দায় স্বীকার করে আল-কায়েদা। ১৫ জানুয়ারি সোমালিয়ায় পণবন্দী হামলায় ৬৩ জন নিহত হয়, এর দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব।

এছাড়া, ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবানের গণহত্যায় ২০ জন নিহত হয়। নাইজেরিয়া ৩১ জানুয়ারি বোকো হারামের বোমা হামলায় নিহত হয় ৮৬ জন। আফগানিস্তান ১ ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২০ জন নিহত হয়, এ হামলার দায় স্বীকার করে তালেবান। ইরাকে ৮ ফেব্রুয়ারি গণহত্যায় ৩০০ জন নিহত হয়, এর দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আইএস।

এছাড়া, ৯ ফেব্রুয়ারি নাইজেরিয়ায় জঙ্গি সংগঠন বোকা হারামের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬০ জন, ইয়েমেন ১৭ ফেব্রুয়ারি আইএস’র আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ জন, ১৭ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক কুর্দিস্তানে জঙ্গি সংগঠন ফ্রিডম ফ্যালকনের আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় ২৮ জন, ২১ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ায় আইএস-এর বোমা হামলায় ১৩৪ জন ও ৫৭ জন, ২৯ ফেব্রুয়ারি ইরাক আইএস-এর আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ জন, ৭ মার্চ পাকিস্তানে তেহরিক-ই-তালেবান-এর গোলাগুলিতে ১০ জন নিহত হয়।

তাছাড়া, ৭ মার্চ তিউনিসিয়ায় আইএস-এর হামলা-সংঘর্ষ ১৭ জন, ১৩ মার্চ তুরস্ক কুর্দিস্তানে জঙ্গি সংগঠন ফ্রিডম ফ্যালকন-এর গাড়িবোমা ও গোলাগুলিতে ৩৭ জন, ১৩ মার্চ আইভরিকোস্টে সন্ত্রাসী গোষ্ঠি একিউআইএম গোলাগুলিতে ১৯ জন, ১৬ মার্চ পাকিস্তানে বোমা হামলায় ১৫ জন, এ দায় কেউ স্বীকার করেনি, ১৯ মার্চ মিসরের জঙ্গি সংগঠন ইউলায়েত সেইনা মর্টার হামলা ও গোলাগুলিতে ১৩ জন, ১৯ মার্চ তুরস্কে আইএস-এর আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪ জন ও ১৯ মার্চ পশ্চিম তীর সন্ত্রাসী গোষ্ঠি ফিলিস্তিনি অঞ্চল-এর বিক্ষিপ্ত হামলা ১ জন নিহত হয়।

তবে এসব যারা ঘটিয়েছে তারা সকলেই ইসলাম পন্থী জঙ্গি সংগঠন। তারা সবাই চাচ্ছে মানুষ মেরে ইসলাম প্রচার করতে। বলি, যে ধর্ম মানুষ আনলো, সেই মানুষ মেরে ধর্ম বাঁচিয়ে রাখা যায়? তাহলে কি বলতে পারি না, ধর্ম মানেই ভণ্ডামি আর ফালতু একটা অপশন? বলতে কি পারি না, সব নষ্টের মূলই হচ্ছে ধর্ম? তাই মানুষ মেরে যে ধর্ম প্রতিষ্ঠা হয়, সে ধর্মের কপালে আমি লাত্থি মারি। থু দিই সে ধর্মের মুখে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

জনি চৌধুরী বলেছেন: আপনার কাছে প্রশ্নঃ আপনি কি ধর্মহীন? আপনি জন্মগ্রহণ করেছেন কোন পরিচয় নিয়ে? আপনি ধর্মকে দোষ দিচ্ছেন কেন, ধর্ম কি কোন শাসক? বাবা, মা, প্রশাসন, সরকার যে আপনার শাসন করবে আপনাকে শাস্তি দিবে সেটি একটি গ্রন্থ আপনি মানতে পারেন, নাও পারেন আবার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারেন নিজেও ভুল পথে যেতে পারেন এটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তবে পরকালকে ভয় করলে ধর্মকে মানতে হবে। দেখুন মুসলিম পরিবারের সন্তান হয়েও আমাদের দেশে কিছু লোক নাস্তিকতার পথ বেঁচে নিয়েছে। আপনার উপরোক্ত লিখার মন্তব্যই এটাই বলবো, যারা প্রতিদিন মানুষ মারছে তারা কখনো সত্যিকারের মুসলমান কিংবা কোরআনের অনুসারী নয় তারা যা জানে ভুল জানে অথবা ভুল জেনেছে। বর্তমান বিশ্বে এখন যা হচ্ছে তাতে আন্তর্জাতিক রাজনীতি জড়িত। শুধু মাত্র মুসলমানের আইডেনটিটি ব্যবহার করে ইহুদি খ্রিষ্টানরাও এই কাজ গুলো করছে, করাচ্ছে। কোন ধর্ম নির্দ্বিধায় মানুষ হত্যা করার অনুমতি দেয়নি। কোরআন হাদিসে আরও অনেক অনেক ব্যাখ্যা আছে এই সব নিয়ে, অতবেশি আমার জানা নেই। আমি একজন সাধারন মুসলমান আমার নগণ্য জ্ঞানে আপনার লিখার উত্তর এটাই। ধর্ম মানুষকে দোষী, অপরাধী কিংবা কলুষিত করেনা মানুষকে খারপ পথে পরিচালিত করেনা। মানুষ যখন জ্ঞান অর্জনের প্রথম ধাপে পা রাখে তখন তাদের ভাবনায় উদয় হয় ধর্ম বলতে কিছুই নেই, ধর্মই সব নষ্টের মূল! আসলে ধর্ম মানুষকে নষ্ট করেনা বরং নষ্টের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: আপনি যেহেতু স্বীকার করেছেন ধর্ম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান সীমিত, সেহেতু এ নিয়ে আপনার সাথে কথা না বলাই শ্রেয়। ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ে মন্তব্য রাখায়। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

জনি চৌধুরী বলেছেন: ধরে নিলাম আপনি অবশ্যই জ্ঞানী ধর্ম সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন, যদি আমার মন্তব্যের একটি সারমর্ম অর্থাৎ ধর্মীয় মন্তব্য পেশ করতেন...

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: আমার বলা আর না বলা আপনার কাছে একই। কারণ অন্ধজনের সামনে টর্চের আলো দেয়া আর না দেয়া সমান কথা। জানুন। জানার চেষ্টা করুন।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

জনি চৌধুরী বলেছেন: বুঝলাম নিজেকে খুব পণ্ডিত ভাব দেখাচ্ছেন, আমিতো আপনাকে আমার মন্তব্যই কিছু প্রশ্ন করেছি, আপনি উত্তর দেননি এর মানে আপনার কাছে যুক্তি সংগত উত্তর নেই। আপনার উচিত ছিল মন্তব্যকারির মন্তব্যের উত্তর দেওয়া, পাশ কাটিয়ে যাওয়া নয়।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: হা হা হা

ভাই রে, এখানে পণ্ডিতের কি হলো!? যেহেতু আপনিই স্বীকার করেছেন আপনি ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ, তাই এ নিয়ে আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছি না। ভালো থাকুন।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট বিভাজন পন্থা হচ্ছে ধর্ম...!

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: অবশ্যই। তা নাহলে মানুষে মানুষে এত বৈষম্য কনে?

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: ধর্মই যত নষ্টের মূল। হুম।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: হুম টু

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

অ১ বলেছেন: ১। প্রশ্ন: ধর্ম শব্দের অর্থ কি?
২। শূন্যস্থান পূরণ: যাহারা জানে তাহারা ...........।
৩। ভাবসম্প্রসারণ: বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে। (অনেক পরীক্ষায় উত্তর দিয়েছিলাম কিন্তুি এর ভাব এখন পর্যন্ত পূর্ণ জ্ঞানে বুঝে নিজের জীবনে ধারণ করলাম না)

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১২

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: ১। বৈষম্য
২। নাস্তিক
৩। মুই হনু

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

জনি চৌধুরী বলেছেন: আমি জানিনা আপনি জানেন সেটা আমাকে জানান, তাহলে আমার জানতে সুবিদা হবে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১১

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: লেখা পড়তে থাকুন। তাহলেই জানতে পারবেন। আরও যারা লিখে তাদের লেখাও পড়ুন আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

এসব চলবে না..... বলেছেন: হ, ধর্ম খুব খ্রাপ।
আপনে ধর্মহীন হইয়া শান্তিতে থাকেন।
নিজের বুঝই বুঝ, বাকি সব তরমুজ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: আচ্ছা। আপনিও ধর্মান্ধ হইয়া শান্তিতে থাকেন। নিজের বুঝই বুঝ, বাকি সব তরমুজ।

৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

গোধুলী রঙ বলেছেন: আই এস হলো আমেরিকা আর ইউরোপ মিলে মধ্যপ্রাচ্য কে ধর্ষনের ফলে জন্ম নেওয়া জারজ সন্তান। এই কালপ্রিটদের অপকর্ম কে আপনি ধর্ম বলে চালিয়ে দিলেন। টিনের চষমা পইরা বইসা থাকেন, ব্লগ লিখতে আইসেন না।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১১

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: গোধুলী রঙ বলেছেন: আই এস হলো আমেরিকা আর ইউরোপ মিলে মধ্যপ্রাচ্য কে ধর্ষনের ফলে জন্ম নেওয়া জারজ সন্তান। এই কালপ্রিটদের অপকর্ম কে আপনি ধর্ম বলে চালিয়ে দিলেন। টিনের চষমা পইরা বইসা থাকেন, ব্লগ লিখতে আইসেন না।


লেখক কে আর কিছু বলার নেই , আমার বলা আর না বলা আপনার কাছে একই। কারণ অন্ধজনের সামনে টর্চের আলো দেয়া আর না দেয়া সমান কথা। জানুন। জানার চেষ্টা করুন।

শুভ কামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.