নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতবার মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি, ততবারই পুরুষ হয়ে উঠি। তুই শালা একটা ‌‘পুরুষ’ শব্দটি সম্ভবত পৃথিবীর নিকৃষ্ট একটা গালিতে রূপান্তরিত হবে। পুরুষ হিসেবে গর্ব করার কিছু নেই, আমি লজ্জিত, সত্যি লজ্জিত যে আজও মানুষ হতে পারিনি।

সীমান্ত প্রধান

যা কিছু সত্য, তাই সুন্দর

সীমান্ত প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুকে তনুর শেষ তিনটি পোষ্টে কি ছিলো?

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৮


‘আমার মতে সেই সব মানুষের সাথে মিশা উচিৎ যারা সব সময় তোমার ভালো চায়’ ১৬ মার্চ রাত ২টা ৫৩ মিনিটে এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন বর্বরতার শিকার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু।

এরপর তার আরেকটি স্ট্যাটাস ছিলো ট্রাভেলিং নিয়ে। সেখানে বিস্তারিত কিছু না লিখলেও উল্লেখ্য ছিলো সে সিলেট যাচ্ছে। তার নিচেই ছোট্ট করে লিখেছিলেন ‘1st time..so happy’। এই স্ট্যাটাসটি তিনি দিয়েছিলেন ১৮ মার্চ রাত ১২টা ৪৩ মিনিটে।

সর্বশেষ তথা যেদিন খুন হন তনু তার কয়েক ঘন্টা আগে বেশ কয়েকটি ছবি তিনি তার ফেসবুকে আপলোড করেন। ছবিগুলো ছিলো সিলেটের চা বাগান ও পাহাড় এবং হাওড়ের। এই ছবিগুলো তিনি আপলোড করেন ২০ মার্চ বিকেল ৩টা ৩৪মিনিটে। এরপর তিনি ৪টার দিকে সেনানিবাসের বাসা থেকে বের হন টিউশনি করার উদ্দেশ্যে।

বাসা থেকে টিউশনি করা বাসার দূরত্ব ২শ’ গজ। অন্যদিন ২টি টিউশনি শেষ করে বাসায় ফিরতেন রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে। কিন্তু সেদিন রাত সোয়া ১০টায়ও তিনি বাসায় ফেরেননি। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় বাসা থেকে ১০০ গজ দূরের জঙ্গলে তনুর লাশ পান তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন।

তনুর বাবা জানিয়েছেন, ‘২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে কাজ সেরে রাত সোয়া ১০টায় বাসায় ফিরি। তনুর মা বলল, তনু বাসায় ফেরেনি। সে কখনও ফিরতে এতো দেরি করে না। টর্চলাইট নিয়ে মেয়ের খোঁজে বের হই। বাসার কাছেই একটি কালভার্ট আছে। কালভার্টের পাশে দেখি তনুর একটি জুতা পড়ে আছে। কয়েক হাত দূরে ওর মোবাইল ফোনটা পড়ে থাকতে দেখি। আর একটু পরে উঁচু জায়গায় জঙ্গলের মধ্যে তনুকে পেলাম। মাথার নিচটা থেঁতলে আছে। ওর মুখে রক্ত আর আঁচড়ের দাগ। কয়েকজন প্রতিবেশী মিলে ওকে সিএমএইচে (সামরিক হাসপাতাল) নিয়ে যাই। তনু দুইটি টিউশনি করত। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বাসা থেকে বের হতো’।

এদিকে সর্বশেষ এই ছবিগুলো আপলোড করার কয়েক ঘন্টা পরই নৃশংসতার শিকার হন সোহাগী জাহান তনু। যে ঘটনায় এখন উত্তাল পুরো বাংলাদেশ। বিচার দাবীতে রোডমার্চ সহ বিভিন্ন আন্দোলন চলছে দেশজুড়ে। জানানো হচ্ছে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ।

অপরদিকে তনু হত্যাকাণ্ডের ৭দিন পেরিয়ে গেলেও তনু হত্যার সাথে সম্পৃক্ত কাউকে চিহ্ণিতকরণসহ গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যা নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

তবে অবাক করার বিষয় হলো, সোহাগী জাহান তনুকে কেন তার মা-বাবা বিয়ে দেননি?—জিজ্ঞাসাবাদের নামে এমন প্রশ্ন করছে র‌্যাব! এছাড়াও বারবার চাপ প্রয়োগ করে জানতে চাচ্ছেন, ভিক্টোরিয়া কলেজের কারো সঙ্গে তনুর কোন সম্পর্ক ছিলো কিনা?

ঘটনার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে করে কি তাদের একটুও লজ্জাবোধ হচ্ছে না? তারপর অবান্তর প্রশ্ন! কেন? এসব কিসের আলামত? তনু অনার্সে পড়ছিলো। তাকে বিয়ে দেয়া আর না দেয়া নিয়ে র‌্যাব প্রশ্ন তুলে কোন যুক্তিতে?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাই এসব মানুষের মুখস্ত হয়ে গেছে । নতুন কিছু বলুন আন্দোলন এর খবর বলুন

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

বিজন রয় বলেছেন: কিছুই হবে না।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

মুসাফির নামা বলেছেন: প্রশ্নগুলো অবান্তর মনে হলেও তদন্তের সার্থে প্রয়োজনীয়।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

মুসাফির নামা বলেছেন: আমরা চাই অপরাধীরা ধরা পড়ুক এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হোক।কেউ যেন শাক দিয়ে মাছ ডেকে না ফেলে।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

কাজী! বলেছেন: প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করছে।হয়ত সম্পর্ক থাকলে সেই ছেলেকে আসামী করে মামলা দিয়ে আম জনতার রাগ ঠান্ডা করত।
সবই সম্ভব এই দেশে।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

নতুন বলেছেন: তনুর পরিচিত কেউই এক কাজ করেছে বলেই আমার মনে হয়।

নতুবা শুধু পথ চলার মতন বাড়ীর সামনে কেউ তাকে একেলা পেয়ে হত্যা করেছে এমনটা হবার কথা না।

হত্যা ঘটনায় কেউই সন্দেহের বাইরে না। এমনি বাবা/মা পরিবারও... ( অনেক হত্যা পরিবারের সদস্যেরাই করে থাকে)

তাই গোয়েন্দাদের সবাইকে জিঙ্গাসাবাদ করতে দেওয়া উচিত...

ফোন, ফেসবুক বা ব্যক্তিগত ডাইরি যদি থাকে তা অনেক তথ্য দিতে পারে.... এবং কাছের বন্ধুদেরও জিঙ্গাসাবাদ করা উচিত, তাদের থেকেও কোন ক্লু পেতে পারে গোয়েন্দারা...

পারফেক্ট ক্রাইম বলে কিছু নাই.... খুজলে অবশ্যই খুনিকে পাওয়া সম্ভভ...

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

বিপরীত বাক বলেছেন: এটা নরমাল ধর্ষণ কেস না। তাহলে ওভাবে চুল কেটে মাথা থেতলে দিত না। বোঝাই যাচ্ছে পুরোনো কোন আক্রোশ থেকে ঘটনা টি ঘটেছে। যে বা যারা ঘটিয়েছে তারা হয়তো ও মেয়ের পরিচিত ছিল। কেননা চিৎকার চেঁচামেচির কোন আলামত নেই। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটু চিৎকার দিলেই সেন্ট্রি ছুটে আসতো।

প্রেম প্রত্যাখান বা পুরনো প্রেম ঘটিত বা শিক্ষাঙ্গনে র কোন রেষারেষি বা পারিবারিক কোন বিরোধে মেয়েটির উপর রাগ ছিল কারও হয়তো। মেয়ে সহপাঠী ও জড়িত থাকতে পারে। ধর্ষণ বলেই শুধু পুরুষের অংশগ্রহন থাকবে তা ঠিক না। হয়তো আড়াল থেকে কোন নারী চাল চেলেছে।

দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

এরশাদ বাদশা বলেছেন: এই প্রশ্ন যদি করা হয়ে থাকে- তনুকে বিয়ে দেয়নি কেন....তাহলে আর তদন্ত করারই দরকার কি? রিপোর্ট দিয়ে দিক- সোমত্ত মেয়ের যথাসময়ে বিয়ে না হওয়াতেই সে ধর্ষনের শিকার হয়েছে।
এমনিতেই বিচার আশা করা বৃথা।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: পছন্দমত আসামী পেলেই মামলার কিনারা হবে... X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.