নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতবার মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি, ততবারই পুরুষ হয়ে উঠি। তুই শালা একটা ‌‘পুরুষ’ শব্দটি সম্ভবত পৃথিবীর নিকৃষ্ট একটা গালিতে রূপান্তরিত হবে। পুরুষ হিসেবে গর্ব করার কিছু নেই, আমি লজ্জিত, সত্যি লজ্জিত যে আজও মানুষ হতে পারিনি।

সীমান্ত প্রধান

যা কিছু সত্য, তাই সুন্দর

সীমান্ত প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঁশ পরবর্তী ইমরান এইচ সরকার

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৯


বিচিত্র দেশ। বিচিত্র মানুষ। তার চেয়েও আরও বেশি বিচিত্র হচ্ছে মানুষের চরিত্র। এই বিচিত্রের মধ্যে পড়ে আমাদের নাভিশ্বাস। স্বস্তির আশায় একে ছেড়ে তাকে ধরি, কিন্তু দুঃখজনক হলো; যাকেই ধরি না কেন, সেই-ই আমাদের (জনগণ) ফুটবল বানায়! সে আওয়ামী লীগ হোক আর বিএনপি হোক। এর থেকে মনে হয় আমাদের নিস্তার নাই।

যা হোক কথা ঠিক এটা না, কথা হচ্ছে ভিন্ন। মানে রিজার্ভ চুরি, তনু হত্যা, বাঁশ পরবর্তী ইমরান এইচ সরকার হচ্ছে এখন টপ-ক্লাস ইস্যু। মোস্ট পপুলার। তাই এই মোস্ট পপুলার ভাইজানকে নিয়ে একটু লিখব। সেই সাথে আমাদের নির্লজ্জ সরকারের কিছু গুণকীর্তনও করব।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা জয় একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, ইমরান এইচ সরকার বিএনপির টাকা খেয়েছে (জয় যখন বলছেন, কথা সত্য হতেই পারে। কারণ, শতো হলেও জয়ের কাছে তামাম তথ্য থাকে। তিনি নিজেই তথ্য) তাই তাকে আন-ফ্রেন্ড করুন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতা লেলিন দাবী করলেন, ইমরান এইচ সরকার যুদ্ধাপরাধী!

তাহলে বোঝা যাচ্ছে ইমরান এইচ সরকার বর্তামানে বাংলাদেশ সরকার তথা আওয়ামী লীগের মাথা ব্যথার কারণ! যার কারণে ইমরান এইচ সরকারের পিছনে লেগেছেন তারা। এর ফলে ঠিক নেই, ইমরান এইচ সরকারের কল্লাটাও বোধ হয় যেতে পারে! আর ইমরান এইচ সরকারেই বা এত দরকার কি ছিল, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার? সে কি জানে না, সরকারের বিপক্ষে যায় এমন কিছু যে বলবে সে সবার কাছে হবে ‘চুদির ভাই’!

প্রবীর সিকদার যখন গ্রেপ্তার হলেন অন্যায়ভাবে। তখন দেখেছিলাম ইমরান এইচ সরকার নিজের ফেসবুক পেইজে এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। ঠিক একই ভাবে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের পরও তিনি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাহলে সমস্যাটা কি? শফিক রেহমানের রাজনৈতিক আদর্শ ভিন্ন বলেই সমস্যা?

আইন বলে, একজন কুখ্যাত অপরাধীরও অধিকার আছে ন্যায় পাওয়ার। তাহলে সে হিসেবে তো শফিক রেহমান তেমন কোন কুখ্যাত কেউ না! তিনি বাংলাদেশের একজন প্রবীন সাংবাদিক। হতে পারে তার রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন। তাই বলে কি ভিন্নমতকে এভাবে দমন করতে হবে? এখন একই কায়দায় ইমরান এইচ সরকারকেও দমন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সরকার! আসলে এটা জয়ের চাওয়া। তাই সবারই চাওয়া। ইস! আমাদের মা কেন প্রধানমন্ত্রী হল না?

এখন অনেকেই খাতা আর কলম নিয়ে বসে গেছেন। দু’হাত খুলে লিখছেন ইমরান এইচ সরকারের অতীত বর্তমান। কে এই ইমরান? কোথা থেকে আসলেন এই ইমরান? কি তার আয়ের উৎস? তার ব্যাগ্রাউন্ড কি? ব্লা ব্লা ব্লা এমন আরও অনেক কিছুই লিখছে। আরও লিখবে। কারণ সে অন্যায় করেছে সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে।

আচ্ছা, যারা আজ ইমরান এইচ সরকারে ফর্দ লিখছেন, তারা এতদিন কোথায় ছিলেন? এতদিন কেন লিখেননি এমন ফর্দ? আর কত পা চাটবেন? এবার থামুন। এবার অন্তত দেশের কথা ভাবুন। দেশের স্বার্থ দেখুন। আপনাদের এমন চামচামির জন্য আজ দেশের এ হাল, বুঝতে পারছেন? ভুলে যান কেন, এই ইমরানকে কিন্তু সরকারই সামনের দিকে এগিয়ে দিয়েছে নিজেদের স্বার্থে। আর এখন নিজেদের স্বার্থে যখন ঘা লাগলো তখনো আপনাদের মত পা চাটাদের লেলিয়ে দিয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে যত ফর্দ আছে সব তুলে ধরতে! বাহ! বাহ! বাহ!

আজ সরকারের আচরণ এটাই প্রমাণ করে যে, এ পর্যন্ত যতজন ব্লগার এদেশে খুন হয়েছে, তার প্রতিটি খুনের পিছনে সরকারের হাত রয়েছে। আর সেগুলো যদি সুস্থভাবে তদন্ত করা হয় তবে তা বের হয়ে আসবে। কারণ, এ পর্যন্ত খুন হওয়া প্রতিটি ব্লগারই কোন না কোন ভাবে সরকারের অনৈতিক কাজগুলোর সমালোচনা করেছিলেন। যার জন্য তাদের ছেটে ফেলে দেয়া হয়েছে।

আবার বিষয়টা এমনও হতে পারে আল্লামা শফিদের খুশি করার জন্য ব্লগারদের খুন করিয়েছে সরকার! যার ফলে নেজামি, শফিরা এখন হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আর হাসিনাও তার বক্তব্যে নাস্তিক মুক্তমনাদের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিচ্ছেন। এমনকি কারো কথা তোয়াক্কা না করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকেই বলবত রেখেছেন!

মাননীয় শেখ হাসিনা, ভুলে যাবেন না সব কিছুরই একটা শেষ থাকে। এই দেশ এখন ইসলামিক দেশ। সুতরাং সহি ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আপনি মুখোশ পরে কাজ করছেন। আর সামনে একদিন আসবে, যেদিন এই দেশে আপনার রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে! কেন না, ইসলামে কিন্তু নারী নেতৃত্ব হারাম! তাই বলছি, গদি বাঁচানোর জন্য খাল কেটে কুমির নিয়ে আসছেন আপনি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

সান্তুইয়া বলেছেন: আমি কিন্তু সব সময় ইমরানের পক্ষে, কারণ একমাত্র ব্যাতিক্রমী কিছু চিন্তাধারা তার মধ্যেই লক্ষণীয়, তাই বলবো, এখনো একজন আছে যিনি সরকার অন্যায় করলে অন্তত কিছ কথা বলেন। অনেক বড় বড় নেতা, বুদ্ধিজীবিও আজ চুপচাপ, তাই বলবো, তিনি অনেক ভালো এবং এখন পূর্যন্ত বলার মতো একজন ব্যাক্তি কেউ আছেন বলতে হবে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: ঠিক তাই। যখন সরকারের সমালোচনা করার মতো কোন লোক আর থাকবে না। তখন এ দেশে আইনের শাসন শূন্যের কোঠায় নেমে যাবে। ন্যায় হারিয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.