নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভ্যাগাবন্ড

আবীর ফেরদৌস

আবীর ফেরদৌস › বিস্তারিত পোস্টঃ

Death Zone: 2nd Chapter

২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩২



ওহ!প্রচন্ড যন্ত্রনা,ওরা কিছুক্ষন আগে আমার চামড়া কেটে নিয়ে গেছে,আমার সামনে হিংস্র কয়েকটা কুকুর আমার চামড়া ছিড়ে ছিড়ে খেয়েছে,হাজার বছর পূর্বে নাকি এভাবে চামড়া কাটা হত। আর সহ্য করতে পারছি না,আচ্ছা মৃত্যুর যন্ত্রনা কি এর চেয়েও ভয়ংকর?নিজের কাছে নিজেই প্রশ্ন করছি,যদি ভয়ংকর না হয় তাহলে আমার মরে যাওয়াই ভাল,না ওরা আমাকে মরতে দেবে না,যতক্ষন না আমার কাছ থেকে রিঞ্জি এনএম২ এর কোডসহ হদিস না পাবে,এই মূহুর্তে আমি ছাড়া কেউ জানে না এটা কোথায় আছে,একমাত্র এইটা দিয়েই এই হিংস্র পশুগুলোকে শেষ করা সম্ভব,এই ভয়ানক আনবিক ভাইরাসের স্রস্টা আমি আর রিক্তা।রিক্তাকে ওরা হত্যা করেছে,গত পরশু দিন, ওরা আমার মূখের ভিতর রিক্তার মগজ ঢুকিয়ে দিয়েছিল,ওহ কি নৃসংশ!আমি ক্ষমা চাই তোমার নিকট।ওকে ওরা জ্যান্ত কুচি কুচি করেছে শুধু এটার তথ্য জানার জন্য,কিন্তু রিক্তা বলে নাই,আমিও বলব না,তবে এও জানি আমার সাথে সাথে ওদের সময় ঘনিয়ে আসছে।
পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছি ওরা আসছে।আশা করি এবার আমার মৃত্যু ঘটবে।
ওরা কিছুক্ষন হল চলে গেছে,আমি পায়ের আওয়াজ শুনেছি।ঠক ঠক আওয়াজ।কিছু দেখতে পাচ্ছি না,ওরা আমার চোখ উপরে ফেলেছে,ওহ! কি যন্ত্রনা! আমি আর দেখতে পাব না,ওরা যখন একটা একটা করে আমার নক তুলছিল আর প্রশ্ন করছিল আমি কিছুই বলি নাই আমার চিৎকার করার শক্তি হাড়িয়ে ফেলেছি,সম্ভবত আর কথা বলতে পারব না,আর পেরেই বা কি হবে সম্ভবত আর অল্প সময় বাঁচব,প্রচন্ড পানি খেতে ইচ্ছে করছে।আমার মুখের কাছে সম্ভবত রক্তের স্রোত বয়ে চলছে,এটা দিয়েই বরং খেয়ে তৃষ্ণা মেটাই।উফফ প্রচন্ড নোনতা।
আমি আর পারছি না,সবকিছু এলোমেলো লাগছে,ঘরের পাশে সম্ভবত বিশাল বড় একটা পাত্রে তেল রেখে গরম করা হচ্ছে,সেইরকম কিছু একটা অনুভব করছি,তার মানে ওরা কি ওই তেলে আমাকে চুবাবে,নাহ আমি ভাবতে পারছি না।ওরা যদি তাই করে তাহলে ওদের ধ্বংস কিছুক্ষনের ভিতরই হবে।রিঞ্জি এনএম২ এর আজ বিস্ফোরন ঘটবে,আমি এটা আগেই ব্যাবহার করতে চেয়েছিলাম,কিন্তু ওরা আমাদের ঘিরে ধরেছিল,তাই রিক্তা এই অস্ত্রটা আমার শরীরে প্রবেশ করিয়েছিল,এটা একরকম আনবিক ক্যাপসুলও বলতে পারেন।অনেকটা প্রাচীন কৌশলে তৈরি করেছি আমরা এই অস্ত্র।আমার পেটের ভিতর ভাইব্রেশন হচ্ছে আমি টের পাচ্ছি,২ মাস যাবৎ এটা আমার শরীরে অবস্থান করছে আর আমি দের মাস যাবৎ এখানে অত্যাচারিত হচ্ছি।এই অস্ত্রটা নিয়ে আমি কখনই এখানে প্রবেশ করতে পারতাম না ক্কিন্তু ওরাই সূযোগ দিয়ে দিয়েছে।
নাহ সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে এই মাংস পিন্ডটার।
অদ্ভুততো এখন আমি সব দেখতে পাচ্ছি,শরীরের ওজনটাও মনে হচ্ছে ২৫-২৬ গ্রাম,প্রচন্ড হালকা হালকা লাগছে,একি আমি কি মারা গেছি?
হ্যা তাই হবে আশে পাশেই হয়ত রিক্তাকে পাব,ওইতো ওরা আমার শরীরটাকে চুল্লির ভিতর ফেলে দিচ্ছে।অবশ্য ওদেরকেও কিছুক্ষনের ভিতরে আগুনে পুরতে হবে,আর যারা পুরবে না ওরা এবং ওদের বংশধররা আজিবনের জন্য পঙ্গু থাকবে।
আমি আর রিক্তা পাহারে বসে আছি আর দূরে তাকিয়ে দেখছি অভেদ্য দুর্গটার ধ্বংস দেখার জন্য।ইয়ে মানে একটু নিরাপদ দুরুত্বে আছি।হা হা হা
যাক গে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই,ওদের আস্তানাটা অদ্ভুত ভাবে বিস্ফোরিত হল,সকলে ছুটা ছুটি করছে,পুরো এলাকা মাত্র ২ মিনিটের ভিতরে ধ্বংস হয়ে যাবে।
আহ!অপুর্ব দৃশ্য,অপুর্ব! পৃথিবী আবার মানুষের অভয় অরন্যে পরিনিত হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪১

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২২ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

আবীর ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.