![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিনেমার নামঃ সাইলেন্স
পরিচালকঃ মার্টিন স্করসেস
দেশঃ আমেরিকা
ভাষাঃ ইংরেজী,জাপানিজ
জেনরঃ ইতিহাস
২০১৬ সালের শুরু থেকেই আমি সবথেকে বেশী উত্তেজিত ছিলাম কবে সাইলেন্স মুক্তি পাবে,আর আমি দেখব।কারন তেমন কিছুই না শুধুমাত্র মার্টিন স্করসেস।সিনেমা যথা সময়ে মুক্তি পেল,কিন্তু আমি এতই অলস যে এত শত সিনেমার ভীর ও অন্যান্য ব্যস্ততায় এই সিনেমাটাই দেখছিলাম না।সিনেমাটি ২ বার আমি ডাউনলোড করেছি আবার কোন এক অজানা কারনে মুছে ফেলেছি।সম্প্রতি ঠিক করলাম সিনেমা যেভাবে হোক দেখব।আমাকে যদি বলা হয় ১৬ সালে মুক্তি প্রাপ্ত কোন সিনেমাটার প্রেমে আমি পরেছি তাহলে ২ টা সিনেমার কথাই বলব সেলসম্যান ও সাইলেন্স।
চলে আসি সিনেমা প্রসঙ্গে, এশিয়া মহাদেশই না শুধু পৃথিবীর সবথেকে আত্বকেন্দ্রিক জাতি বলা হয় জাপানিজদেরকে,কারন জাপানীরা এমন এক জাতি যারা অন্য জাতিদেরকে মেনে নিতে পারে না,অতটা আগ্রহ দেখায় না।সেই প্রাচীন কাল থেকেই জাপানীরা নিজেদেরকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি মনে করত,ওরা এটাই ভাবত পুরো পৃথিবী না হউক অন্তত এশিয়া শাষন করার অধিকার শুধু তাদেরই আছে,উদাহরন স্বরুপ ১৮৮০ সাল থেকে ২য় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত তাদের কর্মযজ্ঞের দিকে তাকালেই পারি।ষোড়শ শতাব্দিতে যখন ইউরোপের ক্যাথলিকেরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করে জাপান হবে এশিয়ার ক্যাথলিকদের তীর্থস্থান। সেই অনুযায়ী পর্তুগাল,স্পেন,নেদারল্যান্ড,ইংল্যান্ড কাজও শুরু করে।বেশ ভালভাবেই শুরু হয় কিন্তু খ্রিষ্টান ধর্মের একটু প্রসার পেতেই কোন এক ওসাকা অন্য এক ওসাকাকে আক্রমন করে বসে,এতে খেপে যায় পুরো সম্রাজ্য,তখনই শুরু হয় খ্রিষ্টানদেরকে কচুকাটা।ইসলাম ও খ্রিষ্টান এই ২ ধর্মের সবথেকে বড় সমস্যা হল এগুলো রাজনৈতিক হাতিয়ার,এদের উদ্দেশ্যই হল সম্রাজ্য বৃদ্ধি করা।কিন্তু জাপানীরা কি তা এত সহজে মেনে নিবে,নির্দেশ মোতাবেক জাপান বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হল,সকল জাপানীর দেশের বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হল,এভাবেই জাপান আত্বগোপনে থাকল ১৮৫০ সাল পর্যন্ত।এবার আসি ধর্মের কথায়, আচ্ছা কখনও ভেবে দেখেছি কি আমরা একটা ধর্ম গড়ে ওঠে সেই অঞ্চলের পারিপার্শিক অবস্থার উপর?এদেশের মুসলীমরা কি পুরোপুরি আরবের ইসলাম নিতে পেরেছে?পারে নিই কারন আমাদের জীবন যাপনে আমাদের সংস্কৃতির প্রভাব স্পষ্ট,আমাদের বিবাহ রীতি,খাদ্য গ্রহন প্রক্রিয়া কোনটাই ওদের মত না উলটা আমাদের মত করেই আমরা ইসলামকে সাজিয়েছি,নিজেদের মত করে কাল্পনিক ইসলামি গল্পও ফেদেছি(জঙ্গনামা পরে দেখতে পারেন,অথবা আহমদ ছফার বাঙ্গালী মুসলমানের গল্প)তেমনি জাপানীরাও কিন্তু তাদের মত করেই খ্রিষ্ট ধর্ম পালন করে আসছিল।আমরা দেখতে পাই দুই পর্তুগীজ পাদ্রী রুদ্রিগেজ ও গারুতা যখন জানতে পারে তাদের শিক্ষক ফাদার ফেরেইরা(লিয়াম নেসন) খ্রিষ্ট ধর্ম পরিত্যাগ করে জাপানিজ হয়ে গেছে এবং বুদ্ধের পথ গ্রহন করেছে।কিন্তু কেন?কারন সোয়াম্পে কখনও কোন গাছ জন্ম নেয় না,জাপানও ঠিক তাই,জাপান অন্য ধর্মের জন্য উপযুক্ত না।আসলে সকল ধর্মই এমন।আরবে সৃষ্ট খ্রিষ্ট ধর্ম পলের হাত ধরে সক্রেটিস ও যিশুর দর্শন ধরে ইউরোপে কিন্তু পরিবর্তন হয়ে যায়,খিষ্টের মৃত্যুর ৫০ বছর পর কিন্তু আজকের আধুনিক খ্রিষ্ট ধর্মের সুচনা।ইসলাম ধর্মেও কিন্তু তাই ৪ খলিফার সময় ৪ ভাবেই এই ধর্ম পালন হয়ে আসছে,অঞ্চল ভেদে ধর্ম গুলিতে সামান্য পার্থক্যও দেখতে পাই আমরা।হিন্দু ধর্মে আমরা অনার্য দেবতার শিবকে দেখতে পাই,উপমহাদেশের হিন্দুদের নিয়ম নীতিরও ভিন্নতা লক্ষনীয়।এই চলচিত্র নির্মান করতে পরিচালকের সময় লেগেছে ৩০ বছর,এর মূল কারন ছিল অর্থাভাবে কয়েকবারই এর কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও পরিচালক অবশেষে তার স্বপ্নের প্রজেক্ট সমাপ্ত করতে পেরেছেন।
সিনেমাতে এক সময় রুদ্রিগেজও ভুল বুজতে পেরে জাপানী হয়ে যায় কিন্তু মনে মনে চিরদিন খ্রিষ্টান হিসেবেই থাকে।কিন্তু সে বুজতে পারে তার ধর্ম সেখানকার স্বামান্তদের নিকট পরাজিত হয় নাই হয়েছে জাপানের পরিবেশ ও সংস্কৃতির কাছে।আসলে সকল ধর্মেরই পরাজয় ঘটে স্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে এবং ঘটতে থাকবে।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫৫
আবীর ফেরদৌস বলেছেন: সব থেকে বড় সোর্স চাইলে শিয়া মুসলীমদের দিকে তাকান
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ৪ খলিফার সময় চারভাবে ইসলাম পালিত হয়েছে? আপনার দাবীর পক্ষে কোন সোর্স আছে?