![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখন পুরো ভারতবর্ষ ব্রিটিশ সম্রাজ্যের অধিনে,অত্র অঞ্চলে তখনও ব্রিটিশ সম্রাজ্যের অধিনে অনেক রাজ্য ছিল। তেমনই এক রাজ্যের নাম আলওয়ার,রাজার নাম জয় সিং,জাতে রাজপুত।একবার তিনি গেলেন ইংল্যান্ড ভ্রমনে।এমনই একদিন সাধারন পোশাকে রাজা জয় সিং হেটে যাচ্ছিলেন লন্ডনের চাকচিক্য পথ ধরে।পথিমধ্যে তিনি প্রবেশ করলেন তৎকালিন সময়ের বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মান প্রতিষ্ঠান রোলস রয়েস এর শোরুমে।জানিয়ে রাখি তৎকালিন সময় রোলস রয়েস ছিল সবথেকে অভিজাত গাড়ি নির্মান প্রতিষ্ঠান,যেকোন ধনকুবেরের একটি রোলস রয়েসের গাড়ী থাকা মানে অনেক মর্যাদা আর আভিজাত্যের ব্যাপার।জয় সিং যখন শো-রুম ঘুরে দেখছিলেন তখনই বাজল মহা বিপত্তি।সাদা চামড়ার লোকদের নিকট তখন স্বাভাবিক ভাবেই বাদামীরা নিচু জাতের তার উপর তখন ব্রিটিশদের শাষনের শ্রীতে পুরো ভারতবর্ষের মানুষের অবস্থা ছিল টালমাটাল মানে দারিদ্রের কড়ালগ্রাসে জড়জড়িত।স্বাভাবিক ভাবেই সাধারন পোষাকে রাজাকে তারা আর দশটা দরিদ্র ভারতীয় ভেবে শোরুম থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করে।রাজা অপমান কাধে নিয়ে হোটেল কক্ষে গিয়ে তার কর্মচারিকে রোলস রয়েস শোরুমে সংবাদ দিয়ে পাঠালেণ যে আলওয়ারের মহারাজা রোলস রয়েসের শো-রুম প্রদর্শনীতে ইচ্ছুক।খবর শুনে শো-রুম কর্তৃপক্ষ রাজার সন্মানের জন্য জাকজমক ব্যবস্থা নিলেন।মহারাজা যখন রাজকীয় পোষাক পরিধান করে শো-রুমে উপস্থিত হলেন তখন তার জন্য রীতিমত রেডকার্পেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।রাজা শো-রুমে থাকা ৬ টি গাড়িই কিনে ফেললেন এবং নিজ রাজ্যে গিয়ে শহরের কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিলেন এখন থেকে শহরের সকল আবর্জনা এই গাড়িতে পরিবহন করার।বুজতেই পারছেন রাজাকে অপমান যেন তেন ব্যাপার নয়।এই খবর দ্রুত পৌছে গেল সারাবিশ্বে, যে ভারতে রোলস রয়েসের গাড়িতে ময়লা আবর্জনা পরিবহন করা হয়।যেখানে রোলস রয়েসের গাড়ি ছিল আভিজাত্যের প্রতিক সেখানে তখন থেকে পুর্ব থেকে পশ্চিম সবখানেই রোলস রয়েসের গাড়ি নিয়ে মানুষ ঠাট্টা করা আরম্ভ করল।কারো রোলস রয়েসের গাড়ি আছে শুনলেই মানুষ বলাবলি আরম্ভ করল কোন গাড়ি যে গাড়িতে ভারতে আবর্জনা পরিবহন হয় সেই গাড়ি?ফলাফল খুবই ভয়ানক সকলেই রোলস রয়েসের গাড়ি কেনা বন্ধ করে দিল,রোলস রয়েস পরে গেল মহাবিপদে,কারন তাদের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবার জোগার।অতঃপর টেলিগ্রাম মারফত তারা রাজার কাছে ক্ষমা চাইল এবং রাজাকে তাদের প্রতিষ্ঠানের গাড়িতে আবর্জনা পরিবহন না করার অনুরোধ করল।মহারাজাও অবগত হলেন যে তারা অনুতপ্ত,তাই রাজাও রোলস রয়েসের গাড়িতে আবর্জনা পরিবহন বন্ধ করলেন।
এটাই ছিল এক রাজার রাজকীয় প্রতিশোধ।
২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: পড়ে খুব মজা পেলাম !!!
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৬
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইংরেজের পা চাটিয়া এতো বড় আত্মমর্যাদাবোধ ! আশ্চর্য বৈকি ! আরো ভালো করিতেন যদি রাজ্যের মেথরদের ইংরেজদের হ্যাট কোট পড়িয়া ময়লা পরিষ্কার করা বাধ্যতামূলক করিতেন ! ইংরেজি ভাষা বাধ্যতামূলক করিতেন ! তাহা হইলে সারা দুনিয়ায় ইংরেজ হাসি ঠাট্টার পাত্র হইতো ! তাহার কাছে মাফ চাহিয়া ইংরেজ ভাগিয়া যাইতো !
জনগণের পাছা মারিয়া ঢিলা করিয়া দিলো , ইহাতে রাজামশাই অপমানিত বোধ করিলেন না , করিলেন উনাকে দোকান থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়া বাহির করিলে !
রাজামশাই , খান বাহাদুর , দেশীয় স্যার , সবই ছিল ইংরেজদের পাচাটা কুত্তা , জনগণের রক্তচোষা জোক , ইহারাই ১৮৫৭ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে ইংরেজদের গোলামী করিয়া , স্বাধীনতা যোদ্ধাদের হত্যা করিয়া স্বাধীনতার সূর্যকে অস্তমিত করিয়াছে !
০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৭
আবীর ফেরদৌস বলেছেন: ইংরেজরা ওদের ভাষার বিষ তো সবখানেই দিয়ে গেছে এসব করলে এই রাজার হয়ত কিছুই হইত না বরং অনেক সন্মান কুরাইতেন আর ইংরেজদিগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ তো সেই ১৮৫৭ তেই গলা টিপে হত্যা করা হইছে ধর্ম ভাগ কইরা।
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা করে দিলেই ভালও হতো।
০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৮
আবীর ফেরদৌস বলেছেন: প্রতিশোধ পুর্ন হবার পর তো ক্ষমা করেই দিয়েছিলেন
৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫
নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: এটা ব্যক্তিগত প্রতিশোধ, এর চেয়ে অনেক বড় বড় অপমান ইংরেজরা তাদের শাসনের প্রথম দিকে সদ্য রাজ্য হারানো রাজাদেরকে নিয়ে করেছিলেন, তাদেরকে কথায় কথায় হাসি ঠাট্টা অপমান করতেন, তাতে ভারতীয় জাতির মান একটুও কমেনি, সামন্ত প্রভুরা জনগণের রক্ত চুষে সেই টাকা দিয়ে ইংরেজ প্রভুদের খুশি করতেন।
রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রজাদের খাজনা তিনগুন বাড়িয়েছিলেন লন্ডনের বেকার যুবকদের বেকার ভাতা দেবার একটি প্রকল্পে অর্থসংস্থানের জন্য। এরচেয়ে বড় অপমান আর কি হতে পারে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০
শূখান বলেছেন: মজার কথা