নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টাইফুন

আমি সাংবাদিকতা করি

সিম্‌পল করিম

আমি নোবিপ্রোবিতে ফলিত গণিতে অনার্স এ পড়ি

সিম্‌পল করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর ক্ষমতায়নের সাথে নিরাপত্তা কমছে সসমানুপাতিক ভাবে

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৪



বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন
“বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর/অর্ধেক তার
করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর/বিশ্বে যা-কিছু এল
পাপ তাপ বেদনা অশ্রুবারি/অর্ধেক তার আনিয়াছে নর"
আজযেন তা স্বীকার করতে রাজি খুব কমই।এই কারনে আজ নির্যাতিত হচ্ছে নারী প্রতিনিয়ত। যেন তাদের জন্ম হওয়াটা মহা পাপ।তারা নির্যাতিত হচ্ছে আনুষ্ঠানিকভাবে বা অনানুষ্ঠানিকভাবে। তাদের প্রতি আচরণ দেখে মনে হয়না তারা মানুষের মিছিলে5 আছে।আজ তাদের অধিকার ও কর্তব্য যেন ভুলন্ঠিত। আজ যেন তা কবিতায়,বক্তৃতায়,সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম ছাড়া বায়বীয়। আজ নারীর অধীকার যেন বিভিন্ন নারীদিবস গুলোর মিছিল ও র‍্যালির ব্যানারে আটকে গেছে।
আজ নারী ক্ষমতায়ন হচ্ছে কিন্তু হচ্ছেনা নারী অধিকার সংরক্ষণ। বাংলাদেশ এই দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে কিন্তু,নারীর অধিকার সংরক্ষণে ভারত পাকিস্তানের মত অনেক পিছিয়ে। আজ নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে শিক্ষিত -অশিক্ষিত থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনি এবংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির হাতে।
মনে হচ্ছে এদেশে স্বাধীনতা শুধু পুরুষদের জন্য।
আজ নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান দেখলে গা শিউরে উঠে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানাযায়,
২০১৩ সালে ৪ হাজার ৭৭৭ নারী নির্যাতনের
শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে উত্ত্যক্তের শিকার
হয়েছেন ৪৯৪ জন এবং উত্ত্যক্তের কারণে
আত্মহত্যা করেছেন ২৪ জন। এছাড়া ৯৭৫ জন নারী
বর্বর নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮৫ জন। ধর্ষণের
পর হত্যা করা হয়েছে ৯৪ জনকে ও ধর্ষণের
চেষ্টা করা হয়েছে ১৫৩ জনকে। পুলিশী
নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩৭ জন।
পরিসংখ্যানে আরো জানানো হয়, শ্লীলতাহানির
শিকার হয়েছে ১৫৪ জন। এসিডদগ্ধের শিকার ৫০
জন। এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪
জনের। ৫৩ জন হয়েছেন অগ্নিদগ্ধের শিকার। এর
মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া অপহরণের শিকার হয়েছেন ১৩১ জন। এর
মধ্যে ২৭ জন নারী ও শিশুকে পাচার করা হয়েছে।
এদের ১০ জনকে বিক্রি করা হয়েছে
যৌনপল্লিতে।
অন্যদিকে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার
হয়েছে ৪৩৯ নারী। এদের মধ্যে হত্যা করা
হয়েছে ২৪৫ জনকে। ফতোয়ার শিকার হয়েছে
২৪ জন।
৮৯ গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর
মধ্যে ২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা
করেছে ২৫ জন। ৮২৯ জন নারী ও শিশুকে হত্যা
এবং বিভিন্ন কারণে ২৩৯ জনকে শারীরিকভাবে
নির্যাতন করা হয়েছে। ৩৮৬ নারী আত্মহত্যা
করতে বাধ্য হয়েছে। ১৭২ জন নারী ও শিশুর
রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।এছাড়াও

২০১৪ সালের জানুয়রি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত
চার হাজার ৬৫৪ নারী নির্যাতনের শিকার
হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে
৯৩৯টি। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৯৯
জনকে।
মহিলা পরিষদের থেকে এ পরিসংখ্যান জানাযায়।
এদিকে, বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন দাবি করেছে গত এক বছরে
১৫৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে
ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ নারীকে।
মহিলা পরিষদ থেকে আরো জানায়, গত বছরে
এসিডদগ্ধে মৃত্যু ৪, অপহরণ ১১৮, নারী ও শিশু
পাচার ৩০, নারী ও শিশু হত্যা ৮৯৮, যৌতুকের জন্য
নির্যাতন ৪৩১, উত্ত্যক্তের শিকার ৪৬৫, বিভিন্ন
নির্যাতনে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন
৩৪১ ও ৯৩ জন বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছেন।
এ ছাড়া রিপোর্টটিতে গৃহপরিচারিকা নির্যাতন ও পুলিশি
নির্যাতনের ঘটনারও পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট: গত বছর
হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫ হাজার ৬১ জন। এর মধ্যে
যৌন নির্যাতনে হত্যা ২৭, যৌতুকের কারণে হত্যা ৩০,
এসিড নিক্ষেপে ১, পারিবারিক সহিংসতায় ৬৮৫,
রাজনৈতিক হত্যা ১০১ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী
কর্তৃক হত্যা ৮৬ জন। এ ছাড়া যৌতুকের জন্য
নির্যাতনের শিকার ১৬ ও ৯টি এসিড নিক্ষেপের
ঘটনা ঘটেছে।
শুধু তাই নয়,প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ,। গতএপ্রিলের১৪তারিখ ২৫-৩০ জন বখাটে যুবকদের ১০/১৫ জন নারীর শ্লীলতা হানির মাধ্যমে তা আবার প্রমান হল।
শুধু তাই নয়,১৯৯৯ সালের থার্টি ফাস্ট নাইটে বিবস্ত্র করা হয়েছিল বাঁধন নামের এক ছাত্রীকে।
বাংলাদেশের প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রসংগঠনের সাধারণত সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিকের ধর্ষণে সেঞ্চুরি ও মিস্টি বিতরণ মানুষের বিবেককে আবার নাড়া দেয়।
স্বাধীনতার যুদ্ধে আমাদের দুই লক্ষ মা- বোনের ইজ্জত হানী হয়েছিলো। কিন্তু আজকে আমাদের স্বাধীনতার৪৫ বছর নিজ জাতি দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে হাজার হাজার।যা আমাদের নিরব দর্শক হওয়া ছাড়া আজ যেন আর কিছু করার নাই।আজ কিছু হলে যেন জংগীর কথা বলে দায়সারা দেয়া হচ্ছে।আজ অধরা হয়ে আছে ধর্ষক বা অত্যাচারীরা। তারা লুকিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন চত্রছায়ায়।দেয়া যাচ্ছেনা কোন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি।
আজ দেশের প্রধান মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় প্রধান,স্পীকার ছাড়াও দেশের গুরুত্ব কয়েকজন মন্ত্রী,দেশের দুইটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহিলা কিন্তু সবাই যেন আজ নিরব দর্শক,এ হওয়া ছাড়া আর কোন দায়িত্ত যেন নাই তাদের। যদি এত নারী ক্ষমতায়নের পরও নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় তাহলে জাতি কি ধরে নিবে আজ নারীকে পণ্য বানিয়ে কেউ ক্ষমতা দখল করছে আর কেউ তার নিকৃষ্ট রুচির স্বাদ মিটাচ্ছে?আর কত ক্ষমতায়ন হলে, আর কত বছর গেলে, আর কত নারী সংগঠন হলে এদেশের নারীরা ধর্ষণ ও নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবে? এ প্রশ্ন আজ জাতি রাখবে কার কাছে।
শিক্ষার্থী,ফলিত গণিত বিভাগ,
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.