![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল ব্লগারদের অবগিতর জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সকল প্রকার ভাল মন্তব্য সাদরে গ্রহন করা হবে। কোন বাজে কমেন্ট গ্রহনীয় নয়। ধন্যবাদ। ``পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয়.... মরন একিদন মুছে দেবে সকল রঙিন পরিচয়''
মা' কথাটি বা শব্দটি এই পৃথিবীর সবচেয়ে আপন। এই ধরনীর সকলেই মায়ের আদরেই বেড়ে উঠতে চায়। সন্তানের প্রতি মায়ের ই থাকে অকুন্ঠ ভালবাসা! সন্তানের জন্য ব্যাকুল থাকে মায়ের মন। ঠিক তেমনি ভাবে মায়ের আদর, স্নেহ, আর অকুন্ঠ ভালবাসা সকলের মানব হৃদয়কে উদ্বেলিত করে তুলে। একজন মা' কে অনেক চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে সন্তানকে আদর এবং মমতা আর সোহাগে মানুষ করার প্রানান্তকর চেষ্টা করে থাকে। আর এই মায়েদের মধ্যে একটি বিভাজন আছে বলে আমি দেখি। তা হল- মা- আর চাকুরী জীবি মা! এই দুই প্রকার মায়ের আদর প্রদানের ভাগ সমান নয় বলে আমার কাছে মনে হয়। একজন - যে মা ' টি শুধু ঘর সামলানোর কাজ এবং সন্তানকে মানুষ করার কাজে প্রানান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন। আরেকজন যিনি চাকুরী করেন- তিনি চাইলে ও ঐ মায়ের সমপরিমান আদর, স্নেহ, মায়া, মমতা করতে পারেন না। বা সেক্ষেত্রে কিছু ঘাটতি থেকেই যায়। ঠিক এই দুই প্রকার মায়ের মাঝে আমি দ্বিতীয় প্রকার মায়ের স্নেহেই বড় হয়েছি। আজ আমাদের মানুষ করতে গিয়ে এই চাকুরী করেছেন ! ব্যপারটি এমন নয়। এই চাকুরী না করলে আমরা আরো বেশি আদর, মায়া, মমতা পেতাম। কিন্তু এই চাকুরী করতে করতে আজ তিনি নানা রকম রোগব্যাধীর শিকার। হ্যা এই রোগ তো আর চাকুরীর জন্য হয়নি ! এমনটাই অনেকে ব্যখ্যা করবেন। আমি বলবো যে হ্যা। কিন্তু এই চাকুরী করতে গিয়ে অনেক সময়ই তাকে স্বাস্থ্যর প্রতি বেখেয়াল থাকতে দেখেছি। তাই এখন আমার মনে হয়। মায়েদের চাকুরী বিহীন ই থাকা উচিত। তাহলেই আদরের ভাগ সীমাহীন হতে পারে। নিজের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে মায়ের ভুমিকাই সবচেয়ে বেশী। সন্তানের পরীক্ষা! চিন্তা বেড়ে যায় মায়ের। অসুস্থতার সময়কার কথা না হয় নাই বললাম। চিন্তাই করা যায় না! স্কুল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে আসলে '' জ্বর'' না আসার জন্য মায়ের পদক্ষেপ! ভুলা যায়? পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করলে তার আনন্দ মাখা মুখ! কল্পনা করা যায়? রাতে না খেয়ে ঘুমালে কি পেরশানি! মনে পড়লে রক্তের প্রবাহের গতি কি কম থাকে? মা'''' কত অতুলনীয়!
মা' দিবসে সকল মা, কে শুভেচ্ছা। আর মায়েরা যেন সন্তানদের কাছেই থাকে............ আদরের ঘাটতি আর নয়। তবে জীবনের প্রয়োজনে চাকুরি করা যেতেই পারে। সকল মা ই যেন সুস্থ্য থেকে পরিবারকে আগলে রাখে পরম মমতায়।
এই অনিবার্য ব্যক্তিটি আগলে রাখতে অক্ষম হয়ে পড়লে তখনই কেবল এর যথার্থতা কড়ায় গন্ডায় বুঝা যায়। তাই আমার কামনা কোন মাকে যেন চাকুরী করতে না হয়! প্রিয় মা! আগলে রাখেন পরিবারকে পরম মমতায়!
লেখাটি গতকাল পোষ্ট করার চিন্তা করলেও পড়াশেনার চাপে চ্যাপ্টা হয়ে আর সোজা হয়ে দাড়াতে না পারার কারনে আজ পোষ্ট করা হল।
১১ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
লেডী বলেছেন: সেটা তো আপনিই ভাল জানেন। বাবাদের কাজ ই শুধু চাকুরী!
২| ১১ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
জনৈক আরাফাত বলেছেন: সুস্থ্য থাকাটা সবচেয়ে জরুরী!
(নিজের বর্ণনায় বানানগুলোর প্রতি একটু যত্নশীল হলে আরও ভালো লাগতো)
ভালো থাকুন।
৩| ১১ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
কিরিটি রায় বলেছেন: মা'''' কত অতুলনীয়!
মা' দিবসে সকল মা, কে শুভেচ্ছা। আর মায়েরা যেন সন্তানদের কাছেই থাকে............ আদরের ঘাটতি আর নয়। তবে জীবনের প্রয়োজনে চাকুরি করা যেতেই পারে। সকল মা ই যেন সুস্থ্য থেকে পরিবারকে আগলে রাখে পরম মমতায়।
৪| ১১ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
নাজনীন১ বলেছেন: ঠিক মানতে পারলাম না। আমার মাও চাকুরীজীবি। এর জন্য যদি কিছুটা আদরের ঘাটতি হয়েও থাকে আমি সেটাকে অসুবিধা মনে করি না। কারণ, আমি কি সন্তান হিসেবে শুধু আমার পাওনাটুকুই ভাববো? মায়ের অভাব-অভিযোগ, ইচ্ছা-আকাংখা, যোগ্যতার সদ্ব্যবহার -- এইগুলো কেন পূরণ হবে না?
অনেক পরিবারেই দেখা যায় মায়েদের হাতে টাকা থাকে না বলে পরিবারের কাছে বিভিন্নরকম খোঁটা শুনতে হয় --- রোজগার তো আমি করি, তুমি কি বোঝ, রোজগারের হ্যাপা কত? এজন্য অনেক মায়েদের কোন কথা বা পছন্দ-অপছন্দের মূল্যায়নও করা হয় না।
অনেক পরিবারে এই মমতাময়ী মায়েরা শুধু স্বামীর হাতে নয়, অন্যান্য সদস্যদের হাতেও লাঞ্ছিত হন, অপমানিত হন। অনেক সন্তানই এসব শুধু চোখ দিয়ে দেখে যায়, মায়ের জন্য কষ্ট লাগলেও প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
এর বাইরেও পরিবার আছে। তবে গৃহিনীদের রোজগেরে কর্তার সমান মূল্য খুব কম পরিবারেই দেয়া হয়।
এজন্যই আজকালকার মেয়েদের স্বনির্ভর হওয়া উচিত। একতা বয়সে সন্তানদেরও উচিত নিজেদের কাজ নিজেদের করা, মাকে কাজে কিছুটা সহায়তা করা।
ভাল থাকুন।
১১ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
লেডী বলেছেন: দু:খিত। আমি মায়েদের চাকুরী করতে না করেছি ঠিক। কিন্তু ব্যতিক্রমতাও আছে। যে পরিবারে চাকুরী দরকার সেখানে তো ভিন্ন কথা। আর নিজের কাজ নিজে তো একটা বয়সে করাই উচিত। এতে আমিও একমত। ধন্যবাদ।
৫| ১১ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
রাজনীতি বলেছেন: ভাল পোষ্ট। ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
নাজনীন১ বলেছেন: ছেলে-মেয়েরা যখন বড় হয়ে বিয়ে-শাদী, চাকুরী ইত্যাদি কারণে দূরে চলে যায়, তখন এই গৃহিনী মা হয়ে পড়েন একা। চাকুরী করার ফলে তার একটা জানা-শোনা পরিবেশ তৈরী হয়, অনেক সময় স্বামীর অক্ষমতা বা মারা গেলে নিজের চাকুরীটা একটা সম্বল হয়।
আরো অনেক ব্যাপার আছে। তবে যখন একজন মা চাকুরী করেন, পরিবারের সকলের কাছ থেকে তার সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। স্বামীদেরও দায়িত্ব আছে স্ত্রীর স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার।
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:০৪
লেডী বলেছেন: আমি কিন্তু প্রয়োজনে চাকুরী করাতে মানা করিনি। কিন্তু বর্তমানে মেয়েদের চাকুরী করার প্রবণতা ব্যাপক হারে বাড়ছে। যার দরকার সে তো করবেই। তবে আমি আমার আত্নীয় স্বজনদের মাঝে অনেককে জানি যারা অপ্রয়োজনে চাকুরী করে থাকে। ধন্যবাদ।
৭| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:১১
কষ্টের নদী বলেছেন: আপনার ধারনা দেখে কমেন্ট না করে পারছিনা।
মা কি শুধু ই একজন মা? মা কি মানুষ না? আমি মনে করি, সব শিক্ষিত মানুষের চাকরি করা দরকার আছে।
দু ধরনের মা ই সন্তানকে সমান আদর দিয়ে ই বড় করে।
এক সময় সন্তানরা বড় হয়ে যাবে। সবাই নিজের পড়াশুনা, নিজের চাকরি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যবে, তখন যে মা একা হয়ে যা সেটা কি খেয়াল করেছেন?
আমার মা'র কথা ই বলছি। আজ আমরা সবাই বড় হয়ে গেলাম। চাকরি করছি। আমার ভাই/বোন রা পড়াশুনা'র কারনে মা' কাছ থেকে দুরে।
বাবা সারাদিন অফিস এ থাকে। আম্মার জন্য খুব খারাপ লাগে। আম্মা মাঝে মাঝে বলে , বাসায় একা লাগে।
ভাবি আম্মা যদি একা চাকরি করত....তাইলে আর এমন হতো না।
............
এটা তো গেল একটা দিক। একটা ময়ের চাকরি করা ওনেক জরুরি তার নিজের জন্য।
আমাদের সমাজের মেয়েরা সংসারে,পরিবারে অব-হেলিত থাকে। তাই একটা মেয়ে যদি আত্মনির্ভরশীল হয়, তাহলে তাকে র কেউ অব-হেলা করার সাহস পায় না।
তাই একাজন মা শুধু একজন মা ই নয়। এর বাইরে বড় সত্য হলো তিনি একজন মানুষ।
যদি ও আমি এই একটা দিন( মা দিবস) ই শুদু মা'র জন্য মনে করিনা, বছরের সব দিন ই মা'র জন্য.........
তবু ও আপনি এই দিনে এসেও মা'র কথা না ভেবে শুধু সন্তান এর আদর-যত্নের কথা ভাবলেন। আদর কি শুধু মা একা ই করবেন?
সন্তান এর সুষ্ট বিকাশ এর জন্য মা-বাবা দুজন এর সমান প্রয়োজন আছে।
তাই মা ক চাকরি ছাড়ার জন্য না বলে....বরং এটা বলুন......বাবারা ও যেনো সংসার কাজগুলো ভাগ করে নেয়, বাবা ও যেনো সন্তান প্রতি মা এর মত যত্ন নেন...।
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৩৩
লেডী বলেছেন: আমি বলব এরকম সমাধানের চেয়ে সন্তানদের সহযোগীতা পেলে আর কিছু দরকার আছে কি? আর আপনার মত তো সব পরিবার না। তাই চিন্তার একটু পরিবর্দনই যথেষ্ট। আর একাকীত্ব থেকে দুর করার জন্য চাকুরী কেন? পরিবারের সকলের সহযোগীতাই পারে এগুলো দুর করতে। তবে তারপরেও ভিন্নতা থাকবেই। ধন্যবাদ।
৮| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:২৪
কষ্টের নদী বলেছেন: আপনার এই কমেন্ট পড়ে আরো অবাক হ্ই ছি!!!
"আমি কিন্তু প্রয়োজনে চাকুরী করাতে মানা করিনি। কিন্তু বর্তমানে মেয়েদের চাকুরী করার প্রবণতা ব্যাপক হারে বাড়ছে। যার দরকার সে তো করবেই। তবে আমি আমার আত্নীয় স্বজনদের মাঝে অনেককে জানি যারা অপ্রয়োজনে চাকুরী করে থাকে।"
চাকুরী আবার অপ্রয়োজনীয় হয় নাকি?
আমার মতে মেয়েদের চাকুরী করার প্রবণতা আরো ব্যাপক হারে বাড়া উচিত।
তাহলে কেউ আর মেয়েদের অব-হেলা করার সাহস পাবে নাহ।
আপনি মনে হয় এখনো আদিম যুগের কথা ভাবছেন! আমার( মেয়েদের) টাকা'র দরকার হলে চাকরি করবো, না হলে ঘরে বসে স্বমী/শশুর/শাশু'র অব-হেলার পাত্রি হব!!! হোআট আ ফান!!!
৯| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৩৯
রাত্রী বলেছেন: আমি চাকরীজীবি মায়ের সন্তান নই। তাই সমস্ত আদর আর খেয়াল পেয়েই বড় হয়েছি। আদরের অভাব বুঝতে পারিনি। কিন্তু আমার বর আবার চাকরীজীবি (ব্যাংকার) মায়ের সন্তান । তারা ভাইবোনেরা সবাই চাকরী করে। কিন্তু তাদের মুখে তাদের মাকে কম পাওয়ার কথা শুনেছি। শুধুমাত্র তারা ভূক্তভোগী বলেই দু' বোনই কলেজে শিক্ষকতা করছে। তাদের বক্তব্য হলো, ' আমরা আমাদের বাচ্চাদের সময় দিতে চাই'। তারাও কিন্তু প্রয়োজনের কারণে চাকরী করে না। তাদের হয়তো এত দূঃখবোধ হতো না যদি তাদের মা বেঁচে থাকতেন। আমি নিজেও আজ গৃহিনী। ওদের দুঃখবোধ দেখে একটু ভয়ই কাজ করে বাচ্চাকে রেখে চাকরী করার কথা ভাবতে। নেহায়েৎ, নিরুপায় নই বলেই চাকরী করা হয়নি। তবে এও ঠিক যে, আমি একসময় একা হয়ে যাবো। কিন্তু তখন কি আমার চাকরী করার সুযোগ থাকবে? আমার নিজেরও তো একটা জগৎ পেতে ইচ্ছে করে।চারদেয়ালে বন্দী থেকে মাঝেমাঝেই হাঁপিয়ে যাই। কাজেই সবার জন্য একই কথা প্রযোজ্য নয়।
মা দিবসের জন্য সকল মা কে শুভেচ্ছা।
ভালো থাকবেন মা কে নিয়ে।
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৪৫
লেডী বলেছেন: আপনার এই কথাগুলোকে ই এই ব্লগে বুঝাতে পারছিলাম না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরপরেও এখানকার কিছু ব্লগার ব্যপারগুলো বুঝতে পারেনা।
দোয়া করবেন আমার মায়ের জন্য।
আর আমি মনে করি আমার মা' প্রয়োজন ছাড়াই চাকুরী করেছে।
আর যে জগতের কথা বললেন এটার জন্য সবাই সহযোগীতা করলে কোন সমস্যাই না। ধন্যবাদ।
১০| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৩৯
লেডী বলেছেন: আপনি ব্যাপারটিকে ভিন্নভাবে দেখেছেন। তাই এমনটি মনে হয়েছে। আপনার কথা ঠিক আছে। চাকুরী অপ্রয়োজনীয় বলেছি এই কারনে যে, আপনার উক্ত সমস্যাগুলোর একটিও নেই তারপেরও চাকুরী কেন দরকার? আর সবাই যদি সবাইকে সহযোগীতা করে তাহলে কেন অবহেলার পাত্র হবেন? আমার পরিবারে অবহেলা জনিত কোন সমস্যা নেই তারপরেও চাকুরী করেছেন। আহামরী কোন লাভ হয়নি আমাদের। বিনিময়ে পেয়েছে রোগের পসরা। ধন্যবাদ।
১১| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৪১
নাজনীন১ বলেছেন: প্রয়োজন বলতে আপনি কি শুধু অর্থটাই বুঝলেন? মর্যাদার কথা বুঝলেন না? সেটা কিন্তু আমার আগের কমেন্টেই বলেছি।
এবার একটা প্রশ্ন করি, আর্থিক ব্যাপারেই...... ধরুন, একজন ৩৫/৪০ বছর বয়স্ক গৃহিণী মহিলার স্বামী মারা গেল, তার সন্তানও আছে, এখন সে কি করবে? বাবার বাড়িতে বা ভাইয়ের বা শ্বশুরের উপর আশ্রিতা হবে ,নাকি নিজে চাকুরী করার চেষ্টা করবে? যেখানে বাংলাদেশে ৩০শের নিচেই অনেক বেকার, সেখানে ঐ মহিলাটির চাকুরী পাবার সম্ভাবনা কতটুকু?
আর শিক্ষিত মেয়েরা চাইলে কেন সে তার মেধাশক্তি কাজে লাগাবে না?
বাকী কিছু কথা কষ্টের নদী ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন। ধন্যবাদ তাকে। কোন মেয়ে যদি নিজে থেকে চাকুরী করতে না চায়, সেটা তার স্বতঃস্ফুর্ত ব্যাপার। আমি অনেক শিক্ষিত মেয়েদের দেখেছি স্বামীর মন রক্ষার্থে চাকুরী না করে, পরে শুধু আক্ষেপ করে......যখন মোহ ভাঙ্গে। আর পিছনে বাপের বাড়ির মানুষদের কাছে শুধু স্বামী-শ্বশুরবাড়ির বদনাম......
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৫১
লেডী বলেছেন: আমি তাই সকলের সহযোগীতার হাতের কথা বলেছি। এখানে সবাইকে যদি সচেতন করা যায় তাহলেই মনে হয় আর বোঝা মনে করার কারন নাই। ধন্যবাদ।
১২| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৪৮
নাজনীন১ বলেছেন: "ঠিক এই দুই প্রকার মায়ের মাঝে আমি দ্বিতীয় প্রকার মায়ের স্নেহেই বড় হয়েছি। আজ আমাদের মানুষ করতে গিয়ে এই চাকুরী করেছেন ! ব্যপারটি এমন নয়। এই চাকুরী না করলে আমরা আরো বেশি আদর, মায়া, মমতা পেতাম। কিন্তু এই চাকুরী করতে করতে আজ তিনি নানা রকম রোগব্যাধীর শিকার। হ্যা এই রোগ তো আর চাকুরীর জন্য হয়নি ! এমনটাই অনেকে ব্যখ্যা করবেন। আমি বলবো যে হ্যা। কিন্তু এই চাকুরী করতে গিয়ে অনেক সময়ই তাকে স্বাস্থ্যর প্রতি বেখেয়াল থাকতে দেখেছি।"
"আমার পরিবারে অবহেলা জনিত কোন সমস্যা নেই তারপরেও চাকুরী করেছেন। আহামরী কোন লাভ হয়নি আমাদের। বিনিময়ে পেয়েছে রোগের পসরা।"
আপনার এ কথগুলোতে এক ধরণের স্পষ্ট ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে, মায়ের জন্য কোন সহানুভূতি বা কষ্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে না। দুঃখিত, আমি বার বার আপনার পোস্টে কমেন্ট করছি।
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৫৭
লেডী বলেছেন: প্লিজ! এই কথাটি আর বলবেন না। আমি দেখেছি কিভাবে মা দিনের পর দিন, বছরের পর বছর প্রায়ই সকালে না খেয়ে চাকুরীতে ছুটেছেন। এই ছুটে চলার পর কি পেলাম? জবাব দিতে পারেন? কেন তিনি ৪৫ বছর বয়সে জটিল কিডনী রোগী? কেন ১৭ বছর ধরে ডায়াবেটিসের রোগী? কেন তিনি আজ হার্ট ডিজিজে ভুগছেন? কেন এখন মাসে ২০০০০ টাকার ঔষধ খেতে হয়? কেন আজ মাসের পর মাস বারডেম হাসপাতালের বেডে কাতরাতে হয়? তাই ................... প্রায়ই আমার মন খুব খারাপ থাকে। পড়াশোনায় মন বসেনা। খুব যন্ত্রনায় কেদে বেড়াই।
১৩| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:২৩
রাত্রী বলেছেন: প্রথম প্রশ্ন, চাকুরী না করলে কি তাঁর অসুখ হতো না বলতে চান?
দ্বিতীয় প্রশ্ন, তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে সব চাকুরীজীবি মায়েরাই রোগেশোকে কাতরাচ্ছে?
আমার মায়েরও কিছুদিন আগে কিডনিতে পাথর জনিত সমস্যা হয়েছিল। তিনি তো চাকুরীজীবি নন। তাহলে?
মায়ের একটা নিজস্ব চাহিদা হয়তো ছিল চাকুরী করার। একজন মানুষ হিসেবে এটা তাঁর হতেই পারে। এটাকে আপনি নেগেটিভ ভাবে দেখবেন না প্লিজ। এতে মা হয়তো আরো কষ্ট পাবে। কেন আর অসুস্থ মানুষটাকে কষ্ট দেবেন।
মনের অস্থিরতা থেকেই বলছেন এসব বুঝতে পারছি।
অন্তর থেকে দোয়া করি মা সুস্থ হয়ে যান।
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৫০
লেডী বলেছেন: আপনার ১ নং প্রশ্নের জবাব:
চাকুরীর জন্য রোগাক্রান্ত এটা বলা যাবেনা। কিন্তু চাকুরী করার কারনে তার যে স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা হয়েছে তাতে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে অনেকগুণে।
২ নং:
অবশ্যই না। তবে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এটা একজন ডাক্তার এর মন্তব্য। এর কারন অনেক ক্ষেত্রেই চাকুরীজীবি মা নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারেন না।
আর আমি জানিনা তার কি এমন চাহিদা ছিল যে চাকুরী করতেই হবে?
যাহোক আপনাকে ধন্যবাদ অনেক কিছু শেয়ার করার জন্য।
১৪| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:২৪
নাজনীন১ বলেছেন: আমি খুবই দুঃখিত আপনাকে কষ্ট দেবার জন্য। মায়ের এমন কষ্ট দেখে দেখে আপনি অতি কষ্টে এই কথাগুলো লিখেছেন। আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি।
আপনার ব্যাপারটা একটু বিশেষিত, বাংলাদেশের সাধারণ চিত্র থেকে হয়তো একটু ভিন্ন। এই দেশে একটা বিরাট জনসংখ্যা মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত।
আর আপনি যে স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলার কথা বললেন সেটা কিন্তু অনেক গৃহিণীরাও করে, আপনার মাকে চাকুরী করতে দেখে মনে হয়েছে চাকুরীর জন্য হয়তো সময় পাননি।
আমার মায়ের আজ প্রায় ২২ বছর ধরে জন্ডিস, পানি কম খাওয়া থেকে সমস্যা, চাকুরী করে মাত্র ৩ ঘন্টা, বাকী সারাটা সময় ঘরে, কিন্তু পানি ঠিকমতো খান না। এক গ্লাস পানি কখনো পুরোটা খায় না। এটা হচ্ছে ইচ্ছাকৃত অবহেলা, অন্য কিছু এর কারণ নয়। আমরা হাজার বললেও সেই একই।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল। ভাল থাকুন।
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৫৫
লেডী বলেছেন: না এখানে কষ্ট পাওয়ার কি আছে? কষ্টে তো আছি। মনে রাখবেন আপনিও একদিন শশুর/শাশুরী হবেন। আপনি অবশ্যই ছেলের বউকে অবহেলার চোখে দেখবেন না। দরকার বোধ শক্তির। আমি আমার পরিবারের সবাইকে বলে দিয়েছি যে মায়েদের আর চাকুরী করা যাবেনা। মা অসুস্থ্য থাকলে খুব কষ্ট। খাওয়া দাওয়ার কোন স্টেষন থাকেনা। আরো নানা মুখী সমস্যা! ধন্যবাদ আপনার কথা গুলোর জন্য। সকল মায়ের জন্য শুভ কামনা। চাকুরী যেন করতে না হয়?
১৫| ১২ ই মে, ২০০৯ ভোর ৬:২২
কঁাকন বলেছেন: মায়েদের চাকুরীহীন থাকা উচিৎ মানতে পারলাম না
আমার নিজর মাও চাকরি করেন
চাকরিজিবী মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো উচিৎ এবং বাচ্চার সব দায়িত্ব মায়ের ছেলেদের এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে
চাকরী না করা কোন সমাধান নয়
১৬| ১২ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:৩৫
লেডী বলেছেন: পারতপক্ষে চাকুরী করা উচিত নয়। আর চাকুরীজীবি মায়েদের সুযোগ বাড়ানো দরকার। ধন্যবাদ।
১৭| ১২ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:০২
তারিক হাসান তারিক হাসান বলেছেন: লেখার মান বেশি ভাল না।
আরো আবেগ দিয়ে লিখতে হবে।
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, আমি এখানে যেভাবে আপনার মাকে উপস্থাপন করেছেন তিনি তার চেছে কয়েক হাজার গুণ মহান।
দুঃখিত এমন মন্তব্য করার জন্য।
বিদ্র আমিও ভাল লেখক নই।
১৮| ১২ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৭
কষ্টের নদী বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম আর কমেন্ট করবনা। কিন্তু তারপর ও না করে পারলাম নাহ, সরি...
আপনি বলেছেন:
"লেখক বলেছেন: না এখানে কষ্ট পাওয়ার কি আছে? কষ্টে তো আছি। মনে রাখবেন আপনিও একদিন শশুর/শাশুরী হবেন। আপনি অবশ্যই ছেলের বউকে অবহেলার চোখে দেখবেন না। দরকার বোধ শক্তির। আমি আমার পরিবারের সবাইকে বলে দিয়েছি যে মায়েদের আর চাকুরী করা যাবেনা। মা অসুস্থ্য থাকলে খুব কষ্ট। খাওয়া দাওয়ার কোন স্টেষন থাকেনা। আরো নানা মুখী সমস্যা!"
১. আমি আমার ছেলের বউকে অবহেলার চোখে দেখবো না। কিন্তু আমার মেয়েকে তার শাশুরী অবহেলার চোখে দেখতে ও পারে।কারন সব মানুষ এক রকম হয় নাহ। তাই আমি চাইব আমার ছেলের বউ & আমার মেয়ে দুজন এ চাকরি করুক। মানুষ চাকরি শুধু টাকার জন্য করে এটা ভুল ধারনা। একটা মেয়ে লিখাপড়া করে ঘরে বসে থাকবে কেন?
২ আপনি পরিবারের সবাইকে বলে দিয়েছি যে মায়েদের আর চাকুরী করা যাবেনা....এটা হলো আপনার ইচ্ছে টাই বাকিদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া। আপনার পরিবারের অন্য সব মেয়েদের চাকরি করার ইচ্ছে থাকতে পারে। নিজের জীবন কে নিজে মত করে গড়ার অধিকার আছে।
৩. তার চেয়ে এইটা করেন না কেনো? আপানর পরিবারের সবাইকে বলে দিন যে...সব ছেলেরাও যেন মায়েদের কাজে , সংসার এর কাজে সমান ভাবে করে।
৪.আমার মা তো চাকরি করেনি। আমার মা'র কেন ডায়বেটিস হলো, কেন হাই প্রেসার হলো।আমার বাবা চাকরি করে..কিন্তু বাবার আগেই মা এর এই রোগ হলো। মা আমার নিজে না খেয়ে আমাদের কে খাওয়ায়, সব কাজ ই করে। আমরা করতে গেলে বলে...আমি তো সারাডিন বাসাই আছি। আমাদের যৌথ পরিবার। সব কাজ দেখা যাই মা একা ই করছে। নিজের দিকে খেয়াল করার সময়ই পায় নাহ।
৫. আপনি বললেন মা অসুস্থ্য থাকলে, খওয়া দাওয়ার স্টেষন থাকেন। স্বর্থপর এর মত কথা হয়ে গেলো নাহ?...কেন তখন বাবারা একটু হেলপ করলে তো হয়।
৬. যেই মা রা চাকরি করেননা তারা কি জীবন এ অসুস্থ হন না??
৭. আমরা শুধু শুদু বক বক করছি। কিছু মানুষ নানা অজুহাত এ মেয়েদের কে ঘরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দী করে পরাধীন করে রাখতে চায়। অসুস্থতা?? এই একটা অজুহাত মাত্র।
আমি মনে করি সব মেয়েদের ই নিজে কি করবে সেটা বেছে নেয়ার অধিকার আছে। যে চাকরি করতে চায় করবে, যে ব্যবসা করতে চায় করবে, যে বাসায় বসে থেকে শুধু সংসার এর কাজ করতে চায় করবে।
এখন সময় পাল্টে গেছে...ছেলেদের ও উচিত সব কাজ সমান ভাবে করা। মা যেমন সন্তান এর দেখাশুনা করবে..বাবাও তেমনি সামন ভাবে সন্তানের দেখাশুনা করবে।
ভুল হলে ক্ষমা কইরেন।
১৯| ১২ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৯
কষ্টের নদী বলেছেন: নাজনীন১ কে ধন্যবাদ। আমি ও আপনার সাথে একমত
সবার ম-বাবার জন্য শুব কামনা। সবার মা-বাবা যেনো সুস্থ থাকেন।
২০| ১৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৪
ঘুমন্ত পথিক বলেছেন: আমারও কিছু বলার ছিল...
আমার মা-বাবা-র কথা বলি। বাবা চাকরি করেন। উনার মত সুস্থ ও ফিট আমার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কেউ আছে কিনা সন্দেহ! এদিকে আমার মা গৃহিণী। সারা জীবন গেল ঘর সামলাতে অথচ মা অনেক বেশি অসুস্থতায় ভোগেন।
আমার মনে হয় নর হোক আর নারী, সবারই কিছু না কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকা উচিত এবং সেটার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন হলে আরো ভাল। একটা কথা আছে না? "অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আড্ডাখানা"। আমার মায়ের অসুখ-বিসুখের প্রধান কারণই হল সারাদিন একা বাসায় থেকে থেকে দুশ্চিন্তা করা। কাজ-এ ব্যস্ত থাকলে এবং অন্যদের সাথে মেলামেশার পর্যাপ্ত সুযোগ থাকলে মানুষের দুশ্চিন্তা অনেক কম হয়।
এখনকার পরিবারগুলো হয় ছোট ছোট। আগের মত যৌথভাবে থাকার ব্যাপারটাও উঠে যাচ্ছে (যদিও যৌথ-পরিবারই আমি সমর্থন করি)। এ অবস্থায় একজন মানুষের পক্ষে বাসায় একা একা থাকা খুবই কষ্টের এবং তাতে মানসিক রোগের সম্ভাবনাও বাড়ে।
চাকরি-র কারণে স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা হয় এটা মনে হয় ঠিক না। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও শরীরের দিকে খেয়াল রাখা যায়। অনেক উদাহরণ দেখতে পাচ্ছি।
বাবা ও মা দু'জনেই কর্মজীবি হলে ঘর ও বাইরের কাজ মোটামুটি ভাগ করে নিলেই অনেক ঝামেলা মিটে যায়। এ ব্যাপারে অফিসগুলোর কাছ থেকেও আমি সহযোগিতামূলক আচরণ প্রত্যাশা করি (যেমন, বাচ্চাদের স্কুলের ছুটির সময়, ইত্যাদি, ইত্যাদি)।
মেয়েদেরও তো অনেক কিছু করার আশা থাকে। ব্যাচেলার্স আর মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে কী লাভ যদি এগুলো কোন কাজেই না লাগল? তারচেয়ে যদি এই উচ্চ শিক্ষিত মেয়েটা পড়াশোনা না করত তাহলে ঐ জায়গায় অন্য একটি ছেলে হয়ত পড়ার সুযোগ পেত এবং তাতে তার পরিবার উপকৃত হত!!
তবে হ্যাঁ! আমি একটা জিনিষ বিশ্বাস করি, সেটা হল - সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অন্তত দু'তিন বছর মায়ের উচিত ঘরে বসে সন্তানকে সময় দেওয়া। এই সময়টা মায়ের কাছে থাকলে বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়। যোগ্যতা থাকলে ভাল একটা চাকরি কয়েক বছর পরেও পাওয়া যাবে।
যাই হোক, আমার মতে একটা ছেলে বা মেয়ে তার জীবনটাকে কীভাবে এগিয়ে নেবে সেটা সম্পূর্ণ তার নিজস্ব ব্যাপার। অন্য কেউ তার উপর কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। তবে, যা করার নিকটজনদের সাথে পরামর্শ করেই করা উচিত যাতে শান্তি বজায় থাকে।
২১| ১৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৯
ঘুমন্ত পথিক বলেছেন: ওহ আরেকটা কথা, কেউ কি এক বালতি বরফ-শীতল ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করতে পারবেন? "কষ্টের নদী"- গরম মাথায় ঢেলে দিতাম।
২২| ১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৩৮
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: "মা দিবস ব্লগ সঙ্কলন - ২০০৯ " ই-বুক আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিস্তারিত পাবেন এই পোষ্টে । পোষ্টটিতে আপনার মতামত আশা করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৪
কানমলা-০৮ বলেছেন: বাবারা কয় ধরনের?