নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রফেশনাল কোন লেখক/কবি নই,লিখতে ভাল লাগে তাই লিখি।

এস আই সুমন

যাচ্ছে তাই

এস আই সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুকতারা

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

ও, মিলি।
পড়াশুনা করে শহরের নামিদামি এক বোর্ডিং স্কুলে,গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ছেলেমেয়েরাও একই স্কুলে পড়াশুনা করে।
নিয়মানুযায়ী গার্ডিয়ানরা তাদের সন্তানদের সাথে সপ্তাহে একদিন দেখা করতে পারেন।
পড়ালেখার অগ্রগতির জন্য ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকেরা মিলে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হলেন যে তাদের আর এ সপ্তাহে মিলতে দেয়া হবেনা।
এমতাবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের অজ্ঞাতে সারপ্রাইজ ডে হিসাবে একটা দিন ঠিক করা হল এবং তারা যাতে দিনটা উপভোগ করতে পারে তার জন্য সুব্যবস্থা করা হল সাথে গার্ডিয়ানদের এ ব্যাপারে অবগত করা হল।
অতএব, নিদিৃষ্টদিন প্রত্যুষে সকল ছাত্রছাত্রীদের লাইন এ দাড় করানো হল,তারা কেউই বুঝে উঠতে পারছিল না আসলে কি হতে চলেছে।
ঠিক যথা সময় বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক উন্মুক্ত করা হল, ছাত্রছাত্রীদের চোখ ততক্ষনে ছানাবড়া। তারা যেন উন্মুক্ত পাখির মত দুহাত মেলে দিয়ে তাদের বাবামায়ের উদ্দেশ্যে ছুটতে লাগল।
এমনই ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত মিলিও, কিন্তু সবাই তার বাবা মায়ের খোজ পেলেও মিলি খুজে পেলনা। আজ ওর ভীষন মন খারাপ, এমন একটা দিনেও সময় হলনা বাবা মায়ের! অশ্রুসিক্ত নয়নে ফিরে যেতে হল মিলিকে...
অনেক আগেই গাড়ি এক্সিডেন্ট এ মারা গেছে মিলির বাবা-মা দুজনেই। সেই ছোট থেকে কাকাই তিলে তিলে বড় করে তুলেছে বাপ-মা মরা মেয়েটাকে।
মরে গেলেও মনের অন্তরালে যেখানে হৃদয়টা ধুক ধুক করে সাড়া জানায় ঠিক সেখানটাই পিতামাতার অস্তিত্ব বজায় রেখেছে ও। তারপরও কোনদিন না আসা বাবা মা আজ আসবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল।
এখনো মাঝে মাঝে পরম নির্ভরতাই দুর আকাশের দিকে তাকিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে মিলি, কোন এক শুকতারা হয়ে দেখছে ওর বাবা মা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: দুঃখজনক বটে।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১১

এস আই সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.