নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাজামুস জুলকারনাইন রতন

এস েজ রতন

একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, অভিনয়শিল্পী, লেখক, বক্তা, প্রশিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সমর্পণকারী একটি স্বর্গীয় পৃথিবী উপহারে নিবেদিত আত্মা।

এস েজ রতন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মশক ও মশারী

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪১

বেশ মায়াময় মুখ। খানিকটা অগোছালো। তবে ব্যস্ততার কারণে নয়, সাধারণ ভাবেই যে এমন তাও বোঝা গেল। যেন কিচ্ছু বোঝে না।

এবার মাইন্ডসেট পরীক্ষা করা যাক। দেখুন গল্পটা শুরু করার সাথে সাথেই পাঠকের মনে একটি নারী, তরুণী, বা যুবতীর মুখচ্ছবি ভেসে উঠেছে। আচ্ছা, এমনতর ছেলে কি নেই? নাকি থাকতে নেই? মুখে মায়ার ছাপ যে কোন ছেলের মুখে থাকতেই পারে। সবসময় ছেলেদেরকে উদ্ভ্রান্ত, বহির্গামী, চঞ্চল, অস্থির, একরোখা, জেদি এই ভাবে ভাবতে হবে কেন? এই বিশেষণগুলো (খারাপ-ভালো দু’টোই) যেন শুধু ছেলেদের জন্যই। ছেলে-মেয়ের বিতর্কে যাচ্ছি না। পয়েন্ট হচ্ছে মাইন্ডসেট।

অফিস থেকে একরকম তাড়াহুড়ো করেই বের হলো মাহিন। কারণ এই বের হচ্ছি এই বের হচ্ছি করে করে ৫টা গড়িয়ে ৬টা বেজে যায় অফিস থেকে আর বের হওয়া যেন হয় না। একদম সন্ধ্যে সময়ে যেন নতুন করে মনে হয়- এই কাজটুকু কালকের জন্য আর ফেলে না রেখে শেষ করেই যাই। কিন্তু এভাবে করতে করতে যে পরিবারের লোকজনদেরকে অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে। অফিসের গেইট পেরিয়ে দু’কদম ফেলতেই বুক ফুলিয়ে জিন্স আর গেঞ্জি পরে নায়ক। না নায়ক নয় নায়িকা। কার নায়িকা কে জানে কিন্তু এই নায়িকার অবয়ব আর আপাদমস্তক কয়েক সেকেন্ডে হজম করতে যেয়ে- প্রাডো গাড়িটা প্রায় চাপাই দিতে যাচ্ছিল ঘর্মাক্ত, দিনের আলোয় সমন্বয় করতে যাওয়া ব্রেকিং দ্য অফিস রুম-স্পেস ব্রেকার মি. মাহিন। সম্বিৎ ফিরে- ওরে বাব্বাহ্ এ নারী, রমণী না প্রাণ হারিণী! এখানেও এই মেয়েটিকে মেয়ে মনে করার আগে ছেলের আকৃতিটিই প্রমিনেন্ট হয়।

ইদানীং রাশেদের চলাচলে একটু সুবিধা হয়েছে, গেইটলক সার্ভিস শুরু হয়েছে কিছুদিন হলো। বাসের সামনে যেখানে নারীগণ জড়োসড়ো হয়ে ইঞ্জিনের উপরে বসেন সেখানটায় বসার সুযোগ হয় প্রায়ই। সারাদিন প্রচন্ড ব্যস্ততা, রাতে সংসার সব মিলিয়ে পুরোদস্তুর বিরামহীন ক্লান্তিময় সপ্তাহ কাটে তার। তাই বাসে চলাচলের সময় কোন একটা ভাল সীটে বসতে পারলে- চলার সময়টা অন্ততঃ হেলান দিয়ে ঘুমাতে ঘুমাতে যাওয়া যায়। কিন্তু সে সুযোগ এই সার্ভিস চালুর পর থেকে আর হয়নি। সামনে চব্বিশজন যাত্রী আর সে যেনো একজন হকার, সবাইকে সে দেখছে আবার সবাই যেন শুধু তাকেই দেখছে। সারাটা পথে একটা নারীর মুখও সে দেখলো না।

পরচুলা লাগানো একটা লোকের নকল চুলের দিকে বার বার চোখ আটকে যাচ্ছিল। মনে মনে ভাবছিল রাশেদ- তার স্ত্রী-সন্তানদের কাছে থাকার সময়ও এই ভদ্রলোক নকল চুল পরে থাকেন? হঠাৎ, খেয়াল করলো- লোকটির পাশে দিব্যি তার স্ত্রী বসে আছেন। রাশেদের স্টপেজে বাস থেমেছে, বাস থেকে নামার সারিতে বাসের গেইটে হ্যান্ডেল ধরে নামার অপেক্ষায় আরো ২/৩জন নারী!! এটা কোন মাইন্ডসেট?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩২

সকাল হাসান বলেছেন: বুঝি নাই কিছুই!

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

এস েজ রতন বলেছেন: সহজ বোঝা যায় না বোঝা সহজে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.