নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাজামুস জুলকারনাইন রতন

এস েজ রতন

একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, অভিনয়শিল্পী, লেখক, বক্তা, প্রশিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সমর্পণকারী একটি স্বর্গীয় পৃথিবী উপহারে নিবেদিত আত্মা।

এস েজ রতন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রিকোয়েন্সি

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:১০

পাড়াগাঁয়ের এক মসজিদ। কতজনই বা এই মসজিদের নাম জানে। কিন্তু অনেক দূর থেকে নামাজ পড়তে আসে অনেকেই এই মসজিদে। একজন খুব মনোযোগ দিয়ে নামাজ আদায় করছিল। মোনাজাতের সময় খুব আকুতি মিনতি আর কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার আরজিগুলো জানাচ্ছিল মহান আল্লাহ’র কাছে। কারো কারো নামাজ আর মোনাজাতও যে দেখার বিষয় তা অনুভব করছিলাম। ভাবছিলাম আবারো নতুন করে শুরু করতে হবে সব। নামাজ হচ্ছে নিয়মিতই কিন্তু ওভাবে পড়া হচ্ছে কি না সেটাই যেন ভাবনার বিষয়। একজন বন্দেগীপ্রিয় মানুষ তার নামাজ ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কি পায় তা সে-ই জানে আর তার আল্লাহ-ই জানেন। মানুষ বড় অস্থির এখন। ধ্যান আর জ্ঞান চর্চার সময় কোথায়? তার চেয়ে বরং ডিজিটাল হও, বোতাম চাপো আর কাজ করো। কিন্তু এই বোতাম চাপাচাপি দাপাদাপি ছাড়া আর কিছুই হবে না, যদি না

প্রকৃত আত্মিক উন্নয়ন ঘটে। মাঝে মাঝে তাই নিজে নিজেকে ঝালাই করি। নিজের ঘরকেই করি ধ্যানগুহা। মজে যাই সাধনায়। তখন ক্যাবলহীন তারে যোগাযোগ হয় পরমের সাথে। নির্দিষ্ট কোন তরঙ্গ নেই, নেই কোন ফ্রিকোয়েন্সি। কথা আর ভাবনার লেনদেন হতে থাকে। কখনো অশ্রুসজল হয় দু’চোখ কখনো আবার খুশিতে প্রশংসায় বিগলিত হই মহানের প্রতি। এই ধ্যানটুকুর প্রতিটি ন্যানো সেকেন্ড যেন পুন্যের প্রাচুর্য্যে মহীয়ান হয়। আত্মোপলব্ধির সব অনুরণন যেন ছন্দ হয়ে আধ্যাতিকতায় মেশে।

কোন মানুষের ভালকিছুর স্পর্শ কতভাবে যে প্রভাব ফেলতে পারে অন্য কারো মনে তা বলা মুশকিল। স্বভাবই প্রভাব হয়ে দাঁড়ায় কারো জন্য। এই স্বভাবের পরিবর্তন ঘটে অবচেতন মনেই। কারো কোন চাপ প্রয়োগ ছাড়াই নিজের মধ্যে নিজের পুনর্জন্ম যেন। মনকে তাই কখনো মনের মতো চলতে দিতে হয়।

মন যদি শুদ্ধ বিবেককে ছুঁতে পারে, তবে অন্যায় আর অবিচার করা থেকে সে থাকে অনেক দূরে। এই তরঙ্গ এমন একটা তরঙ্গ বলয় যা মানুষকে মহামানুষে রূপান্তরিত করে। সৃষ্টির সেবার মধ্যে যেমন আল্লাহকে খুশি করার ব্যাপার লুকিয়ে থাকে তেমনি নিজেকে বিলিয়ে দেয়া যায় আপামরের জন্য। প্রতিটি কাজই হয় এবাদত, যদি সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে তা সাধন করা হয়। মানুষের মুখচ্ছবি তার প্রতিচ্ছবিও বটে। নিজেকে আয়নায় শুধু নয়, একেবারে ছবি তুলে চোখের সামনে রেখে দেখুন। অনুভব করুন। আপনার মুখাবয়বের প্রতিটি বহিঃপ্রকাশভঙ্গি বিশ্লেষণ করুন। কি খুঁজে পান- অবিশ্বাস? অহংকার? কারো প্রতি বিদ্রুপ? বিব্রতরূপ? পথহারা? রুক্ষ? মোহ? অপরাধ? অসভ্যতা? অনেক অনেক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিন। লজ্জা পাবেন। আপনার মুখচ্ছবির প্রতি-ই আপনি অবিচার করছেন। এই মুখাবয়ব কেবল নয় পুরো মানবিক সত্তাটাকে আপনি অপমান করছেন। কি অধিকার আছে আপনার আপনাকে অপমান আর অবমূল্যায়ন করার?

তাই সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। দেখুন আপনাকে অরো বেশি, অনুভব করুন ভেতর থেকে আর পরিমার্জন করুন নিজেকে। হোন অনন্য মানুষ। পরিপূর্ণ মানুষ। মানবিক মানুষ। কেউ একজন এমন একটা কথায় আপনার সামগ্রিক চরিত্রই পাল্টে ফেরতে পারে- যদি কেউ দেখে থাকেন তার স্ব-চরিত্র আয়নায় দেখা জীবন্ত মূর্তির বিপরীতে! সুতরাং -

আজি উন্মুখ মোরা হতে মান্য মনুষ্য,
পথ বঞ্চিত? সিঞ্চিত পাপ মুক্তি অবশ্য;
রক্তিম এ পথ নহে সুখ্য মনোদেহধাম
আখরে খোদিত তব কুল হোক, চীর লিখিত সুনাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, অভিনয়শিল্পী, লেখক, বক্তা, প্রশিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সমর্পণকারী একটি স্বর্গীয় পৃথিবী উপহারে নিবেদিত আত্মা।

আপনার দেখি অনেক গুণ ভাই ! শুভকামনা :)

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৫৩

এস েজ রতন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.