নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাজামুস জুলকারনাইন রতন

এস েজ রতন

একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, অভিনয়শিল্পী, লেখক, বক্তা, প্রশিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সমর্পণকারী একটি স্বর্গীয় পৃথিবী উপহারে নিবেদিত আত্মা।

এস েজ রতন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাথরের পৃথিবীতে প্রেমের সাগর

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১



পাথরের পৃথিবীতে কাঁচের হৃদয়/ভেঙ্গে যায়, যায় যাক করি না ভয়/তবু প্রেমের তো শেষ হবে না। প্রেমিক প্রেমিকার এই রসায়ন গীতকে একটু অন্যমুডে দেখলেই হয়ে যায়। অনেক ছোট্ট বলয়ে বসে ভাবনা আর বিশালতা নিয়ে ভাবনার বিস্তার ঘটানো; পার্থক্য এখানেই।ঘরের কোণে বসে কবিতা, গান বা ছন্দ লেখা আর সাহিত্য করা; অপরদিকে সকল সীমাকে ভেঙ্গে সুদূর দৃষ্টি দিয়ে সহস্র কালের ভাবনা, বিশ্লেষণ স্মৃতিতে এনে সাহিত্য করা নিশ্চয়ই এক নয়। তেত্রিশ অথবা তেতাল্লিশ হাজার ফুট উঁচু থেকে ধীরে ধীরে ভূপৃষ্ঠের দিকে নেমে আসতে আসতে ভাবনার জাল বোনা অথবা বাস্তবতার অনুভূতি আর সমতলে বসে উত্তল লেন্সের ন্যায় বৃত্তাকার চারপাশ অবলোকন এক নয়। মহাকাল, মহালয়, মহাতীত, মহাগত এই বিষয়গুলোর যথার্থ পরিমাপক হবে তখনই যখন নিজেকে করা যাবে ভেঙ্গে চুরমার অথবা গড়ে একাকার।

যতদূর চোখ যায়, উত্তল লেন্সে দেখা ঐ সমতলের, পাহাড় আর পাহাড়।কঠিন, কালো, ধলো, বর্ণীল পাথরে গড়া হাজার হাজার পাহাড়গুলোকে দেখলে প্রেম জাগে না; জাগে বিরহ। কৃত্রিম ছোঁয়ায় পাথরকে হয়তো নিজের মতো করে উপস্থাপন করা যায় কিন্তু প্রকৃতির পরম ছোঁয়ায় যে পাথরের অহংকার বেড়েছে, সেই পাথরের মহত্ব বুঝতে তো সেই ব্যাপকতা থাকা চাই। তাই তো বোধ হয় জাগতিক বা সাধারণ বা কথিত অসাধারণ বিষয়গুলোতে স্বাভাবিক জ্ঞান থাকাকে সাধারণ জ্ঞান বলে।মানুষ যখন অন্যমনষ্ক হয় তখন কখনো কবি হয়, না হয় রাজনীতিবিদ হয়। কবিগণ যেমন নিজের ইচ্ছেমতো লিখতে পারেন তেমনি রাজনীতিকরাও তাই। শুদ্ধতা, মানবতা, মুক্তি, সমতা, সততা, সৃষ্টে সেবা এই কথাগুলোর জন্য ঐকান্তিকতা দরকার। হযরত ঈব্রাহীম (আঃ) ভেবেছিলেন- চাঁদ কি সৃষ্টিকর্তা? অথবা সূর্য? অথবা আগুণ, কিংবা পানি; না কোন কিছুতেই মন ভরেনি। মস্তিষ্ককে খুলে দিয়েছিলেন, ভাবনাগুলোকে আটকে না রেখে ছেড়ে দিয়েছিলেন, স্বাধীন করেছিলেন মনন, আর তাতেই পরিণতি পেল যর্থাথতার। মহান এক, অদ্বিতীয়, অসীম আল্লাহ্ রব্বুল আ’লামীন জ্ঞান চক্ষু খুলে দিলেন তাঁকে বোঝার। উপলদ্ধি করার। যে বিষয়গুলোতে মহাসাধনার ফসলদ আমাদের সামনে স্পষ্ট, বোকারা সেই বিষয়গুলো নিয়ে নিজেদের অজ্ঞতার পরিবেশনা দেখাতেও লজ্জিত হয় না।

এসি বাসে করে মক্কা থেকে মদীনা যাচ্ছি। নতুন কিছু নয়, আবার নতুন তো বটেই। বাংলাদেশি বলে কথা, সবসময় আপনার সামনে পোলাও আর কোরমা দিয়ে রাখলে ওগুলোও তিতা স্বাদ হতে বাধ্য।রাতের অন্ধকারে জানালার কাঁচ গলিয়ে যতটুকু দৃশ্যমান হলো- বর্ণীল রঙ আর রঙ, আলোর রঙ। একজন বা একদঙ্গল মাস্তান এসে বলল না- অ্যাই যা আছে বের কর! রাতের দৃশ্য আলোকচ্ছটায় যতটা না মোলায়েম, দিনেরটা কঠিন কঠোর তত।পাঞ্জাবীর কলারে তাকিয়ে দেখি লালচে বর্ণের ঘাম-ময়লার দাগ। কালো বা ছাই রঙের তো নয়? এক চিলতে মাটি বা মেটেবালিও তো নেই? প্রশস্ত, ট্রাফিক নিয়ম মেনে সাজানো গোছানো রাস্তাই যেন পথিককে বা বাহনকে নিয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। সবকিছু পেয়ে যাবার মধ্যে আর সহজিয়ার মধ্যে রয়েছে উন্মত্ত অপস্বাধীনতা। কষ্টে পাওয়া আর অভাবের মধ্যে থাকে কৃতজ্ঞতা। তাই বোধ করি জনশূন্য এ প্রান্তরেও কত নিয়মের সুখওবেড়াজাল।

কবুতর চত্বর। খামার বাড়ি হয়ে খেজুর বাগান পেরিয়ে ধানমন্ডির দিকে যেতে মোড়, তারও একটা নাম দেয়া হয়েছে ইদানীং। ভাল লাগলো। না লাগলে বলবেন রাজনীতি করছি।কেউ কেউ আবার অনেকে বলেন বাংলাদেশের সিলেটের শাহ্ জালাল (রহঃ) এর পালিত জালালী কবুতরের বংশধর। রিয়েল খরচ করে সুখ বিতরণ করছেন হাজীরা; হক্কুল এবাদাৎ। হক্কুল্লাহ্ও দরকারী। তাই সামনে তাকালে শুধু সাদা আর সাদা, জোব্বা আর জোব্বা, টুপি। বেহেশতি অভিযাত্রা যেন। সবার হাতে তজবী আল্লাহ্’র গুণগান।গাইড বলছিলেন- ঐ যে ঘড়িওয়ালা বিশালাকার বিল্ডিংটা, ঐটা ক্লক-টাওয়ার।না, তার চেয়ে বরং জমজম-টাওয়ার এই নামটাই বড্ড সুন্দর! পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’লা আমাদেরকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন- কেন সর্বশ্রেষ্ঠ ঘর কাবা ও তার আশেপাশের মহিমান্বিত জায়গাসমূহ জিয়ারাহ্ করা জরুরী। নিদর্শন হিসেবে এখনো বহাল রেখেছেন- মাকামে ঈব্রাহীম, জমজম কূপ ও তার পানি, হজরে আসওয়াদ, সাফা ও মারওয়া পাহাড়, আরো বহুকিছু।

জ্ঞান চর্চাকারীগণ তারা নিজেরা অধিক পরিমাণে চর্চা করার কারণে দু’টি পরিণতি হতে পারে, এক- তারা অতি পরিমাণে আস্তিক হতে পারে, আবার উল্টোটাও হতে পারে অর্থাৎ নাস্তিকও হতে পারে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে প্রথমজন আলোর পথ খুঁজে পেলেন আর দ্বিতীয়জন এতো কিছু করেও অন্ধকারে রয়ে গেলেন। বঞ্চিত হলেন মহান রব্বের রহমত থেকে। বিভিন্নভাবে অনেকে ধর্ম ও জীবন নিয়ে উদারতা দেখাতে চান। উদারতা বা সঙ্কোচনের কিছু নেই, স্পষ্ট উচ্চারণ ঐ মহান আল্লাহ্ রব্বুল আ’লামীনের- সকল জীবনকেই তাঁর এবাদতের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। শুধু কি তাই? মসজিদে নব্বীতে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবদ্দশায় উনি যখন ইমামতি করতেন তখন কোন এক প্রয়োজনে মিম্বরের স্থান কিছুটা দূরে সরানোর প্রয়োজন পড়ে। মিম্বর স্থানান্তরের পর পূর্বের স্থানে মিম্বরের পাশে একটি খেঁজুর বৃক্ষের নির্জীব গুঁড়ি ছিল, মিম্বর সরানোর পর সেই গুঁড়িটি হু হু কেঁদে উঠেছিল। বর্তমানে সেই স্থানে একটি স্তম্ভ প্রস্তুত করা হয়েছে। যা মর্মম পাথর খচিত। এই স্থানে নামাজ আদায় করলে অনেক সোয়াবের ভাগী হওয়া যায়। রিয়াজুল জান্নাতে এই স্তম্ভটি অবস্থিত। জড় ঐ খেঁজুর গুঁড়িটি কেন কেঁদে উঠেছিল? ভাবতে পারেন? এই জীবনহীন গুঁড়িটিও আল্লাহ্’র জন্য পড়া নামাজ, কালাম, সেজদা সবকিছু অনুধাবন করতো। মহানবী (সাঃ) এর পবিত্র মধুর কণ্ঠে পড়ানো নামাজ জিকির, কোরআন তেলাওয়াত, খুতবা সব শুনতো। সে নিজেও সবর্দা জিকির করতো।এসবই আল্লাহ্ তাবারক তা’লার মহীমা ও স্পষ্ট দৃষ্টান্ত।

সাদা পাঞ্জাবী পরা ছাড়া বাইরে বের হবার কোন উপায় নেই। সাদা পোশাকে রোদের রিফ্লেকশন হয়, ফলে রৌদ্রের প্রখরতা কম অনুভূত হয়। কিন্তু এ এমন এক দেশ; সৌদীআরব। যেখানে গড়ে পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবসময় থাকে। তপ্ত পাথর আর কঠিন পাষাণ পাহাড় ছাড়া কি-ই বা আর আছে? প্রাণের ক্ষুদ্রতম অস্তিত্ব পর্যন্ত নেই। নেই মশা, মাছি, পিঁপড়া, চ্যাল্লা, বিচ্ছু, পোকা, হুলহুলি, মাকড়সা, টিকটিকি। এমন কঠিন অবস্থাতেও নরম মনের অভাব নেই। শুধু প্রেমের টানেই এখানে ছুটে আসে লক্ষ লক্ষ মানুষ। এবাদতে পাগল থাকে সারাক্ষণ। পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ঘর কাবার চারপাশে তাওয়াফ চলছে তো চলছেই, শুধু ফরজ নামাজ পড়ার সময় দাঁড়িয়ে নামাজের সময়টুকু বিরতি থাকে। ঘড়ির কাঁটা যেমন ঘুরছে তো ঘুরছেই ঠিক তেমনটি। এবার হঠাৎ প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় নির্মাণধীন হারাম শরীফের তাওয়াফের স্থান বর্ধিতকরণের কাছে রাখা ক্রেন ভেঙ্গে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল।এর পরের ঘটনা আরো মর্মান্তিক।মিনায় এতোগুলো মানুষের প্রাণ হারানো, কষ্টে বুকটা ফেটে গেছে আমাদের। কত কত প্রিয়জন তাদের প্রিয় মানুষটির সামনেই আর্তনাদ করে করে প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও আমাদের চোখে অপ্রত্যাশিত এই ঘটনা দু’টোতে আল্লাহ্ রব্বুল আ’লামীনের ইচ্ছেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, কারণ উনার ইচ্ছেতেই সবকিছু ঘটে। তারপরও মানুষকে দায়িত্বশীলতা, বিবেক ও বোধ প্রদান করা হয়েছে যাতে সে সঠিক পথে চলার বা চালাতে চেষ্টা করতে পারে। পবিত্র হজ্বকালীন এই মহাব্যবস্থাপনায় যারা নিয়োজিত ছিলেন তারা কোনভাবেই দায় মুক্ত থাকতে পারেন না।

সর্বমহান আল্লাহ্ মনোনীত ম্যানুয়েল, ধর্ম ও স্পষ্ট শ্রেষ্ঠ উদাহরণ উপহার দেয়া হয়েছে জগৎবাসীর জন্য।আপনার ঈমানের স্তর অনুযায়ী কতটা বিশ্বাসের মূল গ্রথিত আছে তা প্রতিটি জীবই টের পায় মৃত্যুর পর, পূর্বেও। কিন্তু হায় তখন আর কিছুই করার থাকে না। বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলে ঝড়োহাওয়া বা জলোচ্ছ্বাসের সতর্ক সঙ্কেত দেয়া হলেও প্রায় মানুষই খুব একটা গুরুত্ব না দিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপনই চালাতে থাকে, যখন পূর্বাভাস অনুযায়ী বিপর্যয় ঘটে ততক্ষণে তো যা হবার তাই হয়। এখানে সুযোগাটা হচ্ছে পরিণতি নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষগুলো পর্যালোচনা করতে পারে, পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারে; কিন্তু পাপ পূণ্যের বিষয়টি- যে যায় সেই বোঝে’র মতো অবস্থা। থাকে শুধু ইতিহাস, কোরআন ও হাদিস। বিশ্বাসই এখানে মূল। এটাই ঈমান।

তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বমহান- রব্বুল আ’লামীন, যিনি আমাদেরকে জীবন দান করেছেন আবার মৃত্যুর নির্মম-কঠিন স্বাদ গ্রহণ করাবেন। যেদিন সকল রকমের পরিকল্পনা, ব্যস্ততাকে মুহূর্তেই স্তব্ধ করে তুলে নেবেন আমাদেরকে অসীম সময়ের গহ্বরে। শুরু হবে কবরের সাওয়াল জওয়াব। সেই সময়ের কথা কি কখনো মনে পড়ে? ইহরামের সাদা বসন পরে সুবহে সাদেকের সময়ে যখন হারাম শরীফের সামনে কিং আবদুল্লাহ্ গেইট বরাবর দাঁড়িয়েছি, দু’চোখের পানিতে সামনের সবকিছু ঝাপসা দেখেছি। সুবহানাল্লাহ্ বলতে যেয়ে আবেগে কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে এসেছে। তখনো পবিত্র কাবার কাছে যাওয়া হয়নি, হারাম শরীফের প্রতিটি দরজা পেরিয়ে বিনয় ও পরম শ্রদ্ধায় এগিয়ে যেয়ে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক- উচ্চারণ করতে করতে যখন পরম পবিত্র কাবা শরীফের দিকে নজর রেখেছি, তখন পৃথিবীর কিচ্ছু মনে ছিল না। বিশ্বাস হচ্ছিল না, সত্যি, সত্যি কি আমি কাবা শরীফ দেখছি? সরাসরি? আহ্, কি পবিত্র সে অনুভূতি! চোখ দু’টো জলে ভেসে ভেসে একাকার হয়েছে। কণ্ঠ রুদ্ধ ছিল। কি চাইবো আল্লাহ্’র কাছে? কি মোনাজাত করবো? সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল। কথা গোছাতে পারছিলাম না। যাতনাময় বহু প্রতীক্ষার পর প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার যখন প্রথম দেখা হয়, ঠিক তেমন। এই সেই কাবা যার মধ্য বিন্দু থেকে সোজা উপরে আরশে আজিম, যেখানে বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের অধিপতির আরশ! তাঁর প্রিয় দোস্ত মোহাম্মদ (সাঃ) মিরাজে যেয়ে সেখানে তাঁর সাথে কথপোকথন করেছিলেন।

হযরত ঈব্রাহীম (আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ্ পাক আহ্বান জানিয়েছিলেন বিশ্ববাসীকে-সকল আত্মাকে এই কাবায় আসতে, সাফা মারওয়া দেখতে, মাকামে ঈব্রাহীম দেখতে, জমজম পানি পান করতে; আরও কত কত নিদর্শন রয়েছে এখানে। যে আত্মাগুলো হযরত ঈব্রাহীম (আঃ) এর সেই পবিত্র আহ্বান শুনেছিল তাদেরই ভাগ্যে জুটেছে এই পবিত্র স্থান দেখার সৌভাগ্য। পাথর, পাহাড় আর প্রচন্ড তাপদাহের এই ভূমিতে কত কত স্মৃতির দাগ রয়ে গেল। আহা এখনো বাংলাদেশে বসে সেই কালো রেশমী চাদরে মোড়ানো কোরআনের আয়াত খচিত পবিত্র কাবা, মদীনার মসজিদে নব্বী ও হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর রওজার কথা মনে হলে চোখ দু’টো অশ্রুসিক্ত হয়ে পরম শ্রদ্ধায়, বিনয়ে মহান রাব্বুল আ’লামীনের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে মাথা নুয়ে আসে। হে আল্লাহ্ আপনার প্রশংসাগীতি গাইতে গাইতে সেজদারত অবস্থায় যেন আমার মৃত্যু হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.