নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাজামুস জুলকারনাইন রতন

এস েজ রতন

একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, অভিনয়শিল্পী, লেখক, বক্তা, প্রশিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সমর্পণকারী একটি স্বর্গীয় পৃথিবী উপহারে নিবেদিত আত্মা।

এস েজ রতন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বভাবী

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪২


নীলা চুপচাপ হেঁটে যাচ্ছে। ফার্মগেট থেকে আসাদগেট পর্যন্ত দীর্ঘ এ ফুটপাতে দু’একজন ছাড়া আর কেউ নেই। সময়টা ঠিক দুপুর ৩.৩০টা। কখনো কখনো ব্যস্ত এই শহরের কিছু কিছু পথে এমনটা ঘটে থাকে। নীলা প্রাণখুলে ডানে বামে একটু দেখে নিলো। ভাবলো- এমন যদি পুরো শহরটাই হতো। নিরাপত্তা যথাযথ থাকলে শান্ত পথ অনিরাপদ নয়। খুব সাদামাটা স্বভাবের মেয়ে নীলা। পরনে নেই আহামরি কোন পোশাক, অর্নামেন্টস্, পায়ে সাধারণ চটি। প্রতিদিন এই সময়টাতেই তার যাওয়া আসা। একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করেন। দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭.৩০টা পর্যন্ত অফিস।

সামান্য বেতনে কোনরকমে পড়ালেখার খরচটা চলে যায়। হাঁটতে হাঁটতে আশেপাশের বড় বড় দৃষ্টিনন্দন বাড়িগুলো দেখে প্রায়ই তার মনে প্রশ্ন জাগে মানুষ কতকিছু করতে পারে! একজীবনেই কতকিছু হয়, অথচ তাকে এই বয়সেই জীবনসংগ্রামে নামতে হয়েছে। মনে পড়ে কিছু স্মৃতি- খুব সাধারণ হয়েও সে তার গ্রামে একজন নায়িকা যেন। তার নীরব চলা, আস্তে কথা বলা, বিনয়ী ভঙ্গিতে কিছু জানতে চাওয়া, সহনশীলতা, সহনীয় মানসিকতা তাকে যেন মধ্যমণি করে তুলেছে। তার বিয়ের জন্য কত কত ধনীর দুলালেরা যে প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, আজো তা মনে হলে হাসি পায়।

তাদের স্ট্যাটাস আর প্রাচুর্যতার সাথে বিভিন্নভাবে তার মিল হবে না- এই বিষয়গুলো বিস্তারিত বুঝিয়ে তবেই না তাদেরকে ক্ষান্ত করেছে। একবার তো একপক্ষ তার বাবা-মা সহ নিকট আত্মীয়ের সকলকেই গাড়ি-বাড়ি, চাকরি দিয়ে স্বাবলম্বী করে দেবার প্রস্তাব দিয়ে হলেও তাকে বিয়ে করে ঘরে নিতে চেয়েছে। নীলা শুধু বলেছে -আমার ওসব সইবে না। ঝিল বিলের শালুক তুলে খাওয়া আর জমি থেকে ছোলা তুলে খড়ের আগুনে পুড়িয়ে খাওয়া মেয়ে, কখনোই ইটপাথরের প্রাসাদে নির্মল বায়ুর আস্বাদন নিতে পারবে না।

পড়ালেখা তো ওর গ্রামেই হতো। শহরের নামী একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার ফলেই না যতো দুর্গতি। এখানে রাজনীতি, স্বার্থপরতা, বেলাল্লাপনা, প্রাচুর্যের আধিক্যতা, অস্থিরতা, সেরা হবার প্রতিযোগিতা তাকে প্রতিমুহূর্তে যন্ত্রণা দেয়। কর্মক্ষেত্রে তার প্রশংসার শেষ নেই। সবারই প্রিয় সে। ভার্সিটিতেও একই অবস্থা। কত বন্ধু আর বান্ধবীরা যে তাকে কতকিছুতে অফার করে। তার সাধারণ হয়ে চলাটা যেন তার স্বয়ংক্রীয় একটা বিনিয়োগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কি সবাই মূলে ফিরে যাচ্ছে? নাকি এটাও একধরনের বিলাসিতা? সাধারণের মধ্যে থাকা রহস্যের জাল ছিঁড়ে তা উদ্ঘাটনের অসুস্থ ইচ্ছা?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

আবু আফিয়া বলেছেন: হাজারো নীলাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়, লেখককে ধন্যবাদ

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: তবুও নীলারা স্বপ্ন দ্যাখে। আশা নিয়ে বেঁচে থাকে। কারণ, তাদের কাছে "আশা-ই জীবন, আশা-ই জীবনের শ্রী"।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: নীলার জন্য খারাপ লাগছে।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

এস েজ রতন বলেছেন: বন্ধুগণ, ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.