নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাজামুস জুলকারনাইন রতন

এস েজ রতন

একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, অভিনয়শিল্পী, লেখক, বক্তা, প্রশিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সমর্পণকারী একটি স্বর্গীয় পৃথিবী উপহারে নিবেদিত আত্মা।

এস েজ রতন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ সময়ই তোমার, এই মুহূর্তকেই সবার জন্য সুখের করো

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬


সময় গড়িয়েই যায়। কেউ যদি মনে করে এই তো আর ক’টা দিন- ওটা হবে, সেটা হবে। মানুষ অনেক পরিকল্পনা করে। এটাই তো স্বাভাবিক, কিন্তু কেউ কি জানে সত্যিকার অর্থে কবে তার সৌভাগ্যের শিঁকে ছিঁড়বে? এ অনেক গহীনের প্রশ্ন। পরিকল্পনা করলে এর পরিকল্পক বেঁচে না থাকলেও বা অন্য কোন কারণে তার নেতৃত্বে কাজটি বা লক্ষ্যটি হাসিল না হলেও, যারা সময়ের স্রোতের সাথে টিকে থাকবেন তারাই সেটা করার জন্য পদক্ষেপ হাতে নেবেন। কিছুক্ষেত্রে একপক্ষীয় বা দ্বিপক্ষীয় হবার কারণে পরিকল্পনার পুরো প্রকল্পটিই মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে হয়তো অন্য বিকল্প বা অন্যেরা শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।

জুথি আর জাকিরের প্রেমটা বেশ জমে উঠেছে। সামনের পৌষেই তারা স্ব স্ব বাবা-মাকে সবকিছু খুলে বলবে। ঘটনার স্রোতে বিভিন্ন পারিবারিক ঝামেলার কারণে আর বলা হয়ে ওঠে না। জুথির সব ঠিক আছে তো জাকিরের নেই। আবার জাকির ঝুটঝামেলা মুক্ত সময় চলছে তো জুথির মায়ের অপারেশন। কোন এক বিন্দুতে সময় যেন একাকার হচ্ছেই না। এরই মধ্যে হঠাৎ জাকিরের স্কলারশীপ হয়ে গেল। পাঁচবছরের জন্য দেশ ত্যাগ করে স্টাডি শেষে রিপোর্ট জমা দিয়ে তবেই না ফিরতে হবে দেশে। স্কলারশীপ শেষ হলো। দেশেও ফেরা হলো। সব সফলতা যেন হাতের মুঠোয় এখন। কিন্তু জুথির মেয়েলি এক সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো।

মাসের পর মাস হাসপাতালেই সেবা নিতে হলো জুথির। এই সময়ে সর্বক্ষণ পাশে পাশে থেকেছে জাকির। দু’পরিবার মোটামুটি জেনেও গেছে তাদের মধ্যেকার সম্পর্কটি। সবারই মত আছে। শুধু উভয় পক্ষের আনুষ্ঠানিকভাবে একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নেবার বাকি মাত্র। মন-প্রাণ উজাড় করে জুথিকে সেবা দিয়েও তার অসুস্থতাকে শেষ পর্যন্ত ঠেকানো গেল না। অল্পসময়ের মধ্যেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হলো। দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর চিন্তা করার সময়টুকুও দেয়নি মৃত্যু। ঘন্টাখানেকের মধ্যেই শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো জুথি।

জুথির চলে যাওয়াটা কোন ভাবেই মেনে নিতে মন সায় দেয়নি জাকিরের। কিছু বছর একা একাই কাটালেন জুথির স্মৃতি নিয়ে। পরিবার, সহকর্মী, বন্ধুরা বোঝালেন। একটি জীবন তো শেষ হয়েছেই, জুথি চলে গেছে, তাকে তো আর ফেরানো যাবে না। তুমি নিজেকে আবার নতুন করে গড়ে নিতে পারো। তোমার নতুন মানুষের মাঝে জুথিকে খুঁজে নিতে চেষ্টা করবে। জুথির জন্য যা করা যেতো বলে যদি ভেবে আত্মগ্লানীতে ভুগে থাকো, তবে তা তুমি নতুন ঐ মানুষটার জন্য করে নিজেকে শুধরে নেবে। তারপর নতুন জীবন শুরু হলো জাকিরের। এখন সব ঠিক, সব আছে। শুধু জুথি নেই!

পাঠক, এটা একটা উদাহরণ হিসেবে নিয়ে রূপক অর্থে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। জুথি এখানে একটি মেয়ে, একটি সফলতা বা সফলতার সমষ্টি, একটি পরিকল্পনা, একটি আশা বা আশার সমষ্টি, একটি লক্ষ্য, কোনকিছু করার আকাঙ্ক্ষা, কোন লেনাদেনা, অর্থ বা সম্পদ। জীবন একটা বিচিত্র ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ছায়াছবি। কত রঙ, কত রস আর কত ভাবনা যে এই জীবনে রয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। তাই বিজ্ঞজনদের কেউ কেউ বর্তমানকে নিয়ে ভেবেছেন। যেকোন মূল্যে বর্তমানকে শুদ্ধ সুন্দর আর অর্থবহ করে তোলাতে দিয়েছেন যথেষ্ট গুরুত্ব। বর্তমান যদি সাফল্যমন্ডিত হয়, তবে বাকি কাল দু’টি হবে আনন্দের স্মৃতিময়তায় ভরা, স্বপ্নময়।

যাকিছুই হোক না কেন, প্রাকৃতিক ঘটনাপ্রবাহের উপর কারো হাত থাকে না –দিন শেষে এটাই চোখের সামনে বাস্তব হয়ে ধরা দেয়। তবুও এগিয়ে যাও, তবুও ভালোর জন্য করতে থাকো।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভাই একদিনে এত পোস্ট কেন ?

শুভ নববর্ষ।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: জুথি তে কি চন্দ্র বিন্দু নেই?
জাকির কি আপনি?

৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

এস েজ রতন বলেছেন: জুঁই এ আছে, জুথি তে চন্দ্রবিন্দু নেই। জুথি অর্থ সৎ-বিচারক, বিচক্ষণ। এর বাইরে কোন বিশ্লেষণ থাকলে আমাকে অবগত করলে খুশি হবো। না, জাকির আমি না, গল্পের নায়ক। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.